আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
কয়েক হাজার বছরের পুরোনো একটি উন্নত সভ্যতার রহস্য লুকিয়ে আছে এই লিপির মধ্যে। এই রহস্য নিয়ে যেমন আছে তীব্র বিতর্ক, সেই সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের স্বার্থও। এমনকি এই লিপির পাঠোদ্ধার করতে গিয়ে অনেক গবেষক প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন। বহু ক্ষমতাবান লিপির নিজের চাহিদা মতো অর্থ করার জন্য নগদ অর্থের পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি, সিন্ধু উপত্যকার এই লিপির অর্থ উদ্ধারে বিশাল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুর্বোধ্য এসব লিপির অর্থ বের করতে পারলেই দেওয়া হবে ১০ লাখ ডলার।
কিন্তু কী এমন আছে হাজার বছরের পুরোনো এই লিপিতে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাচীন এই লিপির অর্থ উদ্ধার করতে পারলে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই লিপি নিয়ে গবেষণা করছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক রাজেশ পি. এন. রাও। তিনি বলেন, ‘এই লিপি যদি পড়া সম্ভব হয়, তাহলে ব্রোঞ্জ যুগের একটি সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। মনে করা হয়, এই বিশাল সভ্যতায় লাখ লাখ মানুষ বসবাস করত, যেখানে ছিল উন্নত নগর-পরিকল্পনা, মানসম্মত ওজন ও পরিমাপ ব্যবস্থা এবং বিস্তৃত বাণিজ্যপথ।’
এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই লিপির ব্যাখ্যা সিন্ধু উপত্যকার মানুষের পরিচয় ও তাদের বংশধরদের সম্পর্কে কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, আধুনিক ভারতের বিতর্কিত শিকড় ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী নিয়ে চলমান (আর্য–অনার্য) রাজনৈতিক বিতর্কেরও অবসান ঘটাতে পারে এই লিপি। সেকারণেই এর অর্থ উদ্ধারে এত তৎপর ক্ষমতাসীনেরা।
অধ্যাপক রাও আরও বলেন, ‘এই লিপির অর্থ উদ্ধার হলে জানা যাবে এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা আসলে কারা। যারা এই সভ্যতার উত্তরাধিকার তারাই প্রথম উন্নত নগর-পরিকল্পনা, চমকপ্রদ বাণিজ্য ব্যবস্থা ও সমুদ্রপথে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। সুতরাং, ওই জনগোষ্ঠীর জন্য এটি নিঃসন্দেহে খুব গর্বের বিষয়। আর এ কারণেই এই লিপির অর্থ উদ্ধার নিয়ে এত তোড়জোড়।’
১৮৭৫ সাল প্রথম প্রকাশিত হয় এই লিপির নমুনা। এরপর থেকেই এই লিপির ব্যাখ্যা খুঁজছেন গবেষকেরা। কিন্তু এত বছরেও কেন সম্ভব হলো না সিন্ধু লিপির রহস্য উদ্ঘাটন? গবেষকেরা বলছেন, বিশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ হাজার শিলালিপি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া, যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে সেগুলোও আকারে খুব ছোট, মাত্র এক ইঞ্চি মাপের শিলার গায়ে চার থেকে পাঁচটি প্রতীক আঁকা।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখনো পর্যন্ত রোসেটা শিলার মতো কোনো দ্বিভাষিক নিদর্শন পাওয়া যায়নি, যেখানে সিন্ধু লিপির সঙ্গে অন্য কোনো পরিচিত ভাষার অনুবাদ থাকতে পারে। এ ছাড়া, সিন্ধু সভ্যতার শাসকদের কোনো নামও পাওয়া যায়নি, যেখানে মিসরীয় লিপিতে ক্লিওপেট্রা ও টলেমির মতো ব্যক্তিদের নাম পাওয়া গেছে।
তবে এত দীর্ঘদিনের গবেষণার পর কিছু বিষয়ে একমত হতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশির ভাগের ধারণা, লিপিটি ডান দিক থেকে বাঁ দিকে লেখা হতো এবং এই লিখন পদ্ধতি ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হতো—যেমন, বাণিজ্য পণ্যের চিহ্নিতকরণে। কিছু চিহ্নের অর্থ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন গবেষকেরা।
কিন্তু রোসেটা শিলার মতো কোনো নিশ্চিত প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাখ্যা অনুমানই থেকে যাবে।
যদিও সিন্ধু লিপির নিশ্চিত অর্থ আজও উদ্ধার সম্ভব হয়নি, তবে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মধ্য দিয়ে সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গেছে। মহেঞ্জোদারোর মতো নগরের নমুনা থেকে জানা যায়, সিন্ধু সভ্যতার ভবনগুলো আধুনিক ইউরোপ–আমেরিকার মতো গ্রিড নকশায় নির্মিত ছিল, ছিল উন্নত পয়োনিষ্কাশন ও পানি ব্যবস্থাপনা।
১৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতার পতন ঘটে। সিন্ধু সভ্যতার পতনের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেন অনেক গবেষক। ধারণা করা হয়, অনিয়মিত বৃষ্টি আর তীব্র খরার কারণে এই অঞ্চল ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট গ্রামে চলে যায় বাসিন্দারা।

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
কয়েক হাজার বছরের পুরোনো একটি উন্নত সভ্যতার রহস্য লুকিয়ে আছে এই লিপির মধ্যে। এই রহস্য নিয়ে যেমন আছে তীব্র বিতর্ক, সেই সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের স্বার্থও। এমনকি এই লিপির পাঠোদ্ধার করতে গিয়ে অনেক গবেষক প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন। বহু ক্ষমতাবান লিপির নিজের চাহিদা মতো অর্থ করার জন্য নগদ অর্থের পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি, সিন্ধু উপত্যকার এই লিপির অর্থ উদ্ধারে বিশাল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুর্বোধ্য এসব লিপির অর্থ বের করতে পারলেই দেওয়া হবে ১০ লাখ ডলার।
কিন্তু কী এমন আছে হাজার বছরের পুরোনো এই লিপিতে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাচীন এই লিপির অর্থ উদ্ধার করতে পারলে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই লিপি নিয়ে গবেষণা করছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক রাজেশ পি. এন. রাও। তিনি বলেন, ‘এই লিপি যদি পড়া সম্ভব হয়, তাহলে ব্রোঞ্জ যুগের একটি সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। মনে করা হয়, এই বিশাল সভ্যতায় লাখ লাখ মানুষ বসবাস করত, যেখানে ছিল উন্নত নগর-পরিকল্পনা, মানসম্মত ওজন ও পরিমাপ ব্যবস্থা এবং বিস্তৃত বাণিজ্যপথ।’
এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই লিপির ব্যাখ্যা সিন্ধু উপত্যকার মানুষের পরিচয় ও তাদের বংশধরদের সম্পর্কে কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, আধুনিক ভারতের বিতর্কিত শিকড় ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী নিয়ে চলমান (আর্য–অনার্য) রাজনৈতিক বিতর্কেরও অবসান ঘটাতে পারে এই লিপি। সেকারণেই এর অর্থ উদ্ধারে এত তৎপর ক্ষমতাসীনেরা।
অধ্যাপক রাও আরও বলেন, ‘এই লিপির অর্থ উদ্ধার হলে জানা যাবে এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা আসলে কারা। যারা এই সভ্যতার উত্তরাধিকার তারাই প্রথম উন্নত নগর-পরিকল্পনা, চমকপ্রদ বাণিজ্য ব্যবস্থা ও সমুদ্রপথে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। সুতরাং, ওই জনগোষ্ঠীর জন্য এটি নিঃসন্দেহে খুব গর্বের বিষয়। আর এ কারণেই এই লিপির অর্থ উদ্ধার নিয়ে এত তোড়জোড়।’
১৮৭৫ সাল প্রথম প্রকাশিত হয় এই লিপির নমুনা। এরপর থেকেই এই লিপির ব্যাখ্যা খুঁজছেন গবেষকেরা। কিন্তু এত বছরেও কেন সম্ভব হলো না সিন্ধু লিপির রহস্য উদ্ঘাটন? গবেষকেরা বলছেন, বিশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ হাজার শিলালিপি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া, যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে সেগুলোও আকারে খুব ছোট, মাত্র এক ইঞ্চি মাপের শিলার গায়ে চার থেকে পাঁচটি প্রতীক আঁকা।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখনো পর্যন্ত রোসেটা শিলার মতো কোনো দ্বিভাষিক নিদর্শন পাওয়া যায়নি, যেখানে সিন্ধু লিপির সঙ্গে অন্য কোনো পরিচিত ভাষার অনুবাদ থাকতে পারে। এ ছাড়া, সিন্ধু সভ্যতার শাসকদের কোনো নামও পাওয়া যায়নি, যেখানে মিসরীয় লিপিতে ক্লিওপেট্রা ও টলেমির মতো ব্যক্তিদের নাম পাওয়া গেছে।
তবে এত দীর্ঘদিনের গবেষণার পর কিছু বিষয়ে একমত হতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশির ভাগের ধারণা, লিপিটি ডান দিক থেকে বাঁ দিকে লেখা হতো এবং এই লিখন পদ্ধতি ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হতো—যেমন, বাণিজ্য পণ্যের চিহ্নিতকরণে। কিছু চিহ্নের অর্থ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন গবেষকেরা।
কিন্তু রোসেটা শিলার মতো কোনো নিশ্চিত প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাখ্যা অনুমানই থেকে যাবে।
যদিও সিন্ধু লিপির নিশ্চিত অর্থ আজও উদ্ধার সম্ভব হয়নি, তবে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মধ্য দিয়ে সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গেছে। মহেঞ্জোদারোর মতো নগরের নমুনা থেকে জানা যায়, সিন্ধু সভ্যতার ভবনগুলো আধুনিক ইউরোপ–আমেরিকার মতো গ্রিড নকশায় নির্মিত ছিল, ছিল উন্নত পয়োনিষ্কাশন ও পানি ব্যবস্থাপনা।
১৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতার পতন ঘটে। সিন্ধু সভ্যতার পতনের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেন অনেক গবেষক। ধারণা করা হয়, অনিয়মিত বৃষ্টি আর তীব্র খরার কারণে এই অঞ্চল ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট গ্রামে চলে যায় বাসিন্দারা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
কয়েক হাজার বছরের পুরোনো একটি উন্নত সভ্যতার রহস্য লুকিয়ে আছে এই লিপির মধ্যে। এই রহস্য নিয়ে যেমন আছে তীব্র বিতর্ক, সেই সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের স্বার্থও। এমনকি এই লিপির পাঠোদ্ধার করতে গিয়ে অনেক গবেষক প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন। বহু ক্ষমতাবান লিপির নিজের চাহিদা মতো অর্থ করার জন্য নগদ অর্থের পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি, সিন্ধু উপত্যকার এই লিপির অর্থ উদ্ধারে বিশাল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুর্বোধ্য এসব লিপির অর্থ বের করতে পারলেই দেওয়া হবে ১০ লাখ ডলার।
কিন্তু কী এমন আছে হাজার বছরের পুরোনো এই লিপিতে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাচীন এই লিপির অর্থ উদ্ধার করতে পারলে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই লিপি নিয়ে গবেষণা করছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক রাজেশ পি. এন. রাও। তিনি বলেন, ‘এই লিপি যদি পড়া সম্ভব হয়, তাহলে ব্রোঞ্জ যুগের একটি সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। মনে করা হয়, এই বিশাল সভ্যতায় লাখ লাখ মানুষ বসবাস করত, যেখানে ছিল উন্নত নগর-পরিকল্পনা, মানসম্মত ওজন ও পরিমাপ ব্যবস্থা এবং বিস্তৃত বাণিজ্যপথ।’
এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই লিপির ব্যাখ্যা সিন্ধু উপত্যকার মানুষের পরিচয় ও তাদের বংশধরদের সম্পর্কে কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, আধুনিক ভারতের বিতর্কিত শিকড় ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী নিয়ে চলমান (আর্য–অনার্য) রাজনৈতিক বিতর্কেরও অবসান ঘটাতে পারে এই লিপি। সেকারণেই এর অর্থ উদ্ধারে এত তৎপর ক্ষমতাসীনেরা।
অধ্যাপক রাও আরও বলেন, ‘এই লিপির অর্থ উদ্ধার হলে জানা যাবে এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা আসলে কারা। যারা এই সভ্যতার উত্তরাধিকার তারাই প্রথম উন্নত নগর-পরিকল্পনা, চমকপ্রদ বাণিজ্য ব্যবস্থা ও সমুদ্রপথে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। সুতরাং, ওই জনগোষ্ঠীর জন্য এটি নিঃসন্দেহে খুব গর্বের বিষয়। আর এ কারণেই এই লিপির অর্থ উদ্ধার নিয়ে এত তোড়জোড়।’
১৮৭৫ সাল প্রথম প্রকাশিত হয় এই লিপির নমুনা। এরপর থেকেই এই লিপির ব্যাখ্যা খুঁজছেন গবেষকেরা। কিন্তু এত বছরেও কেন সম্ভব হলো না সিন্ধু লিপির রহস্য উদ্ঘাটন? গবেষকেরা বলছেন, বিশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ হাজার শিলালিপি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া, যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে সেগুলোও আকারে খুব ছোট, মাত্র এক ইঞ্চি মাপের শিলার গায়ে চার থেকে পাঁচটি প্রতীক আঁকা।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখনো পর্যন্ত রোসেটা শিলার মতো কোনো দ্বিভাষিক নিদর্শন পাওয়া যায়নি, যেখানে সিন্ধু লিপির সঙ্গে অন্য কোনো পরিচিত ভাষার অনুবাদ থাকতে পারে। এ ছাড়া, সিন্ধু সভ্যতার শাসকদের কোনো নামও পাওয়া যায়নি, যেখানে মিসরীয় লিপিতে ক্লিওপেট্রা ও টলেমির মতো ব্যক্তিদের নাম পাওয়া গেছে।
তবে এত দীর্ঘদিনের গবেষণার পর কিছু বিষয়ে একমত হতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশির ভাগের ধারণা, লিপিটি ডান দিক থেকে বাঁ দিকে লেখা হতো এবং এই লিখন পদ্ধতি ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হতো—যেমন, বাণিজ্য পণ্যের চিহ্নিতকরণে। কিছু চিহ্নের অর্থ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন গবেষকেরা।
কিন্তু রোসেটা শিলার মতো কোনো নিশ্চিত প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাখ্যা অনুমানই থেকে যাবে।
যদিও সিন্ধু লিপির নিশ্চিত অর্থ আজও উদ্ধার সম্ভব হয়নি, তবে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মধ্য দিয়ে সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গেছে। মহেঞ্জোদারোর মতো নগরের নমুনা থেকে জানা যায়, সিন্ধু সভ্যতার ভবনগুলো আধুনিক ইউরোপ–আমেরিকার মতো গ্রিড নকশায় নির্মিত ছিল, ছিল উন্নত পয়োনিষ্কাশন ও পানি ব্যবস্থাপনা।
১৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতার পতন ঘটে। সিন্ধু সভ্যতার পতনের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেন অনেক গবেষক। ধারণা করা হয়, অনিয়মিত বৃষ্টি আর তীব্র খরার কারণে এই অঞ্চল ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট গ্রামে চলে যায় বাসিন্দারা।

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
কয়েক হাজার বছরের পুরোনো একটি উন্নত সভ্যতার রহস্য লুকিয়ে আছে এই লিপির মধ্যে। এই রহস্য নিয়ে যেমন আছে তীব্র বিতর্ক, সেই সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের স্বার্থও। এমনকি এই লিপির পাঠোদ্ধার করতে গিয়ে অনেক গবেষক প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন। বহু ক্ষমতাবান লিপির নিজের চাহিদা মতো অর্থ করার জন্য নগদ অর্থের পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি, সিন্ধু উপত্যকার এই লিপির অর্থ উদ্ধারে বিশাল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুর্বোধ্য এসব লিপির অর্থ বের করতে পারলেই দেওয়া হবে ১০ লাখ ডলার।
কিন্তু কী এমন আছে হাজার বছরের পুরোনো এই লিপিতে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাচীন এই লিপির অর্থ উদ্ধার করতে পারলে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই লিপি নিয়ে গবেষণা করছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক রাজেশ পি. এন. রাও। তিনি বলেন, ‘এই লিপি যদি পড়া সম্ভব হয়, তাহলে ব্রোঞ্জ যুগের একটি সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। মনে করা হয়, এই বিশাল সভ্যতায় লাখ লাখ মানুষ বসবাস করত, যেখানে ছিল উন্নত নগর-পরিকল্পনা, মানসম্মত ওজন ও পরিমাপ ব্যবস্থা এবং বিস্তৃত বাণিজ্যপথ।’
এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই লিপির ব্যাখ্যা সিন্ধু উপত্যকার মানুষের পরিচয় ও তাদের বংশধরদের সম্পর্কে কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, আধুনিক ভারতের বিতর্কিত শিকড় ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী নিয়ে চলমান (আর্য–অনার্য) রাজনৈতিক বিতর্কেরও অবসান ঘটাতে পারে এই লিপি। সেকারণেই এর অর্থ উদ্ধারে এত তৎপর ক্ষমতাসীনেরা।
অধ্যাপক রাও আরও বলেন, ‘এই লিপির অর্থ উদ্ধার হলে জানা যাবে এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা আসলে কারা। যারা এই সভ্যতার উত্তরাধিকার তারাই প্রথম উন্নত নগর-পরিকল্পনা, চমকপ্রদ বাণিজ্য ব্যবস্থা ও সমুদ্রপথে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। সুতরাং, ওই জনগোষ্ঠীর জন্য এটি নিঃসন্দেহে খুব গর্বের বিষয়। আর এ কারণেই এই লিপির অর্থ উদ্ধার নিয়ে এত তোড়জোড়।’
১৮৭৫ সাল প্রথম প্রকাশিত হয় এই লিপির নমুনা। এরপর থেকেই এই লিপির ব্যাখ্যা খুঁজছেন গবেষকেরা। কিন্তু এত বছরেও কেন সম্ভব হলো না সিন্ধু লিপির রহস্য উদ্ঘাটন? গবেষকেরা বলছেন, বিশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ হাজার শিলালিপি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া, যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে সেগুলোও আকারে খুব ছোট, মাত্র এক ইঞ্চি মাপের শিলার গায়ে চার থেকে পাঁচটি প্রতীক আঁকা।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখনো পর্যন্ত রোসেটা শিলার মতো কোনো দ্বিভাষিক নিদর্শন পাওয়া যায়নি, যেখানে সিন্ধু লিপির সঙ্গে অন্য কোনো পরিচিত ভাষার অনুবাদ থাকতে পারে। এ ছাড়া, সিন্ধু সভ্যতার শাসকদের কোনো নামও পাওয়া যায়নি, যেখানে মিসরীয় লিপিতে ক্লিওপেট্রা ও টলেমির মতো ব্যক্তিদের নাম পাওয়া গেছে।
তবে এত দীর্ঘদিনের গবেষণার পর কিছু বিষয়ে একমত হতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশির ভাগের ধারণা, লিপিটি ডান দিক থেকে বাঁ দিকে লেখা হতো এবং এই লিখন পদ্ধতি ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হতো—যেমন, বাণিজ্য পণ্যের চিহ্নিতকরণে। কিছু চিহ্নের অর্থ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন গবেষকেরা।
কিন্তু রোসেটা শিলার মতো কোনো নিশ্চিত প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাখ্যা অনুমানই থেকে যাবে।
যদিও সিন্ধু লিপির নিশ্চিত অর্থ আজও উদ্ধার সম্ভব হয়নি, তবে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মধ্য দিয়ে সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গেছে। মহেঞ্জোদারোর মতো নগরের নমুনা থেকে জানা যায়, সিন্ধু সভ্যতার ভবনগুলো আধুনিক ইউরোপ–আমেরিকার মতো গ্রিড নকশায় নির্মিত ছিল, ছিল উন্নত পয়োনিষ্কাশন ও পানি ব্যবস্থাপনা।
১৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতার পতন ঘটে। সিন্ধু সভ্যতার পতনের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেন অনেক গবেষক। ধারণা করা হয়, অনিয়মিত বৃষ্টি আর তীব্র খরার কারণে এই অঞ্চল ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট গ্রামে চলে যায় বাসিন্দারা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
১০ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মামলাটি শুরু হয়েছে ব্রিজিত মাখোঁর ২০২৪ সালে করা অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তাঁদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ব্রিজিত মাখোঁর লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে ঘৃণামূলক মন্তব্য করেছেন এবং স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধানকে নির্দেশ করে তাঁকে ‘শিশুকামী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
মামলাটিতে অন্যতম অভিযুক্ত দুই নারীর একজন হলেন অরেলিয়ান পুয়াসোঁ-আতলান। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ‘জোয়ে সাগাঁ’ নামে পরিচিত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আরেকজন হলেন দেলফিন জে। তিনি একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে ‘আমানদিন রোয়া’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি ইউটিউবে চার ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, ব্রিজিত মাখোঁ একসময় পুরুষ ছিলেন।
এই দুই নারীকে ২০২৪ সালে ব্রিজিত ও তাঁর ভাইয়ের মানহানি করার দায়ে জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য আপিলের মাধ্যমে তাঁদের সাজা বাতিল হয়। তবে ফরাসি সর্বোচ্চ আদালতে এখনো এই মামলার আপিল চলছে।
এদিকে এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে মাখোঁ দম্পতির করা আরেকটি মানহানির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গত জুলাইয়ে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থী পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়েন্স মিথ্যাভাবে প্রচার করেছেন যে, ব্রিজিত আসলে ‘জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু’ নামে জন্ম নেওয়া এক পুরুষ। এই দাবি ‘ভয়াবহভাবে মিথ্যা ও অপমানজনক’—এমনটাই দাবি করেছেন মাখোঁ দম্পতি।
আসলে জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু ব্রিজিত মাখোঁর বড় ভাই। তিনি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অ্যামিয়েঁতে বাস করেন। তিনি ব্রিজিতের সঙ্গে ২০১৭ ও ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিজিত মাখোঁ পুরুষ—এই মিথ্যা গুজব প্রথম ছড়ায় ২০১৭ সালে মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। পরবর্তীতে এটি ফরাসি ও মার্কিন ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদীদের হাতে আরও জোরালো হয়।
২০২২ সালে ব্রিজিত মাখোঁ ফরাসি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই অভিযোগ ‘অসম্ভব’ এবং তাঁর পরিবারের জন্য ‘অপমানজনক আঘাত’।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মামলাটি শুরু হয়েছে ব্রিজিত মাখোঁর ২০২৪ সালে করা অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তাঁদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ব্রিজিত মাখোঁর লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে ঘৃণামূলক মন্তব্য করেছেন এবং স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধানকে নির্দেশ করে তাঁকে ‘শিশুকামী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
মামলাটিতে অন্যতম অভিযুক্ত দুই নারীর একজন হলেন অরেলিয়ান পুয়াসোঁ-আতলান। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ‘জোয়ে সাগাঁ’ নামে পরিচিত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আরেকজন হলেন দেলফিন জে। তিনি একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে ‘আমানদিন রোয়া’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি ইউটিউবে চার ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, ব্রিজিত মাখোঁ একসময় পুরুষ ছিলেন।
এই দুই নারীকে ২০২৪ সালে ব্রিজিত ও তাঁর ভাইয়ের মানহানি করার দায়ে জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য আপিলের মাধ্যমে তাঁদের সাজা বাতিল হয়। তবে ফরাসি সর্বোচ্চ আদালতে এখনো এই মামলার আপিল চলছে।
এদিকে এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে মাখোঁ দম্পতির করা আরেকটি মানহানির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গত জুলাইয়ে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থী পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়েন্স মিথ্যাভাবে প্রচার করেছেন যে, ব্রিজিত আসলে ‘জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু’ নামে জন্ম নেওয়া এক পুরুষ। এই দাবি ‘ভয়াবহভাবে মিথ্যা ও অপমানজনক’—এমনটাই দাবি করেছেন মাখোঁ দম্পতি।
আসলে জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু ব্রিজিত মাখোঁর বড় ভাই। তিনি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অ্যামিয়েঁতে বাস করেন। তিনি ব্রিজিতের সঙ্গে ২০১৭ ও ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিজিত মাখোঁ পুরুষ—এই মিথ্যা গুজব প্রথম ছড়ায় ২০১৭ সালে মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। পরবর্তীতে এটি ফরাসি ও মার্কিন ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদীদের হাতে আরও জোরালো হয়।
২০২২ সালে ব্রিজিত মাখোঁ ফরাসি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই অভিযোগ ‘অসম্ভব’ এবং তাঁর পরিবারের জন্য ‘অপমানজনক আঘাত’।

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
০৫ মার্চ ২০২৫
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
১০ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
বিবৃতিতে ইউএনআইএফআইএল জানায়, ড্রোনটি শান্তিরক্ষী দলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ড্রোনটি ছিল তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ।
ইসরায়েলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইউএনআইএফআইএল ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটিতে গুলি চালায়, যদিও এটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’
শোশানি জানান, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যেখানে ড্রোনটি পড়ে ছিল। তবে এ সময় শান্তিরক্ষীদের দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি। ঘটনাটি সামরিক সমন্বয় চ্যানেলের মাধ্যমে তদন্তাধীন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, এরপর আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন কাছাকাছি এলাকায় একটি গ্রেনেড ফেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে এতে কেউ আহত হয়নি।
গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তাঁরা দাবি করে, এসব হামলার লক্ষ্য হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন রোধ করা। তবে জাতিসংঘ ও লেবানন সরকার বলছে, এসব অভিযান লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে।
১৯৭৮ সালে গঠিত ইউএনআইএফআইএলের হাতে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের অক্টোবরে—সে সময় ইউনিফিলের অংশ হিসেবে থাকা একটি জার্মান নৌযান লেবাননের উপকূলে একটি ড্রোন আটক করেছিল।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনা সীমান্তজুড়ে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন, ফরাসি ও আরব কূটনীতিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
বিবৃতিতে ইউএনআইএফআইএল জানায়, ড্রোনটি শান্তিরক্ষী দলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ড্রোনটি ছিল তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ।
ইসরায়েলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইউএনআইএফআইএল ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটিতে গুলি চালায়, যদিও এটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’
শোশানি জানান, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যেখানে ড্রোনটি পড়ে ছিল। তবে এ সময় শান্তিরক্ষীদের দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি। ঘটনাটি সামরিক সমন্বয় চ্যানেলের মাধ্যমে তদন্তাধীন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, এরপর আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন কাছাকাছি এলাকায় একটি গ্রেনেড ফেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে এতে কেউ আহত হয়নি।
গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তাঁরা দাবি করে, এসব হামলার লক্ষ্য হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন রোধ করা। তবে জাতিসংঘ ও লেবানন সরকার বলছে, এসব অভিযান লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে।
১৯৭৮ সালে গঠিত ইউএনআইএফআইএলের হাতে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের অক্টোবরে—সে সময় ইউনিফিলের অংশ হিসেবে থাকা একটি জার্মান নৌযান লেবাননের উপকূলে একটি ড্রোন আটক করেছিল।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনা সীমান্তজুড়ে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন, ফরাসি ও আরব কূটনীতিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
০৫ মার্চ ২০২৫
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
১০ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২০২২ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চাটাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এক চোখে অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর এক হাত আংশিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ঘটনার তিন বছর পর, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ওকে (আক্রমণকারী) আমি খুবই তুচ্ছ একজন মানুষ মনে করেছি—এই ছোট্ট বোকা লোকটা। এতে আমার মনে ঘৃণা জাগে। পরে ভাবলাম, এমন তুচ্ছ লোকও মানুষকে হত্যা করতে পারে—আমাকেও প্রায় মেরে ফেলেছিল। সে একবারও আমার চোখের দিকে তাকায়নি।’
রুশদি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন বিচার শুরু হয়, তখন আক্রমণের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এত দিনে বিষয়টা হজম করতে, ভাবতে ও কিছুটা সেরে উঠতে সময় লেগেছে। তাই আমি শুধু আমাকে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি এবং বাড়ি ফিরে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি চোখ হারানো আর একটি হাত সঠিকভাবে কাজ না করা—এই বিষয়গুলো প্রতিদিনই অনুভব করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, ধুর! আমি তো ডান চোখে কিছুই দেখতে পাই না। আমি কখনোই এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব না। এটা শুধু মেনে নিয়ে বাঁচতে হয়। কিন্তু আমি ভাবি না যে, ঠিক আছে, আরেকটা চোখ তো আছেই।’
তবে এসব সত্ত্বেও রুশদি জানালেন, তিনি লেখালেখি চালিয়ে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি এখনো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবি। তাই যত দিন বাঁচি, লিখে যেতে চাই।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইভনিং টাইমস জানিয়েছে, সালমান রুশদির এই পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হবে ট্যাটলার ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যায়। তবে ৩০ অক্টোবর থেকে এটি ম্যাগাজিনের ডিজিটাল সংস্করণেও পাওয়া যাবে।

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২০২২ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চাটাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এক চোখে অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর এক হাত আংশিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ঘটনার তিন বছর পর, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ওকে (আক্রমণকারী) আমি খুবই তুচ্ছ একজন মানুষ মনে করেছি—এই ছোট্ট বোকা লোকটা। এতে আমার মনে ঘৃণা জাগে। পরে ভাবলাম, এমন তুচ্ছ লোকও মানুষকে হত্যা করতে পারে—আমাকেও প্রায় মেরে ফেলেছিল। সে একবারও আমার চোখের দিকে তাকায়নি।’
রুশদি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন বিচার শুরু হয়, তখন আক্রমণের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এত দিনে বিষয়টা হজম করতে, ভাবতে ও কিছুটা সেরে উঠতে সময় লেগেছে। তাই আমি শুধু আমাকে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি এবং বাড়ি ফিরে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি চোখ হারানো আর একটি হাত সঠিকভাবে কাজ না করা—এই বিষয়গুলো প্রতিদিনই অনুভব করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, ধুর! আমি তো ডান চোখে কিছুই দেখতে পাই না। আমি কখনোই এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব না। এটা শুধু মেনে নিয়ে বাঁচতে হয়। কিন্তু আমি ভাবি না যে, ঠিক আছে, আরেকটা চোখ তো আছেই।’
তবে এসব সত্ত্বেও রুশদি জানালেন, তিনি লেখালেখি চালিয়ে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি এখনো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবি। তাই যত দিন বাঁচি, লিখে যেতে চাই।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইভনিং টাইমস জানিয়েছে, সালমান রুশদির এই পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হবে ট্যাটলার ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যায়। তবে ৩০ অক্টোবর থেকে এটি ম্যাগাজিনের ডিজিটাল সংস্করণেও পাওয়া যাবে।

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
০৫ মার্চ ২০২৫
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধ, অনাহার, তীব্র শীত ও টাইফাস মহামারির কারণে হাজার হাজার সৈন্য মারা যায়। অবশেষে মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য ফ্রান্সে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নেপোলিয়নের সৈন্যদের দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পেয়েছেন। ২০০১ সালে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে উদ্ধার হওয়া একটি গণকবর থেকে পাওয়া দাঁতের নমুনা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, সৈন্যদের মৃত্যু শুধু টাইফাস মহামারিতে হয়নি, বরং আরও অন্তত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া তখন মারাত্মক ভূমিকা রেখেছিল।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া দুটিকে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ ও ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ প্যারাটাইফয়েড জ্বর ঘটায় এবং ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ রিল্যাপসিং বা পুনরাবৃত্ত জ্বর ঘটায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ও বর্তমানে এস্তোনিয়ার টার্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রেমি বারবিয়েরি বলেন, আগে মনে করা হতো, টাইফাসই ছিল সৈন্যদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ। কিন্তু নতুন ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রমাণ করছে, সেখানে একাধিক সংক্রমণ একযোগে কাজ করেছিল।
২০০৬ সালে প্রথমবার টাইফাস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল নেপোলিয়নের সৈন্যদের দাঁতে। তবে তখনকার প্রযুক্তি সীমিত ছিল। এবার গবেষকেরা ব্যবহার করেছেন ‘হাই-থ্রুপুট সিকোয়েন্সিং’ পদ্ধতি, যা একসঙ্গে লাখ লাখ ডিএনএ খণ্ড বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ফলে দুই শতাব্দী পুরোনো জিনগত উপাদান থেকেও নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
গবেষণায় ১৩টি দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করা হলেও তাতে টাইফাসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গবেষক নিকোলাস রাসকোভান জানান, এটি আগের গবেষণাকে অস্বীকার করছে না, বরং নতুন প্রমাণ দিচ্ছে যে, নেপোলিয়নের সৈন্যদের মধ্যে একাধিক সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছিল। হয়তো আরও অনেক অজানা রোগ তখন ছিল, যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞ সিসিল লুইস বলেন, এই গবেষণা ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কারণ, প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন অতীতের রোগবালাই ও তার বিবর্তন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিচ্ছে।
প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং জ্বর পৃথিবীতে এখনো বিরাজমান। তবে এ জ্বরগুলো অতীতের মতো আর প্রাণঘাতী নয়। নেপোলিয়ন নিজে বেঁচে গেলেও তাঁর পরাজিত ও রুগ্ণ সেনাবাহিনীই শেষপর্যন্ত তাঁর পতনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
গবেষকদের মতে, মাত্র এক দশকের মধ্যেই ডিএনএ প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে ইতিহাস ও জীববিজ্ঞানের আরও বহু অজানা রহস্য উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধ, অনাহার, তীব্র শীত ও টাইফাস মহামারির কারণে হাজার হাজার সৈন্য মারা যায়। অবশেষে মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য ফ্রান্সে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নেপোলিয়নের সৈন্যদের দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পেয়েছেন। ২০০১ সালে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে উদ্ধার হওয়া একটি গণকবর থেকে পাওয়া দাঁতের নমুনা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, সৈন্যদের মৃত্যু শুধু টাইফাস মহামারিতে হয়নি, বরং আরও অন্তত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া তখন মারাত্মক ভূমিকা রেখেছিল।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া দুটিকে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ ও ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ প্যারাটাইফয়েড জ্বর ঘটায় এবং ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ রিল্যাপসিং বা পুনরাবৃত্ত জ্বর ঘটায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ও বর্তমানে এস্তোনিয়ার টার্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রেমি বারবিয়েরি বলেন, আগে মনে করা হতো, টাইফাসই ছিল সৈন্যদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ। কিন্তু নতুন ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রমাণ করছে, সেখানে একাধিক সংক্রমণ একযোগে কাজ করেছিল।
২০০৬ সালে প্রথমবার টাইফাস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল নেপোলিয়নের সৈন্যদের দাঁতে। তবে তখনকার প্রযুক্তি সীমিত ছিল। এবার গবেষকেরা ব্যবহার করেছেন ‘হাই-থ্রুপুট সিকোয়েন্সিং’ পদ্ধতি, যা একসঙ্গে লাখ লাখ ডিএনএ খণ্ড বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ফলে দুই শতাব্দী পুরোনো জিনগত উপাদান থেকেও নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
গবেষণায় ১৩টি দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করা হলেও তাতে টাইফাসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গবেষক নিকোলাস রাসকোভান জানান, এটি আগের গবেষণাকে অস্বীকার করছে না, বরং নতুন প্রমাণ দিচ্ছে যে, নেপোলিয়নের সৈন্যদের মধ্যে একাধিক সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছিল। হয়তো আরও অনেক অজানা রোগ তখন ছিল, যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞ সিসিল লুইস বলেন, এই গবেষণা ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কারণ, প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন অতীতের রোগবালাই ও তার বিবর্তন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিচ্ছে।
প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং জ্বর পৃথিবীতে এখনো বিরাজমান। তবে এ জ্বরগুলো অতীতের মতো আর প্রাণঘাতী নয়। নেপোলিয়ন নিজে বেঁচে গেলেও তাঁর পরাজিত ও রুগ্ণ সেনাবাহিনীই শেষপর্যন্ত তাঁর পতনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
গবেষকদের মতে, মাত্র এক দশকের মধ্যেই ডিএনএ প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে ইতিহাস ও জীববিজ্ঞানের আরও বহু অজানা রহস্য উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

মাছ, মাথাহীন মানবাকৃতি, বাগানের নিড়ানির মতো সারিবদ্ধ রেখা—পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোর হাজার বছরের পুরোনো বাড়িগুলোর দেয়ালে আঁকা এসব চিত্র। দেখে কাঁচা হাতে আঁকা অর্থহীন কিছু ছবি মনে হলেও এগুলো মূলত প্রাচীন লিপি। এত বছর পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এগুলোর অর্থ।
০৫ মার্চ ২০২৫
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
১০ ঘণ্টা আগে