
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা অনুমান করছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুদ্ধ পরিচালনার কৌশলের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনে অনেক দিন ধরে নির্বাচন হয়নি। এটি রাশিয়ার বিষয় নয়। এটি আমার পক্ষ থেকে এবং আরও অনেক দেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।’
ফ্লোরিডার পাম বিচে অবস্থিত নিজ বাসভবন মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা এখন এমন এক নেতৃত্ব পেয়েছেন (ইউক্রেনে) যারা এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিয়েছে, যা আসলে কখনই হওয়া উচিত ছিল না।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের শহরগুলোর অবস্থা তুলনা করে বলেন, ‘এই শহরগুলো এখন গাজার মতো দেখাচ্ছে। বেশির ভাগ শহর যেন একপাশে পড়ে আছে। ভবনগুলো ধসে পড়েছে।’ তবে ট্রাম্প ইউক্রেনের শহর ও নগর ধ্বংসে রাশিয়ার ভূমিকার কথা একবারও উল্লেখ করেননি, যদিও এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম সশস্ত্র সংঘাত।
জেলেনস্কির মেয়াদ গত বছর শেষ হয়েছে, তবে কিয়েভ বলছে, নির্বাচন কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন যুদ্ধ শেষ হবে এবং সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হবে। জেলেনস্কির দলের পার্লামেন্টারি নেতা দাভিদ আরাখামিয়া এ মাসের শুরুর দিকে বলেন, সামরিক আইন প্রত্যাহারের অন্তত ছয় মাস পরের আগে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।
ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজন করা হবে অত্যন্ত কঠিন। কারণ, লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অনেকেই বিদেশে আছেন অথবা রুশ দখলকৃত অঞ্চলে বসবাস করছেন। কিয়েভ নিরাপত্তা উদ্বেগও প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে যে, যেকোনো নির্বাচন পরিচালনার জন্য পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনী বা একটি নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন হবে যাতে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ ইউক্রেনীয় যুদ্ধকালীন সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিরুদ্ধে। একইভাবে, ৫২ শতাংশ পার্লামেন্ট নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলছে।
কিয়েভ ও ইউরোপজুড়ে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে, ট্রাম্প এমন একটি শান্তিচুক্তি চাইছেন যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্তে নির্ধারিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ও রুশ দখল থেকে ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের চাওয়াকে উপেক্ষা করে পুতিনের প্রতি উল্লেখযোগ্য ছাড় দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, মঙ্গলবার রিয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকের পর তিনি ইউক্রেনে একটি শান্তিচুক্তি অর্জন করার বিষয়ে ‘আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ তিনি ওই বৈঠককে ‘খুবই চমৎকার’ বলে অভিহিত করেন। সৌদি আরবের রাজধানীতে হওয়া সাড়ে চার ঘণ্টার ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর তাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য সম্মত হন এবং দ্রুত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা নেন। এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের আগ্রাসনের পর সংঘাত নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা।
জেলেনস্কি জানান, এই বৈঠকের বিষয়ে তাঁকে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি এবং তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো চুক্তি করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করবে কিয়েভ। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এমন কোনো শান্তি চাই না যা গোপনে কারও মধ্যস্থতায় নির্ধারিত হবে এবং যেখানে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে না। ইউক্রেন ছাড়া শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ‘খুবই হতাশ’ যে ইউক্রেন রিয়াদ বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি কিয়েভকে তিরস্কার করে বলেন, ‘ওরা তিন বছর ধরে আলোচনার টেবিলে ছিল, তারও অনেক আগে থেকে ছিল। এটি খুব সহজেই মীমাংসা করা যেত।’
ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পক্ষে মত দেন। যদিও লাভরভ মঙ্গলবার বলেন, ইউক্রেনে কোনো ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েন ‘অগ্রহণযোগ্য’। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা তা করতে চায়, তাহলে দারুণ। আমি এতে কোনো আপত্তি করব না।’
তিনি আরও বলেন, কোনো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তিনি ইউরোপ থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান না। ‘কেউ এটা চাইছে না, তাই আমার মনে হয় না আমাদের তা করতে হবে। আমি তা করতে চাই না। তবে এই প্রশ্নটি কখনোই প্রকৃতভাবে ওঠেনি।’
জেলেনস্কির নেতৃত্বের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তা মাত্র ৪ শতাংশ। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজি এক জরিপে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ ইউক্রেনীয় এখনো জেলেনস্কির ওপর আস্থা রাখেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁকে পছন্দ করি। তিনি ঠিকই আছেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়ে চিন্তা করি না, আমি কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে চিন্তা করি।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা অনুমান করছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুদ্ধ পরিচালনার কৌশলের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনে অনেক দিন ধরে নির্বাচন হয়নি। এটি রাশিয়ার বিষয় নয়। এটি আমার পক্ষ থেকে এবং আরও অনেক দেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।’
ফ্লোরিডার পাম বিচে অবস্থিত নিজ বাসভবন মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা এখন এমন এক নেতৃত্ব পেয়েছেন (ইউক্রেনে) যারা এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিয়েছে, যা আসলে কখনই হওয়া উচিত ছিল না।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের শহরগুলোর অবস্থা তুলনা করে বলেন, ‘এই শহরগুলো এখন গাজার মতো দেখাচ্ছে। বেশির ভাগ শহর যেন একপাশে পড়ে আছে। ভবনগুলো ধসে পড়েছে।’ তবে ট্রাম্প ইউক্রেনের শহর ও নগর ধ্বংসে রাশিয়ার ভূমিকার কথা একবারও উল্লেখ করেননি, যদিও এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম সশস্ত্র সংঘাত।
জেলেনস্কির মেয়াদ গত বছর শেষ হয়েছে, তবে কিয়েভ বলছে, নির্বাচন কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন যুদ্ধ শেষ হবে এবং সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হবে। জেলেনস্কির দলের পার্লামেন্টারি নেতা দাভিদ আরাখামিয়া এ মাসের শুরুর দিকে বলেন, সামরিক আইন প্রত্যাহারের অন্তত ছয় মাস পরের আগে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।
ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজন করা হবে অত্যন্ত কঠিন। কারণ, লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অনেকেই বিদেশে আছেন অথবা রুশ দখলকৃত অঞ্চলে বসবাস করছেন। কিয়েভ নিরাপত্তা উদ্বেগও প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে যে, যেকোনো নির্বাচন পরিচালনার জন্য পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনী বা একটি নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন হবে যাতে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ ইউক্রেনীয় যুদ্ধকালীন সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিরুদ্ধে। একইভাবে, ৫২ শতাংশ পার্লামেন্ট নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলছে।
কিয়েভ ও ইউরোপজুড়ে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে, ট্রাম্প এমন একটি শান্তিচুক্তি চাইছেন যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্তে নির্ধারিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ও রুশ দখল থেকে ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের চাওয়াকে উপেক্ষা করে পুতিনের প্রতি উল্লেখযোগ্য ছাড় দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, মঙ্গলবার রিয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকের পর তিনি ইউক্রেনে একটি শান্তিচুক্তি অর্জন করার বিষয়ে ‘আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ তিনি ওই বৈঠককে ‘খুবই চমৎকার’ বলে অভিহিত করেন। সৌদি আরবের রাজধানীতে হওয়া সাড়ে চার ঘণ্টার ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর তাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য সম্মত হন এবং দ্রুত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা নেন। এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের আগ্রাসনের পর সংঘাত নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা।
জেলেনস্কি জানান, এই বৈঠকের বিষয়ে তাঁকে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি এবং তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো চুক্তি করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করবে কিয়েভ। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এমন কোনো শান্তি চাই না যা গোপনে কারও মধ্যস্থতায় নির্ধারিত হবে এবং যেখানে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে না। ইউক্রেন ছাড়া শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ‘খুবই হতাশ’ যে ইউক্রেন রিয়াদ বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি কিয়েভকে তিরস্কার করে বলেন, ‘ওরা তিন বছর ধরে আলোচনার টেবিলে ছিল, তারও অনেক আগে থেকে ছিল। এটি খুব সহজেই মীমাংসা করা যেত।’
ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পক্ষে মত দেন। যদিও লাভরভ মঙ্গলবার বলেন, ইউক্রেনে কোনো ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েন ‘অগ্রহণযোগ্য’। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা তা করতে চায়, তাহলে দারুণ। আমি এতে কোনো আপত্তি করব না।’
তিনি আরও বলেন, কোনো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তিনি ইউরোপ থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান না। ‘কেউ এটা চাইছে না, তাই আমার মনে হয় না আমাদের তা করতে হবে। আমি তা করতে চাই না। তবে এই প্রশ্নটি কখনোই প্রকৃতভাবে ওঠেনি।’
জেলেনস্কির নেতৃত্বের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তা মাত্র ৪ শতাংশ। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজি এক জরিপে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ ইউক্রেনীয় এখনো জেলেনস্কির ওপর আস্থা রাখেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁকে পছন্দ করি। তিনি ঠিকই আছেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়ে চিন্তা করি না, আমি কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে চিন্তা করি।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা অনুমান করছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুদ্ধ পরিচালনার কৌশলের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনে অনেক দিন ধরে নির্বাচন হয়নি। এটি রাশিয়ার বিষয় নয়। এটি আমার পক্ষ থেকে এবং আরও অনেক দেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।’
ফ্লোরিডার পাম বিচে অবস্থিত নিজ বাসভবন মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা এখন এমন এক নেতৃত্ব পেয়েছেন (ইউক্রেনে) যারা এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিয়েছে, যা আসলে কখনই হওয়া উচিত ছিল না।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের শহরগুলোর অবস্থা তুলনা করে বলেন, ‘এই শহরগুলো এখন গাজার মতো দেখাচ্ছে। বেশির ভাগ শহর যেন একপাশে পড়ে আছে। ভবনগুলো ধসে পড়েছে।’ তবে ট্রাম্প ইউক্রেনের শহর ও নগর ধ্বংসে রাশিয়ার ভূমিকার কথা একবারও উল্লেখ করেননি, যদিও এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম সশস্ত্র সংঘাত।
জেলেনস্কির মেয়াদ গত বছর শেষ হয়েছে, তবে কিয়েভ বলছে, নির্বাচন কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন যুদ্ধ শেষ হবে এবং সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হবে। জেলেনস্কির দলের পার্লামেন্টারি নেতা দাভিদ আরাখামিয়া এ মাসের শুরুর দিকে বলেন, সামরিক আইন প্রত্যাহারের অন্তত ছয় মাস পরের আগে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।
ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজন করা হবে অত্যন্ত কঠিন। কারণ, লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অনেকেই বিদেশে আছেন অথবা রুশ দখলকৃত অঞ্চলে বসবাস করছেন। কিয়েভ নিরাপত্তা উদ্বেগও প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে যে, যেকোনো নির্বাচন পরিচালনার জন্য পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনী বা একটি নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন হবে যাতে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ ইউক্রেনীয় যুদ্ধকালীন সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিরুদ্ধে। একইভাবে, ৫২ শতাংশ পার্লামেন্ট নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলছে।
কিয়েভ ও ইউরোপজুড়ে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে, ট্রাম্প এমন একটি শান্তিচুক্তি চাইছেন যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্তে নির্ধারিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ও রুশ দখল থেকে ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের চাওয়াকে উপেক্ষা করে পুতিনের প্রতি উল্লেখযোগ্য ছাড় দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, মঙ্গলবার রিয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকের পর তিনি ইউক্রেনে একটি শান্তিচুক্তি অর্জন করার বিষয়ে ‘আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ তিনি ওই বৈঠককে ‘খুবই চমৎকার’ বলে অভিহিত করেন। সৌদি আরবের রাজধানীতে হওয়া সাড়ে চার ঘণ্টার ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর তাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য সম্মত হন এবং দ্রুত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা নেন। এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের আগ্রাসনের পর সংঘাত নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা।
জেলেনস্কি জানান, এই বৈঠকের বিষয়ে তাঁকে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি এবং তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো চুক্তি করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করবে কিয়েভ। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এমন কোনো শান্তি চাই না যা গোপনে কারও মধ্যস্থতায় নির্ধারিত হবে এবং যেখানে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে না। ইউক্রেন ছাড়া শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ‘খুবই হতাশ’ যে ইউক্রেন রিয়াদ বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি কিয়েভকে তিরস্কার করে বলেন, ‘ওরা তিন বছর ধরে আলোচনার টেবিলে ছিল, তারও অনেক আগে থেকে ছিল। এটি খুব সহজেই মীমাংসা করা যেত।’
ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পক্ষে মত দেন। যদিও লাভরভ মঙ্গলবার বলেন, ইউক্রেনে কোনো ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েন ‘অগ্রহণযোগ্য’। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা তা করতে চায়, তাহলে দারুণ। আমি এতে কোনো আপত্তি করব না।’
তিনি আরও বলেন, কোনো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তিনি ইউরোপ থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান না। ‘কেউ এটা চাইছে না, তাই আমার মনে হয় না আমাদের তা করতে হবে। আমি তা করতে চাই না। তবে এই প্রশ্নটি কখনোই প্রকৃতভাবে ওঠেনি।’
জেলেনস্কির নেতৃত্বের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তা মাত্র ৪ শতাংশ। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজি এক জরিপে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ ইউক্রেনীয় এখনো জেলেনস্কির ওপর আস্থা রাখেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁকে পছন্দ করি। তিনি ঠিকই আছেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়ে চিন্তা করি না, আমি কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে চিন্তা করি।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা অনুমান করছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুদ্ধ পরিচালনার কৌশলের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনে অনেক দিন ধরে নির্বাচন হয়নি। এটি রাশিয়ার বিষয় নয়। এটি আমার পক্ষ থেকে এবং আরও অনেক দেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।’
ফ্লোরিডার পাম বিচে অবস্থিত নিজ বাসভবন মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা এখন এমন এক নেতৃত্ব পেয়েছেন (ইউক্রেনে) যারা এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিয়েছে, যা আসলে কখনই হওয়া উচিত ছিল না।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের শহরগুলোর অবস্থা তুলনা করে বলেন, ‘এই শহরগুলো এখন গাজার মতো দেখাচ্ছে। বেশির ভাগ শহর যেন একপাশে পড়ে আছে। ভবনগুলো ধসে পড়েছে।’ তবে ট্রাম্প ইউক্রেনের শহর ও নগর ধ্বংসে রাশিয়ার ভূমিকার কথা একবারও উল্লেখ করেননি, যদিও এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম সশস্ত্র সংঘাত।
জেলেনস্কির মেয়াদ গত বছর শেষ হয়েছে, তবে কিয়েভ বলছে, নির্বাচন কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন যুদ্ধ শেষ হবে এবং সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হবে। জেলেনস্কির দলের পার্লামেন্টারি নেতা দাভিদ আরাখামিয়া এ মাসের শুরুর দিকে বলেন, সামরিক আইন প্রত্যাহারের অন্তত ছয় মাস পরের আগে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।
ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজন করা হবে অত্যন্ত কঠিন। কারণ, লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অনেকেই বিদেশে আছেন অথবা রুশ দখলকৃত অঞ্চলে বসবাস করছেন। কিয়েভ নিরাপত্তা উদ্বেগও প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে যে, যেকোনো নির্বাচন পরিচালনার জন্য পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনী বা একটি নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন হবে যাতে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ ইউক্রেনীয় যুদ্ধকালীন সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিরুদ্ধে। একইভাবে, ৫২ শতাংশ পার্লামেন্ট নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলছে।
কিয়েভ ও ইউরোপজুড়ে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে, ট্রাম্প এমন একটি শান্তিচুক্তি চাইছেন যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্তে নির্ধারিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ও রুশ দখল থেকে ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের চাওয়াকে উপেক্ষা করে পুতিনের প্রতি উল্লেখযোগ্য ছাড় দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, মঙ্গলবার রিয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকের পর তিনি ইউক্রেনে একটি শান্তিচুক্তি অর্জন করার বিষয়ে ‘আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ তিনি ওই বৈঠককে ‘খুবই চমৎকার’ বলে অভিহিত করেন। সৌদি আরবের রাজধানীতে হওয়া সাড়ে চার ঘণ্টার ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর তাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য সম্মত হন এবং দ্রুত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা নেন। এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের আগ্রাসনের পর সংঘাত নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা।
জেলেনস্কি জানান, এই বৈঠকের বিষয়ে তাঁকে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি এবং তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো চুক্তি করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করবে কিয়েভ। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এমন কোনো শান্তি চাই না যা গোপনে কারও মধ্যস্থতায় নির্ধারিত হবে এবং যেখানে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে না। ইউক্রেন ছাড়া শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ‘খুবই হতাশ’ যে ইউক্রেন রিয়াদ বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি কিয়েভকে তিরস্কার করে বলেন, ‘ওরা তিন বছর ধরে আলোচনার টেবিলে ছিল, তারও অনেক আগে থেকে ছিল। এটি খুব সহজেই মীমাংসা করা যেত।’
ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পক্ষে মত দেন। যদিও লাভরভ মঙ্গলবার বলেন, ইউক্রেনে কোনো ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েন ‘অগ্রহণযোগ্য’। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা তা করতে চায়, তাহলে দারুণ। আমি এতে কোনো আপত্তি করব না।’
তিনি আরও বলেন, কোনো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তিনি ইউরোপ থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান না। ‘কেউ এটা চাইছে না, তাই আমার মনে হয় না আমাদের তা করতে হবে। আমি তা করতে চাই না। তবে এই প্রশ্নটি কখনোই প্রকৃতভাবে ওঠেনি।’
জেলেনস্কির নেতৃত্বের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তা মাত্র ৪ শতাংশ। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজি এক জরিপে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ ইউক্রেনীয় এখনো জেলেনস্কির ওপর আস্থা রাখেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁকে পছন্দ করি। তিনি ঠিকই আছেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়ে চিন্তা করি না, আমি কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে চিন্তা করি।’

আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।
৮ মিনিট আগে
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।
১৬ মিনিট আগে
রোহিত আর্য নামের ওই যুবক একটি ‘অডিশনের’ কথা বলে ১৭ শিশুকে সেখানে নিয়ে আসেন। মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী এই শিশুদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করা রুশ সেনাদের নিজ কমান্ডাররা নির্যাতন ও হত্যা করছেন—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম ভার্স্তকা-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরে এখন এমন এক সহিংস সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অবাধ্যতা মানে মৃত্যুদণ্ড বা আত্মঘাতী যুদ্ধ
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘মানবিক উদ্বেগ ও জাতীয় স্বার্থে’ শরণার্থী প্রবেশের নতুন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশির ভাগই হবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ কর্মসূচি (ইউএসআরএপি) স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপ ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে’ সহায়ক হবে।
গত মে মাসে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশটিতে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
বৈঠকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখানে আফ্রিকায় ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের কবরস্থান’ দেখানো হয়েছিল। তবে ট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি জানেন না ভিডিওটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোন স্থানে ধারণ করা হয়েছে।
এ বৈঠকের কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ জন শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান নাগরিককে আশ্রয় দেয়।

আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘মানবিক উদ্বেগ ও জাতীয় স্বার্থে’ শরণার্থী প্রবেশের নতুন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশির ভাগই হবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ কর্মসূচি (ইউএসআরএপি) স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপ ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে’ সহায়ক হবে।
গত মে মাসে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশটিতে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
বৈঠকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখানে আফ্রিকায় ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের কবরস্থান’ দেখানো হয়েছিল। তবে ট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি জানেন না ভিডিওটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোন স্থানে ধারণ করা হয়েছে।
এ বৈঠকের কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ জন শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান নাগরিককে আশ্রয় দেয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায়
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।
১৬ মিনিট আগে
রোহিত আর্য নামের ওই যুবক একটি ‘অডিশনের’ কথা বলে ১৭ শিশুকে সেখানে নিয়ে আসেন। মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী এই শিশুদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করা রুশ সেনাদের নিজ কমান্ডাররা নির্যাতন ও হত্যা করছেন—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম ভার্স্তকা-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরে এখন এমন এক সহিংস সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অবাধ্যতা মানে মৃত্যুদণ্ড বা আত্মঘাতী যুদ্ধ
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।
গতকাল বুধবার ওই চিঠি প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অংশু গর্গ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন এক নির্দেশনায় আগের চিঠি ‘বাতিল’ ঘোষণা করেন।
ডিইও অংশু গর্গ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে বলেন, নাগরিকদের উদ্বেগ প্রকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ পোর্টালে (সিএম উইন্ডো) একটি অভিযোগ পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়, ফরিদাবাদের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যই ওই চিঠি জারি করা হয়েছিল।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি সব বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো ঠেকাতে কঠোর তদারকি করতে হবে।
চিঠির মূল শিরোনামে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা ‘বিভিন্ন পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদে জড়িয়ে সমাজের বন্ধন নষ্ট করছে ও পরিবেশ দূষিত করছে’।
চিঠিতে সতর্ক করা হয়—যেকোনো বিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা বা জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। তবে এক দিন পর আজ নতুন চিঠিতে ডিইও স্পষ্টভাবে জানান, শিক্ষা বিভাগে এমন কোনো অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যায়নি। তাই আগের চিঠিটি বাতিল করা হলো।
কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহাবীর জাগলান এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে একজন শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য অত্যন্ত ‘অশোভন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলায় রাখা এক বিষয়, কিন্তু এতে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি আনার মানে কী? এ ধরনের ভাষা কোনো সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তার মুখে শোভা পায় না।
জাগলান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, এখন কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাও তা অনুসরণ করছেন রাজনৈতিক কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ভারতের উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রচলিত একটি শব্দ। তারা ভিন্ন ধর্মের তরুণ-তরুণীর প্রেম বা বিবাহকে ধর্মান্তরের কৌশল হিসেবে উপস্থাপন করে। তবে এর কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই এবং বহু বিশ্লেষক একে রাজনৈতিক প্রচারণা ও বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।
গতকাল বুধবার ওই চিঠি প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অংশু গর্গ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন এক নির্দেশনায় আগের চিঠি ‘বাতিল’ ঘোষণা করেন।
ডিইও অংশু গর্গ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে বলেন, নাগরিকদের উদ্বেগ প্রকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ পোর্টালে (সিএম উইন্ডো) একটি অভিযোগ পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়, ফরিদাবাদের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যই ওই চিঠি জারি করা হয়েছিল।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি সব বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো ঠেকাতে কঠোর তদারকি করতে হবে।
চিঠির মূল শিরোনামে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা ‘বিভিন্ন পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদে জড়িয়ে সমাজের বন্ধন নষ্ট করছে ও পরিবেশ দূষিত করছে’।
চিঠিতে সতর্ক করা হয়—যেকোনো বিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা বা জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। তবে এক দিন পর আজ নতুন চিঠিতে ডিইও স্পষ্টভাবে জানান, শিক্ষা বিভাগে এমন কোনো অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যায়নি। তাই আগের চিঠিটি বাতিল করা হলো।
কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহাবীর জাগলান এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে একজন শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য অত্যন্ত ‘অশোভন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলায় রাখা এক বিষয়, কিন্তু এতে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি আনার মানে কী? এ ধরনের ভাষা কোনো সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তার মুখে শোভা পায় না।
জাগলান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, এখন কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাও তা অনুসরণ করছেন রাজনৈতিক কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ভারতের উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রচলিত একটি শব্দ। তারা ভিন্ন ধর্মের তরুণ-তরুণীর প্রেম বা বিবাহকে ধর্মান্তরের কৌশল হিসেবে উপস্থাপন করে। তবে এর কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই এবং বহু বিশ্লেষক একে রাজনৈতিক প্রচারণা ও বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায়
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।
৮ মিনিট আগে
রোহিত আর্য নামের ওই যুবক একটি ‘অডিশনের’ কথা বলে ১৭ শিশুকে সেখানে নিয়ে আসেন। মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী এই শিশুদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করা রুশ সেনাদের নিজ কমান্ডাররা নির্যাতন ও হত্যা করছেন—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম ভার্স্তকা-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরে এখন এমন এক সহিংস সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অবাধ্যতা মানে মৃত্যুদণ্ড বা আত্মঘাতী যুদ্ধ
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মুম্বাইয়ে ১৭ শিশুকে জিম্মি করে রাখা এক যুবক পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের পাওয়াই এলাকার একটি আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিত আর্য নামের ওই যুবক একটি ‘অডিশনের’ কথা বলে ১৭ শিশুকে সেখানে নিয়ে আসেন। মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী এই শিশুদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, একটি সরকারি প্রকল্পের বকেয়া দুই কোটি টাকা না পেয়ে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটিয়েছেন রোহিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, জিম্মি শিশুদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুদের উদ্ধার অভিযানের সময় রোহিত এয়ারগান ব্যবহার করে পুলিশের দিকে গুলি চালান। এর প্রতিক্রিয়ায় পুলিশও একটি গুলি চালায়। গুলির আঘাতে আহত অবস্থায় রোহিতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, পাওয়াই থানা বেলা ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ একটি জরুরি ফোন কল পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর রোহিতের সঙ্গে জিম্মি উদ্ধারে আলোচনা শুরু হলে তিনি শিশুদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করতে থাকেন। একসময় রোহিত শিশুদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়, তখন পুলিশ ওই স্টুডিওর বাথরুম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং নিরাপদে ১৭ শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এদিকে, এ ঘটনার আগে রোহিত একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, তিনি ‘আত্মহত্যা করার বদলে’ এই পথ বেছে নিয়েছেন। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি রোহিত আর্য। আত্মহত্যা না করে আমি একটি পরিকল্পনা করেছি এবং এখানে কিছু শিশুকে জিম্মি করে রেখেছি।’ এরপর তিনি তাঁর দাবিগুলোকে ‘সাধারণ দাবি, নৈতিক দাবি, নীতিগত দাবি এবং কয়েকটি প্রশ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সামান্যতম ভুল পদক্ষেপ আমাকে ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে।’ এ সময় তিনি ওই স্টুডিওতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি আরও বলেন, তিনি টাকাপয়সা চান না এবং তিনি ‘সন্ত্রাসী নন’।
ভিডিওতে রোহিত বলেন, ‘আমি কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আর সেই কারণেই আমি এই শিশুদের জিম্মি করেছি। যদি আমি বেঁচে থাকি, আমি এটা করব; যদি মারা যাই, অন্য কেউ এটা করবে, কিন্তু এটা অবশ্যই ঘটবে।’
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এয়ারগান এবং কিছু রাসায়নিকের পাত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ ধারণা, রোহিত এসব দেখিয়েই প্রথমে তাদের ভয় দেখান। জানা গেছে, জিম্মি শিশুরা একটি ওয়েব সিরিজের অডিশনের জন্য পাওয়াইয়ের ওই আবাসিক ভবনের নিচতলায় অবস্থিত আরএ স্টুডিওতে এসেছিল।
এর আগে রোহিত অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ‘মাই স্কুল, বিউটিফুল স্কুল’ কর্মসূচির অধীনে ‘পিএলসি স্যানিটেশন মনিটর প্রজেক্ট’ নামে একটি পরিচ্ছন্নতা প্রচারণার জন্য শিক্ষা বিভাগ তাঁর বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেনি। রোহিত দাবি করেন, তাঁর ‘লেটস চেঞ্জ’ (Lets Change) প্রচারণার অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল স্কুলছাত্রদের ‘পরিচ্ছন্নতার দূত’ হিসেবে তৈরি করা।
তাঁর এই কাজের জন্য স্থানীয় শিক্ষা বিভাগ দুই কোটি রুপি অনুমোদন করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তাঁকে কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি। ওই বছর রোহিত দুবার অনশনও করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকারের ব্যক্তিগত আশ্বাস সত্ত্বেও কর্মকর্তারা তাঁকে কর্মসূচি থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়, রোহিত আর্য ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, সরকারি প্রকল্পের বকেয়া দুই কোটি টাকা না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে রোহিত এমন পদক্ষেপ নেন। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

ভারতের মুম্বাইয়ে ১৭ শিশুকে জিম্মি করে রাখা এক যুবক পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের পাওয়াই এলাকার একটি আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিত আর্য নামের ওই যুবক একটি ‘অডিশনের’ কথা বলে ১৭ শিশুকে সেখানে নিয়ে আসেন। মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী এই শিশুদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, একটি সরকারি প্রকল্পের বকেয়া দুই কোটি টাকা না পেয়ে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটিয়েছেন রোহিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, জিম্মি শিশুদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুদের উদ্ধার অভিযানের সময় রোহিত এয়ারগান ব্যবহার করে পুলিশের দিকে গুলি চালান। এর প্রতিক্রিয়ায় পুলিশও একটি গুলি চালায়। গুলির আঘাতে আহত অবস্থায় রোহিতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, পাওয়াই থানা বেলা ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ একটি জরুরি ফোন কল পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর রোহিতের সঙ্গে জিম্মি উদ্ধারে আলোচনা শুরু হলে তিনি শিশুদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করতে থাকেন। একসময় রোহিত শিশুদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়, তখন পুলিশ ওই স্টুডিওর বাথরুম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং নিরাপদে ১৭ শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এদিকে, এ ঘটনার আগে রোহিত একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, তিনি ‘আত্মহত্যা করার বদলে’ এই পথ বেছে নিয়েছেন। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি রোহিত আর্য। আত্মহত্যা না করে আমি একটি পরিকল্পনা করেছি এবং এখানে কিছু শিশুকে জিম্মি করে রেখেছি।’ এরপর তিনি তাঁর দাবিগুলোকে ‘সাধারণ দাবি, নৈতিক দাবি, নীতিগত দাবি এবং কয়েকটি প্রশ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সামান্যতম ভুল পদক্ষেপ আমাকে ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে।’ এ সময় তিনি ওই স্টুডিওতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি আরও বলেন, তিনি টাকাপয়সা চান না এবং তিনি ‘সন্ত্রাসী নন’।
ভিডিওতে রোহিত বলেন, ‘আমি কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আর সেই কারণেই আমি এই শিশুদের জিম্মি করেছি। যদি আমি বেঁচে থাকি, আমি এটা করব; যদি মারা যাই, অন্য কেউ এটা করবে, কিন্তু এটা অবশ্যই ঘটবে।’
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এয়ারগান এবং কিছু রাসায়নিকের পাত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ ধারণা, রোহিত এসব দেখিয়েই প্রথমে তাদের ভয় দেখান। জানা গেছে, জিম্মি শিশুরা একটি ওয়েব সিরিজের অডিশনের জন্য পাওয়াইয়ের ওই আবাসিক ভবনের নিচতলায় অবস্থিত আরএ স্টুডিওতে এসেছিল।
এর আগে রোহিত অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ‘মাই স্কুল, বিউটিফুল স্কুল’ কর্মসূচির অধীনে ‘পিএলসি স্যানিটেশন মনিটর প্রজেক্ট’ নামে একটি পরিচ্ছন্নতা প্রচারণার জন্য শিক্ষা বিভাগ তাঁর বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেনি। রোহিত দাবি করেন, তাঁর ‘লেটস চেঞ্জ’ (Lets Change) প্রচারণার অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল স্কুলছাত্রদের ‘পরিচ্ছন্নতার দূত’ হিসেবে তৈরি করা।
তাঁর এই কাজের জন্য স্থানীয় শিক্ষা বিভাগ দুই কোটি রুপি অনুমোদন করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তাঁকে কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি। ওই বছর রোহিত দুবার অনশনও করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকারের ব্যক্তিগত আশ্বাস সত্ত্বেও কর্মকর্তারা তাঁকে কর্মসূচি থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়, রোহিত আর্য ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, সরকারি প্রকল্পের বকেয়া দুই কোটি টাকা না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে রোহিত এমন পদক্ষেপ নেন। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায়
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।
৮ মিনিট আগে
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।
১৬ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করা রুশ সেনাদের নিজ কমান্ডাররা নির্যাতন ও হত্যা করছেন—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম ভার্স্তকা-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরে এখন এমন এক সহিংস সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অবাধ্যতা মানে মৃত্যুদণ্ড বা আত্মঘাতী যুদ্ধ
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করা রুশ সেনাদের নিজ কমান্ডাররা নির্যাতন ও হত্যা করছেন—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম ভার্স্তকা-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরে এখন এমন এক সহিংস সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অবাধ্যতা মানে মৃত্যুদণ্ড বা আত্মঘাতী যুদ্ধে পাঠানো।
তদন্তে ১০১ জন রুশ কমান্ডারের নাম উঠে এসেছে, যারা নিজেদের সেনাদের হত্যা, নির্যাতন বা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। ভার্স্তকা অন্তত ১৫০টি মৃত্যুর ঘটনা যাচাই করতে পেরেছে, যদিও তাদের ধারণা প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। প্রমাণ হিসেবে তারা ব্যবহার করেছে ভিডিও ফুটেজ, সেনাদের পরিবার ও সহযোদ্ধাদের সাক্ষ্য এবং সরকারি অভিযোগের নথি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধ থেকে ফিরতে চাওয়া বা আদেশ অমান্যকারী সেনাদের বিশেষভাবে নিয়োগ করা ‘এক্সিকিউশন শুটার’ দিয়ে গুলি করে হত্যা করাতেন অনেক কমান্ডার। পরে নিহতদের দেহ নদীতে বা অগভীর গর্তে ফেলে দেওয়া হতো, আর রেকর্ডে দেখানো হতো—যুদ্ধে নিহত।
আরও ভয়ংকর তথ্য হলো—যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পিছু হটে আসছে এমন সেনাদের ওপর ড্রোন থেকে গ্রেনেড ফেলে হত্যা করা হয়েছে, যেন তা শত্রুপক্ষের হামলা মনে হয়।
ভার্স্তকা আরও জানায়, অনেক সেনাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। লোহার খাঁচায় ফেলে রাখা, পানি ঢেলে মারধর, কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা—এই সব ঘটনা খুবই সাধারণ চিত্র। কিছু ক্ষেত্রে সেনাদের বাধ্য করা হতো একে অপরের সঙ্গে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে, অনেকটা ‘গ্ল্যাডিয়েটর স্টাইলে’।
ইউক্রেনীয় পর্যবেক্ষকেরা গত মে মাসে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায়—দুই অর্ধনগ্ন রুশ সৈন্য একটি গর্তের মধ্যে একে অপরকে মারছে, আর পাশে এক কর্মকর্তা চিৎকার করছেন, ‘যে মেরে ফেলতে পারবে, সে মুক্তি পাবে।’
প্রতিবেদনটিতে আরেকটি উদ্বেগজনক দিক উন্মোচিত হয়েছে—কমান্ডারদের আর্থিক চাঁদাবাজি। অনেক সেনাকে জানানো হয়, বিপজ্জনক ও আত্মঘাতী মিশনে যাওয়ার হাত বাঁচতে হলে ঘুষ দিতে হবে। যারা ঘুষ দিতে পারেনি, তাদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
ভার্স্তকা-এর তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার সেনা ও তাদের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে। এর মধ্যে ১২ হাজার অভিযোগই নিজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে রাশিয়ার একটি সামরিক প্রসিকিউটর সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা কমান্ডারদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্তে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে, অভিযোগ যতই গুরুতর হোক, তাদের দায়মুক্তিই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করা রুশ সেনাদের নিজ কমান্ডাররা নির্যাতন ও হত্যা করছেন—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম ভার্স্তকা-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরে এখন এমন এক সহিংস সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অবাধ্যতা মানে মৃত্যুদণ্ড বা আত্মঘাতী যুদ্ধে পাঠানো।
তদন্তে ১০১ জন রুশ কমান্ডারের নাম উঠে এসেছে, যারা নিজেদের সেনাদের হত্যা, নির্যাতন বা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। ভার্স্তকা অন্তত ১৫০টি মৃত্যুর ঘটনা যাচাই করতে পেরেছে, যদিও তাদের ধারণা প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। প্রমাণ হিসেবে তারা ব্যবহার করেছে ভিডিও ফুটেজ, সেনাদের পরিবার ও সহযোদ্ধাদের সাক্ষ্য এবং সরকারি অভিযোগের নথি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধ থেকে ফিরতে চাওয়া বা আদেশ অমান্যকারী সেনাদের বিশেষভাবে নিয়োগ করা ‘এক্সিকিউশন শুটার’ দিয়ে গুলি করে হত্যা করাতেন অনেক কমান্ডার। পরে নিহতদের দেহ নদীতে বা অগভীর গর্তে ফেলে দেওয়া হতো, আর রেকর্ডে দেখানো হতো—যুদ্ধে নিহত।
আরও ভয়ংকর তথ্য হলো—যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পিছু হটে আসছে এমন সেনাদের ওপর ড্রোন থেকে গ্রেনেড ফেলে হত্যা করা হয়েছে, যেন তা শত্রুপক্ষের হামলা মনে হয়।
ভার্স্তকা আরও জানায়, অনেক সেনাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। লোহার খাঁচায় ফেলে রাখা, পানি ঢেলে মারধর, কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা—এই সব ঘটনা খুবই সাধারণ চিত্র। কিছু ক্ষেত্রে সেনাদের বাধ্য করা হতো একে অপরের সঙ্গে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে, অনেকটা ‘গ্ল্যাডিয়েটর স্টাইলে’।
ইউক্রেনীয় পর্যবেক্ষকেরা গত মে মাসে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায়—দুই অর্ধনগ্ন রুশ সৈন্য একটি গর্তের মধ্যে একে অপরকে মারছে, আর পাশে এক কর্মকর্তা চিৎকার করছেন, ‘যে মেরে ফেলতে পারবে, সে মুক্তি পাবে।’
প্রতিবেদনটিতে আরেকটি উদ্বেগজনক দিক উন্মোচিত হয়েছে—কমান্ডারদের আর্থিক চাঁদাবাজি। অনেক সেনাকে জানানো হয়, বিপজ্জনক ও আত্মঘাতী মিশনে যাওয়ার হাত বাঁচতে হলে ঘুষ দিতে হবে। যারা ঘুষ দিতে পারেনি, তাদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
ভার্স্তকা-এর তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার সেনা ও তাদের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে। এর মধ্যে ১২ হাজার অভিযোগই নিজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে রাশিয়ার একটি সামরিক প্রসিকিউটর সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা কমান্ডারদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্তে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে, অভিযোগ যতই গুরুতর হোক, তাদের দায়মুক্তিই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে রিয়াদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই অবস্থায়
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।
৮ মিনিট আগে
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।
১৬ মিনিট আগে
রোহিত আর্য নামের ওই যুবক একটি ‘অডিশনের’ কথা বলে ১৭ শিশুকে সেখানে নিয়ে আসেন। মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী এই শিশুদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে