অনলাইন ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশের বিভিন্ন শহরে আঘাত হেনেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যখন শান্তি আর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই এই হামলা হলো। রাশিয়া আমাদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।’
রাতভর এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠাবে। এটি গত সপ্তাহের অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতাদেশের একটি বিপরীত সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি (পুতিন) সব সময় আমাদের প্রতি খুব ভালো ব্যবহার করেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাঁর কথা অর্থহীন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘মস্কো এ বিষয়ে মাথা ঘামায় না। ট্রাম্পের কথা বলার ধরনই এমন। তিনি সব সময় কঠোর।’
ট্রাম্প একসময় বলেছিলেন, তিনি এক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু দুই নেতার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হলেও ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ‘পুতিনের ওপর খুব অসন্তুষ্ট’। পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ‘সে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, শুধু মানুষ মারতে চায়, এটা ভালো নয়।’
পুতিনের এই সমালোচনা ট্রাম্প এমন সময় করেছেন, যখন তাঁর প্রশাসন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও আন্ডার সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি এলব্রিজ কোলবি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেগসেথের পাশে বসে থাকা ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আপনিই বলুন।’ তিনি হেগসেথের দিকে ইঙ্গিত করে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের বিষয়ে কথা বলতে বলেন। এর ঠিক এক দিন পরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠাবে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ফলে এখন ইউক্রেনে ১০টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।
কিয়েভ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা প্রতিরোধের জন্য ইন্টারসেপ্টরগুলোর ওপর নির্ভর করে, যা তীব্রতা এবং ফ্রিকোয়েন্সিতে বেড়েই চলেছে। যদিও দেশের পূর্বাঞ্চল এবং কিয়েভ নিয়মিত হামলার শিকার হয়, তবে রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনের কোনো অংশই রেহাই পায়নি। মঙ্গলবার রাতভর হামলার মূল শিকার হয়েছে লুৎস্ক শহর; যা পোলিশ সীমান্ত থেকে ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) দূরে অবস্থিত এবং সামরিক ও মানবিক সহায়তার একটি ট্রানজিট হাব। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ এবং রিভনেতেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধবিরতি আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু এরপর আর কোনো বৈঠক নির্ধারিত হয়নি এবং মস্কো বা কিয়েভ—কেউই আশাবাদী নয় যে কূটনীতি দ্বারা এই সংঘাতের সমাধান হবে।
এদিকে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার গ্রীষ্মকালীন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পেসকভ বুধবার বলেছেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন ইউক্রেনীয়দের নতুন বাস্তবতা গ্রহণ করতে হচ্ছে।’
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশের বিভিন্ন শহরে আঘাত হেনেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যখন শান্তি আর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই এই হামলা হলো। রাশিয়া আমাদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।’
রাতভর এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠাবে। এটি গত সপ্তাহের অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতাদেশের একটি বিপরীত সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি (পুতিন) সব সময় আমাদের প্রতি খুব ভালো ব্যবহার করেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাঁর কথা অর্থহীন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘মস্কো এ বিষয়ে মাথা ঘামায় না। ট্রাম্পের কথা বলার ধরনই এমন। তিনি সব সময় কঠোর।’
ট্রাম্প একসময় বলেছিলেন, তিনি এক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু দুই নেতার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হলেও ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ‘পুতিনের ওপর খুব অসন্তুষ্ট’। পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ‘সে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, শুধু মানুষ মারতে চায়, এটা ভালো নয়।’
পুতিনের এই সমালোচনা ট্রাম্প এমন সময় করেছেন, যখন তাঁর প্রশাসন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও আন্ডার সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি এলব্রিজ কোলবি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেগসেথের পাশে বসে থাকা ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আপনিই বলুন।’ তিনি হেগসেথের দিকে ইঙ্গিত করে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের বিষয়ে কথা বলতে বলেন। এর ঠিক এক দিন পরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠাবে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ফলে এখন ইউক্রেনে ১০টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।
কিয়েভ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা প্রতিরোধের জন্য ইন্টারসেপ্টরগুলোর ওপর নির্ভর করে, যা তীব্রতা এবং ফ্রিকোয়েন্সিতে বেড়েই চলেছে। যদিও দেশের পূর্বাঞ্চল এবং কিয়েভ নিয়মিত হামলার শিকার হয়, তবে রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনের কোনো অংশই রেহাই পায়নি। মঙ্গলবার রাতভর হামলার মূল শিকার হয়েছে লুৎস্ক শহর; যা পোলিশ সীমান্ত থেকে ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) দূরে অবস্থিত এবং সামরিক ও মানবিক সহায়তার একটি ট্রানজিট হাব। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ এবং রিভনেতেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধবিরতি আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু এরপর আর কোনো বৈঠক নির্ধারিত হয়নি এবং মস্কো বা কিয়েভ—কেউই আশাবাদী নয় যে কূটনীতি দ্বারা এই সংঘাতের সমাধান হবে।
এদিকে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার গ্রীষ্মকালীন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পেসকভ বুধবার বলেছেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন ইউক্রেনীয়দের নতুন বাস্তবতা গ্রহণ করতে হচ্ছে।’
ইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে তুরস্ক, জর্ডান ও লেবাননের দমকল বাহিনী। এ ছাড়া সাইপ্রাস থেকেও বিমান পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সিরিয়ার জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী রায়েদ আল সালেহ।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি হোয়াইট হাউসকে না জানিয়েই নিয়েছেন বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে অন্তত পাঁচটি সূত্র। হেগসেথের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
১ ঘণ্টা আগেএক্স-এ প্রকাশিত এক পোস্টে লিন্ডা লিখেছেন, ‘আমি ইলন মাস্কের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিলেন, কোম্পানিকে পুনর্গঠনের সুযোগ দিয়েছিলেন এবং এক্স-কে সবকিছুর অ্যাপ-এ রূপান্তরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।’
২ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের কেন্দ্রীয় বুর্গান্ডি অঞ্চলে অবস্থিত ইউরোপীয় সামাজিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইইএসএইচ) বন্ধ হয়ে গেছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থায়নের আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে