ইশতিয়াক হাসান

পর্বতারোহণের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য। সত্যি কি মানুষ প্রথম এভারেস্ট জয় করে ১৯৫৩ সালে? নাকি মৃত্যুর আগে দুঃসাহসী দুই পর্বতারোহী ১৯২৪ সালেই কাজটি করে গিয়েছেন।
ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু স্যান্ডি আরভিনকে শেষ দেখা যায় ১৯২৪ সালের ৮ জুন। তখন তাঁরা চূড়া থেকে মাত্র ৮০০ ফুট নিচে। তারপরই মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা। আর কখনোই দেখা মেলেনি।
১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহ যখন পাওয়া যায়, পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে, ম্যালরি–আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যালরির সঙ্গে ছিল না তাঁর বহন করা ক্যামেরাটি। আর আরভিনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি আজও।
তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষক মনে করছেন, পর্বতারোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যটি তিনি সমাধান করেছেন।
অভিযানের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো নিরীক্ষণ করে লেখক গ্রায়েম হয়ল্যান্ড এখন বিশ্বাস করছেন, ওই পর্বতারোহী জুটির ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং মৃত্যুর আগে সত্যি তাঁরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পৌঁছেছিলেন কিনা সেটা তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন।
এভারেস্টের ওই অভিযাত্রী দলটির অপর এক সদস্যের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হয়ল্যান্ড, ম্যালরি–আরভিন রহস্য সমাধানে এভারেস্টে নয়বার অভিযান চালিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রহস্যের মূলে আছে বায়ুচাপ।
তাঁর আত্মীয় আরেক পর্বতারোহী, হাওয়ার্ড সোমারভেল একই অভিযানে চূড়ার ১ হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গেলেও অক্সিজেনের অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন। অভিযানের সময় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর।
চিকিৎসক হিসেবে ভারতে নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৯২৪ সালের অভিযানে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। এতে দেখা যায়, বেস ক্যাম্পে মানে যেখানে রিডিং নেন, সেখানে ৮ জুন সকাল থেকে ৯ জুনের মধ্যে বায়ুচাপ কমে যায়। এতে দেখা যায় বায়ুচাপ ১৬ দশমকি ২৫ এইচজি থেকে ১৫ দশমিক ৯৮–এ নেমে যায়।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এই পরিসংখ্যান চাপের ১০ মিলিবার পতনের সমান। এভারেস্টে আবহাওয়াজনিত মৃত্যু সাধারণত চূড়ায় বায়ুচাপ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত। মাত্র ছয় মিলিবার চাপের পতন ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট, যখন ২০ জন পর্বতারোহী আটকা পড়েন পর্বতে এবং তাঁদের মধ্যে আটজন মারা যান।
‘প্রবল ঝড়ের মধ্যে পর্বতারোহণ করছিলেন তাঁরা। শুধু তুষার ঝড় বললে ভুল হবে, এটা ছিল অনেকটা তুষার বোমা পতনের (স্নো বম্ব) মতো!’ সিএনএনকে বলেন হয়ল্যান্ড।
এভারেস্টে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে হয়ল্যান্ডকেও। ‘এটা ভয়ংকর, তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে, আপনি শ্বাস নিতে হাঁপাচ্ছেন। এক হাজার নটিক্যাল গতিতে বাতাস বইছে। পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি এমন পরিস্থিতিতে উড়ে গিয়ে পর্বতের আরও ওপরে পড়েছিলেন।’ সিএনএনকে বলেন তিনি।
বায়ুচাপ কমে যাওয়ার অর্থ পর্বতের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো, মানে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬৫০ ফুট উচ্চতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। হয়ল্যান্ড একে ‘একটি অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর–পশ্চিম রিজ ধরে ইতিমধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেই পর্বতে আরোহণ করছিলেন এ জুটি। ম্যালরি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন যে চূড়ায় পৌঁছার ৫০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা দেখছেন। হয়ল্যান্ড মনে করেন আসলে এটি ছিল ২০–১ এর মতো। তবে তাঁর ধারণা, তাঁদের কী আঘাত করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দুই পর্বতারোহীর ছিল না।
‘ম্যালরি দেখেন নর্টন ও সোমারভেল ৪ জুন বাড়তি অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই চূড়ার এক হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাজেই সরঞ্জামসহ চূড়া জয় সম্ভব হতেই পারে।’ প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি যেটা জানতেন না তা হলো, বায়ুচাপের পতন পর্বতটিকে আরও উঁচু করে তুলছে।’
ম্যালরি–আরভিন সিল্ক, তুলা এবং উলের পোশাক পরে ছিলেন। হয়ল্যান্ড পরিস্থিতি বোঝার জন্য এভারেস্ট অভিযানে একই ধরনের পোশাক পরেন। তিনি জানান, এ ধরনের জামাকাপড় খুব আরামদায়ক কিন্তু একটি তুষারঝড় বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে টিকে থাকার মতো উষ্ণতা দেয় না।
পূর্বে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে এই জুটি এভারেস্ট জয় করে নেমে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। একে হয়ল্যান্ড ‘অতিরিক্ত আশা’ হিসেবেই দেখছেন।
‘বছরের পর বছর ধরে ম্যালরি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন এটা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি। প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম ১৫তম নয় ১৬তম ব্রিটিশ হিসেবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বাস্তবতা ভিন্ন। আপনাকে মন বদলাতে হবে। একটা উইশফুল থিংকিং আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না আপনি।’ বলেন তিনি।
হয়ল্যান্ডের আগে কেউ আবহাওয়ার প্রতিবেদন অতটা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেননি। লন্ডনের রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে আছে এগুলো।
শেষ পর্যন্ত পর্বতটিতে আরোহণ করেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে। এটিই প্রথম নথিভুক্ত এভারেস্ট জয়।
১৯৩৩ সালে পার্সি উইন–হ্যারিস নামের এক পর্বতারোহী চূড়ার কাছে একটা কুঠার খুঁজে পান। অনুমান করা হয় এটি আরভিনের। ১৯৩৬ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামের এক পর্বতারোহীর মনে হয় দূরে দুটি শরীর দেখতে পেয়েছেন তিনি। একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি এটি দেখতে পান ৮ হাজার ১০০ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৭৫ ফুটের আশপাশে।
চীনা পর্বতারোহী ওয়াং হোংবাও ১৯৭৫ সালের অভিযানের সময় একটি শরীর দেখার কথা বলেন।
অবশেষে, ১৯৯৯ সালে হয়ল্যান্ডের পিড়াপিড়িতে হওয়া একটি অভিযানে ২৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় খুঁজে পাওয়া যায় ম্যালরির মৃতদেহ। যা ছিল চূড়া থেকে ২ হাজার ৩৩৫ ফুট নিচে। আমেরিকান পর্বতারোহী কনরাড অ্যাঙ্কার পর্বতের উত্তর ঢালে বরফে জমে যাওয়া এবং অক্ষতভাবে সংরক্ষিত এক মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। যেখানে কুঠারটি পাওয়া গিয়েছিল এর কয়েক শ মিটার নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহটি।
মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কলারের একটি ট্যাগ দেখে। সেখানে লেখা ছিল— জি ম্যালরি। কোমরে দড়ির শক্ত দাগ পাওয়া যায় মৃতদেহটির। এতে বোঝা যায় আছড়ে পড়ার আগে দড়িতে বেঁধে আরভিনের সঙ্গে আটকানো ছিল তাঁর শরীর। মাথায়ও একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ম্যালরির সঙ্গে কিছু খুঁটিনাটি জিনিসও মেলে।
এগুলোর মধ্যে ছিল একটি আল্টিমিটার, একটি চিরকুট ও পর্বতারোহণের সরঞ্জামের একটি রসিদ। ম্যালরির পকেটে ছিল একজোড়া চশমা। যা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি অন্ধকারে ছিলেন বা কম দেখছিলেন।
তবে এমন কয়েকটি সূত্র পাওয়া গেল, যেটা তাঁরা সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কিনা, সে বিষয়টির আগাগোড়া রহস্যের জালে আটকে দিল।
ম্যালরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ছবি ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ছবিটা চূড়ায় রেখে আসবেন। কিন্তু ওই ছবিটা খুঁজে পাওয়া গেল না। দুই অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা নিয়েছিলেন সঙ্গে। ওটারও খোঁজ মেলেনি।
অথচ এভারেস্টের নেশা পেয়ে না বসলে ম্যালরির জীবনটা অন্যরকমও হতে পারে। ওয়েস্ট কিরবি এবং এস্টাবর্নের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন ম্যালরি। তারপর উইনচেস্টার কলেজে গণিতে বৃত্তি পান। এখানেই পর্বত আরোহণের নেশা মাথায় চেপে বসে, সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন নিয়তির দিকে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন ম্যালরি। সেখানেই শিক্ষকতা করেন কিছুদিন। একই সঙ্গে পর্বতারোহণে আরও শাণিত করে তুলতে থাকেন নিজেকে। তারপর ব্রিটিশ সেনাদলে নাম লেখান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পরই মাউন্ট এভারেস্ট পেয়ে বসল তাঁকে। জীবনের বাকি সময় পর্বতটা মোহাবিষ্ট করে রাখল ম্যালরিকে।
১৯২১ সাল। নেপাল–তিব্বত সীমান্তে পর্বতটির চূড়ায় পৌঁছার একটি পথের খোঁজে প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলে নাম লেখান জর্জ ম্যালরি। দলনেতা ছিলেন চার্লস হাওয়ার্ড বারি। আগে কখনো হিমালয় অভিযানে যাননি ম্যালরি। কিন্তু কী আশ্চর্য! অভিযান শুরুর পর দেখা গেল অলিখিতভাবে গোটা দলের নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পর্বত এলাকাটির বহু কাঙ্ক্ষিত একটি মানচিত্রও তৈরি করা হলো এই অভিযানেই। ১৯২২ সালের অভিযানেও ছিলেন তিনি, যেটিকে বিবেচনা করা হয় এভারেস্ট জয়ের প্রথম সত্যিকারের প্রচেষ্টা হিসেবে।
১৯২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এভারেস্ট রোমাঞ্চে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যালরি। অভিযান শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কেন এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে? তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘কারণ ওটা ওখানে আছে।’ যা, পর্বতারোহণের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিতে পরিণত হয় কালক্রমে।
তবে ম্যালরির জানা ছিল না, এটাই তাঁর শেষ এভারেস্টযাত্রা। আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানদের সঙ্গে। জুনের সেই বিখ্যাত অভিযানের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৭।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এ জুটি আরোহণ বাতিল করে বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় পড়ে যান। তাঁর ধারণা, ম্যালরি প্রাথমিক পতন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় আরেকটি মারাত্মক ধস বা পতনে মারা যান। আরভিনের লাশ আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছেন যে, আরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবির অভাব থেকে বোঝা যায় যে, এই জুটি শিখরে পৌঁছেছিলেন এবং ফিরে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন।
যাই হোক, নতুন প্রমাণ পর্যালোচনা করে হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন— বিষয়টি এমন নয়।
অভিযানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেলা ২টায় পর্বতটিতে তুষারঝড় আঘাত হানে। তাঁরা চূড়ায় পৌঁছানোর অনেক আগেই এটা হয় বলে জানান হয়ল্যান্ড। ছবির অভাব, তিনি মনে করেন কিছুই প্রমাণ করে না। ম্যালরির ভুলে যাওয়ার বাতিক ছিল বলেও জানান তিনি।
স্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে ম্যালরি লিখেছিলেন, ‘একটি তাঁবুর দরজা থেকে তুষার এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটা আশার দিকে তাকিয়ে আছি’ এবং এটিকে ‘খুব খারাপ একটি সময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এবং আরভিন দুজনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং তিনি লিখেছেন যে, ‘আমি যথেষ্ট ফিট হতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি।’
হয়ল্যান্ড বলেন, এভারেস্ট মানুষকে পাগল করে তোলে। ম্যালরি এভারেস্ট জয় করার আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
‘সামিট ফিভার’ বা ‘চূড়া জ্বর’ নামে বিপজ্জনক একটি জিনিস আছে, আপনি চূড়াটি দেখেন এবং আপনি ভাবেন ‘ঠিক আছে, হয় মৃত্যু না হয় খ্যাতি। প্রাণ হারানোর চিন্তাও আপনাকে দমাতে পারে না।’
‘অনুভূতি আমি বুঝি, আপনি সম্পূর্ণরূপে পর্বত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়বেন। ম্যালরি এভারেস্টে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে।’ বলেন হায়ল্যান্ড।
তবে ম্যালরি যেমন এভারেস্টে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেন তেমনি মানুষ আজও মোহিত ম্যালরিতে। আজও পর্বতারোহীরা হন্যে হয়ে খোঁজেন আরভিনের দেহ। পর্বতপ্রেমীরা বিশ্বাস করতে চান ম্যালরি-আরভিন সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন। হায়ল্যান্ডের এই গবেষণা হয়তো তাঁদের হতাশ করবে, তবে সবাই নিঃসন্দেহ তা মানতে চাইবেন না।
সূত্র: সিএনএন, উইকিপিডিয়া

পর্বতারোহণের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য। সত্যি কি মানুষ প্রথম এভারেস্ট জয় করে ১৯৫৩ সালে? নাকি মৃত্যুর আগে দুঃসাহসী দুই পর্বতারোহী ১৯২৪ সালেই কাজটি করে গিয়েছেন।
ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু স্যান্ডি আরভিনকে শেষ দেখা যায় ১৯২৪ সালের ৮ জুন। তখন তাঁরা চূড়া থেকে মাত্র ৮০০ ফুট নিচে। তারপরই মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা। আর কখনোই দেখা মেলেনি।
১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহ যখন পাওয়া যায়, পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে, ম্যালরি–আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যালরির সঙ্গে ছিল না তাঁর বহন করা ক্যামেরাটি। আর আরভিনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি আজও।
তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষক মনে করছেন, পর্বতারোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যটি তিনি সমাধান করেছেন।
অভিযানের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো নিরীক্ষণ করে লেখক গ্রায়েম হয়ল্যান্ড এখন বিশ্বাস করছেন, ওই পর্বতারোহী জুটির ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং মৃত্যুর আগে সত্যি তাঁরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পৌঁছেছিলেন কিনা সেটা তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন।
এভারেস্টের ওই অভিযাত্রী দলটির অপর এক সদস্যের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হয়ল্যান্ড, ম্যালরি–আরভিন রহস্য সমাধানে এভারেস্টে নয়বার অভিযান চালিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রহস্যের মূলে আছে বায়ুচাপ।
তাঁর আত্মীয় আরেক পর্বতারোহী, হাওয়ার্ড সোমারভেল একই অভিযানে চূড়ার ১ হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গেলেও অক্সিজেনের অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন। অভিযানের সময় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর।
চিকিৎসক হিসেবে ভারতে নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৯২৪ সালের অভিযানে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। এতে দেখা যায়, বেস ক্যাম্পে মানে যেখানে রিডিং নেন, সেখানে ৮ জুন সকাল থেকে ৯ জুনের মধ্যে বায়ুচাপ কমে যায়। এতে দেখা যায় বায়ুচাপ ১৬ দশমকি ২৫ এইচজি থেকে ১৫ দশমিক ৯৮–এ নেমে যায়।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এই পরিসংখ্যান চাপের ১০ মিলিবার পতনের সমান। এভারেস্টে আবহাওয়াজনিত মৃত্যু সাধারণত চূড়ায় বায়ুচাপ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত। মাত্র ছয় মিলিবার চাপের পতন ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট, যখন ২০ জন পর্বতারোহী আটকা পড়েন পর্বতে এবং তাঁদের মধ্যে আটজন মারা যান।
‘প্রবল ঝড়ের মধ্যে পর্বতারোহণ করছিলেন তাঁরা। শুধু তুষার ঝড় বললে ভুল হবে, এটা ছিল অনেকটা তুষার বোমা পতনের (স্নো বম্ব) মতো!’ সিএনএনকে বলেন হয়ল্যান্ড।
এভারেস্টে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে হয়ল্যান্ডকেও। ‘এটা ভয়ংকর, তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে, আপনি শ্বাস নিতে হাঁপাচ্ছেন। এক হাজার নটিক্যাল গতিতে বাতাস বইছে। পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি এমন পরিস্থিতিতে উড়ে গিয়ে পর্বতের আরও ওপরে পড়েছিলেন।’ সিএনএনকে বলেন তিনি।
বায়ুচাপ কমে যাওয়ার অর্থ পর্বতের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো, মানে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬৫০ ফুট উচ্চতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। হয়ল্যান্ড একে ‘একটি অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর–পশ্চিম রিজ ধরে ইতিমধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেই পর্বতে আরোহণ করছিলেন এ জুটি। ম্যালরি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন যে চূড়ায় পৌঁছার ৫০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা দেখছেন। হয়ল্যান্ড মনে করেন আসলে এটি ছিল ২০–১ এর মতো। তবে তাঁর ধারণা, তাঁদের কী আঘাত করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দুই পর্বতারোহীর ছিল না।
‘ম্যালরি দেখেন নর্টন ও সোমারভেল ৪ জুন বাড়তি অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই চূড়ার এক হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাজেই সরঞ্জামসহ চূড়া জয় সম্ভব হতেই পারে।’ প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি যেটা জানতেন না তা হলো, বায়ুচাপের পতন পর্বতটিকে আরও উঁচু করে তুলছে।’
ম্যালরি–আরভিন সিল্ক, তুলা এবং উলের পোশাক পরে ছিলেন। হয়ল্যান্ড পরিস্থিতি বোঝার জন্য এভারেস্ট অভিযানে একই ধরনের পোশাক পরেন। তিনি জানান, এ ধরনের জামাকাপড় খুব আরামদায়ক কিন্তু একটি তুষারঝড় বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে টিকে থাকার মতো উষ্ণতা দেয় না।
পূর্বে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে এই জুটি এভারেস্ট জয় করে নেমে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। একে হয়ল্যান্ড ‘অতিরিক্ত আশা’ হিসেবেই দেখছেন।
‘বছরের পর বছর ধরে ম্যালরি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন এটা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি। প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম ১৫তম নয় ১৬তম ব্রিটিশ হিসেবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বাস্তবতা ভিন্ন। আপনাকে মন বদলাতে হবে। একটা উইশফুল থিংকিং আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না আপনি।’ বলেন তিনি।
হয়ল্যান্ডের আগে কেউ আবহাওয়ার প্রতিবেদন অতটা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেননি। লন্ডনের রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে আছে এগুলো।
শেষ পর্যন্ত পর্বতটিতে আরোহণ করেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে। এটিই প্রথম নথিভুক্ত এভারেস্ট জয়।
১৯৩৩ সালে পার্সি উইন–হ্যারিস নামের এক পর্বতারোহী চূড়ার কাছে একটা কুঠার খুঁজে পান। অনুমান করা হয় এটি আরভিনের। ১৯৩৬ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামের এক পর্বতারোহীর মনে হয় দূরে দুটি শরীর দেখতে পেয়েছেন তিনি। একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি এটি দেখতে পান ৮ হাজার ১০০ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৭৫ ফুটের আশপাশে।
চীনা পর্বতারোহী ওয়াং হোংবাও ১৯৭৫ সালের অভিযানের সময় একটি শরীর দেখার কথা বলেন।
অবশেষে, ১৯৯৯ সালে হয়ল্যান্ডের পিড়াপিড়িতে হওয়া একটি অভিযানে ২৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় খুঁজে পাওয়া যায় ম্যালরির মৃতদেহ। যা ছিল চূড়া থেকে ২ হাজার ৩৩৫ ফুট নিচে। আমেরিকান পর্বতারোহী কনরাড অ্যাঙ্কার পর্বতের উত্তর ঢালে বরফে জমে যাওয়া এবং অক্ষতভাবে সংরক্ষিত এক মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। যেখানে কুঠারটি পাওয়া গিয়েছিল এর কয়েক শ মিটার নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহটি।
মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কলারের একটি ট্যাগ দেখে। সেখানে লেখা ছিল— জি ম্যালরি। কোমরে দড়ির শক্ত দাগ পাওয়া যায় মৃতদেহটির। এতে বোঝা যায় আছড়ে পড়ার আগে দড়িতে বেঁধে আরভিনের সঙ্গে আটকানো ছিল তাঁর শরীর। মাথায়ও একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ম্যালরির সঙ্গে কিছু খুঁটিনাটি জিনিসও মেলে।
এগুলোর মধ্যে ছিল একটি আল্টিমিটার, একটি চিরকুট ও পর্বতারোহণের সরঞ্জামের একটি রসিদ। ম্যালরির পকেটে ছিল একজোড়া চশমা। যা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি অন্ধকারে ছিলেন বা কম দেখছিলেন।
তবে এমন কয়েকটি সূত্র পাওয়া গেল, যেটা তাঁরা সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কিনা, সে বিষয়টির আগাগোড়া রহস্যের জালে আটকে দিল।
ম্যালরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ছবি ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ছবিটা চূড়ায় রেখে আসবেন। কিন্তু ওই ছবিটা খুঁজে পাওয়া গেল না। দুই অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা নিয়েছিলেন সঙ্গে। ওটারও খোঁজ মেলেনি।
অথচ এভারেস্টের নেশা পেয়ে না বসলে ম্যালরির জীবনটা অন্যরকমও হতে পারে। ওয়েস্ট কিরবি এবং এস্টাবর্নের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন ম্যালরি। তারপর উইনচেস্টার কলেজে গণিতে বৃত্তি পান। এখানেই পর্বত আরোহণের নেশা মাথায় চেপে বসে, সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন নিয়তির দিকে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন ম্যালরি। সেখানেই শিক্ষকতা করেন কিছুদিন। একই সঙ্গে পর্বতারোহণে আরও শাণিত করে তুলতে থাকেন নিজেকে। তারপর ব্রিটিশ সেনাদলে নাম লেখান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পরই মাউন্ট এভারেস্ট পেয়ে বসল তাঁকে। জীবনের বাকি সময় পর্বতটা মোহাবিষ্ট করে রাখল ম্যালরিকে।
১৯২১ সাল। নেপাল–তিব্বত সীমান্তে পর্বতটির চূড়ায় পৌঁছার একটি পথের খোঁজে প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলে নাম লেখান জর্জ ম্যালরি। দলনেতা ছিলেন চার্লস হাওয়ার্ড বারি। আগে কখনো হিমালয় অভিযানে যাননি ম্যালরি। কিন্তু কী আশ্চর্য! অভিযান শুরুর পর দেখা গেল অলিখিতভাবে গোটা দলের নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পর্বত এলাকাটির বহু কাঙ্ক্ষিত একটি মানচিত্রও তৈরি করা হলো এই অভিযানেই। ১৯২২ সালের অভিযানেও ছিলেন তিনি, যেটিকে বিবেচনা করা হয় এভারেস্ট জয়ের প্রথম সত্যিকারের প্রচেষ্টা হিসেবে।
১৯২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এভারেস্ট রোমাঞ্চে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যালরি। অভিযান শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কেন এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে? তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘কারণ ওটা ওখানে আছে।’ যা, পর্বতারোহণের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিতে পরিণত হয় কালক্রমে।
তবে ম্যালরির জানা ছিল না, এটাই তাঁর শেষ এভারেস্টযাত্রা। আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানদের সঙ্গে। জুনের সেই বিখ্যাত অভিযানের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৭।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এ জুটি আরোহণ বাতিল করে বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় পড়ে যান। তাঁর ধারণা, ম্যালরি প্রাথমিক পতন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় আরেকটি মারাত্মক ধস বা পতনে মারা যান। আরভিনের লাশ আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছেন যে, আরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবির অভাব থেকে বোঝা যায় যে, এই জুটি শিখরে পৌঁছেছিলেন এবং ফিরে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন।
যাই হোক, নতুন প্রমাণ পর্যালোচনা করে হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন— বিষয়টি এমন নয়।
অভিযানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেলা ২টায় পর্বতটিতে তুষারঝড় আঘাত হানে। তাঁরা চূড়ায় পৌঁছানোর অনেক আগেই এটা হয় বলে জানান হয়ল্যান্ড। ছবির অভাব, তিনি মনে করেন কিছুই প্রমাণ করে না। ম্যালরির ভুলে যাওয়ার বাতিক ছিল বলেও জানান তিনি।
স্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে ম্যালরি লিখেছিলেন, ‘একটি তাঁবুর দরজা থেকে তুষার এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটা আশার দিকে তাকিয়ে আছি’ এবং এটিকে ‘খুব খারাপ একটি সময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এবং আরভিন দুজনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং তিনি লিখেছেন যে, ‘আমি যথেষ্ট ফিট হতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি।’
হয়ল্যান্ড বলেন, এভারেস্ট মানুষকে পাগল করে তোলে। ম্যালরি এভারেস্ট জয় করার আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
‘সামিট ফিভার’ বা ‘চূড়া জ্বর’ নামে বিপজ্জনক একটি জিনিস আছে, আপনি চূড়াটি দেখেন এবং আপনি ভাবেন ‘ঠিক আছে, হয় মৃত্যু না হয় খ্যাতি। প্রাণ হারানোর চিন্তাও আপনাকে দমাতে পারে না।’
‘অনুভূতি আমি বুঝি, আপনি সম্পূর্ণরূপে পর্বত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়বেন। ম্যালরি এভারেস্টে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে।’ বলেন হায়ল্যান্ড।
তবে ম্যালরি যেমন এভারেস্টে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেন তেমনি মানুষ আজও মোহিত ম্যালরিতে। আজও পর্বতারোহীরা হন্যে হয়ে খোঁজেন আরভিনের দেহ। পর্বতপ্রেমীরা বিশ্বাস করতে চান ম্যালরি-আরভিন সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন। হায়ল্যান্ডের এই গবেষণা হয়তো তাঁদের হতাশ করবে, তবে সবাই নিঃসন্দেহ তা মানতে চাইবেন না।
সূত্র: সিএনএন, উইকিপিডিয়া

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
১৯ মিনিট আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরেক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এমন এআই দিয়ে বানানো ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ এবং প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কতা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরেক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এমন এআই দিয়ে বানানো ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ এবং প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কতা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
১৯ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
১৯ মিনিট আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
১৯ মিনিট আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে