Ajker Patrika

ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনায় বসতে সম্মত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র 

ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনায় বসতে সম্মত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র 

ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্কিন কর্মকর্তা বলছেন, ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার সেনা গঠনের বিষয়ে জানুয়ারিতে আলোচনা হতে পারে।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা। তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।  

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সংকট নিরসনে ন্যাটোর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবিলম্বে নিশ্চয়তার দাবিও করেছেন।  পুতিন তাঁর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বল তাদের কোর্টে, তাদেরকে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। তিনি সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন কিন্তু আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন।  

অন্য দিকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, ১ লাখেরও বেশি রাশিয়ান সৈন্য তাদের সীমান্তের কাছাকাছি পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করলে পুতিনের জন্য তা ‘খুবই, খুবই কঠিন’ পরিণতি হবে।   

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন যে, আপনাকে এখনই নিশ্চয়তা দিতে হবে। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সমস্ত সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদ দেওয়া যাবে না। 

তবে হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের মূল দাবিতে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।   

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, যদিও কূটনৈতিক আলোচনায় চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দিক থেকে কাজ করবে। এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব লিজ ট্রাস জানুয়ারিতে মস্কো আলোচনায় সম্মতির বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছেন। 

এদিকে ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলেনব্যার্গ বলেছেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে কি দেবে না তা নিয়ে রাশিয়ার কিছু বলার থাকতে পারে না৷

২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। দেশটি ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। ২০২০ সালে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছিল রাশিয়া। সেটাকে স্বাগত জানিয়েছিল কিয়েভের রাষ্ট্রপতির চিফ অফ স্টাফ। 

সেই সময় ফ্রান্স এবং জার্মানি যুদ্ধবিরতিকে সম্মান জানিয়ে বন্দীদের ছেড়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছিল। 

ন্যাটো দাবি করেছে, পুতিন বেশ কয়েক দিন আগে ইউক্রেনের ওপর 'লাল রেখা' স্থাপন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তিনি গ্যারান্টি দেবেন যে কোন আক্রমণ হবে না তখন তিনি তেমন কিছু বলেননি। 

পুতিন বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের সীমান্তে আসিনি, না, তাঁরা আমাদের সীমান্তে এসেছে। ন্যাটো ১৯৯০ সাল থেকে রাশিয়ার সঙ্গে প্রতারণা করছেন এমন অভিযোগ তোলেন তিনি।

জেন সাকি উল্লেখ করেছেন যে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্তে একমাত্র আগ্রাসনটি ছিল রাশিয়ান বাহিনী এবং পুতিনের এলোমেলো বক্তব্যে। 

রাশিয়া চায় ন্যাটো ১৯৯৭ সাল যেখানে ছিল সেখানে ফিরে আসুক। রাশিয়ার আরেকটি দাবি হলো ইউক্রেন ও জর্জিয়াকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত রাখা। রাশিয়া ২০০৮ সালে জর্জিয়া আক্রমণ করে এবং তারপর ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মঞ্জু, ‘প্রকৃত সত্য সামনে আসবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ