
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কোন কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো উচিত, সে বিষয়ে রুশ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব জানতে চেয়েছে মস্কো। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুশ কোম্পানিগুলোর ওপর যে বিধিনিষেধ আছে, সেটিই সবচেয়ে ক্ষতিকর।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মঙ্গলবার বলেছেন, ‘বল এখন রাশিয়ার কোর্টে।’ কারণ, ওয়াশিংটন কিয়েভকে আবারও সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় দেওয়া শুরু করতে রাজি হয়েছে, আর ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা বলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় রাজি না হয়, তাহলে দেশটির ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। রুশ শিল্প খাতের দুটি সূত্র জানিয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চাইছে, কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় একটি ফরম বিতরণ করছে, যেখানে ব্যবসায়ীদের বলতে বলা হয়েছে, কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের ব্যবসাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল বিধিনিষেধগুলো কী। রুশ শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাশিয়ার বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মী, পরামর্শক, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং উপদেষ্টাসহ মোট ১২ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তাদের অধিকাংশই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। তাঁরা রয়টার্সকে বলেছেন, অর্থ প্রদানের সমস্যা সবচেয়ে কষ্টকর। তবে তিনটি সূত্র জ্বালানি খাতের নিষেধাজ্ঞাকেও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেছে, বিশেষ করে রাশিয়ার তেলবাহী ট্যাংকার বহরের ওপর বিধিনিষেধ।
একজন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক লেনদেনের খরচ ও তৃতীয় মুদ্রার মাধ্যমে নিষ্পত্তির কারণে সবকিছু অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে বিপজ্জনক, সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হলো ডলারে নিষ্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা।’ কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে চায় রাশিয়া—এই প্রশ্নের জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বলেছে, তারা সব নিষেধাজ্ঞাকেই অবৈধ মনে করে এবং সবকিছু প্রত্যাহার করা উচিত।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যেখানে বিস্তারিত বিষয়গুলোর আলোচনা চলছে, সেখানে আমি আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই: আমরা আগেভাগে কিছু বলতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার আগে নির্দিষ্ট খাতের নাম ঘোষণা করা অর্থহীন।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পরপরই বড় রুশ ব্যাংকগুলোকে বৈশ্বিক অর্থ প্রদান নেটওয়ার্ক সুইফট (SWIFT) থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ডলার ও ইউরো বাজারে প্রবেশাধিকার না থাকায়, রুশ কোম্পানিগুলো অন্যান্য মুদ্রা এবং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বিকল্প উপায় খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
তিনটি সূত্র বলেছে, ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে তা রাশিয়ার জন্য বিশাল সুবিধা বয়ে আনবে, যদিও একজন মনে করেন, এতটা অনুকূল ফলাফল শিগগিরই আশা করা অবাস্তব। রেনেসাঁ ক্যাপিটালের বিশ্লেষক আন্দ্রে মেলাশচেঙ্কো বলেন, ইউরোপ যে কোনো মার্কিন সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে এমন নিশ্চয়তা নেই।
মেলাশচেঙ্কো বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও তা ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেবে না বা সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করবে না, যার ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে কমিশনভিত্তিক আয়ের পুনরুদ্ধার সীমিতই থাকবে।’
দুটি সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় দেশের কোম্পানিগুলোর ওপর দেওয়া গৌণ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ কমানোর সম্ভাবনাই বাস্তবসম্মত। চীনা কিছু ব্যাংক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না, ফলে অর্থ প্রদানে জটিলতা তৈরি হচ্ছে এবং নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।
একজন বলেছেন, ‘বিকল্প উপায়গুলো ব্যয়বহুল ও ধীর গতির। চীন বা আমিরাত থেকে আমরা যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি আনতে পারি, কিন্তু কীভাবে অর্থ পরিশোধ করব?’ আরেকজন বলেছেন, ‘চীন গত বছরের আগস্টে নিষ্পত্তি ব্যবস্থা কঠোর করার পর আমাদের ব্যবসা সত্যিকার অর্থেই কান্না করেছিল।’
এই ব্যক্তি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ব্যবসার জন্য বড় সমস্যা হলো, ইতিমধ্যে সরবরাহ করা পণ্যের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
গৌণ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শিথিল করা হলে রাশিয়ার বিকল্প অর্থ প্রদানের মাধ্যম ‘মির’ কার্ড গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সার্বভৌম সম্পদ জব্দ করেছে, যার বেশির ভাগ ইউরোপে সংরক্ষিত। মার্কো রুবিও বুধবার বলেছেন, ‘ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনার টেবিলে থাকবে, আর জব্দকৃত সম্পদের কী হবে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
শিল্প খাতের একটি সূত্র জানিয়েছে, বরফাচ্ছন্ন সাগরে চলতে সক্ষম এমন জ্বালানিবাহী ট্যাংকার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এটি মূলত নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে অর্থ প্রদানের সমস্যার আরও একটি প্রতিফলন। আপর একটি সূত্র বলেছে, ‘জো বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিকে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার ছায়া বহরের জাহাজ, বড় তেল অনুসন্ধান কোম্পানি ও তেল ব্যবসার নেটওয়ার্কের ওপর দেওয়া হয়েছিল, তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ছিল।’
তবে সবাই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আশা করছে না। রাশিয়ার বৃহত্তম ব্যাংক সবারব্যাংকের প্রধান নির্বাহী জার্মান গ্রেফ বলেছেন, তাঁর ব্যাংক ধরে নিয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা হয়তো আরও কঠোর হবে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের বোর্ডের উপপ্রধান এদুয়ার্দ গুদকভ গত মাসে বলেছিলেন, ‘কেউ যেন এটা না ভাবে যে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কমলে আমাদের পরিস্থিতিও সহজ হয়ে যাবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কোন কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো উচিত, সে বিষয়ে রুশ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব জানতে চেয়েছে মস্কো। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুশ কোম্পানিগুলোর ওপর যে বিধিনিষেধ আছে, সেটিই সবচেয়ে ক্ষতিকর।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মঙ্গলবার বলেছেন, ‘বল এখন রাশিয়ার কোর্টে।’ কারণ, ওয়াশিংটন কিয়েভকে আবারও সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় দেওয়া শুরু করতে রাজি হয়েছে, আর ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা বলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় রাজি না হয়, তাহলে দেশটির ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। রুশ শিল্প খাতের দুটি সূত্র জানিয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চাইছে, কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় একটি ফরম বিতরণ করছে, যেখানে ব্যবসায়ীদের বলতে বলা হয়েছে, কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের ব্যবসাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল বিধিনিষেধগুলো কী। রুশ শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাশিয়ার বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মী, পরামর্শক, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং উপদেষ্টাসহ মোট ১২ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তাদের অধিকাংশই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। তাঁরা রয়টার্সকে বলেছেন, অর্থ প্রদানের সমস্যা সবচেয়ে কষ্টকর। তবে তিনটি সূত্র জ্বালানি খাতের নিষেধাজ্ঞাকেও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেছে, বিশেষ করে রাশিয়ার তেলবাহী ট্যাংকার বহরের ওপর বিধিনিষেধ।
একজন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক লেনদেনের খরচ ও তৃতীয় মুদ্রার মাধ্যমে নিষ্পত্তির কারণে সবকিছু অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে বিপজ্জনক, সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হলো ডলারে নিষ্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা।’ কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে চায় রাশিয়া—এই প্রশ্নের জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বলেছে, তারা সব নিষেধাজ্ঞাকেই অবৈধ মনে করে এবং সবকিছু প্রত্যাহার করা উচিত।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যেখানে বিস্তারিত বিষয়গুলোর আলোচনা চলছে, সেখানে আমি আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই: আমরা আগেভাগে কিছু বলতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার আগে নির্দিষ্ট খাতের নাম ঘোষণা করা অর্থহীন।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পরপরই বড় রুশ ব্যাংকগুলোকে বৈশ্বিক অর্থ প্রদান নেটওয়ার্ক সুইফট (SWIFT) থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ডলার ও ইউরো বাজারে প্রবেশাধিকার না থাকায়, রুশ কোম্পানিগুলো অন্যান্য মুদ্রা এবং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বিকল্প উপায় খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
তিনটি সূত্র বলেছে, ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে তা রাশিয়ার জন্য বিশাল সুবিধা বয়ে আনবে, যদিও একজন মনে করেন, এতটা অনুকূল ফলাফল শিগগিরই আশা করা অবাস্তব। রেনেসাঁ ক্যাপিটালের বিশ্লেষক আন্দ্রে মেলাশচেঙ্কো বলেন, ইউরোপ যে কোনো মার্কিন সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে এমন নিশ্চয়তা নেই।
মেলাশচেঙ্কো বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও তা ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেবে না বা সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করবে না, যার ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে কমিশনভিত্তিক আয়ের পুনরুদ্ধার সীমিতই থাকবে।’
দুটি সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় দেশের কোম্পানিগুলোর ওপর দেওয়া গৌণ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ কমানোর সম্ভাবনাই বাস্তবসম্মত। চীনা কিছু ব্যাংক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না, ফলে অর্থ প্রদানে জটিলতা তৈরি হচ্ছে এবং নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।
একজন বলেছেন, ‘বিকল্প উপায়গুলো ব্যয়বহুল ও ধীর গতির। চীন বা আমিরাত থেকে আমরা যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি আনতে পারি, কিন্তু কীভাবে অর্থ পরিশোধ করব?’ আরেকজন বলেছেন, ‘চীন গত বছরের আগস্টে নিষ্পত্তি ব্যবস্থা কঠোর করার পর আমাদের ব্যবসা সত্যিকার অর্থেই কান্না করেছিল।’
এই ব্যক্তি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ব্যবসার জন্য বড় সমস্যা হলো, ইতিমধ্যে সরবরাহ করা পণ্যের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
গৌণ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শিথিল করা হলে রাশিয়ার বিকল্প অর্থ প্রদানের মাধ্যম ‘মির’ কার্ড গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সার্বভৌম সম্পদ জব্দ করেছে, যার বেশির ভাগ ইউরোপে সংরক্ষিত। মার্কো রুবিও বুধবার বলেছেন, ‘ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনার টেবিলে থাকবে, আর জব্দকৃত সম্পদের কী হবে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
শিল্প খাতের একটি সূত্র জানিয়েছে, বরফাচ্ছন্ন সাগরে চলতে সক্ষম এমন জ্বালানিবাহী ট্যাংকার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এটি মূলত নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে অর্থ প্রদানের সমস্যার আরও একটি প্রতিফলন। আপর একটি সূত্র বলেছে, ‘জো বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিকে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার ছায়া বহরের জাহাজ, বড় তেল অনুসন্ধান কোম্পানি ও তেল ব্যবসার নেটওয়ার্কের ওপর দেওয়া হয়েছিল, তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ছিল।’
তবে সবাই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আশা করছে না। রাশিয়ার বৃহত্তম ব্যাংক সবারব্যাংকের প্রধান নির্বাহী জার্মান গ্রেফ বলেছেন, তাঁর ব্যাংক ধরে নিয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা হয়তো আরও কঠোর হবে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের বোর্ডের উপপ্রধান এদুয়ার্দ গুদকভ গত মাসে বলেছিলেন, ‘কেউ যেন এটা না ভাবে যে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কমলে আমাদের পরিস্থিতিও সহজ হয়ে যাবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কোন কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো উচিত, সে বিষয়ে রুশ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব জানতে চেয়েছে মস্কো। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুশ কোম্পানিগুলোর ওপর যে বিধিনিষেধ...
১৪ মার্চ ২০২৫
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কোন কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো উচিত, সে বিষয়ে রুশ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব জানতে চেয়েছে মস্কো। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুশ কোম্পানিগুলোর ওপর যে বিধিনিষেধ...
১৪ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কোন কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো উচিত, সে বিষয়ে রুশ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব জানতে চেয়েছে মস্কো। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুশ কোম্পানিগুলোর ওপর যে বিধিনিষেধ...
১৪ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কোন কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো উচিত, সে বিষয়ে রুশ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব জানতে চেয়েছে মস্কো। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুশ কোম্পানিগুলোর ওপর যে বিধিনিষেধ...
১৪ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে