ইউক্রেনের কয়েক হাজার সেনা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান শুরু করে গত বছরের গ্রীষ্মকালে। প্রাথমিকভাবে তারা কিছু অগ্রগতি অর্জন করলেও সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের অবশিষ্ট সেনাদের ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনারা। উন্মুক্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য ও স্যাটেলাইট চিত্র থেকে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কুরস্কে আক্রমণ করেছিল। সে সময় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, রাশিয়ার অঞ্চল দখল করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য সেটিকে লিভারেজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এই ঘিরে ফেলার বিষয়টি কিয়েভের জন্য এক বড় ধাক্কা।
উন্মুক্ত সূত্র থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্র থেকে দেখা গেছে, গত তিন দিনে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়েছে। রাশিয়ার বাহিনী সম্মিলিত পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে ক্রমাগত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে চলেছে। রুশ বাহিনীর আক্রমণে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং কিয়েভের বাহিনীর মূল অংশটিকে প্রধান সরবরাহ লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধ করার কয়েক দিনের মাথায় ইউক্রেন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়ল। এর ফলে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর এবং মানসিকভাবে কঠিন একটি পশ্চাৎপসরণ করতে হতে পারে। নইলে, ধরা পড়া বা নিহত হওয়ার ঝুঁকি আছে তাদের।
রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের এই বিপর্যয় এমন এক সময়ে ঘটল যখন মস্কোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কেবল রাজনৈতিক চাপ নয়, একই সময়ে রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের অভ্যন্তরেও রণক্ষেত্রের কিছু অংশে এগিয়ে চলেছে, যদিও ইউক্রেনীয় বাহিনী কোথাও কোথাও পাল্টা লড়াই চালাচ্ছে। তবে তা আশাব্যঞ্জক নয়।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক ব্ল্যাক বার্ড গ্রুপের সামরিক বিশ্লেষক পাসি পারোইনেন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের জন্য কুরস্কের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। যেকোনো ইউক্রেনীয় বাহিনী হয় ঘেরাও হয়ে যাবে অথবা পশ্চাৎপসরণে বাধ্য হবে। পশ্চাৎপসরণের অর্থ হবে এক বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া, যেখানে বাহিনী ক্রমাগত রুশ ড্রোন ও আর্টিলারির হামলার মুখে থাকবে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী থেকে এখনো রাশিয়ার আক্রমণের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ আসেনি। উভয় পক্ষই যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবর্তনগুলো বিলম্বে প্রকাশ করে থাকে।
আরেক সামরিক বিশ্লেষক ইয়ান মাতভেইভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শত্রুর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রাখার পক্ষে একমাত্র যুক্তি হলো রাজনৈতিক এবং এটিকে আলোচনার জন্য ব্যবহার করা।’
১৯৪১ সালে নাৎসি জার্মানির সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের পর রুশ ভূখণ্ডে সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণ ছিল গত বছরে ইউক্রেনের কুরস্ক আক্রমণ। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ রাশিয়ানদেরও যুদ্ধের মুখোমুখি করা, যাদের ক্রেমলিন ইউক্রেনের অভ্যন্তরে চলমান যুদ্ধের প্রভাব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার বাহিনীকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড রক্ষায় সম্পদ বরাদ্দ করতে বাধ্য করে পূর্বে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ওপর চাপ কমানো এবং ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনায় কিয়েভের জন্য একটি সম্ভাব্য লিভারেজ দেওয়া।
ইউক্রেনের একটি রিয়েল টাইম সামরিক ব্লগ সাইট ‘রিসোর্স ডিপ স্টেটের’ ওপেন সোর্স ম্যাপিং শুক্রবার দেখিয়েছে যে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এখন প্রায় সম্পূর্ণরূপে ঘেরাও হয়ে পড়েছে। এটি দেখায় যে, তারা রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত অবশিষ্ট ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে একটি সংকীর্ণ করিডর দ্বারা যুক্ত। এই করিডর প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০০ মিটারেরও কম চওড়া। রাশিয়ার বাহিনী সেটিও কেটে ফেলার চেষ্টা করছে।
ডিপ স্টেট বৃহস্পতিবার রাতে বলেছে, রাশিয়ার বাহিনী কুরিলোভকা বসতির কাছে এগিয়ে গেছে। শুক্রবার প্রকাশিত এক আপডেটে তারা বলেছে, রাশিয়ার বাহিনী সুমি অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় ইউক্রেনের অবস্থানের ওপর চাপ দিচ্ছে এবং কুরস্কের অভ্যন্তরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের কয়েক হাজার সেনা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান শুরু করে গত বছরের গ্রীষ্মকালে। প্রাথমিকভাবে তারা কিছু অগ্রগতি অর্জন করলেও সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের অবশিষ্ট সেনাদের ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনারা। উন্মুক্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য ও স্যাটেলাইট চিত্র থেকে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কুরস্কে আক্রমণ করেছিল। সে সময় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, রাশিয়ার অঞ্চল দখল করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য সেটিকে লিভারেজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এই ঘিরে ফেলার বিষয়টি কিয়েভের জন্য এক বড় ধাক্কা।
উন্মুক্ত সূত্র থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্র থেকে দেখা গেছে, গত তিন দিনে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়েছে। রাশিয়ার বাহিনী সম্মিলিত পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে ক্রমাগত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে চলেছে। রুশ বাহিনীর আক্রমণে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং কিয়েভের বাহিনীর মূল অংশটিকে প্রধান সরবরাহ লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধ করার কয়েক দিনের মাথায় ইউক্রেন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়ল। এর ফলে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর এবং মানসিকভাবে কঠিন একটি পশ্চাৎপসরণ করতে হতে পারে। নইলে, ধরা পড়া বা নিহত হওয়ার ঝুঁকি আছে তাদের।
রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের এই বিপর্যয় এমন এক সময়ে ঘটল যখন মস্কোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কেবল রাজনৈতিক চাপ নয়, একই সময়ে রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের অভ্যন্তরেও রণক্ষেত্রের কিছু অংশে এগিয়ে চলেছে, যদিও ইউক্রেনীয় বাহিনী কোথাও কোথাও পাল্টা লড়াই চালাচ্ছে। তবে তা আশাব্যঞ্জক নয়।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক ব্ল্যাক বার্ড গ্রুপের সামরিক বিশ্লেষক পাসি পারোইনেন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের জন্য কুরস্কের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। যেকোনো ইউক্রেনীয় বাহিনী হয় ঘেরাও হয়ে যাবে অথবা পশ্চাৎপসরণে বাধ্য হবে। পশ্চাৎপসরণের অর্থ হবে এক বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া, যেখানে বাহিনী ক্রমাগত রুশ ড্রোন ও আর্টিলারির হামলার মুখে থাকবে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী থেকে এখনো রাশিয়ার আক্রমণের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ আসেনি। উভয় পক্ষই যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবর্তনগুলো বিলম্বে প্রকাশ করে থাকে।
আরেক সামরিক বিশ্লেষক ইয়ান মাতভেইভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শত্রুর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রাখার পক্ষে একমাত্র যুক্তি হলো রাজনৈতিক এবং এটিকে আলোচনার জন্য ব্যবহার করা।’
১৯৪১ সালে নাৎসি জার্মানির সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের পর রুশ ভূখণ্ডে সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণ ছিল গত বছরে ইউক্রেনের কুরস্ক আক্রমণ। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ রাশিয়ানদেরও যুদ্ধের মুখোমুখি করা, যাদের ক্রেমলিন ইউক্রেনের অভ্যন্তরে চলমান যুদ্ধের প্রভাব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার বাহিনীকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড রক্ষায় সম্পদ বরাদ্দ করতে বাধ্য করে পূর্বে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ওপর চাপ কমানো এবং ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনায় কিয়েভের জন্য একটি সম্ভাব্য লিভারেজ দেওয়া।
ইউক্রেনের একটি রিয়েল টাইম সামরিক ব্লগ সাইট ‘রিসোর্স ডিপ স্টেটের’ ওপেন সোর্স ম্যাপিং শুক্রবার দেখিয়েছে যে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এখন প্রায় সম্পূর্ণরূপে ঘেরাও হয়ে পড়েছে। এটি দেখায় যে, তারা রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত অবশিষ্ট ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে একটি সংকীর্ণ করিডর দ্বারা যুক্ত। এই করিডর প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০০ মিটারেরও কম চওড়া। রাশিয়ার বাহিনী সেটিও কেটে ফেলার চেষ্টা করছে।
ডিপ স্টেট বৃহস্পতিবার রাতে বলেছে, রাশিয়ার বাহিনী কুরিলোভকা বসতির কাছে এগিয়ে গেছে। শুক্রবার প্রকাশিত এক আপডেটে তারা বলেছে, রাশিয়ার বাহিনী সুমি অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় ইউক্রেনের অবস্থানের ওপর চাপ দিচ্ছে এবং কুরস্কের অভ্যন্তরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
ইংল্যান্ডের এসেক্সের হ্যাভারিং-অ্যাট-বাওয়ার গ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বাজপাখির ত্রাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। ইতিমধ্যে স্কুলটির মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজ থেকে ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাঁদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।
৭ ঘণ্টা আগেনেদারল্যান্ডসের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে একটি বিরল উনিশ শতকের কনডম। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে খোদাই করা রয়েছে তিনজন ধর্মযাজকের সঙ্গে একজন নানের সঙ্গম মুহূর্তের নগ্ন ছবি।
৮ ঘণ্টা আগেক্রিমিয়ার কের্চ সেতুতে আবারও সাহসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) জানিয়েছে, কয়েক মাসের গোপন পরিকল্পনার পর এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে পানির নিচে স্থাপন করা বিস্ফোরক দিয়ে সেতুটির কাঠামোগত স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে