ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-১ এ গ্যাস সরবরাহ আগেই কমিয়েছিল রাশিয়া। আজ বুধবার এই সরবরাহ মূল সক্ষমতার এক-পঞ্চমাংশে নেমে আসে। এ অবস্থায় গ্রাহকদের মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। শুধু জার্মানি নয়, সতর্ক অবস্থায় রয়েছে গোটা ইউরোপ। তারা মূলত আসন্ন শীত নিয়েই বেশি চিন্তিত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার নর্ড স্ট্রিম-১ এর মধ্য দিয়ে গ্যাস সরবরাহ আরও কমিয়ে দেয় রাশিয়া। এ অবস্থায় দেশটির জনগণের প্রতি গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে গ্যাসের ব্যবহার কমাতে এবং গ্যাস মজুতের অনুরোধ করেছে জার্মানির গ্যাস নিয়ন্ত্রক নেটওয়ার্ক।
দুদিন ধরে গ্যাসের প্রবাহ কম জানিয়ে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় গ্যাজপ্রম। এতে জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করা ইউরোপে বড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপে রুশ গ্যাস রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশই হয় এই নর্ড স্ট্রিম দিয়ে।
বুধবার নর্ড স্ট্রিম ১ দিয়ে ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ হয়েছে, যা আগের দিনই ছিল ২৮ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা। গ্যাস সরবরাহের এই হার এই পাইপলাইনের স্বাভাবিক সক্ষমতার ৪০ শতাংশ।
এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো কম সরবরাহে টিকে থাকার লক্ষ্যে একটি জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মূল লক্ষ্য, মস্কো কখনো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যেন টিকে থাকা যায়। ইউরোপের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আসন্ন শীতকাল। শীতে নিজের নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে গ্যাস সরবরাহ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে এমনকি রেশনিংয়ের কথাও ভাবা হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের মূল ভয় এখন শীত নিয়ে। তাদের আশঙ্কা, আসন্ন শীতে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। এমনটি হলে জার্মান অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে, যা দ্রব্যমূল্যকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাবে। গ্যাস সংকটের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে নেদারল্যান্ডসে। দেশটিতে গ্যাসের দাম বর্তমানে ২০৫ ইউরোতে গিয়ে ঠেকেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১২ শতাংশ বেশি।
জার্মানি বিশেষ সতর্কতা হিসেবে শীতের আগেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ফেরার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার। এদিকে জার্মানির বৃহত্তম গ্যাস আমদানিকারক কোম্পানি ইউনিপার বলেছে, তারা গ্যাজপ্রম থেকে প্রতিশ্রুত গ্যাসের এক-পঞ্চমাংশ পাচ্ছে। এ জন্য তারা রাশিয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে।
এ বিষয়ে রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার বিশ্লেষক রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ মূল সক্ষমতার ২০ থেকে ৫০ শতাংশে নেমে এলেও শীতকাল কাটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা সহায়ক হতে পারে। একই সঙ্গে রুশ গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে রাজনীতিকদের যে আত্মতুষ্টি, সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।
রাশিয়া সরবরাহ কমার পেছনে প্রযুক্তিগত কারণের কথা বললেও ইউরোপ একে দেখছে অন্যভাবে। তারা মনে করছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাশিয়া জ্বালানিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ইউক্রেন ইস্যুতে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে এটি তাদের সুচিন্তিত পদক্ষেপ বলেও মনে করছে তারা।
এ বিষয়ে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রয়টার্সকে বলেন, সংকটের মধ্যেও ইউরোপে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করে আসছিল গ্যাজপ্রম। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সরঞ্জাম-সংশ্লিষ্ট কিছু জটিলতা তৈরি হওয়ায় এখন এর চেয়ে বেশি আর রপ্তানি করতে পারছে না।
ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-১ এ গ্যাস সরবরাহ আগেই কমিয়েছিল রাশিয়া। আজ বুধবার এই সরবরাহ মূল সক্ষমতার এক-পঞ্চমাংশে নেমে আসে। এ অবস্থায় গ্রাহকদের মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। শুধু জার্মানি নয়, সতর্ক অবস্থায় রয়েছে গোটা ইউরোপ। তারা মূলত আসন্ন শীত নিয়েই বেশি চিন্তিত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার নর্ড স্ট্রিম-১ এর মধ্য দিয়ে গ্যাস সরবরাহ আরও কমিয়ে দেয় রাশিয়া। এ অবস্থায় দেশটির জনগণের প্রতি গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে গ্যাসের ব্যবহার কমাতে এবং গ্যাস মজুতের অনুরোধ করেছে জার্মানির গ্যাস নিয়ন্ত্রক নেটওয়ার্ক।
দুদিন ধরে গ্যাসের প্রবাহ কম জানিয়ে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় গ্যাজপ্রম। এতে জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করা ইউরোপে বড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপে রুশ গ্যাস রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশই হয় এই নর্ড স্ট্রিম দিয়ে।
বুধবার নর্ড স্ট্রিম ১ দিয়ে ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ হয়েছে, যা আগের দিনই ছিল ২৮ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা। গ্যাস সরবরাহের এই হার এই পাইপলাইনের স্বাভাবিক সক্ষমতার ৪০ শতাংশ।
এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো কম সরবরাহে টিকে থাকার লক্ষ্যে একটি জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মূল লক্ষ্য, মস্কো কখনো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যেন টিকে থাকা যায়। ইউরোপের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আসন্ন শীতকাল। শীতে নিজের নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে গ্যাস সরবরাহ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে এমনকি রেশনিংয়ের কথাও ভাবা হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের মূল ভয় এখন শীত নিয়ে। তাদের আশঙ্কা, আসন্ন শীতে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। এমনটি হলে জার্মান অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে, যা দ্রব্যমূল্যকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাবে। গ্যাস সংকটের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে নেদারল্যান্ডসে। দেশটিতে গ্যাসের দাম বর্তমানে ২০৫ ইউরোতে গিয়ে ঠেকেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১২ শতাংশ বেশি।
জার্মানি বিশেষ সতর্কতা হিসেবে শীতের আগেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ফেরার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার। এদিকে জার্মানির বৃহত্তম গ্যাস আমদানিকারক কোম্পানি ইউনিপার বলেছে, তারা গ্যাজপ্রম থেকে প্রতিশ্রুত গ্যাসের এক-পঞ্চমাংশ পাচ্ছে। এ জন্য তারা রাশিয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে।
এ বিষয়ে রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার বিশ্লেষক রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ মূল সক্ষমতার ২০ থেকে ৫০ শতাংশে নেমে এলেও শীতকাল কাটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা সহায়ক হতে পারে। একই সঙ্গে রুশ গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে রাজনীতিকদের যে আত্মতুষ্টি, সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।
রাশিয়া সরবরাহ কমার পেছনে প্রযুক্তিগত কারণের কথা বললেও ইউরোপ একে দেখছে অন্যভাবে। তারা মনে করছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাশিয়া জ্বালানিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ইউক্রেন ইস্যুতে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে এটি তাদের সুচিন্তিত পদক্ষেপ বলেও মনে করছে তারা।
এ বিষয়ে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রয়টার্সকে বলেন, সংকটের মধ্যেও ইউরোপে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করে আসছিল গ্যাজপ্রম। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সরঞ্জাম-সংশ্লিষ্ট কিছু জটিলতা তৈরি হওয়ায় এখন এর চেয়ে বেশি আর রপ্তানি করতে পারছে না।
অ্যাপল ভারতে আইফোন ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদন করুক তা চান না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় এক সম্মেলনে তিনি টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুককে এই কথা বলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসৌস’-এর সাফল্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ‘এবার ভারতের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বদলা নিয়েছে।’ গতকাল বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটে এক সেনানিবাসে তিনি এই কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছে এবং তেহরান শর্তাবলিতে ‘এক প্রকার’ রাজি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে এই গোলাগুলিতে অন্তত ১ জন নিহত হয়েছে। টানা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে এই গোলাগুলি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে