Ajker Patrika

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও অন্যান্য মতপার্থক্য নিরসনে একমত রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র

সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও অন্যান্যদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান বিন ফয়সাল। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও অন্যান্যদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান বিন ফয়সাল। ছবি: এএফপি

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান ও সম্পর্ক দ্রুত স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে ‘ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে তোলার’ বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই সুপারপাওয়ার রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর দুই দেশের মধ্যে এই প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হলো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সাড়ে চার ঘণ্টার আলোচনা শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, উভয় পক্ষ ‘উচ্চপর্যায়ের দল’ গঠন করবে। এই দলটি যুদ্ধ অবসানের উপায় খুঁজবে এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো সমাধানের জন্য কূটনৈতিক যোগযোগ প্রতিষ্ঠা করবে।

রিয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আলোচনার বিষয়ে ওয়াল্টজ বলেন, ‘অবশ্যই স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটানো উচিত, সাময়িক সমাপ্তি নয়—যেমনটা আমরা অতীতে দেখেছি।’

মঙ্গলবার রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রথম সরাসরি মার্কিন-রুশ আলোচনা। এমন এক দৃশ্য যা কয়েক সপ্তাহ আগেও কল্পনাতীত ছিল। বৈঠক চলাকালে সৌদি আরবের বিলাসবহুল প্রাসাদের সামনে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পাশাপাশি উড়ছিল।

ওয়াল্টজ বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, সেখানে ভূখণ্ডের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হবে, এগুলো একেবারে মৌলিক বিষয়।’ তিনি আরও জানান, ট্রাম্প ‘খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নতুন এই কূটনৈতিক চ্যানেল যুদ্ধোত্তর সময়ে ‘পারস্পরিক ভূরাজনৈতিক স্বার্থ এবং ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগের সুযোগ’ তৈরির ভিত্তি গড়ে তুলবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য এসেছে।

রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান নির্বাহী কিরিল দিমিত্রিয়েভ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, উভয় পক্ষ ‘যেসব ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে সেগুলোতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন নিয়ে আলোচনা করেছে।’

রিয়াদে আলোচনার সময় উপস্থিত থাকা দিমিত্রিয়েভ বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালেও জানান, এতে ‘বিভিন্ন কোম্পানিতে যৌথ বিনিয়োগ, মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ কোম্পানি তৈরি এবং আর্কটিকে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

মার্কিন-রুশ সম্পর্কের এই নতুন মোড় ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে, কারণ এতে বোঝা যাচ্ছে ট্রাম্প মস্কোর শর্তেই যুদ্ধ নিষ্পত্তি করতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে মঙ্গলবারের আলোচনার আগেই পুতিনের কিছু মূল দাবির কাছে নতি স্বীকার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ অর্জন এবং রাশিয়া-অধিকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য ‘বাস্তবসম্মত নয়।’

রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধের ‘প্রাথমিক কারণগুলোর নিষ্পত্তি’ এবং ‘অঞ্চলের সব দেশের আইনগত স্বার্থ রক্ষা’ করা জরুরি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, ক্রেমলিন এখনো ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকা দখলের লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি এবং দেশটিকে কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকা অসম্ভব করে তুলতে চায়।

রাশিয়া আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ন্যাটোর ২০০৮ সালের ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার উন্মুক্ত আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

মঙ্গলবারের মার্কিন-রুশ আলোচনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন এবং এই বৈঠককে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে উল্লেখ করেন।

পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের শর্ত তৈরি করতে উভয় পক্ষ কাজ করবে। তবে তিনি জানান, ‘গভীরভাবে কাজ’ করার প্রয়োজন থাকায় এই বৈঠক আগামী সপ্তাহে হবে না।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানান, উভয় পক্ষ দ্রুত একে অপরের রাজধানীতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা এবং বাইডেন প্রশাসন দ্বারা আরোপিত কূটনৈতিক বাধাগুলো দূর করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এসব বাধার মধ্যে রয়েছে কূটনীতিকদের বহিষ্কার, আমাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং ব্যাংকিং লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা। আমাদের উপদেষ্টারা শিগগিরই বৈঠক করবেন এসব বাধা অপসারণের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন করতে।’

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে রাশিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে, যা মস্কোর অন্যতম প্রধান দাবি।

বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্বেগ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও আলোচনায় আসতে হবে, কারণ তারাও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’ রাশিয়া কী ধরনের ছাড় দেবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো কঠিন ও জটিল কূটনীতি, যা দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ দরজার পেছনে চলবে।’ তিনি আরও বলেন করেন, ‘এখানে কাউকে পাশ কাটানো হচ্ছে না।’

রুবিও ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। মুখপাত্র বলেন, ‘এই দল একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে, যাতে ইউক্রেন যুদ্ধের একটি টেকসই সমাপ্তি নিশ্চিত করা যায়।’

মার্কিন-রুশ আলোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরোপের নেতারা বুধবার একটি জরুরি বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা এই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। এই বৈঠক মূলত তাদের জন্য, যারা সোমবারের সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়নি, যেখানে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে বিতর্ক হয়। যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী হিসেবে ‘সেনা পাঠানোর’ প্রস্তাব দিলেও জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড ও স্পেন এ বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।

লাভরভ মঙ্গলবার বলেন, ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী মোতায়েন ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং তিনি দাবি করেন যে রাশিয়া বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় না।

ওয়াল্টজ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ‘শাটল কূটনীতি’ (সাধারণত যখন কোনো কূটনৈতিক আলোচনা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়) পরিচালনা করছে এবং জেলেনস্কি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে আলোচনা করেছে। আর ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ‘মিত্রদের রিয়াদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করা হয়নি’—এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

মঙ্গলবারের আলোচনার সময় জেলেনস্কি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরদোয়ান এর আগেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের বাদ দিয়ে গোপনে শান্তি চুক্তি করা হোক, আমরা তা চাই না। ইউক্রেন ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিলিস্তিন সংকট: অবশেষে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মত হামাস

এএফপি, কায়রো
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।

হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।

গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।

এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।

এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।

ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তির সমর্থক, অভিযোগ অ্যান্ড্রু কুমোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’

কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’

কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’

কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফ্রান্সে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এই প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।

রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।

প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।

তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৪১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।

ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।

ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত