Ajker Patrika

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান পোপের, প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান পোপের, প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কিয়েভকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা আহ্বান জানিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তবে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা পৃথক মন্তব্যে পোপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, যখন একটি সংঘাতের কারণে একটি পক্ষের জন্য পরিস্থিতি খারাপ হতে চলেছে তখন কাউকে না কাউকে শান্তির ‘সাদা পতাকা উত্তোলনের সাহস’ দেখাতে হবে, আলোচনা করতে হবে। এর আগেও, তিনি একাধিকবার দুই দেশের সরাসরি আলোচনার প্রয়োজনীয়তার প্রতি জোর আরোপ করেছেন। 

সুইজারল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম আরটিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউক্রেনের রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। গত শনিবার প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, সবচেয়ে শক্তিশালী তারাই যারা পরিস্থিতি দেখে, জনগণের কথা চিন্তা করে এবং সাদা পতাকা উত্থাপন করার ও আলোচনা করার সাহস রাখে।’ 

তবে পোপের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তবে তিনি এ ক্ষেত্রে সরাসরি পোপের নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা প্রার্থনা, তাদের আলোচনা ও কাজের মাধ্যমে আমাদের সমর্থন করে এবং একটি গির্জার সত্যিকার কাজ মানুষের জন্য এমনটাই হওয়া উচিত।’ 

এ সময় তিনি কিয়েভ থেকে ভ্যাটিকানের দূরত্বের বিষয়টি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘কিন্তু ২৫০০ কিলোমিটার দূরে বসে যারা বাঁচতে চায় আর যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায় তাদের মধ্যে ভার্চুয়াল মধ্যস্থতা করা তাদের কাজ নয়।’ 
 
জেলেনস্কির মতো একই সুরে কথা বলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘শক্তিশালী ব্যক্তিরা কোনো বিবাদের সময় ভালোর পক্ষে দাঁড়ায়। বিবাদের কোনো একটি পক্ষকে আলোচনার নামে কোনো নেতিবাচক জায়গায় ঠেলে পাঠায় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি পৌঁছাল বিমানবাহী রণতরীসহ এক মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে, কেবল এই জাহাজই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলের আশপাশে মোতায়েন করেছেন মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর ষষ্ঠ নৌবহরের প্রাণ ভোমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড। অবশ্য পুরো ষষ্ঠ নৌবহর ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্রেভলি ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে পৌঁছায়। এতে মার্কিন মেরিন সদস্যরাও ছিলেন। তারা পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। যুদ্ধজাহাজটিতে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি হেলিকপ্টারও পরিচালনা করতে পারে। সম্প্রতি এটি মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল।

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এই জাহাজের আগমন ঘটল এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহে ওয়াশিংটন ওই অঞ্চলে একাধিক বিতর্কিত ও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘মাদকবাহী নৌকা’ লক্ষ্য করে চালানো অভিযান বলে দাবি করেছে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ওই অঞ্চলে মোতায়েন করছে। এতে দুই দেশের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান আরও তীব্র হয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ তৈরি করার’ অভিযোগ তুলেছেন।

কোনো প্রমাণ না দেখিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সংগঠিত অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। পোর্ট অব স্পেন থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক জুলিয়া গালিয়ানো জানান, ত্রিনিদাদ সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাইছে যে যুদ্ধজাহাজটির আগমনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আল–জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরনের যৌথ সামরিক কার্যক্রম নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হয় এবং এবারও এটি কোনো যুদ্ধের পূর্বাভাস নয়। তবে গালিয়ানো বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে ‘অনেকটা সংশয় ও উদ্বেগ’ দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘বাজারে আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন—এটি দেশের জন্য কী অর্থ বহন করতে পারে, তা ভেবে তারা আতঙ্কিত।’

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জাভেদ আলী আল–জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখানে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে, যার লক্ষ্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’ তিনি যোগ করেন, ‘হোয়াইট হাউস কী ভাবছে তা বোঝা কঠিন। তবে এই সামরিক উপস্থিতি ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণের জন্য যথেষ্ট বড় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী যুদ্ধের ধরন দেখলে বোঝা যায়, এত ক্ষুদ্র উপস্থিতি নিয়ে তারা কখনো যুদ্ধ শুরু করে না।’

মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র আগস্টে ওই অঞ্চলে আটটি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন পাঠিয়েছিল—১৯৮৯ সালে পানামা আক্রমণের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ। শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো জানান, তাদের দেশ ‘বৃহৎ পরিসরের সামরিক হুমকি’ মোকাবিলায় উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি, যে শর্ত দিল গোষ্ঠীটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘দখলদারত্বের অবসান হলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

তবে আল-হাইয়া কোন কোন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কোনো নতুন বা এখনো গঠিত না হওয়া ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয় হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।

গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।

এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।

এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।

ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান, এর মধ্যেই নতুন সংঘর্ষে নিহত ৩০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।

গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিবিসির সাক্ষাৎকার

আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চান কমলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’

সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’

উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’

মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’

হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’

সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত