
ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যে পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পদত্যাগ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুনিরা মির্জা। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন তিনি। বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও ক্ষমা না চাওয়ায় জনসনের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। পদত্যাগপত্রে সে বিষয়টিই স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন।
১৪ বছর ধরে বরিস জনসনের পাশে ছিলেন মুনিরা মির্জা। লন্ডনের মেয়র, ব্রেক্সিটের শীর্ষ প্রচারক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার এই দীর্ঘ যাত্রায় বরিসকে সার্বক্ষণিক সঙ্গ দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মোক্ষম পরামর্শের উৎস ছিলেন। সেই সঙ্গে বরিসকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো মেরুদণ্ডও ছিল তাঁর।
এই ঘনিষ্ঠতা ও রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার কারণে মুনিরা মির্জা ‘বরিসের মস্তিষ্ক’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। অথচ শৈশব থেকে তারুণ্য পর্যন্ত রক্ষণশীলদের কাছ থেকে একশ হাত দূরে ছিলেন। সক্রিয় কমিউনিস্ট কর্মী ছিলেন তিনি।
ওল্ডহামে বেড়ে ওঠা এক কারখানা শ্রমিকের মেয়ে মুনিরা। এখন তাঁর বয়স ৪৩ বছর। সেই মুনিরা ওল্ড ইটোনিয়ার বরিস জনসনের কাছে একেবারে ভিন্ন পটভূমি নিয়ে এভাবে হাজির হবেন তা হয়তো কেউ কল্পনা করেননি কখনো!
ক্ষমতাবান ব্যক্তির উপদেষ্টা বলতে সাধারণত যে ছবি মানুষের চোখে ভেসে ওঠে মুনিরা তেমনটি ছিলেন না। তিনি অলক্ষ্যে থাকতেই পছন্দ করেন। ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে থাকা প্রধানমন্ত্রী জনসনের উপদেষ্টার পদ ছাড়ার পরপরই আলোচনায় এসেছেন মুনিরা মির্জা। জনসনের ঘনিষ্ঠ হলেও তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেন না তিনি। তবে ২০১৮ সালে জনসনের পক্ষে একটা নিবন্ধ লিখেছিলেন। বোরকা পরা মুসলিম নারীদের ‘ডাক বাক্সের মতো দেখায়’ এমন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বরিস জনসন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘ইসলামভীতির’ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ওই সময় কনজারভেটিভ পার্টির ওয়েবসাইটে মুনিরা মির্জা লিখেছিলেন, ‘তিনি (বরিস জনসন) ইসলাম এবং ইসলামি সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক বেশি জানেন। যেসব রাজনীতিবিদ এখন তাঁকে আক্রমণ করার জন্য লাইন ধরেছেন তাঁদের চেয়ে এসব বিষয়ে তাঁর জানাশোনা বেশি।’
সম্প্রতি হাউস অব কমনসে স্যার কেয়ার স্টারমারকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তিনি দাবি করেন, পাবলিক প্রসিকিউশনের সাবেক পরিচালক লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার শিশু যৌন নিপীড়ক স্যার জিমি স্যাভিলের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমন একটা নির্জলা মিথ্যা দাবির পরও জনসন কিন্তু ক্ষমা চাননি। এটি মেনে নিতে পারেননি মুনিরা। এবার আর নিজের বসকে রক্ষা করার মতো কোনো কারণ খুঁজে পাননি তিনি।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘এটি রাজনীতির স্বাভাবিক কোনো খোঁচা ছিল না; এটি ছিল শিশু যৌন নির্যাতনের একটি ভয়াবহ মামলার বিষয়ে অনুপযুক্ত এবং পক্ষপাতমূলক বক্তব্য।’
তবে নানামুখী চাপে হতাশায় আচ্ছন্ন জনসনের জন্য অনেক প্রশংসা ও ভালোবাসা যে এখনো পুষে রেখেছেন সেটিও উল্লেখ করেছেন মুনিরা। তিনি লিখেছেন, ‘আপনি অনেক ভালো মানুষ। আপনার অনেক বিরোধী কখনোই সেটা বুঝতে পারবে না। এটা খুবই দুঃখজনক যে আপনি বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে একটি কটূক্তিমূলক অভিযোগ করে নিজেকে ছোট করেছেন।’
লকডাউন চলাকালীন পার্টি করা নিয়ে ব্রিটেনজুড়ে চলমান ক্ষোভের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে পদত্যাগ করা অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের তুলনায় মুনিরা মির্জা জনসনের একটু বেশিই ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
ক্ষমতাবান বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের সাধারণত নিঃসঙ্গ মানুষ বলেই মনে করা হয়। হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও মুনিরা মির্জার চলে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে। রাজনীতি পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ডাউনিং স্ট্রিটের একটি রক্ষণশীল দুনিয়া থেকে একটি ‘স্বাধীন কণ্ঠস্বর’ চলে গেল।
১৯৭৮ সালে পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে আসেন মুনিরা মির্জার বাবা-মা। এখানেই তাঁর জন্ম হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে পড়াশোনা করার আগে বেশ নামি স্কুলে পড়েছেন। সেখানে থাকাকালীন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। কিন্তু বয়স বছর কুড়ির সময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়েন। কট্টর বামদের মধ্যে মুক্তচিন্তার অভাব আছে বলে মনে হয়েছে তাঁর। এই ভাবনা থেকে বাম আন্দোলন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। ওই সময়টাতে একটি আদর্শিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছেন মুনিরা।
কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি সম্পন্ন করার পর থিংক ট্যাংক পলিসি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। কনজারভেটিভ মাইকেল গভ, ফ্রান্সিস মাউড এবং নিক বোলস এই থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
মুনিরা মির্জার এই বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জনসনের নজর কেড়েছিল। লন্ডনের মেয়র থাকাকালে মুনিরাকে শিল্প উপদেষ্টার দায়িত্ব দেন। টেট গ্যালারি এবং রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসে ছিল তাঁর কাজ। পরে তাঁকে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে ডেপুটি মেয়র পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মুনিরা মির্জা কখনো জনসনের পক্ষ ত্যাগ করেননি। ২০১৯ সালে জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মুনিরাকে ডাউনিং স্ট্রিটের নীতি-কৌশল ইউনিটের প্রধান করা হয়।
মুনিরা কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে নির্বাচনে রক্ষণশীলদের ভূমিধস বিজয় হয়। উত্তর ইংল্যান্ড এবং মিডল্যান্ডসে লেবার পার্টির ঐতিহ্যবাহী বহু আসন ছিনিয়ে নেয় কনজারভেটিভরা।
এই বিশাল রাজনৈতিক উচ্চতায় ওঠার পর মাত্র দুই বছরের কিছু বেশি সময় পরেই ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করলেন মুনিরা মির্জা। সে অর্থে কোনো ক্ষোভ নিয়ে যাচ্ছেন না তিনি। শুধু লেবার নেতা স্যার কেয়ারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে অনুশোচনা ও হতাশা থেকে জনসনকে ছেড়ে গেলেন মুনিরা।
পদত্যাগপত্রে তেমনটিই লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে লোকে সরি বললেও ক্ষমা করা হয় না—এটার আমি প্রশংসা করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, এটিই সঠিক কাজ। আপনার জন্য হয়তো এটা খুব বেশি দেরি বলে বিবেচিত হয়নি। কিন্তু আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি যে, আমার জন্য এরই মধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে!’

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যে পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পদত্যাগ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুনিরা মির্জা। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন তিনি। বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও ক্ষমা না চাওয়ায় জনসনের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। পদত্যাগপত্রে সে বিষয়টিই স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন।
১৪ বছর ধরে বরিস জনসনের পাশে ছিলেন মুনিরা মির্জা। লন্ডনের মেয়র, ব্রেক্সিটের শীর্ষ প্রচারক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার এই দীর্ঘ যাত্রায় বরিসকে সার্বক্ষণিক সঙ্গ দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মোক্ষম পরামর্শের উৎস ছিলেন। সেই সঙ্গে বরিসকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো মেরুদণ্ডও ছিল তাঁর।
এই ঘনিষ্ঠতা ও রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার কারণে মুনিরা মির্জা ‘বরিসের মস্তিষ্ক’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। অথচ শৈশব থেকে তারুণ্য পর্যন্ত রক্ষণশীলদের কাছ থেকে একশ হাত দূরে ছিলেন। সক্রিয় কমিউনিস্ট কর্মী ছিলেন তিনি।
ওল্ডহামে বেড়ে ওঠা এক কারখানা শ্রমিকের মেয়ে মুনিরা। এখন তাঁর বয়স ৪৩ বছর। সেই মুনিরা ওল্ড ইটোনিয়ার বরিস জনসনের কাছে একেবারে ভিন্ন পটভূমি নিয়ে এভাবে হাজির হবেন তা হয়তো কেউ কল্পনা করেননি কখনো!
ক্ষমতাবান ব্যক্তির উপদেষ্টা বলতে সাধারণত যে ছবি মানুষের চোখে ভেসে ওঠে মুনিরা তেমনটি ছিলেন না। তিনি অলক্ষ্যে থাকতেই পছন্দ করেন। ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে থাকা প্রধানমন্ত্রী জনসনের উপদেষ্টার পদ ছাড়ার পরপরই আলোচনায় এসেছেন মুনিরা মির্জা। জনসনের ঘনিষ্ঠ হলেও তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেন না তিনি। তবে ২০১৮ সালে জনসনের পক্ষে একটা নিবন্ধ লিখেছিলেন। বোরকা পরা মুসলিম নারীদের ‘ডাক বাক্সের মতো দেখায়’ এমন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বরিস জনসন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘ইসলামভীতির’ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ওই সময় কনজারভেটিভ পার্টির ওয়েবসাইটে মুনিরা মির্জা লিখেছিলেন, ‘তিনি (বরিস জনসন) ইসলাম এবং ইসলামি সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক বেশি জানেন। যেসব রাজনীতিবিদ এখন তাঁকে আক্রমণ করার জন্য লাইন ধরেছেন তাঁদের চেয়ে এসব বিষয়ে তাঁর জানাশোনা বেশি।’
সম্প্রতি হাউস অব কমনসে স্যার কেয়ার স্টারমারকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তিনি দাবি করেন, পাবলিক প্রসিকিউশনের সাবেক পরিচালক লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার শিশু যৌন নিপীড়ক স্যার জিমি স্যাভিলের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমন একটা নির্জলা মিথ্যা দাবির পরও জনসন কিন্তু ক্ষমা চাননি। এটি মেনে নিতে পারেননি মুনিরা। এবার আর নিজের বসকে রক্ষা করার মতো কোনো কারণ খুঁজে পাননি তিনি।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘এটি রাজনীতির স্বাভাবিক কোনো খোঁচা ছিল না; এটি ছিল শিশু যৌন নির্যাতনের একটি ভয়াবহ মামলার বিষয়ে অনুপযুক্ত এবং পক্ষপাতমূলক বক্তব্য।’
তবে নানামুখী চাপে হতাশায় আচ্ছন্ন জনসনের জন্য অনেক প্রশংসা ও ভালোবাসা যে এখনো পুষে রেখেছেন সেটিও উল্লেখ করেছেন মুনিরা। তিনি লিখেছেন, ‘আপনি অনেক ভালো মানুষ। আপনার অনেক বিরোধী কখনোই সেটা বুঝতে পারবে না। এটা খুবই দুঃখজনক যে আপনি বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে একটি কটূক্তিমূলক অভিযোগ করে নিজেকে ছোট করেছেন।’
লকডাউন চলাকালীন পার্টি করা নিয়ে ব্রিটেনজুড়ে চলমান ক্ষোভের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে পদত্যাগ করা অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের তুলনায় মুনিরা মির্জা জনসনের একটু বেশিই ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
ক্ষমতাবান বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের সাধারণত নিঃসঙ্গ মানুষ বলেই মনে করা হয়। হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও মুনিরা মির্জার চলে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে। রাজনীতি পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ডাউনিং স্ট্রিটের একটি রক্ষণশীল দুনিয়া থেকে একটি ‘স্বাধীন কণ্ঠস্বর’ চলে গেল।
১৯৭৮ সালে পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে আসেন মুনিরা মির্জার বাবা-মা। এখানেই তাঁর জন্ম হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে পড়াশোনা করার আগে বেশ নামি স্কুলে পড়েছেন। সেখানে থাকাকালীন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। কিন্তু বয়স বছর কুড়ির সময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়েন। কট্টর বামদের মধ্যে মুক্তচিন্তার অভাব আছে বলে মনে হয়েছে তাঁর। এই ভাবনা থেকে বাম আন্দোলন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। ওই সময়টাতে একটি আদর্শিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছেন মুনিরা।
কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি সম্পন্ন করার পর থিংক ট্যাংক পলিসি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। কনজারভেটিভ মাইকেল গভ, ফ্রান্সিস মাউড এবং নিক বোলস এই থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
মুনিরা মির্জার এই বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জনসনের নজর কেড়েছিল। লন্ডনের মেয়র থাকাকালে মুনিরাকে শিল্প উপদেষ্টার দায়িত্ব দেন। টেট গ্যালারি এবং রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসে ছিল তাঁর কাজ। পরে তাঁকে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে ডেপুটি মেয়র পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মুনিরা মির্জা কখনো জনসনের পক্ষ ত্যাগ করেননি। ২০১৯ সালে জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মুনিরাকে ডাউনিং স্ট্রিটের নীতি-কৌশল ইউনিটের প্রধান করা হয়।
মুনিরা কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে নির্বাচনে রক্ষণশীলদের ভূমিধস বিজয় হয়। উত্তর ইংল্যান্ড এবং মিডল্যান্ডসে লেবার পার্টির ঐতিহ্যবাহী বহু আসন ছিনিয়ে নেয় কনজারভেটিভরা।
এই বিশাল রাজনৈতিক উচ্চতায় ওঠার পর মাত্র দুই বছরের কিছু বেশি সময় পরেই ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করলেন মুনিরা মির্জা। সে অর্থে কোনো ক্ষোভ নিয়ে যাচ্ছেন না তিনি। শুধু লেবার নেতা স্যার কেয়ারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে অনুশোচনা ও হতাশা থেকে জনসনকে ছেড়ে গেলেন মুনিরা।
পদত্যাগপত্রে তেমনটিই লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে লোকে সরি বললেও ক্ষমা করা হয় না—এটার আমি প্রশংসা করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, এটিই সঠিক কাজ। আপনার জন্য হয়তো এটা খুব বেশি দেরি বলে বিবেচিত হয়নি। কিন্তু আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি যে, আমার জন্য এরই মধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে!’

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
প্যারিসের আলো ঝলমলে এক রাতে অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি ও কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কেটির ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে প্যারিসের বিখ্যাত ক্যাবারে থিয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এ বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যে পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পদত্যাগ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুনিরা মির্জা। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন তিনি। বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও ক্ষমা না চাওয়ায় জনসনের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। পদত্যাগপত্রে সে বিষয়টিই স্পষ্ট করে উল্লেখ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্যারিসের আলো ঝলমলে এক রাতে অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি ও কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কেটির ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে প্যারিসের বিখ্যাত ক্যাবারে থিয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এ বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের আলো ঝলমলে এক রাতে অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি ও কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কেটির ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে প্যারিসের বিখ্যাত ক্যাবারে থিয়েটার ‘ক্রেজি হর্স প্যারিস’-এ। এটাই ছিল তাঁদের প্রথম আনুষ্ঠানিক ডেট।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) টিএমজেডের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে শো শেষে দুজনকে হাত ধরাধরি করে থিয়েটার থেকে বের হতে দেখা যায়। বাইরে অপেক্ষমাণ ভক্তদের মধ্যে একজন কেটিকে একটি গোলাপ উপহার দেন এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। মুহূর্তেই চারপাশে ফ্ল্যাশের ঝলকানি আর সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাঁদের উজ্জ্বল মুখ। এরপর তাঁরা একটি গাড়িতে উঠে স্থান ত্যাগ করেন।
এই রোমান্সের গুঞ্জন অবশ্য নতুন নয়। গত জুলাইয়ে কানাডার মন্ট্রিয়েলে একসঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার সময় তাঁদের প্রথম দেখা যায়। এরপর মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাঁটাহাঁটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। গত আগস্টে কেটির ‘লাইফটাইমস’ ট্যুরের মন্ট্রিয়েল কনসার্টেও উপস্থিত ছিলেন ট্রুডো।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে কেটির ব্যক্তিগত ইয়টে দুজনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। সেই ছবি প্রকাশের পর থেকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জোর আলোচনা চলছিল। টিএমজেডের সর্বশেষ ভিডিও প্রকাশের পর আর কোনো সন্দেহের অবকাশ রইল না। কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমে আবদ্ধ।
কেটি পেরি ‘ফায়ারওয়ার্কস’ ও ‘রোয়ার’-এর মতো হিট গানের জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। সম্প্রতি তিনি নতুন অ্যালবামের কাজ শেষ করেছেন। অন্যদিকে ট্রুডো, যিনি ২০২৩ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়েন। রাজনৈতিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে অবসর নিয়ে এখন তিনি ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্যারিসের আলো ঝলমলে এক রাতে অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি ও কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কেটির ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে প্যারিসের বিখ্যাত ক্যাবারে থিয়েটার ‘ক্রেজি হর্স প্যারিস’-এ। এটাই ছিল তাঁদের প্রথম আনুষ্ঠানিক ডেট।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) টিএমজেডের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে শো শেষে দুজনকে হাত ধরাধরি করে থিয়েটার থেকে বের হতে দেখা যায়। বাইরে অপেক্ষমাণ ভক্তদের মধ্যে একজন কেটিকে একটি গোলাপ উপহার দেন এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। মুহূর্তেই চারপাশে ফ্ল্যাশের ঝলকানি আর সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাঁদের উজ্জ্বল মুখ। এরপর তাঁরা একটি গাড়িতে উঠে স্থান ত্যাগ করেন।
এই রোমান্সের গুঞ্জন অবশ্য নতুন নয়। গত জুলাইয়ে কানাডার মন্ট্রিয়েলে একসঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার সময় তাঁদের প্রথম দেখা যায়। এরপর মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাঁটাহাঁটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। গত আগস্টে কেটির ‘লাইফটাইমস’ ট্যুরের মন্ট্রিয়েল কনসার্টেও উপস্থিত ছিলেন ট্রুডো।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে কেটির ব্যক্তিগত ইয়টে দুজনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। সেই ছবি প্রকাশের পর থেকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জোর আলোচনা চলছিল। টিএমজেডের সর্বশেষ ভিডিও প্রকাশের পর আর কোনো সন্দেহের অবকাশ রইল না। কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমে আবদ্ধ।
কেটি পেরি ‘ফায়ারওয়ার্কস’ ও ‘রোয়ার’-এর মতো হিট গানের জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। সম্প্রতি তিনি নতুন অ্যালবামের কাজ শেষ করেছেন। অন্যদিকে ট্রুডো, যিনি ২০২৩ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়েন। রাজনৈতিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে অবসর নিয়ে এখন তিনি ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যে পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পদত্যাগ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুনিরা মির্জা। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন তিনি। বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও ক্ষমা না চাওয়ায় জনসনের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। পদত্যাগপত্রে সে বিষয়টিই স্পষ্ট করে উল্লেখ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এ বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এ বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গত সপ্তাহে জাদুঘরের অ্যাপোলো গ্যালারিতে দিনের আলোয় ঘটে এই দুঃসাহসী চুরির ঘটনা। কয়েক মিনিটের মধ্যে চুরির কাজটি সম্পন্ন করে পালিয়ে যায় চোরেরা। তারা জাদুঘর থেকে ফরাসি রাজতন্ত্রের স্মারক হিসেবে থাকা এমন কিছু গয়না ও রত্ন নিয়ে যায়, যার মূল্য ১০ কোটি ডলারের বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ল্যুভরের পরিচালক লরেন্স দে কার এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ফরাসি গণমাধ্যমের বরাতে আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে দুই সন্দেহভাজন ধরা পড়েন। দুজনই ত্রিশের কোঠায় এবং পুলিশ তাঁদের আগেও চিনত। আরও অন্তত দুজন সন্দেহভাজন এখনো পলাতক রয়েছেন।
প্রসিকিউটর লর বেকুয়ো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্যারিসের রোয়াসি বিমানবন্দর (চার্লস দ্য গল) থেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা চুরি হওয়া রত্ন উদ্ধার হয়েছে কি না—সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এদিকে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ ন্যুনেজ তদন্তকারীদের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ‘তাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, যেমনটা আমি তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম। আমি সব সময় তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছি।’
ল্যুভরের অ্যাপোলো গ্যালারিটি ফরাসি রাজমুকুটের রত্নভান্ডার হিসেবে পরিচিত। চোরেরা একটি চেরি পিকার বা ট্রাকের ওপর বসানো মই ব্যবহার করে জানালা ভেঙে জাদুঘরের ওপরের তলায় প্রবেশ করেছিল। পরে মাত্র সাত মিনিটে তারা দুটি উচ্চ নিরাপত্তা কাচের কেস ভেঙে ৯টি অলংকার নিয়ে যায়।
ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, চুরি হওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল হিরা ও নীলা পাথরে তৈরি এক জোড়া টায়রা ও নেকলেস—যা একসময় রানি মেরি-অ্যামেলি ও রানি হর্তেন্স পরিধান করেছিলেন।
ঘটনার তদন্তে প্রায় ১০০ জন তদন্তকারী কাজ করছেন। ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলও অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমান স্বীকার করেছেন, ‘এ ঘটনার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। জানালা সুরক্ষিত না থাকা এবং প্রকাশ্য রাস্তায় মই থাকা—এসবই আমাদের ব্যর্থতার প্রমাণ।’

প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এ বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গত সপ্তাহে জাদুঘরের অ্যাপোলো গ্যালারিতে দিনের আলোয় ঘটে এই দুঃসাহসী চুরির ঘটনা। কয়েক মিনিটের মধ্যে চুরির কাজটি সম্পন্ন করে পালিয়ে যায় চোরেরা। তারা জাদুঘর থেকে ফরাসি রাজতন্ত্রের স্মারক হিসেবে থাকা এমন কিছু গয়না ও রত্ন নিয়ে যায়, যার মূল্য ১০ কোটি ডলারের বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ল্যুভরের পরিচালক লরেন্স দে কার এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ফরাসি গণমাধ্যমের বরাতে আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে দুই সন্দেহভাজন ধরা পড়েন। দুজনই ত্রিশের কোঠায় এবং পুলিশ তাঁদের আগেও চিনত। আরও অন্তত দুজন সন্দেহভাজন এখনো পলাতক রয়েছেন।
প্রসিকিউটর লর বেকুয়ো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্যারিসের রোয়াসি বিমানবন্দর (চার্লস দ্য গল) থেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা চুরি হওয়া রত্ন উদ্ধার হয়েছে কি না—সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এদিকে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ ন্যুনেজ তদন্তকারীদের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ‘তাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, যেমনটা আমি তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম। আমি সব সময় তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছি।’
ল্যুভরের অ্যাপোলো গ্যালারিটি ফরাসি রাজমুকুটের রত্নভান্ডার হিসেবে পরিচিত। চোরেরা একটি চেরি পিকার বা ট্রাকের ওপর বসানো মই ব্যবহার করে জানালা ভেঙে জাদুঘরের ওপরের তলায় প্রবেশ করেছিল। পরে মাত্র সাত মিনিটে তারা দুটি উচ্চ নিরাপত্তা কাচের কেস ভেঙে ৯টি অলংকার নিয়ে যায়।
ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, চুরি হওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল হিরা ও নীলা পাথরে তৈরি এক জোড়া টায়রা ও নেকলেস—যা একসময় রানি মেরি-অ্যামেলি ও রানি হর্তেন্স পরিধান করেছিলেন।
ঘটনার তদন্তে প্রায় ১০০ জন তদন্তকারী কাজ করছেন। ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলও অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমান স্বীকার করেছেন, ‘এ ঘটনার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। জানালা সুরক্ষিত না থাকা এবং প্রকাশ্য রাস্তায় মই থাকা—এসবই আমাদের ব্যর্থতার প্রমাণ।’

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যে পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পদত্যাগ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুনিরা মির্জা। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন তিনি। বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও ক্ষমা না চাওয়ায় জনসনের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। পদত্যাগপত্রে সে বিষয়টিই স্পষ্ট করে উল্লেখ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
প্যারিসের আলো ঝলমলে এক রাতে অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি ও কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কেটির ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে প্যারিসের বিখ্যাত ক্যাবারে থিয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করা।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল জানিয়েছে, পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের গত মে মাসের আহ্বানের পর ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্তটি এসেছে। ওজালান পিকেকে-কে নিরস্ত্রীকরণ ও বিলুপ্তির পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ অবস্থায় গত জুলাইয়ে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অল্প কিছু পিকেকে যোদ্ধা অস্ত্র জমা দিয়ে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘোষণা করে। এই সংগঠনটি তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) পিকেকের ফিরাত নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কে অবস্থানরত সব যোদ্ধাকে মেদিয়া প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি মূলত উত্তর ইরাকের পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে কান্দিল পর্বতমালা ও এর আশপাশের অঞ্চল, যেখানে পিকেকের ঘাঁটি ও প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
কান্দিল পর্বতের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ২৫ জন যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন, যারা তুরস্ক থেকে সেখানে পৌঁছান। তাঁরা বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বাহিনী প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছি।’
সংগঠনটি তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া রক্ষার জন্য যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা হয় এবং সাবেক যোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়।
সিনিয়র পিকেকে নেতা সাবরি ওক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে উল্লেখযোগ্য আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমরা এমন আইন চাই যা এই প্রক্রিয়ার উপযোগী। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
এই বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েব এরদোয়ানের দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর শেলিক একটি এক্স বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পিকেকের প্রত্যাহার তুরস্কে সন্ত্রাসমুক্ত অগ্রগতির বাস্তব প্রতিফলন।’ তিনি আরও জানান, সংসদে গঠিত ৫১ সদস্যের কমিশন এই প্রক্রিয়ার আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো তৈরির কাজ করছে।

১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে ওজালানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত পিকেকে ১৯৮৪ সালে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। এই সংঘাতে গত চার দশকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ওজালানের আহ্বানে পিকেকে জানায়, তারা অস্ত্র নয় বরং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে কুর্দি জনগণের অধিকার রক্ষার পথে এগিয়ে যাবে।
তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ডিইএম এই শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তুর্কি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দলের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং পরে ওজালানের সঙ্গে দেখা করতে ইমরালি দ্বীপের কারাগারে যাবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর ইরাকে ঘাঁটি গেড়েছে পিকেকে। এই অঞ্চলটিতে তাই তুরস্ক নিয়মিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তবে সময়ের ব্যবধানে সংগঠনটির লক্ষ্যও পরিবর্তিত হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন থেকে সরে এসে তারা এখন কুর্দিদের জন্য অধিক অধিকার ও সীমিত স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলছে।
তুরস্ক বলেছে, দেশটি কুর্দিদের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করে, তবে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদ মেনে নেবে না।

কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করা।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল জানিয়েছে, পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের গত মে মাসের আহ্বানের পর ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্তটি এসেছে। ওজালান পিকেকে-কে নিরস্ত্রীকরণ ও বিলুপ্তির পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ অবস্থায় গত জুলাইয়ে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অল্প কিছু পিকেকে যোদ্ধা অস্ত্র জমা দিয়ে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘোষণা করে। এই সংগঠনটি তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) পিকেকের ফিরাত নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কে অবস্থানরত সব যোদ্ধাকে মেদিয়া প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি মূলত উত্তর ইরাকের পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে কান্দিল পর্বতমালা ও এর আশপাশের অঞ্চল, যেখানে পিকেকের ঘাঁটি ও প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
কান্দিল পর্বতের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ২৫ জন যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন, যারা তুরস্ক থেকে সেখানে পৌঁছান। তাঁরা বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বাহিনী প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছি।’
সংগঠনটি তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া রক্ষার জন্য যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা হয় এবং সাবেক যোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়।
সিনিয়র পিকেকে নেতা সাবরি ওক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে উল্লেখযোগ্য আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমরা এমন আইন চাই যা এই প্রক্রিয়ার উপযোগী। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
এই বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েব এরদোয়ানের দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর শেলিক একটি এক্স বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পিকেকের প্রত্যাহার তুরস্কে সন্ত্রাসমুক্ত অগ্রগতির বাস্তব প্রতিফলন।’ তিনি আরও জানান, সংসদে গঠিত ৫১ সদস্যের কমিশন এই প্রক্রিয়ার আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো তৈরির কাজ করছে।

১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে ওজালানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত পিকেকে ১৯৮৪ সালে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। এই সংঘাতে গত চার দশকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ওজালানের আহ্বানে পিকেকে জানায়, তারা অস্ত্র নয় বরং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে কুর্দি জনগণের অধিকার রক্ষার পথে এগিয়ে যাবে।
তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ডিইএম এই শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তুর্কি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দলের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং পরে ওজালানের সঙ্গে দেখা করতে ইমরালি দ্বীপের কারাগারে যাবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর ইরাকে ঘাঁটি গেড়েছে পিকেকে। এই অঞ্চলটিতে তাই তুরস্ক নিয়মিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তবে সময়ের ব্যবধানে সংগঠনটির লক্ষ্যও পরিবর্তিত হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন থেকে সরে এসে তারা এখন কুর্দিদের জন্য অধিক অধিকার ও সীমিত স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলছে।
তুরস্ক বলেছে, দেশটি কুর্দিদের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করে, তবে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদ মেনে নেবে না।

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যে পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পদত্যাগ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুনিরা মির্জা। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন তিনি। বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও ক্ষমা না চাওয়ায় জনসনের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। পদত্যাগপত্রে সে বিষয়টিই স্পষ্ট করে উল্লেখ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
প্যারিসের আলো ঝলমলে এক রাতে অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি ও কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কেটির ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে প্যারিসের বিখ্যাত ক্যাবারে থিয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এ বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে