আজকের পত্রিকা ডেস্ক
২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট। ছুটি কাটানোর শেষ দিন ছিল এটি। বিলাসবহুল বেশিয়ান ইয়টে থাকা অতিথিরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই প্রমোদতরিটির মালিক ব্রিটিশ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মাইক লিঞ্চ। একটি প্রতারণা মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার খুশিতে তিনি বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে উদ্যাপনে ছিলেন। তবে আনন্দমুখর পরিবেশটি দ্রুত বিষণ্ন হয়ে ওঠে, যখন খবর আসে তাঁর সহ-আসামি স্টিফেন চেম্বারলেইন সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা জানতেন না, তাঁদের জন্যও অপেক্ষা করছে আরেক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘মেরিন অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেই রাতে কীভাবে আনন্দযাত্রাটি সাতজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বড় এক ট্র্যাজেডিতে রূপ নিয়েছিল।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, সেদিন শক্তিশালী বাতাসের পূর্বাভাস থাকায় ক্যাপ্টেন জেমস কাটফিল্ড প্রমোদতরিটি সেফালু থেকে নিরাপদ বন্দর সিসিলির পোর্টিচেলোতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ৯টায় তাঁরা পোর্টিচেলো পৌঁছান। সমুদ্র শান্ত ছিল, বাতাস ছিল হালকা, কিন্তু দূরে বজ্রপাতের ঝলকানি দেখা যাচ্ছিল। ক্যাপ্টেন ঘুমাতে যাওয়ার আগে বলে দিয়েছিলেন, বাতাসের গতি ২০ নটিক্যাল মাইল ছাড়িয়ে গেলে বা নোঙর সরে গেলে যেন তাঁকে জাগানো হয়।
এ অবস্থায় ওই প্রমোদতরি থেকে রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে ডেকহ্যান্ড ম্যাথিউ গ্রিফিথস তাঁর ফোনে আকাশের ঝলকানি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। তখন বাতাসের গতি ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। এরপর ৩টা ৫৭ মিনিটেই বাতাসের গতি বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ নটিক্যাল মাইলে। এমন বাতাসে প্রমোদতরিটির নোঙর সরে যেতে শুরু করে। ক্যাপ্টেনকেও জাগানো হয়।
প্রমোদতরিতে কেউ কেউ তখনো ঘুমাচ্ছিলেন। আবার কেউ কেউ জেগে ওঠেন। প্রমোদতরির পাচক রিকালডো থমাস রান্নাঘরে জিনিসপত্র গোছাতে গিয়ে মজার ছলে সঙ্গীকে বলেন, ‘সুপ্রভাত’! প্রধান প্রকৌশলী টিম পার্কার ইঞ্জিন কন্ট্রোল রুমে চলে যান, প্রধান স্টুয়ার্ড সাশা মারে ছাদে গুছিয়ে নিচ্ছিলেন সবকিছু। ইয়টের মালিক ও লিঞ্চের স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা বাকারেস এসে জানতে চান অতিথিদের যাত্রার ব্যবস্থা নিয়ে।
তবে ৪টা ৬ মিনিটে সবকিছু পাল্টে যায়। হঠাৎ করেই বাতাসের গতি বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ নটিক্যাল মাইলের বেশি—যা হারিকেনের থেকেও ভয়াবহ। এ অবস্থায় প্রমোদতরিটি মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৯০ ডিগ্রির বেশি কাত হয়ে পড়ে। জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায়, জরুরি বাতি জ্বলে ওঠে। অনেকে পানিতে পড়ে যান, কেউ কেউ নিজের শক্তি আর উপস্থিত বুদ্ধিতে কোনোভাবে ওপরে উঠে আসেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই প্রমোদতরির ডান পাশ দিয়ে সাগরের পানি ধেয়ে আসে। মুহূর্তেই ভেসে যায় কেবিন ও করিডর। কেউ কেউ দরজা খুলে পালাতে সক্ষম হন। কেউ কেউ এয়ার পকেটে আটকে থাকেন, কেউ আবার বাইরে থাকা অতিথিদের সাহায্যে উদ্ধার হন।
অবশেষে, রাত ৪টা ২৪ মিনিটে একটি ‘লাইফ র্যাফট’ (কয়েকজনকে পানিতে ভাসিয়ে রাখতে সক্ষম নৌকাবিশেষ) খোলা সম্ভব হয়। সাহায্যের আশায় সিগন্যাল লাইট ও ফ্লেয়ার ছুড়ে বার্তা পাঠানো হয়। ৪টা ৪৩ মিনিটে একটি ফ্লেয়ার নজরে পড়ে কাছাকাছি নোঙর করা আরেক প্রমোদতরি ‘স্যার রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল’-এর ক্যাপ্টেন কারস্টেন বার্নারের। তিনি দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
তবে ততক্ষণে প্রমোদতরিটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। মুরায় নামে এক যাত্রী লাইফ র্যাফট থেকে দেখেন—প্রমোদতরিটির সামনের অংশটি ধীরে ধীরে খাড়া হয়ে যায়। এরপর চিরতরে এটি হারিয়ে যায় ৫০ মিটার গভীর জলে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেদিন যারা বাঁচতে পারেননি তাঁদের মধ্যে ছিলেন—মাইক লিঞ্চ এবং তাঁর মেয়ে হান্নাহ, আইনজীবী ক্রিস মর্ভিলো ও তাঁর স্ত্রী নেদা, মর্গান স্ট্যানলির চেয়ারম্যান জোনাথন ব্লুমার এবং তাঁর স্ত্রী জুডি এবং ইয়টের শেফ রিকালডো থমাস।
২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট। ছুটি কাটানোর শেষ দিন ছিল এটি। বিলাসবহুল বেশিয়ান ইয়টে থাকা অতিথিরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই প্রমোদতরিটির মালিক ব্রিটিশ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মাইক লিঞ্চ। একটি প্রতারণা মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার খুশিতে তিনি বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে উদ্যাপনে ছিলেন। তবে আনন্দমুখর পরিবেশটি দ্রুত বিষণ্ন হয়ে ওঠে, যখন খবর আসে তাঁর সহ-আসামি স্টিফেন চেম্বারলেইন সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা জানতেন না, তাঁদের জন্যও অপেক্ষা করছে আরেক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘মেরিন অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেই রাতে কীভাবে আনন্দযাত্রাটি সাতজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বড় এক ট্র্যাজেডিতে রূপ নিয়েছিল।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, সেদিন শক্তিশালী বাতাসের পূর্বাভাস থাকায় ক্যাপ্টেন জেমস কাটফিল্ড প্রমোদতরিটি সেফালু থেকে নিরাপদ বন্দর সিসিলির পোর্টিচেলোতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ৯টায় তাঁরা পোর্টিচেলো পৌঁছান। সমুদ্র শান্ত ছিল, বাতাস ছিল হালকা, কিন্তু দূরে বজ্রপাতের ঝলকানি দেখা যাচ্ছিল। ক্যাপ্টেন ঘুমাতে যাওয়ার আগে বলে দিয়েছিলেন, বাতাসের গতি ২০ নটিক্যাল মাইল ছাড়িয়ে গেলে বা নোঙর সরে গেলে যেন তাঁকে জাগানো হয়।
এ অবস্থায় ওই প্রমোদতরি থেকে রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে ডেকহ্যান্ড ম্যাথিউ গ্রিফিথস তাঁর ফোনে আকাশের ঝলকানি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। তখন বাতাসের গতি ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। এরপর ৩টা ৫৭ মিনিটেই বাতাসের গতি বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ নটিক্যাল মাইলে। এমন বাতাসে প্রমোদতরিটির নোঙর সরে যেতে শুরু করে। ক্যাপ্টেনকেও জাগানো হয়।
প্রমোদতরিতে কেউ কেউ তখনো ঘুমাচ্ছিলেন। আবার কেউ কেউ জেগে ওঠেন। প্রমোদতরির পাচক রিকালডো থমাস রান্নাঘরে জিনিসপত্র গোছাতে গিয়ে মজার ছলে সঙ্গীকে বলেন, ‘সুপ্রভাত’! প্রধান প্রকৌশলী টিম পার্কার ইঞ্জিন কন্ট্রোল রুমে চলে যান, প্রধান স্টুয়ার্ড সাশা মারে ছাদে গুছিয়ে নিচ্ছিলেন সবকিছু। ইয়টের মালিক ও লিঞ্চের স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা বাকারেস এসে জানতে চান অতিথিদের যাত্রার ব্যবস্থা নিয়ে।
তবে ৪টা ৬ মিনিটে সবকিছু পাল্টে যায়। হঠাৎ করেই বাতাসের গতি বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ নটিক্যাল মাইলের বেশি—যা হারিকেনের থেকেও ভয়াবহ। এ অবস্থায় প্রমোদতরিটি মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৯০ ডিগ্রির বেশি কাত হয়ে পড়ে। জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায়, জরুরি বাতি জ্বলে ওঠে। অনেকে পানিতে পড়ে যান, কেউ কেউ নিজের শক্তি আর উপস্থিত বুদ্ধিতে কোনোভাবে ওপরে উঠে আসেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই প্রমোদতরির ডান পাশ দিয়ে সাগরের পানি ধেয়ে আসে। মুহূর্তেই ভেসে যায় কেবিন ও করিডর। কেউ কেউ দরজা খুলে পালাতে সক্ষম হন। কেউ কেউ এয়ার পকেটে আটকে থাকেন, কেউ আবার বাইরে থাকা অতিথিদের সাহায্যে উদ্ধার হন।
অবশেষে, রাত ৪টা ২৪ মিনিটে একটি ‘লাইফ র্যাফট’ (কয়েকজনকে পানিতে ভাসিয়ে রাখতে সক্ষম নৌকাবিশেষ) খোলা সম্ভব হয়। সাহায্যের আশায় সিগন্যাল লাইট ও ফ্লেয়ার ছুড়ে বার্তা পাঠানো হয়। ৪টা ৪৩ মিনিটে একটি ফ্লেয়ার নজরে পড়ে কাছাকাছি নোঙর করা আরেক প্রমোদতরি ‘স্যার রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল’-এর ক্যাপ্টেন কারস্টেন বার্নারের। তিনি দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
তবে ততক্ষণে প্রমোদতরিটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। মুরায় নামে এক যাত্রী লাইফ র্যাফট থেকে দেখেন—প্রমোদতরিটির সামনের অংশটি ধীরে ধীরে খাড়া হয়ে যায়। এরপর চিরতরে এটি হারিয়ে যায় ৫০ মিটার গভীর জলে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেদিন যারা বাঁচতে পারেননি তাঁদের মধ্যে ছিলেন—মাইক লিঞ্চ এবং তাঁর মেয়ে হান্নাহ, আইনজীবী ক্রিস মর্ভিলো ও তাঁর স্ত্রী নেদা, মর্গান স্ট্যানলির চেয়ারম্যান জোনাথন ব্লুমার এবং তাঁর স্ত্রী জুডি এবং ইয়টের শেফ রিকালডো থমাস।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকাজুড়ে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যার মধ্যে সাত জন নিহত হয়েছে উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে।
৪৩ মিনিট আগেভারত ও চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার ইইউ কর্মকর্তাদের এই আহ্বান জানান তিনি। মূলত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপের মুখে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের অংশ হিসেবে এমন অনুরোধ জানান
১ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুতে মৃত্যুর মিছিল, ধ্বংসযজ্ঞ আর অগ্নিসংযোগের ভয়াবহ ছবি ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। দেশজুড়ে আন্দোলনের মুখে কেপি শর্মা অলি সরকারের পতনের পর হিমালয়ের পাদদেশের এই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেআকাশসীমা লঙ্ঘন করায় রাশিয়ার কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পোল্যান্ড। আজ বুধবার, এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছে অপারেশনাল কমান্ড অব দ্য পোলিশ আর্মড ফোর্সেস।
২ ঘণ্টা আগে