আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়া ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চায় না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্যানেল আলোচনায় পুতিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, মস্কো কি ইউক্রেনের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ চাচ্ছে, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের কাছ থেকে দাবি করছেন?
উত্তরে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চাই না। আমরা চাই, রণক্ষেত্রে যেসব বাস্তবতা গড়ে উঠেছে, সেগুলোর স্বীকৃতি দেওয়া হোক।’ এ সময় তিনি বলেন, ইউক্রেন সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা থেকে একেবারেই ভিন্ন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০২২ সালের গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া সাবেক ইউক্রেনীয় অঞ্চল ছাড়াও মস্কো ইউক্রেনের আরও কোনো অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় কি না—এর সরাসরি জবাব না দিয়ে পুতিন বলেন, একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে ‘সমগ্র ইউক্রেনই রাশিয়ার’ অংশ।
পুতিন বলেন, ‘আমি বহুবার বলেছি—আমি রুশ এবং ইউক্রেনীয়দের এক জাতি বলেই মনে করি। এই দিক থেকে, পুরো ইউক্রেনই আমাদের।’ তবে তিনি এও জোর দিয়ে বলেন, মস্কো কখনোই ‘স্বাধীন দেশ’ হিসেবে ইউক্রেনের ‘অস্তিত্ব’ স্বীকার করতে ‘অস্বীকৃতি জানায়নি।’
তবে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলকে ইউক্রেনের হামলা থেকে রক্ষা করতে যে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হচ্ছে, তা ইউক্রেনের ভেতরে আরও গভীরে ঠেলে নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন পুতিন। এমনকি ইউক্রেনের সুমি শহর দখলের সম্ভাবনাও তিনি পুরোপুরি নাকচ করেননি।
পুতিন বলেন, ‘সুমি দখলের কোনো লক্ষ্য আমাদের নেই। তবে নীতিগতভাবে আমি এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’ তিনি জানান, চলতি বছর রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনা আগ্রাসন ব্যর্থ করে দিয়ে রুশ বাহিনী সুমি অঞ্চলে প্রবেশ করে। এখন সেখানে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার গভীর একটি বাফার জোন গড়ে তোলা হয়েছে।
পুতিন দাবি করেন, কুরস্কে ইউক্রেনের হামলা উল্টো কিয়েভের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বর্তমানে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর শূন্য হওয়া সদস্যদের জায়গা পূরণের হার মাত্র ৪৭ শতাংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর কুরস্কে হামলার সময় ইউক্রেনের প্রায় ৭৬ হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তথ্যসূত্র: আরটি
আরও খবর পড়ুন:
রাশিয়া ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চায় না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্যানেল আলোচনায় পুতিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, মস্কো কি ইউক্রেনের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ চাচ্ছে, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের কাছ থেকে দাবি করছেন?
উত্তরে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চাই না। আমরা চাই, রণক্ষেত্রে যেসব বাস্তবতা গড়ে উঠেছে, সেগুলোর স্বীকৃতি দেওয়া হোক।’ এ সময় তিনি বলেন, ইউক্রেন সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা থেকে একেবারেই ভিন্ন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০২২ সালের গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া সাবেক ইউক্রেনীয় অঞ্চল ছাড়াও মস্কো ইউক্রেনের আরও কোনো অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় কি না—এর সরাসরি জবাব না দিয়ে পুতিন বলেন, একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে ‘সমগ্র ইউক্রেনই রাশিয়ার’ অংশ।
পুতিন বলেন, ‘আমি বহুবার বলেছি—আমি রুশ এবং ইউক্রেনীয়দের এক জাতি বলেই মনে করি। এই দিক থেকে, পুরো ইউক্রেনই আমাদের।’ তবে তিনি এও জোর দিয়ে বলেন, মস্কো কখনোই ‘স্বাধীন দেশ’ হিসেবে ইউক্রেনের ‘অস্তিত্ব’ স্বীকার করতে ‘অস্বীকৃতি জানায়নি।’
তবে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলকে ইউক্রেনের হামলা থেকে রক্ষা করতে যে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হচ্ছে, তা ইউক্রেনের ভেতরে আরও গভীরে ঠেলে নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন পুতিন। এমনকি ইউক্রেনের সুমি শহর দখলের সম্ভাবনাও তিনি পুরোপুরি নাকচ করেননি।
পুতিন বলেন, ‘সুমি দখলের কোনো লক্ষ্য আমাদের নেই। তবে নীতিগতভাবে আমি এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’ তিনি জানান, চলতি বছর রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনা আগ্রাসন ব্যর্থ করে দিয়ে রুশ বাহিনী সুমি অঞ্চলে প্রবেশ করে। এখন সেখানে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার গভীর একটি বাফার জোন গড়ে তোলা হয়েছে।
পুতিন দাবি করেন, কুরস্কে ইউক্রেনের হামলা উল্টো কিয়েভের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বর্তমানে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর শূন্য হওয়া সদস্যদের জায়গা পূরণের হার মাত্র ৪৭ শতাংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর কুরস্কে হামলার সময় ইউক্রেনের প্রায় ৭৬ হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তথ্যসূত্র: আরটি
আরও খবর পড়ুন:
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কোটেশ্বরে ভয়াবহ সহিংসতায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, আত্মসমর্পণের পরও আন্দোলনকারীরা তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেদোহায় ইসরায়েলি হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি হামাস নেতাদের। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেনেপালে চলমান বিক্ষোভ ও সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়—যদি সহিংস কর্মকাণ্ড, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ অব্যাহত থাকে, তবে রাত ১০টা (স্থানীয় সময়) থেকে সেনাসহ সব নিরাপত্তা সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বাধ্য হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনেপালে চলমান বিক্ষোভে আরও একজন নিহত হয়েছেন। এতে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২-এ। এর মধ্যে গতকাল সোমবারের বিক্ষোভেই প্রাণ হারায় অন্তত ১৯ জন।
৩ ঘণ্টা আগে