আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, তারা গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ২৭৩টি ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করেছে। বিশেষ করে কিয়েভ অঞ্চলে এগুলো আঘাত হানতে চেয়েছিল।
বিমানবাহিনী বলেছে, ‘শত্রুরা ২৭৩টি শাহেদ অ্যাটাক ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের অনুকরণকারী ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।’ তারা জানায়, ৮৮টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি ‘কোনো নেতিবাচক পরিণতি সৃষ্টি করা ছাড়াই’ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ রোববার বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে চান এবং রাশিয়াকে নিরাপদ রাখতে চান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পুতিন বলেন, মস্কোর লক্ষ্য হলো ‘এই সংকট সৃষ্টিকারী কারণগুলো দূর করা, একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন যার মাত্র দুদিন আগে ২০২২ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য এই আলোচনায় কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেবেন। এ লক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনকল করবেন তিনি। প্রথমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর ইউক্রেনের নেতা ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গেও কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘সোমবার সকাল ১০টায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হবে। আলোচনার মূল বিষয় হবে দুটি। প্রথমত, এই রক্তপাত বন্ধ করা। প্রতি সপ্তাহে গড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি রুশ ও ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এরপর আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলব। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর ন্যাটো জোটের বিভিন্ন সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আমার কথা বলার কথা রয়েছে। আশা করি দিনটি ফলপ্রসূ হবে। একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই অত্যন্ত সহিংস যুদ্ধ, যে যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত ছিল না, তার অবসান ঘটবে।’
তিন বছরের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রথম আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার এক দিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সেই আলোচনা থেকে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। তবে, দুই দেশ যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে রাজি হয়েছে। উভয় পক্ষ ১ হাজার করে যুদ্ধবন্দী মুক্তি দেবে।
ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে জেলেনস্কির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন পুতিন। তাঁর পরিবর্তে তিনি নিম্ন-স্তরের একটি প্রতিনিধিদল পাঠান। এই পদক্ষেপের পর জেলেনস্কি বলেছিলেন, রুশ নেতা শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘গুরুত্বসহকারে’ নিচ্ছেন না। আলোচনা শেষে উভয় পক্ষ ১ হাজার করে বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়। আলোচনার পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেছেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ হবে জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক।
গতকাল শনিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এই বৈঠক সম্ভব বলে মনে করে। তবে তা ‘কাজের ফলাফল এবং উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট ফলাফল অর্জনের পরেই’ সম্ভব। কিসের প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি। পেসকভ আরও বলেন, পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করার আগে উভয় পক্ষকে অবশ্যই বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করতে হবে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিরিল বুদানভ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই বিনিময় আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই হতে পারে।

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, তারা গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ২৭৩টি ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করেছে। বিশেষ করে কিয়েভ অঞ্চলে এগুলো আঘাত হানতে চেয়েছিল।
বিমানবাহিনী বলেছে, ‘শত্রুরা ২৭৩টি শাহেদ অ্যাটাক ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের অনুকরণকারী ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।’ তারা জানায়, ৮৮টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি ‘কোনো নেতিবাচক পরিণতি সৃষ্টি করা ছাড়াই’ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ রোববার বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে চান এবং রাশিয়াকে নিরাপদ রাখতে চান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পুতিন বলেন, মস্কোর লক্ষ্য হলো ‘এই সংকট সৃষ্টিকারী কারণগুলো দূর করা, একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন যার মাত্র দুদিন আগে ২০২২ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য এই আলোচনায় কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেবেন। এ লক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনকল করবেন তিনি। প্রথমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর ইউক্রেনের নেতা ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গেও কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘সোমবার সকাল ১০টায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হবে। আলোচনার মূল বিষয় হবে দুটি। প্রথমত, এই রক্তপাত বন্ধ করা। প্রতি সপ্তাহে গড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি রুশ ও ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এরপর আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলব। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর ন্যাটো জোটের বিভিন্ন সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আমার কথা বলার কথা রয়েছে। আশা করি দিনটি ফলপ্রসূ হবে। একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই অত্যন্ত সহিংস যুদ্ধ, যে যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত ছিল না, তার অবসান ঘটবে।’
তিন বছরের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রথম আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার এক দিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সেই আলোচনা থেকে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। তবে, দুই দেশ যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে রাজি হয়েছে। উভয় পক্ষ ১ হাজার করে যুদ্ধবন্দী মুক্তি দেবে।
ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে জেলেনস্কির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন পুতিন। তাঁর পরিবর্তে তিনি নিম্ন-স্তরের একটি প্রতিনিধিদল পাঠান। এই পদক্ষেপের পর জেলেনস্কি বলেছিলেন, রুশ নেতা শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘গুরুত্বসহকারে’ নিচ্ছেন না। আলোচনা শেষে উভয় পক্ষ ১ হাজার করে বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়। আলোচনার পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেছেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ হবে জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক।
গতকাল শনিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এই বৈঠক সম্ভব বলে মনে করে। তবে তা ‘কাজের ফলাফল এবং উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট ফলাফল অর্জনের পরেই’ সম্ভব। কিসের প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি। পেসকভ আরও বলেন, পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করার আগে উভয় পক্ষকে অবশ্যই বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করতে হবে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিরিল বুদানভ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই বিনিময় আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই হতে পারে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, তারা গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ২৭৩টি ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করেছে। বিশেষ করে কিয়েভ অঞ্চলে এগুলো আঘাত হানতে চেয়েছিল।
বিমানবাহিনী বলেছে, ‘শত্রুরা ২৭৩টি শাহেদ অ্যাটাক ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের অনুকরণকারী ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।’ তারা জানায়, ৮৮টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি ‘কোনো নেতিবাচক পরিণতি সৃষ্টি করা ছাড়াই’ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ রোববার বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে চান এবং রাশিয়াকে নিরাপদ রাখতে চান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পুতিন বলেন, মস্কোর লক্ষ্য হলো ‘এই সংকট সৃষ্টিকারী কারণগুলো দূর করা, একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন যার মাত্র দুদিন আগে ২০২২ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য এই আলোচনায় কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেবেন। এ লক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনকল করবেন তিনি। প্রথমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর ইউক্রেনের নেতা ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গেও কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘সোমবার সকাল ১০টায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হবে। আলোচনার মূল বিষয় হবে দুটি। প্রথমত, এই রক্তপাত বন্ধ করা। প্রতি সপ্তাহে গড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি রুশ ও ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এরপর আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলব। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর ন্যাটো জোটের বিভিন্ন সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আমার কথা বলার কথা রয়েছে। আশা করি দিনটি ফলপ্রসূ হবে। একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই অত্যন্ত সহিংস যুদ্ধ, যে যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত ছিল না, তার অবসান ঘটবে।’
তিন বছরের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রথম আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার এক দিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সেই আলোচনা থেকে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। তবে, দুই দেশ যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে রাজি হয়েছে। উভয় পক্ষ ১ হাজার করে যুদ্ধবন্দী মুক্তি দেবে।
ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে জেলেনস্কির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন পুতিন। তাঁর পরিবর্তে তিনি নিম্ন-স্তরের একটি প্রতিনিধিদল পাঠান। এই পদক্ষেপের পর জেলেনস্কি বলেছিলেন, রুশ নেতা শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘গুরুত্বসহকারে’ নিচ্ছেন না। আলোচনা শেষে উভয় পক্ষ ১ হাজার করে বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়। আলোচনার পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেছেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ হবে জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক।
গতকাল শনিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এই বৈঠক সম্ভব বলে মনে করে। তবে তা ‘কাজের ফলাফল এবং উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট ফলাফল অর্জনের পরেই’ সম্ভব। কিসের প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি। পেসকভ আরও বলেন, পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করার আগে উভয় পক্ষকে অবশ্যই বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করতে হবে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিরিল বুদানভ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই বিনিময় আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই হতে পারে।

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, তারা গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ২৭৩টি ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করেছে। বিশেষ করে কিয়েভ অঞ্চলে এগুলো আঘাত হানতে চেয়েছিল।
বিমানবাহিনী বলেছে, ‘শত্রুরা ২৭৩টি শাহেদ অ্যাটাক ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের অনুকরণকারী ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।’ তারা জানায়, ৮৮টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি ‘কোনো নেতিবাচক পরিণতি সৃষ্টি করা ছাড়াই’ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ রোববার বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে চান এবং রাশিয়াকে নিরাপদ রাখতে চান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পুতিন বলেন, মস্কোর লক্ষ্য হলো ‘এই সংকট সৃষ্টিকারী কারণগুলো দূর করা, একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন যার মাত্র দুদিন আগে ২০২২ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য এই আলোচনায় কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেবেন। এ লক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনকল করবেন তিনি। প্রথমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর ইউক্রেনের নেতা ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গেও কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘সোমবার সকাল ১০টায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হবে। আলোচনার মূল বিষয় হবে দুটি। প্রথমত, এই রক্তপাত বন্ধ করা। প্রতি সপ্তাহে গড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি রুশ ও ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এরপর আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলব। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর ন্যাটো জোটের বিভিন্ন সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আমার কথা বলার কথা রয়েছে। আশা করি দিনটি ফলপ্রসূ হবে। একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই অত্যন্ত সহিংস যুদ্ধ, যে যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত ছিল না, তার অবসান ঘটবে।’
তিন বছরের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রথম আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার এক দিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সেই আলোচনা থেকে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। তবে, দুই দেশ যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে রাজি হয়েছে। উভয় পক্ষ ১ হাজার করে যুদ্ধবন্দী মুক্তি দেবে।
ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে জেলেনস্কির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন পুতিন। তাঁর পরিবর্তে তিনি নিম্ন-স্তরের একটি প্রতিনিধিদল পাঠান। এই পদক্ষেপের পর জেলেনস্কি বলেছিলেন, রুশ নেতা শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘গুরুত্বসহকারে’ নিচ্ছেন না। আলোচনা শেষে উভয় পক্ষ ১ হাজার করে বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়। আলোচনার পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেছেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ হবে জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক।
গতকাল শনিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এই বৈঠক সম্ভব বলে মনে করে। তবে তা ‘কাজের ফলাফল এবং উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট ফলাফল অর্জনের পরেই’ সম্ভব। কিসের প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি। পেসকভ আরও বলেন, পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করার আগে উভয় পক্ষকে অবশ্যই বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করতে হবে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিরিল বুদানভ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই বিনিময় আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই হতে পারে।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা কুয়ালালামপুরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করা। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠককে সফল করা।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ ফ্রান্সের ওসিতানি অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর উজেসের ছোট্ট স্কয়ার প্লাস ওজ হার্বে–তে প্রতিদিন সকালে কফি হাতে বসে থাকেন জুলি নেইস। ফোয়ারার পাশে বসে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা আর পুরোনো পাথরের রাস্তায় হাঁটা এখন তাঁর জীবনের সহজ ও প্রিয় অভ্যাস।
১ ঘণ্টা আগে
দিওয়ালিকে কেন্দ্র করে ভারতে ছেয়ে গেছে ‘কার্বাইড গান’ নামে নতুন একটি খেলনা। কিন্তু এই খেলনাই এখন ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই খেলনার বিস্ফোরণে দেশটির শুধু মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেই অন্তত ১৪ শিশু স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এবং তিন দিনে রাজ্যজুড়ে ১২০ জনেরও বেশি শিশুকে গুরুতর চোখের...
৪ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
বাসটি স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে সঙ্গে সঙ্গে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন বাসটিকে গ্রাস করে ফেলে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল আরও বলেন, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হন। যাঁরা জানালা ভাঙতে পেরেছেন, তাঁরাই বেঁচে গেছেন।
তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়।
অন্ধ্র প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণ বলেছেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, বাসের তেলের ট্যাংকির কাছে মোটরসাইকেলটি আটকে যাওয়ায় বিস্ফোরণ ঘটে। এ থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে বাসসংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’
এ মর্মান্তিক ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্থ রেড্ডি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ২ লাখ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার রুপি প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
বাসটি স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে সঙ্গে সঙ্গে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন বাসটিকে গ্রাস করে ফেলে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল আরও বলেন, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হন। যাঁরা জানালা ভাঙতে পেরেছেন, তাঁরাই বেঁচে গেছেন।
তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়।
অন্ধ্র প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণ বলেছেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, বাসের তেলের ট্যাংকির কাছে মোটরসাইকেলটি আটকে যাওয়ায় বিস্ফোরণ ঘটে। এ থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে বাসসংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’
এ মর্মান্তিক ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্থ রেড্ডি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ২ লাখ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার রুপি প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
১৮ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা কুয়ালালামপুরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করা। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠককে সফল করা।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ ফ্রান্সের ওসিতানি অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর উজেসের ছোট্ট স্কয়ার প্লাস ওজ হার্বে–তে প্রতিদিন সকালে কফি হাতে বসে থাকেন জুলি নেইস। ফোয়ারার পাশে বসে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা আর পুরোনো পাথরের রাস্তায় হাঁটা এখন তাঁর জীবনের সহজ ও প্রিয় অভ্যাস।
১ ঘণ্টা আগে
দিওয়ালিকে কেন্দ্র করে ভারতে ছেয়ে গেছে ‘কার্বাইড গান’ নামে নতুন একটি খেলনা। কিন্তু এই খেলনাই এখন ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই খেলনার বিস্ফোরণে দেশটির শুধু মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেই অন্তত ১৪ শিশু স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এবং তিন দিনে রাজ্যজুড়ে ১২০ জনেরও বেশি শিশুকে গুরুতর চোখের...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা কুয়ালালামপুরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করা। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠককে সফল করা।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এই আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো—চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের নতুন ১০০% শুল্ক আরোপ এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার হুমকির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা। বিরল খনিজ পদার্থ ও ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর চীনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে ট্রাম্প নতুন এই হুমকি দেন।
এ বৈঠক আগামীকাল শনিবার শুরু হবে মালয়েশিয়ার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের সাইডলাইনে। এটি বেসেন্ট, গ্রিয়ার ও হে লিফেংয়ের মধ্যে গত মে মাসের পর পঞ্চম বৈঠক। আগের বৈঠকগুলো বিভিন্ন ইউরোপীয় শহরগুলোতে হয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা উভয় অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল এশীয় রপ্তানিকারক মালয়েশিয়ায় স্থানান্তরিত হলো।
বিরল খনিজ যুদ্ধ
এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু আবারও চীনের হাতে থাকা বিরল খনিজ পদার্থ ও ম্যাগনেটের বৈশ্বিক সরবরাহের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ। উচ্চপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য এসব উপাদান বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
এপ্রিল মাসে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেন, যা দ্রুত উভয় পক্ষেই শুল্ক তিন অঙ্কের হারে বাড়ে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীন যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকট্রিক যানবাহন, সেমিকন্ডাক্টর এবং অস্ত্র উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।
মে মাসে জেনেভায় প্রথম বৈঠকে দুই পক্ষ এই শুল্কযুদ্ধে ৯০ দিনের বিরতি দিতে সম্মত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৫ শতাংশ এবং চীনে ১০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে আনে এবং ম্যাগনেট রপ্তানি আংশিকভাবে পুনরায় শুরু হয়। পরবর্তী বৈঠকগুলো লন্ডন, স্টকহোম ও সেপ্টেম্বরে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে টিকটকের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তর করার বিষয়ে একমত হয় চীন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ কালোতালিকার নিয়ম কঠোর করলে ওই অস্থায়ী সমঝোতা ভেঙে যায়। ফলে হাজার হাজার চীনা প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর জবাবে ১০ অক্টোবর চীন নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে বৈশ্বিক বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
বেসেন্ট ও গ্রিয়ার চীনের এই পদক্ষেপকে ‘বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের ওপর দখল নেওয়ার চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেন। তাঁরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্ররা এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নেবে না।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন এখন সফটওয়্যারনির্ভর বহু পণ্য (ল্যাপটপ থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিন পর্যন্ত) চীনে রপ্তানি সীমিত করার ব্যাপারে চিন্তা করছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, কুয়ালালামপুরে তাদের আসল চ্যালেঞ্জ হবে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া, যাতে ম্যাগনেটের সরবরাহ বজায় থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আর না বাড়ায়। তা না হলে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় অ্যাপেক সম্মেলনে ট্রাম্প-সি বৈঠক বাতিল হয়ে যেতে পারে।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনিশিয়েটিভ ফর ইউএস-চায়না ডায়ালগ’-এর সিনিয়র ফেলো ডেনিস ওয়াইল্ডার এক ওয়েবিনারে বলেন, ‘আমি আশাবাদী, এই বৈঠকে অন্তত কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যাতে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা যায়। ট্রাম্প নতুন ১০০% শুল্ক আরোপে যাবেন না, আর চীনও বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানিতে কিছুটা নমনীয়তা দেখাবে।’
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার টেবিলে চীনের কাছে আমেরিকান সয়াবিন পুনরায় কেনা শুরু করার দাবি জানাতে পারে। কারণ, চীন সেপ্টেম্বরে একদমই সয়াবিন কেনেনি, যা ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মূল অভিযোগগুলো (চীনের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি, অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতা এবং দেশীয় ভোগ বৃদ্ধির অভাব) আলোচনার কেন্দ্রে আসবে না।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অর্থনীতি বিভাগের পরিচালক ফিলিপ লাক বলেন, ‘আমরা মূল সমস্যায় যেতে পারছি না। কারণ, আমাদের তো তাদের বলতে হচ্ছে, “সয়াবিন কেন, ঠিক না?”’

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা কুয়ালালামপুরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করা। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠককে সফল করা।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এই আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো—চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের নতুন ১০০% শুল্ক আরোপ এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার হুমকির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা। বিরল খনিজ পদার্থ ও ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর চীনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে ট্রাম্প নতুন এই হুমকি দেন।
এ বৈঠক আগামীকাল শনিবার শুরু হবে মালয়েশিয়ার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের সাইডলাইনে। এটি বেসেন্ট, গ্রিয়ার ও হে লিফেংয়ের মধ্যে গত মে মাসের পর পঞ্চম বৈঠক। আগের বৈঠকগুলো বিভিন্ন ইউরোপীয় শহরগুলোতে হয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা উভয় অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল এশীয় রপ্তানিকারক মালয়েশিয়ায় স্থানান্তরিত হলো।
বিরল খনিজ যুদ্ধ
এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু আবারও চীনের হাতে থাকা বিরল খনিজ পদার্থ ও ম্যাগনেটের বৈশ্বিক সরবরাহের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ। উচ্চপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য এসব উপাদান বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
এপ্রিল মাসে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেন, যা দ্রুত উভয় পক্ষেই শুল্ক তিন অঙ্কের হারে বাড়ে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীন যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকট্রিক যানবাহন, সেমিকন্ডাক্টর এবং অস্ত্র উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।
মে মাসে জেনেভায় প্রথম বৈঠকে দুই পক্ষ এই শুল্কযুদ্ধে ৯০ দিনের বিরতি দিতে সম্মত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৫ শতাংশ এবং চীনে ১০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে আনে এবং ম্যাগনেট রপ্তানি আংশিকভাবে পুনরায় শুরু হয়। পরবর্তী বৈঠকগুলো লন্ডন, স্টকহোম ও সেপ্টেম্বরে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে টিকটকের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তর করার বিষয়ে একমত হয় চীন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ কালোতালিকার নিয়ম কঠোর করলে ওই অস্থায়ী সমঝোতা ভেঙে যায়। ফলে হাজার হাজার চীনা প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর জবাবে ১০ অক্টোবর চীন নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে বৈশ্বিক বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
বেসেন্ট ও গ্রিয়ার চীনের এই পদক্ষেপকে ‘বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের ওপর দখল নেওয়ার চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেন। তাঁরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্ররা এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নেবে না।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন এখন সফটওয়্যারনির্ভর বহু পণ্য (ল্যাপটপ থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিন পর্যন্ত) চীনে রপ্তানি সীমিত করার ব্যাপারে চিন্তা করছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, কুয়ালালামপুরে তাদের আসল চ্যালেঞ্জ হবে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া, যাতে ম্যাগনেটের সরবরাহ বজায় থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আর না বাড়ায়। তা না হলে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় অ্যাপেক সম্মেলনে ট্রাম্প-সি বৈঠক বাতিল হয়ে যেতে পারে।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনিশিয়েটিভ ফর ইউএস-চায়না ডায়ালগ’-এর সিনিয়র ফেলো ডেনিস ওয়াইল্ডার এক ওয়েবিনারে বলেন, ‘আমি আশাবাদী, এই বৈঠকে অন্তত কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যাতে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা যায়। ট্রাম্প নতুন ১০০% শুল্ক আরোপে যাবেন না, আর চীনও বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানিতে কিছুটা নমনীয়তা দেখাবে।’
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার টেবিলে চীনের কাছে আমেরিকান সয়াবিন পুনরায় কেনা শুরু করার দাবি জানাতে পারে। কারণ, চীন সেপ্টেম্বরে একদমই সয়াবিন কেনেনি, যা ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মূল অভিযোগগুলো (চীনের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি, অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতা এবং দেশীয় ভোগ বৃদ্ধির অভাব) আলোচনার কেন্দ্রে আসবে না।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অর্থনীতি বিভাগের পরিচালক ফিলিপ লাক বলেন, ‘আমরা মূল সমস্যায় যেতে পারছি না। কারণ, আমাদের তো তাদের বলতে হচ্ছে, “সয়াবিন কেন, ঠিক না?”’

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
১৮ মে ২০২৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ ফ্রান্সের ওসিতানি অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর উজেসের ছোট্ট স্কয়ার প্লাস ওজ হার্বে–তে প্রতিদিন সকালে কফি হাতে বসে থাকেন জুলি নেইস। ফোয়ারার পাশে বসে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা আর পুরোনো পাথরের রাস্তায় হাঁটা এখন তাঁর জীবনের সহজ ও প্রিয় অভ্যাস।
১ ঘণ্টা আগে
দিওয়ালিকে কেন্দ্র করে ভারতে ছেয়ে গেছে ‘কার্বাইড গান’ নামে নতুন একটি খেলনা। কিন্তু এই খেলনাই এখন ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই খেলনার বিস্ফোরণে দেশটির শুধু মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেই অন্তত ১৪ শিশু স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এবং তিন দিনে রাজ্যজুড়ে ১২০ জনেরও বেশি শিশুকে গুরুতর চোখের...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ ফ্রান্সের ওসিতানি অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর উজেসের ছোট্ট চত্বর স্কয়ার ‘প্ল্যাস ওজ হার্বে’-তে প্রতিদিন সকালে কফি হাতে বসে থাকেন জুলি নেইস। ফোয়ারার পাশে বসে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা আর পুরোনো পাথরের রাস্তায় হাঁটা এখন তাঁর জীবনের সহজ ও প্রিয় অভ্যাস। তিনি বলেন, ‘এখনো বিশ্বাস করতে পারি না, আমি সত্যিই এখানে থাকি!’
জুলির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে। টেক্সাসে বেড়ে ওঠা জুলি ছয় মাস আগেও কখনো ফরাসি ওই ছোট্ট শহরে পা রাখেননি। অথচ আজ উজেসই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। আর এই সিদ্ধান্তটা তিনি নিয়েছেন একেবারে অন্যভাবে। আসলে তিনি সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞেস করে!
জুলি বলেন, ‘শুনতে পাগলামির মতো লাগলেও, আমি চেয়েছিলাম জীবনের এই বিভ্রান্তি থেকে কিছুটা মুক্তি। ভাবলাম, এটা যদি একটুখানি অ্যাডভেঞ্চার হয়, মন্দ কী!’
ক্লান্তি থেকে নতুন শুরু
মার্কিন নারী হলেও ফ্রান্সের সঙ্গে জুলির সম্পর্ক অনেক পুরোনো। কৈশোরে স্কুলে ফরাসি ভাষা শেখা থেকেই তাঁর প্রেম শুরু। ২০০৪ সালে তিনি প্যারিসে গিয়ে পাঁচ বছর ছিলেন। পরে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এবং প্রযুক্তি খাতে খুব ভালো ক্যারিয়ার গড়েন। ভালো বেতন, ভ্রমণ—সবই ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি ভয়াবহ বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও ক্লান্তিতে ভুগতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে একেবারে ফাঁকা খোলস মনে হতো।’
তাই আবারও ফ্রান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জুলি। প্যারিসে ফিরে গেলেও শহরের কোলাহলে তিনি আবারও ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তিনি চাইছিলেন শান্ত, ছোট্ট কোনো জায়গা—যেখানে জীবন একটু ধীরে বয়ে যায়।
কিন্তু কোন শহর? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তিনি তাঁর জীবনকথা, পছন্দ–অপছন্দ, মূল্যবোধ ও প্রত্যাশার কথা লিখে দেন চ্যাটজিপিটিকে। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি চাই ভালো আবহাওয়া, বাজার, প্রবাসী সমাজ এবং শান্ত গতি।’
পরামর্শ হিসেবে চ্যাটজিপিটি তখন দুটি শহরের নাম প্রস্তাব করেছিল। এর একটি হলো সারলা-লা-কানেদা, আর অন্যটি উজেস। তবে চ্যাটজিপিটি এটাও জানায়, সারলা কিছুটা নির্জন, তাই উজেস-ই উপযুক্ত হবে।
এই পরামর্শ পেয়ে জুলি তখন চ্যাটজিপিটিকে বলেন, ‘ঠিক আছে, তাহলে চল যাই!’

নতুন জীবন, নতুন তাল
নতুন সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে চাকরি ছেড়ে, গাড়ি বিক্রি করে, মাত্র দুটি স্যুটকেস নিয়ে গত মার্চে তিনি উড়ে যান ফ্রান্সের নিস শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে আভিনিওঁ, তারপর গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছান উজেসে। শহরটিতে ঢুকেই তাঁর মন বলে ওঠে, ‘এই তো, ঠিক জায়গায়ই এসেছি!’
এক কামরার ছোট্ট এক অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন জুলি—যার জানালা দিয়ে দেখা যায় মধ্যযুগীয় একটি টাওয়ার। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তাঁর নতুন জীবন।
তবে একা থাকার ভয় ছিল তাঁর। জুলি বলেন, ‘বন্ধু ও কমিউনিটি আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
শুরুর দিনগুলোতে শহরটিতে তিনি পরিচিতি পান ‘সব সময় একা থাকা আমেরিকান মেয়ে’ হিসেবে। পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্রেঞ্চ জুলি ট্রাভেলস’-এর মাধ্যমে স্থানীয় ও প্রবাসী মানুষদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। জুলির চ্যানেলে এখন দেখা যায়—ফরাসি ছোট্ট বাজার, রাস্তার কফিশপ ও তাঁর নতুন জীবনের নানা মুহূর্ত।

ভারসাম্যের জীবন
নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জুলি বলেন, ‘ফ্রান্সে মানুষ কাজের চেয়ে জীবনের আনন্দকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এখানে কেউ প্রথমেই জিজ্ঞেস করে না—তুমি কী কাজ করো।’
তাঁর মতে, এটাই এক ধরনের মুক্তি।
তবে ছোট শহরে কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। রোববার দোকান বন্ধ। সেদিন কিছু কেনার প্রয়োজন হলে যেতে হয় দূরের নিস শহর কিংবা আভিনিওঁতে। তবু তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর মনে হয়, আমি আবার নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। চাকরি ছেড়ে আসা ভয়ানক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমি আগের চেয়ে অনেক সুখী। চ্যাটজিপিটির পরামর্শে আমার জীবন বদলে গেছে।’

দক্ষিণ ফ্রান্সের ওসিতানি অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর উজেসের ছোট্ট চত্বর স্কয়ার ‘প্ল্যাস ওজ হার্বে’-তে প্রতিদিন সকালে কফি হাতে বসে থাকেন জুলি নেইস। ফোয়ারার পাশে বসে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা আর পুরোনো পাথরের রাস্তায় হাঁটা এখন তাঁর জীবনের সহজ ও প্রিয় অভ্যাস। তিনি বলেন, ‘এখনো বিশ্বাস করতে পারি না, আমি সত্যিই এখানে থাকি!’
জুলির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে। টেক্সাসে বেড়ে ওঠা জুলি ছয় মাস আগেও কখনো ফরাসি ওই ছোট্ট শহরে পা রাখেননি। অথচ আজ উজেসই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। আর এই সিদ্ধান্তটা তিনি নিয়েছেন একেবারে অন্যভাবে। আসলে তিনি সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞেস করে!
জুলি বলেন, ‘শুনতে পাগলামির মতো লাগলেও, আমি চেয়েছিলাম জীবনের এই বিভ্রান্তি থেকে কিছুটা মুক্তি। ভাবলাম, এটা যদি একটুখানি অ্যাডভেঞ্চার হয়, মন্দ কী!’
ক্লান্তি থেকে নতুন শুরু
মার্কিন নারী হলেও ফ্রান্সের সঙ্গে জুলির সম্পর্ক অনেক পুরোনো। কৈশোরে স্কুলে ফরাসি ভাষা শেখা থেকেই তাঁর প্রেম শুরু। ২০০৪ সালে তিনি প্যারিসে গিয়ে পাঁচ বছর ছিলেন। পরে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এবং প্রযুক্তি খাতে খুব ভালো ক্যারিয়ার গড়েন। ভালো বেতন, ভ্রমণ—সবই ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি ভয়াবহ বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও ক্লান্তিতে ভুগতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে একেবারে ফাঁকা খোলস মনে হতো।’
তাই আবারও ফ্রান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জুলি। প্যারিসে ফিরে গেলেও শহরের কোলাহলে তিনি আবারও ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তিনি চাইছিলেন শান্ত, ছোট্ট কোনো জায়গা—যেখানে জীবন একটু ধীরে বয়ে যায়।
কিন্তু কোন শহর? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তিনি তাঁর জীবনকথা, পছন্দ–অপছন্দ, মূল্যবোধ ও প্রত্যাশার কথা লিখে দেন চ্যাটজিপিটিকে। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি চাই ভালো আবহাওয়া, বাজার, প্রবাসী সমাজ এবং শান্ত গতি।’
পরামর্শ হিসেবে চ্যাটজিপিটি তখন দুটি শহরের নাম প্রস্তাব করেছিল। এর একটি হলো সারলা-লা-কানেদা, আর অন্যটি উজেস। তবে চ্যাটজিপিটি এটাও জানায়, সারলা কিছুটা নির্জন, তাই উজেস-ই উপযুক্ত হবে।
এই পরামর্শ পেয়ে জুলি তখন চ্যাটজিপিটিকে বলেন, ‘ঠিক আছে, তাহলে চল যাই!’

নতুন জীবন, নতুন তাল
নতুন সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে চাকরি ছেড়ে, গাড়ি বিক্রি করে, মাত্র দুটি স্যুটকেস নিয়ে গত মার্চে তিনি উড়ে যান ফ্রান্সের নিস শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে আভিনিওঁ, তারপর গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছান উজেসে। শহরটিতে ঢুকেই তাঁর মন বলে ওঠে, ‘এই তো, ঠিক জায়গায়ই এসেছি!’
এক কামরার ছোট্ট এক অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন জুলি—যার জানালা দিয়ে দেখা যায় মধ্যযুগীয় একটি টাওয়ার। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তাঁর নতুন জীবন।
তবে একা থাকার ভয় ছিল তাঁর। জুলি বলেন, ‘বন্ধু ও কমিউনিটি আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
শুরুর দিনগুলোতে শহরটিতে তিনি পরিচিতি পান ‘সব সময় একা থাকা আমেরিকান মেয়ে’ হিসেবে। পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্রেঞ্চ জুলি ট্রাভেলস’-এর মাধ্যমে স্থানীয় ও প্রবাসী মানুষদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। জুলির চ্যানেলে এখন দেখা যায়—ফরাসি ছোট্ট বাজার, রাস্তার কফিশপ ও তাঁর নতুন জীবনের নানা মুহূর্ত।

ভারসাম্যের জীবন
নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জুলি বলেন, ‘ফ্রান্সে মানুষ কাজের চেয়ে জীবনের আনন্দকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এখানে কেউ প্রথমেই জিজ্ঞেস করে না—তুমি কী কাজ করো।’
তাঁর মতে, এটাই এক ধরনের মুক্তি।
তবে ছোট শহরে কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। রোববার দোকান বন্ধ। সেদিন কিছু কেনার প্রয়োজন হলে যেতে হয় দূরের নিস শহর কিংবা আভিনিওঁতে। তবু তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর মনে হয়, আমি আবার নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। চাকরি ছেড়ে আসা ভয়ানক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমি আগের চেয়ে অনেক সুখী। চ্যাটজিপিটির পরামর্শে আমার জীবন বদলে গেছে।’

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
১৮ মে ২০২৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা কুয়ালালামপুরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করা। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠককে সফল করা।
১ ঘণ্টা আগে
দিওয়ালিকে কেন্দ্র করে ভারতে ছেয়ে গেছে ‘কার্বাইড গান’ নামে নতুন একটি খেলনা। কিন্তু এই খেলনাই এখন ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই খেলনার বিস্ফোরণে দেশটির শুধু মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেই অন্তত ১৪ শিশু স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এবং তিন দিনে রাজ্যজুড়ে ১২০ জনেরও বেশি শিশুকে গুরুতর চোখের...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিওয়ালিকে কেন্দ্র করে ভারতে ছেয়ে গেছে ‘কার্বাইড গান’ নামে নতুন একটি খেলনা। কিন্তু এই খেলনাই এখন ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই খেলনার বিস্ফোরণে দেশটির শুধু মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেই অন্তত ১৪ শিশু স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এবং তিন দিনে রাজ্যজুড়ে ১২০ জনেরও বেশি শিশুকে গুরুতর চোখের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘কার্বাইড গান’ দেখতে সাধারণ খেলনার মতো হলেও, এটি আসলে এক ধরনের রাসায়নিক বিস্ফোরক যন্ত্র। প্লাস্টিক বা টিনের পাইপে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই যন্ত্র। মিশ্রণে উৎপন্ন হয় অ্যাসিটিলিন গ্যাস, যা আগুনের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। খেলনাটির দাম মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ রুপি হলেও, এর ক্ষতি ভয়াবহ।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের শুধু হামিদিয়া হাসপাতালেই ৭২ ঘণ্টায় ২৬ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই প্রদেশের বিদিশা জেলা। সেখানকার স্থানীয় বাজারে খেলনাটি দেদারসে বিক্রি হচ্ছিল। এ অবস্থায় গত ১৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে খেলনাটির বিক্রয় বন্ধে নির্দেশ দিলেও দেওয়ালির সময় তা আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি।
চোখ হারানো শিশুদের চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি কোনো আতশবাজি নয়, বরং একটি রাসায়নিক বোমা। ভোপাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড. হেমলতা যাদব জানিয়েছেন, এই খেলনাটিতে যে বিস্ফোরণ ঘটে তাতে চোখের কর্নিয়া, আইরিস ও রেটিনা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ড. আদিতি দুবে সতর্ক করে বলেছেন, অ্যাসিটিলিন গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কে প্রদাহ, মাথা ঘোরা, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিভ্রংশ ঘটাতে পারে।
ভোপালের এখনো প্রায় ৬০ জন আহত শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ বিদিশা জেলায় অন্তত ছয়জন বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং রাজ্যজুড়ে অভিযান চলছে।
অন্যদিকে বিহারের রাজধানী পাটনায়ও অন্তত ৫০ শিশুর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আইজিআইএমএস হাসপাতালের চোখের বিশেষজ্ঞ ড. বিভূতি প্রসন্ন সিনহা জানিয়েছেন, সঠিক পরিসংখ্যান জানা না গেলেও রাজ্যজুড়ে ১৫০–২০০ জন গুরুতর বা আংশিকভাবে আহত হয়েছেন বলে ধারণা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোই এই ‘কার্বাইড গান’–এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে বহু ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ নিজে হাতে বানিয়ে এই যন্ত্র বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে—যার শেষ পরিণতি এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।

দিওয়ালিকে কেন্দ্র করে ভারতে ছেয়ে গেছে ‘কার্বাইড গান’ নামে নতুন একটি খেলনা। কিন্তু এই খেলনাই এখন ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই খেলনার বিস্ফোরণে দেশটির শুধু মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেই অন্তত ১৪ শিশু স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এবং তিন দিনে রাজ্যজুড়ে ১২০ জনেরও বেশি শিশুকে গুরুতর চোখের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘কার্বাইড গান’ দেখতে সাধারণ খেলনার মতো হলেও, এটি আসলে এক ধরনের রাসায়নিক বিস্ফোরক যন্ত্র। প্লাস্টিক বা টিনের পাইপে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই যন্ত্র। মিশ্রণে উৎপন্ন হয় অ্যাসিটিলিন গ্যাস, যা আগুনের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। খেলনাটির দাম মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ রুপি হলেও, এর ক্ষতি ভয়াবহ।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের শুধু হামিদিয়া হাসপাতালেই ৭২ ঘণ্টায় ২৬ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই প্রদেশের বিদিশা জেলা। সেখানকার স্থানীয় বাজারে খেলনাটি দেদারসে বিক্রি হচ্ছিল। এ অবস্থায় গত ১৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে খেলনাটির বিক্রয় বন্ধে নির্দেশ দিলেও দেওয়ালির সময় তা আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি।
চোখ হারানো শিশুদের চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি কোনো আতশবাজি নয়, বরং একটি রাসায়নিক বোমা। ভোপাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড. হেমলতা যাদব জানিয়েছেন, এই খেলনাটিতে যে বিস্ফোরণ ঘটে তাতে চোখের কর্নিয়া, আইরিস ও রেটিনা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ড. আদিতি দুবে সতর্ক করে বলেছেন, অ্যাসিটিলিন গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কে প্রদাহ, মাথা ঘোরা, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিভ্রংশ ঘটাতে পারে।
ভোপালের এখনো প্রায় ৬০ জন আহত শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ বিদিশা জেলায় অন্তত ছয়জন বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং রাজ্যজুড়ে অভিযান চলছে।
অন্যদিকে বিহারের রাজধানী পাটনায়ও অন্তত ৫০ শিশুর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আইজিআইএমএস হাসপাতালের চোখের বিশেষজ্ঞ ড. বিভূতি প্রসন্ন সিনহা জানিয়েছেন, সঠিক পরিসংখ্যান জানা না গেলেও রাজ্যজুড়ে ১৫০–২০০ জন গুরুতর বা আংশিকভাবে আহত হয়েছেন বলে ধারণা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোই এই ‘কার্বাইড গান’–এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে বহু ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ নিজে হাতে বানিয়ে এই যন্ত্র বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে—যার শেষ পরিণতি এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।

ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া আজ রোববার অন্তত ২৭৩টি ড্রোন দিয়ে একযোগে কিয়েভ অঞ্চলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮ টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান।
১৮ মে ২০২৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা কুয়ালালামপুরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করা। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠককে সফল করা।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ ফ্রান্সের ওসিতানি অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর উজেসের ছোট্ট স্কয়ার প্লাস ওজ হার্বে–তে প্রতিদিন সকালে কফি হাতে বসে থাকেন জুলি নেইস। ফোয়ারার পাশে বসে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা আর পুরোনো পাথরের রাস্তায় হাঁটা এখন তাঁর জীবনের সহজ ও প্রিয় অভ্যাস।
১ ঘণ্টা আগে