Ajker Patrika

ইউক্রেনকে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে ইইউ

ইউক্রেনকে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে ইইউ

ইউক্রেনকে আরও অর্থ সহায়তা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া হবে ৫০০ কোটি ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে, আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ ইউক্রেনকে যুক্তরাজ্যের দেওয়া সহায়তার পরিমাণ ২৬৩ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কাউন্সিল স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ইউক্রেনকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা হিসেবে দিতে যাচ্ছে। গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর চলতি মাসে এই ঋণ ইউরোপীয় কাউন্সিলের অনুমোদন পেল। ইউক্রেনকে পরবর্তী ২৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

ইউরোপীয় কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি ইউক্রেনের সামষ্টিক-অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বজায় রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৯০০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দ্বিতীয় ধাপ। দেশটির তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতাকে শক্তিশালী ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম এগিয়ে নিতেই এই সহায়তা।’ গত জুলাই মাসে ইউরোপীয় কাউন্সিল ইউক্রেনকে এই একই প্যাকেজের আওতায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তা শিগগিরই পাওয়া গেলেও যুক্তরাজ্যের সহায়তা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট নয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ ইউক্রেনে ব্রিটিশ সহায়তা ২৬৩ কোটি ডলার কিংবা তার চেয়েও বেশি পরিমাণে হবে। 

এই বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের পেছনে থাকবে।’ স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের আগে ইউক্রেনের জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাস এই কথা বলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাদ্দামের পতন ও ইরাক ধ্বংসের অন্যতম হোতা ডিক চেনির মৃত্যু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৫২
জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে চেনি ছিলেন সরকারের নেপথ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত
জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে চেনি ছিলেন সরকারের নেপথ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) থাকার মিথ্যা অভিযোগের সাদ্দাম হোসেনের সরকারের পতন ও ইরাক ধ্বংসের অন্যতম হোতা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। চেনির পরিবার এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

ডিক চেনি এক বিরল রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী। তিনি ছিলেন একাধারে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ, কংগ্রেস সদস্য, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট।

জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে চেনি ছিলেন সরকারের নেপথ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। বুশের চেয়ে কম অভিজ্ঞ হলেও তিনি প্রশাসনিক ও নিরাপত্তানীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সন্ত্রাসী হামলার সময় বুশকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলে চেনি তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ডের সঙ্গে মিলিত হয়ে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তানীতির নিয়ন্ত্রণ নেন। এর পরপরই মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে।

তবে ইতিহাসে চেনির নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় ইরাক যুদ্ধের সিদ্ধান্তের কারণে। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের (১৯৯০–৯১) সময় তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কিন্তু ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট বুশের সঙ্গে মিলে তিনি দাবি করেন, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত এবং ৯/১১ হামলার পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল; পাশাপাশি তাঁর কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) রয়েছে।

তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এসব দাবির কোনোটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। চেনি পরে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ছিল ‘‘দেশ রক্ষায় যা কিছু প্রয়োজন, তা করা এবং আমরা তা করেছি’’।’

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন স্কুলের হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর থেকে ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও পাকিস্তানে অন্তত ৮ লাখ মানুষ সরাসরি যুদ্ধ ও সহিংসতায় নিহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ চলাকালে বন্দীদের ওপর নির্যাতনের অনুমতি ও তা সমর্থনের জন্য চেনি ব্যাপক সমালোচিত হন। কিন্তু অবসরের পরে তিনি তাঁর এসব কর্মকাণ্ডকে যথার্থ বলে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে গেছেন।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপআউট চেনি ভিয়েতনাম যুদ্ধ এড়িয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে রিপাবলিকান রাজনীতিতে বিশাল প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি ছিলেন রিচার্ড নিক্সনের আমলে হোয়াইট হাউসের সহকারী, জেরাল্ড ফোর্ডের সময় সর্বকনিষ্ঠ চিফ অব স্টাফ, রোনাল্ড রিগ্যানের আমলে কংগ্রেস সদস্য, জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সর্বশেষ জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

২০০০ সালের নির্বাচনে জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁকে হ্যালিবার্টন করপোরেশন থেকে ডেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বানান। তত দিনে তিনি তিনবার হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি একবার শিকারে গিয়ে ভুলবশত তাঁর এক কর্মীর মুখে গুলি করেছিলেন। ঘটনাটি সে সময় ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

চেনির মেয়ে লিজ চেনি তাঁর বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ওয়াইমিং থেকে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন—সেই আসনেই একসময় ডিক চেনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা নিয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় রিপাবলিকান দল তাঁকে বহিষ্কার করে।

ওই ঘটনার এক বছর পর স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে চেনি বলেন, ‘বর্তমান রিপাবলিকান নেতৃত্ব আমার সময়ের কারও মতো নয়। ৬ জানুয়ারির ঘটনাটিকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।’

এরপর ২০২৪ সালে তিনি ঘোষণা দেন, ট্রাম্প নয়, বরং কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন, কারণ, তাঁর মতে, ‘আমেরিকার ২৪৮ বছরের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বড় হুমকি গণতন্ত্রের জন্য আর কেউ নন’। তিনি আরও বলেন, দেশের সংবিধান রক্ষার জন্য তাঁর কর্তব্য হলো দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে প্রাধান্য দেওয়া।

চেনিকে অনেকে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ স্টার ওয়ার্সের ‘ডার্থ ভেডার’ চরিত্রটির নামে ডাকতেন এবং চেনি নিজেও নামটি উপভোগ করতেন।

তাঁর জীবনী লেখক জ্যাক বার্নস্টিন ২০১৮ সালে দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, জর্জ ডব্লিউ বুশকে এখন অনেকে তুলনামূলকভাবে ভালো ভাবছেন, কারণ, ট্রাম্প সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছেন। কিন্তু চেনি নিজেই পছন্দ করতেন যে, তাঁকে ডার্থ ভেডার বলা হোক। তাঁর ভাবমূর্তি নরম করার কোনো ইচ্ছা কখনোই ছিল না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সৌদি আরবে সংগীত শিক্ষকের প্রশিক্ষণ পাবেন আরও ১৭ হাজার নারী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরব সরকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালু করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সংগীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে হাজারো শিক্ষককে। বিশেষ করে, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষকদের।

সৌদি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে দুই মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মিউজিক কমিশন কর্তৃক পরিচালিত একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল সংগীত শেখানোর দক্ষতা বাড়ানো এবং সংগীত শিক্ষক গড়ে তোলা। প্রথম ধাপে ১২ হাজারের বেশি নারী শিক্ষক সরকারি ও বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনে প্রশিক্ষণ নেন।

এবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপ—যেখানে আরও ১৭ হাজার নারী শিক্ষককে সংগীত শিক্ষার পেশাগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মূলত একটি ‘সাংস্কৃতিক দক্ষতা উন্নয়ন কৌশলের’ অংশ, যার মাধ্যমে শিশুদের প্রাথমিক বয়স থেকে সংগীত ও শিল্পের সঙ্গে পরিচিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি সরকার।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংগীত শেখানোর এই উদ্যোগ সৌদি শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ নীতি অনুসারে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো—সংগীত ও অন্যান্য শিল্পকে ক্রমান্বয়ে বিদ্যালয়ের মূল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রিয়াদের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আর্টস কলেজ প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে শিল্পকলার পাশাপাশি সংগীত বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে সেখানে উচ্চশিক্ষার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ২০২০ সালে সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘মিউজিক কমিশন’ গঠন করা হয়, যার কাজ হলো সংগীত খাতের বিকাশ তদারকি করা, সংগীত শিক্ষায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, তরুণ প্রতিভাকে উৎসাহিত করা এবং সংগীতকে দেশের অর্থনীতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব দ্রুত পরিবর্তনের পথে। দেশে এখন নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে কনসার্ট, সিনেমা প্রদর্শনী, নাট্যোৎসব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। শিল্প ও বিনোদনের এই উত্থান দেশের সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সংগীত শিক্ষকদের দায়িত্ব কী হবে

নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা মূলত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য সংগীত শিক্ষা পরিচালনা করবেন। তাঁরা গান, তাল-লয়, বাদ্যযন্ত্রের মৌলিক ধারণা ও স্থানীয় লোকসংগীত শেখাবেন, যাতে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সংগীত ও শিল্পের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন শুরু, সকালেই মামদানি ও কুমোর বার্তা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জোহরান মামদানি ও অ্যান্ড্রু কুমো। ছবি: সংগৃহীত
জোহরান মামদানি ও অ্যান্ড্রু কুমো। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে খোলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র, যা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)।

নির্বাচনের আগের রাত থেকেই মেয়র প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারে সরব হয়ে উঠেছেন। নিউইয়র্কের রাজনীতিতে ভিন্নধর্মী প্রচারণার জন্য পরিচিত প্রার্থী জো মামদানি এবং সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো—দুজনই সামাজিক মাধ্যমে ভোটারদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

কুমো এক আন্তরিক বার্তায় ভোটারদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের ভোট চাই—অভিজ্ঞতার পক্ষে ভোট দিন, পরিবর্তনের জন্য ভোট দিন, জননিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের পক্ষে ভোট দিন। নিউইয়র্ক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নগরী, আসুন আমরা একসঙ্গে তাকে আবার উজ্জ্বল করে তুলি।’

অন্যদিকে মামদানি প্রচারে ভিন্নধর্মী পথ বেছে নিয়েছেন। নিজের যোগ্যতার কথা না বলে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি সৃজনশীল ভিডিও পোস্ট করেছেন—যেখানে একটি ফুল ফুটে উঠছে, আর সেই ফুলের ভেতর থেকে তার মুখ ভেসে উঠছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল—‘ভোটকেন্দ্র এখন খোলা।’ সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ভোটকেন্দ্রের অবস্থান জানার লিংক।

এই ভিন্ন প্রচারণা তাঁদের দুজনের রাজনৈতিক দর্শন ও প্রচার কৌশলের পার্থক্যকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। কুমো যেখানে অভিজ্ঞতা ও নিরাপত্তাকে সামনে আনছেন, মামদানি সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণে জোর দিচ্ছেন।

এই নির্বাচনের রিপাবলিকান মনোনীত অপর প্রার্থী হলেন কার্টিস স্লিউয়া। তিনি ১৯৭৯ সালে ’গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলস’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী অপরাধ দমনকারী সংগঠনের নেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এই সংগঠনটি নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়ে ব্যবস্থায় টহল দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পায়।

এদিকে নির্বাচনের দিন শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রায় ৮৫ লাখ মানুষের এই মহানগর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহর। ম্যানহাটন, ব্রুকলিন, কুইন্স, দ্য ব্রঙ্কস ও স্ট্যাটেন আইল্যান্ড—এই এলাকাগুলো মিলেই নিউইয়র্ক সিটি গঠিত।

মঙ্গলবার চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হলেও এই নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল গত ২৫ অক্টোবর, যা শেষ হয় ২ নভেম্বর। মঙ্গলবারের ভোটের ফলই নির্ধারণ করতে যাচ্ছে আগামী কয়েক বছরের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই শহরের নেতৃত্ব কে দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পৃথিবীকে রক্ষা করেছেন যিশু, মাতা মেরি নন: ভ্যাটিকান সিটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পোপ লিও। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
পোপ লিও। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

খ্রিষ্টানদের একমাত্র ত্রাণকর্তা যিশু—কুমারী মেরি এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান সিটি। পোপ লিওর অনুমোদনে প্রকাশিত এক নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের উচিত নয় মাতা মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ (co-redeemer) বলে সম্বোধন করা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের ‘শীর্ষ মতবাদ দপ্তর’ পোপ লিওর সম্মতিতে এ ডিক্রি বা নির্দেশনা জারি করে।

প্রসঙ্গত, ভ্যাটিকানের শীর্ষ মতবাদ দপ্তর হলো ধর্মীয় মতবাদের ‘ডিকাস্ট্রি’। এই ‘ডিকাস্ট্রি’ (Dicastery) ভ্যাটিকান সিটির একটি প্রশাসনিক বিভাগ, যা রোমান ক্যাথলিক চার্চের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মূলত একটি মন্ত্রণালয়ের মতো কাজ করে, যা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় যেমন—ধর্মীয় সংলাপ, মানব উন্নয়ন বা যোগাযোগের মতো বিষয়গুলো পরিচালনা ও দেখাশোনা করে।

আজ পোপ লিওর নির্দেশনায় বলা হয়, মাতা মেরির জন্য এই উপাধি ব্যবহার উপযুক্ত নয়...এটি খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মূল সত্যগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।

ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী, যিশু তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া ও মৃত্যুর মাধ্যমে মানবজাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন। তবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক ছিল—মাতা মেরি যিশুর এই মুক্তির কাজে কোনোভাবে অংশ নিয়েছিলেন কি না।

এই প্রশ্নে চার্চের ভেতরে দীর্ঘদিন মতবিরোধ ছিল। সর্বশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে ভ্যাটিকান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল—যিশুই বিশ্বের একমাত্র ত্রাণকর্তা।

প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, মাতা মেরি কখনোই তাঁর ছেলের কাছ থেকে নিজের জন্য কিছু নিতে চাননি। এ ধারণা একেবারেই নির্বুদ্ধিতা।

পোপ ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শও একই অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে জন পল দ্বিতীয় প্রথম দিকে এই উপাধিকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি মতবাদ দপ্তর ‘সংশয়’ প্রকাশ করার পর তিনি প্রকাশ্যে এই উপাধি ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন।

ভ্যাটিকানের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যিশুর মা হিসেবে মেরির ভূমিকা বিশেষ, তবে তিনি ত্রাণকর্ত্রী নন—বরং ঈশ্বর ও মানবজাতির মধ্যে এক মধ্যস্থতাকারী। নির্দেশনায় বলা হয়, মেরি যিশুর জন্ম দিয়ে ‘মানবজাতির প্রতীক্ষিত মুক্তির দ্বার উন্মুক্ত করেছিলেন’।

বাইবেল অনুসারে, দেবদূত যখন মেরিকে জানান যে, তিনি গর্ভবতী হতে চলেছেন, মেরির উত্তর ছিল—‘তা-ই হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত