ইতালিতে ১৮ বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানি এক দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার ১৮ মাস পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ইতালির উত্তরাঞ্চলের একটি ফার্ম হাউস থেকে নিহত সামান আব্বাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাবা শাব্বার আব্বাসকে গত আগস্টে পাকিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং হত্যার বিচারের জন্য ইতালিতে হস্তান্তর করা হয়।
তাঁর স্ত্রী নাজিয়া শাহিনের অনুপস্থিতিতে তাঁর শাস্তির রায় দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পাকিস্তানে লুকিয়ে আছেন।
সামান আব্বাসের তথাকথিত ‘অনার কিলিংয়ে’ বিস্মিত হয়েছে সমগ্র ইতালি। আনার কিলিং হলো পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে হত্যা। সামান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর ইতালির ইসলামি সংগঠনগুলো একটা ফতোয়া জারি করে, এ অনুসারে জোরপূর্বক বিয়েকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর রেজিও এমিলিয়ার একটি আদালত তার বাবা-মাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গতকাল মঙ্গলবার আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে শাব্বার আব্বাস। তিনি আদালতকে বলেন, ‘এ বিচারকার্য এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। আমিও জানতে চাই আমার মেয়েকে কে হত্যা করেছে।’
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় সামানের চাচা দানিশ হাসনাইনকেও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাসনাইনকে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অধীনে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স থেকে আটক করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, সামান আব্বাস কিশোর বয়সে তাঁর পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তান থেকে ইতালির নোভেল্লারা শহরে আসে। সেখানে তিনি তাঁর পছন্দের এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। ইতালির বলোগোনা শহরের রাস্তায় পাকিস্তানি বন্ধুকে চুমু খাওয়ার এক ছবি দেখে তাঁর পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
ইতালির তদন্তকারীরা বলছে, তাঁর মা–বাবা ২০২০ সালে চেয়েছিলেন সামান পাকিস্তানে তাঁদের পছন্দ অনুসারে বিয়ে করুক। তবে, সামান এতে অস্বীকৃতি জানায়।
ওই বছরেরই অক্টোবর থেকে সামান সামাজিক সংগঠনের নিরাপত্তায় থাকা শুরু করে। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি আবার নোভেল্লারায় পরিবারের কাছে ফিরে আসেন। এরপরই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।
আদালতের কৌঁসুলিরা বলছে, তাঁকে ছলনা করে বাড়ি ফেরানো হয়েছিল।
পুলিশের দেখানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিলে সামান আব্বাসের পরিবারের ওই তিন সদস্য কোদাল, শাবল ও একটি নীল ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে। এরপরের দিনের ফুটেজে দেখা যায়, ওই তরুণী তাঁর মা–বাবার সঙ্গে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন।
ময়নাতদন্ত থেকে জানা যায়, সামান আব্বাসের গলার হাড় ভেঙে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল। সম্ভবত গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে।
ইতালিতে ১৮ বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানি এক দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার ১৮ মাস পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ইতালির উত্তরাঞ্চলের একটি ফার্ম হাউস থেকে নিহত সামান আব্বাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাবা শাব্বার আব্বাসকে গত আগস্টে পাকিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং হত্যার বিচারের জন্য ইতালিতে হস্তান্তর করা হয়।
তাঁর স্ত্রী নাজিয়া শাহিনের অনুপস্থিতিতে তাঁর শাস্তির রায় দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পাকিস্তানে লুকিয়ে আছেন।
সামান আব্বাসের তথাকথিত ‘অনার কিলিংয়ে’ বিস্মিত হয়েছে সমগ্র ইতালি। আনার কিলিং হলো পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে হত্যা। সামান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর ইতালির ইসলামি সংগঠনগুলো একটা ফতোয়া জারি করে, এ অনুসারে জোরপূর্বক বিয়েকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর রেজিও এমিলিয়ার একটি আদালত তার বাবা-মাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গতকাল মঙ্গলবার আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে শাব্বার আব্বাস। তিনি আদালতকে বলেন, ‘এ বিচারকার্য এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। আমিও জানতে চাই আমার মেয়েকে কে হত্যা করেছে।’
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় সামানের চাচা দানিশ হাসনাইনকেও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাসনাইনকে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অধীনে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স থেকে আটক করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, সামান আব্বাস কিশোর বয়সে তাঁর পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তান থেকে ইতালির নোভেল্লারা শহরে আসে। সেখানে তিনি তাঁর পছন্দের এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। ইতালির বলোগোনা শহরের রাস্তায় পাকিস্তানি বন্ধুকে চুমু খাওয়ার এক ছবি দেখে তাঁর পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
ইতালির তদন্তকারীরা বলছে, তাঁর মা–বাবা ২০২০ সালে চেয়েছিলেন সামান পাকিস্তানে তাঁদের পছন্দ অনুসারে বিয়ে করুক। তবে, সামান এতে অস্বীকৃতি জানায়।
ওই বছরেরই অক্টোবর থেকে সামান সামাজিক সংগঠনের নিরাপত্তায় থাকা শুরু করে। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি আবার নোভেল্লারায় পরিবারের কাছে ফিরে আসেন। এরপরই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।
আদালতের কৌঁসুলিরা বলছে, তাঁকে ছলনা করে বাড়ি ফেরানো হয়েছিল।
পুলিশের দেখানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিলে সামান আব্বাসের পরিবারের ওই তিন সদস্য কোদাল, শাবল ও একটি নীল ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে। এরপরের দিনের ফুটেজে দেখা যায়, ওই তরুণী তাঁর মা–বাবার সঙ্গে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন।
ময়নাতদন্ত থেকে জানা যায়, সামান আব্বাসের গলার হাড় ভেঙে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল। সম্ভবত গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল, মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় রাশিয়ার বোমা কারখানায় জার্মানির সিমেন্সের প্রযুক্তি ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে নিতে সামরিক উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে রাশিয়া। আর এর মাঝেই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে দেশটির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিস্ফোরক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চীন থেকে...
৫ মিনিট আগেবাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আর সাহিত্য তার এক সুপ্রতিষ্ঠিত স্তম্ভ, যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে একটা কণ্ঠস্বর দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় লেখকদের লেখা ২৫টি বই নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে তা ভারতের সংবিধানের...
৮ মিনিট আগেলিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ গতকাল শনিবার ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার কড়া সমালোচনা করেছেন। প্রয়াত সুলেমান আল-ওবেইদ, যিনি ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ নামে পরিচিত, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছে উয়েফা।
২ ঘণ্টা আগেস্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ও ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপিকা ট্যামি ব্রুসকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপপ্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানান ট্রাম্প নিজেই।
৩ ঘণ্টা আগে