Ajker Patrika

গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের আর কোনো অজুহাত শুনবে না জার্মানি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ৩০
Thumbnail image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের কোনো বাধা মানবে না জার্মানি। আজ শুক্রবার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক বলেছেন, গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের আর কোনো অজুহাত শুনবে না জার্মানি। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

গাজায় আরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য নতুন দুটি পথ খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এ ঘোষণা আসে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো গাজার উত্তরাঞ্চলের ইরেজ গেট সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হবে। আশদোদ বন্দরও খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে জর্ডান থেকে আরও বেশি ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ার আর কোনো অজুহাত নেই ইসরায়েলের। ফেসবুকে তিনি বলেন, ‘গাজার জনগণের এখন ত্রাণের প্রতিটি প্যাকেজই প্রয়োজন। আমরা আশা করি, ইসরায়েলি সরকার তার ঘোষণাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। আর কোনো অজুহাত নেই।’

গত সোমবার গাজায় ত্রাণসহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) গাড়িবহরের ওপর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে সাত ত্রাণকর্মীর মৃত্যু হয়। নিহত দলটি ডব্লিউসিকে লোগোযুক্ত গাড়িতে করে একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়। এ ঘটনার পর বিভিন্ন দিক থেকে রাজনৈতিক চাপে এখন নেতানিয়াহু সরকার।

তবে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই এসেছে সবচেয়ে বড় ধাক্কা। ফোনালাপে করিডরগুলো পুনরায় খোলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন বাইডেন। মূলত ইসরায়েল সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে বাইডেন বলেছেন, বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি রোধে এবং ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিন। তা না হলে গাজা সম্পর্কে মার্কিন নীতির পরিবর্তন হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, তাঁরা যে পরিবর্তনগুলো দেখতে চেয়েছে তা যদি না হয়, তবে ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের নীতিতে পরিবর্তন হবে।

এই প্রথম মার্কিন নীতিতে এমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। বলা চলে, প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন গাজার যুদ্ধকে প্রভাবিত করতে সামরিক সহায়তাকে ব্যবহার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত