বাল্টিক সাগরে দুটি সাবমেরিন কেব্ল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় নিজ জাহাজের জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্তে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল চীন। তবে সুইডেন অভিযোগ করেছে, ওই জাহাজে সুইডিশ প্রসিকিউটরদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দা গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর সুইডেনের আঞ্চলিক জলসীমায়, সুইডেনকে লিথুনিয়ার সঙ্গে ও ফিনল্যান্ডকে জার্মানির সঙ্গে সংযুক্ত রাখা দুটি সাবমেরিন কেব্ল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় সেখানে ‘ই পেং থ্রি’ নামে একটি চীনা জাহাজ অবস্থান করছিল বলে জানা যায়। পরে এটিকে ডেনমার্কের উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নোঙর করতেও দেখা গিয়েছিল। তাই ধারণা করা হয়েছিল, কেব্ল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাটির সঙ্গে এই চীনা জাহাজটির যোগসূত্র থাকতে পারে।
এই ঘটনাটি ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নজরে এসেছে। সুইডেন ক্ষতিগ্রস্ত দুটি সাবমেরিন কেব্লর বিষয়ে তদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের কাছে সহযোগিতা চায়। এরপর সুইডিশ পুলিশ ও দুর্ঘটনা তদন্ত কর্তৃপক্ষ জাহাজটিতে প্রবেশ করে তদন্ত শুরু করে। তবে, সুইডেনের প্রসিকিউটরদের জাহাজে প্রবেশ করতে দেয়নি চীনা কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার পর সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া মালমার স্টেনারগার্ড বলেছেন, ‘আমরা চীনের কাছে স্পষ্ট করে বলেছি, তদন্তের জন্য আমাদের প্রসিকিউটরদের জাহাজে প্রবেশ করার অনুমতি প্রয়োজন। তবে, তারা এখনো আমাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। আমরা চীনের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের যুক্তি উপস্থাপন চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও জানান, সুইডিশ পুলিশ ও দুর্ঘটনা তদন্ত কর্তৃপক্ষ চীনা জাহাজে তদন্তে অংশ নিয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, প্রসিকিউটরদের তদন্তের অনুমতি দেওয়া জরুরি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, জাহাজটির ক্রুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে পুনরায় এটি যাত্রা শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টির সত্য উদ্ঘাটনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
ইউরোপের কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের পরে থেকে এই কেব্ল কাটার ঘটনা শুরু হয়েছে। তবে রাশিয়া এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন ইতিপূর্বে চীনের কাছে আনুষ্ঠানিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য আমরা চীনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছি। যাতে জানা যায়, আসলে কী কারণে সাবমেরিন কেব্ল দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ক্রিস্টারসন আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, কী ঘটেছে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আশা করি, চীন আমাদের অনুরোধ রাখবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের পরে থেকে বাল্টিক সাগরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে এবং এর পর থেকে সমুদ্রের নিচের অবকাঠামো সম্পর্কিত ক্ষতির একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি বিস্ফোরণের কারণে পশ্চিম ইউরোপ এবং রাশিয়ার মধ্যে থাকা নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনের দুটি অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবরে এস্তোনিয়া এবং সুইডেনের মধ্যে একটি সাবমেরিন টেলিকম কেব্লেরও ক্ষতি হয় ইউক্রেন-রাশিয়ান যুদ্ধের কারণে।
এই ঘটনা ইউরোপের নিরাপত্তা ও সমুদ্রতলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বাল্টিক সাগরে দুটি সাবমেরিন কেব্ল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় নিজ জাহাজের জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্তে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল চীন। তবে সুইডেন অভিযোগ করেছে, ওই জাহাজে সুইডিশ প্রসিকিউটরদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দা গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর সুইডেনের আঞ্চলিক জলসীমায়, সুইডেনকে লিথুনিয়ার সঙ্গে ও ফিনল্যান্ডকে জার্মানির সঙ্গে সংযুক্ত রাখা দুটি সাবমেরিন কেব্ল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় সেখানে ‘ই পেং থ্রি’ নামে একটি চীনা জাহাজ অবস্থান করছিল বলে জানা যায়। পরে এটিকে ডেনমার্কের উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নোঙর করতেও দেখা গিয়েছিল। তাই ধারণা করা হয়েছিল, কেব্ল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাটির সঙ্গে এই চীনা জাহাজটির যোগসূত্র থাকতে পারে।
এই ঘটনাটি ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নজরে এসেছে। সুইডেন ক্ষতিগ্রস্ত দুটি সাবমেরিন কেব্লর বিষয়ে তদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের কাছে সহযোগিতা চায়। এরপর সুইডিশ পুলিশ ও দুর্ঘটনা তদন্ত কর্তৃপক্ষ জাহাজটিতে প্রবেশ করে তদন্ত শুরু করে। তবে, সুইডেনের প্রসিকিউটরদের জাহাজে প্রবেশ করতে দেয়নি চীনা কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার পর সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া মালমার স্টেনারগার্ড বলেছেন, ‘আমরা চীনের কাছে স্পষ্ট করে বলেছি, তদন্তের জন্য আমাদের প্রসিকিউটরদের জাহাজে প্রবেশ করার অনুমতি প্রয়োজন। তবে, তারা এখনো আমাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। আমরা চীনের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের যুক্তি উপস্থাপন চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও জানান, সুইডিশ পুলিশ ও দুর্ঘটনা তদন্ত কর্তৃপক্ষ চীনা জাহাজে তদন্তে অংশ নিয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, প্রসিকিউটরদের তদন্তের অনুমতি দেওয়া জরুরি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, জাহাজটির ক্রুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে পুনরায় এটি যাত্রা শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টির সত্য উদ্ঘাটনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
ইউরোপের কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের পরে থেকে এই কেব্ল কাটার ঘটনা শুরু হয়েছে। তবে রাশিয়া এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন ইতিপূর্বে চীনের কাছে আনুষ্ঠানিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য আমরা চীনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছি। যাতে জানা যায়, আসলে কী কারণে সাবমেরিন কেব্ল দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ক্রিস্টারসন আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, কী ঘটেছে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আশা করি, চীন আমাদের অনুরোধ রাখবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের পরে থেকে বাল্টিক সাগরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে এবং এর পর থেকে সমুদ্রের নিচের অবকাঠামো সম্পর্কিত ক্ষতির একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি বিস্ফোরণের কারণে পশ্চিম ইউরোপ এবং রাশিয়ার মধ্যে থাকা নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনের দুটি অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবরে এস্তোনিয়া এবং সুইডেনের মধ্যে একটি সাবমেরিন টেলিকম কেব্লেরও ক্ষতি হয় ইউক্রেন-রাশিয়ান যুদ্ধের কারণে।
এই ঘটনা ইউরোপের নিরাপত্তা ও সমুদ্রতলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। হামলার পর রাজধানীর কয়েকটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে অন্তত ১৪০টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
২২ মিনিট আগেক্ষমতাসীন জোট এলডিপির উচ্চকক্ষে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ১২৫টি আসনের মধ্যে ৫০টি আসনে জয়লাভ করা প্রয়োজন। কিন্তু কিয়োডো, ইয়োমিউরি এবং নিক্কেই পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, এলডিপি ও তাদের জোটের ছোট অংশীদার কোমেইতো এই আসন অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে। যদি এমনটা হয়, তাহলে জাপানের আর্থিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি...
১ ঘণ্টা আগেইরানের খোমেইন শহরে একটি সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একই পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র জনরোষ তৈরি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে রাহা শেইখি নামে মাত্র তিন বছর বয়সী এক শিশু। এই ঘটনায় দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় বইছে।
২ ঘণ্টা আগেফের নারকীয় হামলার সাক্ষী ওডিশা। বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে তিন অজ্ঞাতনামা যুবকের হাতে পুড়ে ছারখার এক ১৫ বছরের স্কুলছাত্রী। ঘটনার ভয়াবহতা এমন যে, পুড়ে যাওয়া শরীরের বেশির ভাগ অংশেই থার্ড ডিগ্রি বার্নস ধরা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে