অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, মস্কোতে একটি বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়ার পর রাশিয়াপন্থী একটি প্যারামিলিটারি বাহিনীর নেতা হাসপাতালে মারা গেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, নিহত আর্মেন সারগসিয়ান ছিলেন ‘আরবাত’ ব্যাটালিয়নের নেতা। সোমবার সকালে মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে একটি আবাসিক ভবনের প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। ঘটনার স্থানটি রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে।
বিস্ফোরণের পর আর্মেন সারগসিয়ানকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। তবে নির্ভরযোগ্য একটি টেলিগ্রাম সূত্রের বরাতে বিবিসি জানায়, শেষ পর্যন্ত তিনি আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সারগসিয়ানের একজন দেহরক্ষীও আছেন। কিছু সূত্র দাবি করেছে, বিস্ফোরণে সারগসিয়ান ছাড়াও অন্তত আরও একজন নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ সারগসিয়ানকে ‘অপরাধী চক্রের নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য বন্দীদের নিয়োগ করছিলেন। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাস থেকেই তিনি হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত ছিলেন।
এসবিইউ আরও জানিয়েছে, সারগসিয়ান পলাতক সাবেক ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
এক আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—সারগসিয়ানের ওপর হামলার পরিকল্পনা খুবই সুপরিকল্পিত ছিল এবং এটি কোনো গোষ্ঠীর নির্দেশে করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এখন হামলার নির্দেশদাতাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের ফলে ভবনের প্রবেশদ্বারটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জানালা ও দরজা উড়ে গেছে এবং দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়েছে।
যে স্থানে বিস্ফোরণটি ঘটেছে তার পাশেই একটি ভবনে থাকেন ৩৬ বছর বয়সী ওলগা ভোরোনোভা। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছি। বুঝতেই পারছি না কীভাবে এমন একটি বিস্ফোরণ ঘটতে পারল। এখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি গাড়ি চেকপয়েন্টে পরীক্ষা করা হয়, এমনকি পরিবারের সদস্যদের জন্যও অনুমতি নিতে হয়।’
সারগসিয়ান ইউক্রেনের দোনেস্ক অঞ্চলের গোরলভকা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
সারগসিয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গোরলভকার মেয়র ইভান প্রিখোদকো বলেছেন, ‘সারগসিয়ানের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল একটি স্বতন্ত্র বিশেষ বাহিনী ব্যাটালিয়ন গঠন ও নেতৃত্ব দেওয়া।’
তিনি জানান, সারগসিয়ান স্বঘোষিত দোনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের বক্সিং ফেডারেশনের প্রধানও ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন ‘আরবাত’ ব্যাটালিয়ন মূলত রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সক্রিয় ছিল। ২০২৩ সালের আগস্টে এই অঞ্চলটিতে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার মাটিতে এক আচমকা আক্রমণ শুরু করেছিল ইউক্রেনের বাহিনী।
মস্কো ও রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে রাশিয়ার সমর্থকদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে রাশিয়ার শীর্ষ নৌ কর্মকর্তা ভ্যালেরি ত্রানকোভস্কি এবং রাশিয়ার কারাগারের প্রধান সের্গেই ইয়েভস্যুকভ নিহত হন।
গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ জেনারেল ও তাঁর সহকারী মস্কোয় ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার হামলায় নিহত হন বলে বিবিসিকে জানিয়েছে একটি ইউক্রেনীয় সূত্র।
রাশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, মস্কোতে একটি বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়ার পর রাশিয়াপন্থী একটি প্যারামিলিটারি বাহিনীর নেতা হাসপাতালে মারা গেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, নিহত আর্মেন সারগসিয়ান ছিলেন ‘আরবাত’ ব্যাটালিয়নের নেতা। সোমবার সকালে মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে একটি আবাসিক ভবনের প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। ঘটনার স্থানটি রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে।
বিস্ফোরণের পর আর্মেন সারগসিয়ানকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। তবে নির্ভরযোগ্য একটি টেলিগ্রাম সূত্রের বরাতে বিবিসি জানায়, শেষ পর্যন্ত তিনি আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সারগসিয়ানের একজন দেহরক্ষীও আছেন। কিছু সূত্র দাবি করেছে, বিস্ফোরণে সারগসিয়ান ছাড়াও অন্তত আরও একজন নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ সারগসিয়ানকে ‘অপরাধী চক্রের নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য বন্দীদের নিয়োগ করছিলেন। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাস থেকেই তিনি হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত ছিলেন।
এসবিইউ আরও জানিয়েছে, সারগসিয়ান পলাতক সাবেক ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
এক আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—সারগসিয়ানের ওপর হামলার পরিকল্পনা খুবই সুপরিকল্পিত ছিল এবং এটি কোনো গোষ্ঠীর নির্দেশে করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এখন হামলার নির্দেশদাতাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের ফলে ভবনের প্রবেশদ্বারটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জানালা ও দরজা উড়ে গেছে এবং দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়েছে।
যে স্থানে বিস্ফোরণটি ঘটেছে তার পাশেই একটি ভবনে থাকেন ৩৬ বছর বয়সী ওলগা ভোরোনোভা। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছি। বুঝতেই পারছি না কীভাবে এমন একটি বিস্ফোরণ ঘটতে পারল। এখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি গাড়ি চেকপয়েন্টে পরীক্ষা করা হয়, এমনকি পরিবারের সদস্যদের জন্যও অনুমতি নিতে হয়।’
সারগসিয়ান ইউক্রেনের দোনেস্ক অঞ্চলের গোরলভকা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
সারগসিয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গোরলভকার মেয়র ইভান প্রিখোদকো বলেছেন, ‘সারগসিয়ানের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল একটি স্বতন্ত্র বিশেষ বাহিনী ব্যাটালিয়ন গঠন ও নেতৃত্ব দেওয়া।’
তিনি জানান, সারগসিয়ান স্বঘোষিত দোনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের বক্সিং ফেডারেশনের প্রধানও ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন ‘আরবাত’ ব্যাটালিয়ন মূলত রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সক্রিয় ছিল। ২০২৩ সালের আগস্টে এই অঞ্চলটিতে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার মাটিতে এক আচমকা আক্রমণ শুরু করেছিল ইউক্রেনের বাহিনী।
মস্কো ও রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে রাশিয়ার সমর্থকদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে রাশিয়ার শীর্ষ নৌ কর্মকর্তা ভ্যালেরি ত্রানকোভস্কি এবং রাশিয়ার কারাগারের প্রধান সের্গেই ইয়েভস্যুকভ নিহত হন।
গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ জেনারেল ও তাঁর সহকারী মস্কোয় ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার হামলায় নিহত হন বলে বিবিসিকে জানিয়েছে একটি ইউক্রেনীয় সূত্র।
মালয়েশিয়ার ‘গ্লোবাল ইখওয়ান সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস হোল্ডিংস’ (জিআইএসবিএইচ) বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা গোপনে শত শত শিশুকে নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানে পুলিশের গাড়ির ওপর নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কঠোর পোশাকবিধির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদের সর্বশেষ ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেনতুন পরিসংখ্যানটি এমন এক সময়ে এল যখন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি চলছে। গত ১৫ মাসের গণহত্যার কার্যত সাময়িক বিরতি এটি। এই সংঘাত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর শুরু হয়। সে সময় হামাসের হামলায়...
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তরঙ্গ মুহূর্তে পরকীয় প্রেমিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বরেলিতে। ৩২ বছর বয়সী এই নারীর ভাষ্য, তাঁর প্রেমিক তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাকমেল করে আসছিল। এই অবস্থায় তাঁর সামনে দুটি পথ...
৫ ঘণ্টা আগে