Ajker Patrika

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম

ডয়চে ভেলে
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১০: ২৬
Thumbnail image

অন্ধকার আকাশে শত শত ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করেছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের ‘স্টুডিও ড্রিফট’। তাদের প্রধান দুই ব্যক্তি লোনেকে গর্ডাইন ও রাল্ফ নাওটার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করেন তাঁরা।

স্টুডিও ড্রিফটের এমন কাজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। তাদের কার্যালয় আমস্টারডামে। গর্ডাইন আর নাওটার সঙ্গে আরও ১৫ জন কাজ করেন। স্টুডিও ড্রিফটের তৈরি শিল্পকর্ম প্রমাণ করে যে, উচ্চপ্রযুক্তির বিষয়টি সুন্দর ও কাব্যিক হতে পারে।

রাল্ফ নাওটা বলেন, ‘আমার মনে হয় এআই আর্টিস্টদের জায়গা নিচ্ছে। তবে আমি মনে করি না যে এটা খারাপ। কারণ আমার মতে, একজন ভালো আর্টিস্টের উচিত ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনা সৃষ্টি করা।’

এর আগে ২০২২ সালে জার্মানির হামবুর্গের এলবফিলহার্মোনির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকর্ম তৈরি করেছিল স্টুডিও ড্রিফট। তিন শতাধিক ড্রোন রাতের অন্ধকার ভেদ করে আকাশে উড়িয়েছিল তারা।

তবে দুঃখজনকভাবে রিহার্সালের সময় ১৫টি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। বাইরের কিছুর প্রভাবে, নাকি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। মূল অনুষ্ঠানের সময়ও পাঁচটি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। এরপর নিরাপত্তার কারণে পরের প্রদর্শনীগুলো বাতিল করা হয়। এতে প্রদর্শনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছিলেন।

স্টুডিও ড্রিফট এখন ‘গুগল কোয়ান্টাম এআই’ নিয়ে কাজ করছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে তা কল্পনায় তুলে ধরার লক্ষ্য তাদের। সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক লাখ গুণ দ্রুত কাজ করতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এমন গতির কারণ, এটি গণনার কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যায়, একটার পর একটা নয়। অনেকটা গাছের মতো, যেখানে বৃদ্ধি ও সালোক সংশ্লেষণ একই সময়ে ঘটে থাকে।

নাওটা বলেন, ‘এআইয়ের কোনো সীমা নেই, যা ভয়ের কারণ। এআই কী হয়ে যেতে পারে, সে সম্পর্কে আমরা ভাবতে পারি না। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একটি বানর যেমন আমাদের দক্ষতা কল্পনা করতে পারে না, আমরা কী হতে পারি বুঝতে পারে না; আমরা এবং এআইয়ের বিষয়টিও সেরকম।’

গুগল কোয়ান্টাম এআইয়ের কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্তা বারবারায়। উচ্চ নিরাপত্তায় ঘেরা এই কার্যালয়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির কাজ চলছে। এই কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ও গতি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভবিষ্যৎ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখনই এই কম্পিউটার এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেটা করতে সাধারণ কম্পিউটারের লাগবে দেড় লাখ বছর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত