Ajker Patrika

ভূতের সঙ্গে বিয়ে দিতে মৃত মেয়েকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি চীনে

ভূতের সঙ্গে বিয়ে দিতে মৃত মেয়েকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি চীনে

১৬ বছর বয়সী শাওডেন আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু আত্মহত্যার পর দত্তক নেওয়া বাবা-মা তাঁর মরদেহটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আসল বাবা। 

চীনা গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে শাওডেনের প্রকৃত বাবা সান জানান, মেয়েকে ‘ভূত বধূ’ হিসেবে চীনা মুদ্রায় ৬৬ হাজার ইউয়ানে বিক্রি করে দেন তাঁর পালক বাবা-মা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ লাখেরও বেশি টাকা। 

শাওডেনের মরদেহ বিক্রি করা ও এ উদ্দেশে অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলেও চীনা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কারণ একটি প্রাচীন ঐতিহ্য এবং বর্তমান আইনি কাঠামোর জটিলতা এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভূতের বিয়ে’র মতো একটি প্রথা চীনা সমাজে ৩ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রচলিত আছে। এই প্রথার মাধ্যমে মূলত মৃত নারী-পুরুষকে বিয়ে দিয়ে জীবিত স্বজনেরা পারিবারিক বন্ধন তৈরি করে। আর যে দুজনকে বিয়ে দেওয়া হয় তাদেরকে ‘ভূত দম্পতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। 

এই ঐতিহ্যের লক্ষ্য হলো—অবিবাহিত অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বিয়ে দিয়ে পরকালে তাঁদের জন্য আশীর্বাদ নিশ্চিত করা। আধুনিক সমাজে বিষয়টি অনেক সমালোচনার জন্ম দিলেও এই ঐতিহ্য চীনের গ্রামীণ ও স্বল্প উন্নত অঞ্চলগুলোতে এখনো টিকে আছে। আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুশীলনের ভারসাম্য ধরে রাখতে বর্তমান আইনেও এ ধরনের কিছু বিষয়কে এখনো বৈধতা দিয়ে আসছে চীনের সরকার। 

মরদেহ বিক্রির পর শাওডেনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। বাবা সানের অভিযোগ, মরদেহটি যারা কিনেছেন তাঁরা মৃত স্বজনের সঙ্গে শাওডেনকে বিয়ে দিয়েছেন। 

এ অবস্থায় মরদেহটি বিক্রি করা পালক বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সানের অভিযোগ প্রচলিত প্রথাটির যৌক্তিকতা নিয়ে আবারও আলোচনার সূত্রপাত করেছে চীনা সমাজে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত