আজকের পত্রিকা ডেস্ক

হান তাই-সুন-এর কাছে মেয়ের শৈশবের শেষ স্মৃতিটা ১৯৭৫ সালের মে মাসের। সিউলের বাড়ি থেকে সেদিন বাজারে যাচ্ছিলেন। মেয়ে কিয়ং-হাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি আমার সঙ্গে যাবে না?’ কিয়ং-হা উত্তর দিয়েছিল, ‘না, আমি বন্ধুদের সঙ্গে খেলব।’ হান বাজার থেকে ফিরে এসে দেখেন, মেয়ে নেই!
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে হান তাই-সুন মেয়ের মুখ দেখেননি। যখন তাঁদের পুনর্মিলন হলো, কিয়ং-হা তখন এক মধ্যবয়সী আমেরিকান নারী, নাম লরি বেন্ডার। প্রায় অচেনা। হান অভিযোগ করেন, কিয়ং-হাকে বাড়ির কাছ থেকেই অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর একটি এতিমখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে একটি পরিবারকে দত্তক দেওয়া হয়। মেয়ের এই অবৈধ দত্তক ঠেকাতে হান এখন কোরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত ‘বিদেশি দত্তক’ কর্মসূচিতে জালিয়াতি, অবৈধ দত্তক, অপহরণ এবং মানব পাচারের অভিযোগ এনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত মানুষ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এত বেশি শিশু, এত দীর্ঘ সময় ধরে অন্য কোনো দেশ বিদেশে দত্তক পাঠায়নি। ১৯৫০-এর দশকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ শিশু বিদেশে দত্তক দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগই শিশুই গেছে পশ্চিমা দেশগুলোতে।
গত মার্চে, একটি নজিরবিহীন তদন্তে দেখা গেছে, সরকারের তদারকির অভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সরকারের উদাসীনতা বেসরকারি সংস্থাগুলোকে ‘মুনাফার জন্য’ ব্যাপকভাবে ‘শিশু রপ্তানি’ করার সুযোগ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অনুসন্ধান সরকারের বিরুদ্ধে আরও মামলার পথ খুলে দিতে পারে। হানের মামলা আগামী মাসে আদালতে গড়াবে।
হানের মামলাটি দুটি যুগান্তকারী মামলার মধ্যে একটি। হান হলেন প্রথম জৈবিক মা যিনি বিদেশি দত্তক-এর ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে কোরীয় শিশু দত্তক নেওয়া এক আমেরিকান প্রথম সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সরকারের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে না পাওয়া ব্যক্তি ও পরিবারের মানসিক যন্ত্রণার প্রতি গভীরভাবে সহানুভূতিশীল। তিনি আরও যোগ করেন, হানের মামলা ‘গভীর দুঃখের’ সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার। মামলার রায়ের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৭১ বছর বয়সী হান বিবিসিকে বলেন, তিনি চান সরকার তাঁর দায়িত্ব নিক। হান বলেন, ‘আমি ৪৪ বছর ধরে মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে আমার শরীর ও মন ধ্বংস করেছি। কিন্তু এত বছরে কেউ কি আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে? না, একবারও না।’
কয়েক দশক ধরে, হান ও তাঁর স্বামী থানা ও এতিমখানায় ঘুরেছেন, লিফলেট লাগিয়েছেন এবং টেলিভিশনে আবেদন করেছেন। হান বলেন, তিনি মেয়েকে খুঁজতে সারা দিন রাস্তায় হেঁটেছেন।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে তিনি বারবার শুধু ভেবেছেন, মেয়েকে পাওয়া কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। ১৯৯০ সালে, টেলিভিশনে আবেদনের পর, হান এক নারী সঙ্গে দেখা করেন। তিনি নারীকেই তাঁর হারিয়ে যাওয়া মেয়ে ভেবেছিলেন। এমনকি ওই নারীকে কিছু সময়ের জন্য বাড়িতে রেখেছিলেন। কিন্তু সেই নারী অবশেষে স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর মেয়ে নন।
২০১৯ সালে অবশেষে একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে! হান ৩২৫ কামরা-প্ল্যাটফর্মে সাইন-আপ। এই প্ল্যাটফর্মটি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিদেশে দত্তক নেওয়া কোরীয়দের তাঁদের জন্মদাতা পিতামাতার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। তারা দ্রুতই একজনকে খুঁজে পায়। তিনি ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার একজন নার্স—লরি বেন্ডার। বেশ কয়েকটি ফোন কলের পর, লরি বেন্ডার সিউলে আসেন। হানের সঙ্গে দেখা করেন। বিমানবন্দরে তাঁদের অশ্রুসিক্ত পুনর্মিলন হয়।

যখন তাঁরা আলিঙ্গন করেন, হান যেন সেই ছোট্ট কিয়ং-হার চুলে বিলি কাটতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৩০ বছর ধরে হেয়ারড্রেসার। আমি ওর চুল ছুঁয়েই বলতে পারি সে আমার মেয়ে কিনা। আমি আগে ভুল করে ভেবেছিলাম, তাকে খুঁজে পেয়েছি, তাই ওর চুল ছুঁয়ে নিশ্চিত হতে হয়েছিল।’
হান তাঁর মেয়েকে প্রথম যে কথাটি বলেছিলেন সেটি হলো, ‘আমি খুবই দুঃখিত।’
হান বলেন, ‘আমার নিজেকে দোষী মনে হয়েছিল। কারণ ওতো ছোটবেলায় বাড়ি খুঁজে পায়নি। আমি বারবার ভাবছিলাম, ও মাকে কতই খুঁজেছে...এত বছর পর ওর সঙ্গে দেখা হওয়ায় আমি বুঝতে পারছিলাম, মাকে কতটা দেখতে চেয়েছিল!’
এই মা-মেয়ে অবশেষে ১৯৭৫ সালের মে মাসের সেই দিনে কী ঘটেছিল তা স্মরণ করেন এবং মিলিয়ে দেখেন।
ছয় বছর বয়সী কিয়ং-হা সেদিন বাড়ির কাছে খেলছিল। হঠাৎ অচেনা এক নারী কাছে এসে বলেন, তার মাকে তিনি চেনেন। কিয়ং-হাকে বলা হয়েছিল যে তার মায়ের আর তাকে ‘প্রয়োজন নেই’। তাকে একটি ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই নারীর সঙ্গে ট্রেন যাত্রার পর, কিয়ং-হাকে শেষ স্টেশনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সেই নারী উধাও হয়ে যায়। পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে একটি এতিমখানায় দেয়। কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। ভার্জিনিয়ার এক দম্পতি তাকে দত্তক নেয়।
কয়েক বছর পর ওই দম্পতি পরীক্ষা করে দেখেন, ভুয়া কাগজপত্রসহ মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছিল, শিশুটি পরিত্যক্ত অনাথ। বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিয়ং-হা বলেন, ‘এটা এমন যেন আপনি একটি মিথ্যা জীবনযাপন করছেন এবং আপনার জানা সবকিছুই মিথ্যা।’
কিয়ং-হা-এর এই পরিণতি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশি দত্তক কর্মসূচি ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে শুরু হয়েছিল। কোরিয়া তখন অত্যন্ত দরিদ্র দেশ। ১ লাখ অনাথ এবং বাস্তুচ্যুত শিশু ছিল তখন। সেই সময়, খুব কম পরিবারই জৈবিক নয় এমন শিশুদের দত্তক নিতে আগ্রহী ছিল। সরকার একটি বিদেশি দত্তক কর্মসূচি শুরু করে। এটি এটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবেই প্রচার করা হয়।
এই কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসরকারি দত্তক সংস্থাগুলো দ্বারা পরিচালিত হতো। যদিও তারা সরকারের তত্ত্বাবধানে ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংস্থাগুলো আইনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য স্বায়ত্তশাসন লাভ করে। তাদের ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে পাঠানো শিশুদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ১৯৭০-এর দশকে এই সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পায় এবং ১৯৮০-এর দশকে শীর্ষে পৌঁছায়। ১৯৮৫ সালে, ৮ হাজার ৮০০-এরও বেশি শিশু বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।
পশ্চিমে দত্তক শিশুর ব্যাপক চাহিদা ছিল তখন। জন্মহার হ্রাস এবং দেশে দত্তক নেওয়ার মতো শিশুর অভাবের কারণে পরিবারগুলো অন্য দেশে শিশু খুঁজতে শুরু করে। সেই সময়ের ছবিগুলোতে দেখা যায়, পশ্চিমা দেশগুলোতে যাওয়ার বিমানগুলো কোরিয়ান শিশু দিয়ে ভরা! ওই সময় সত্য ও পুনর্মিলন কমিশনের (ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন) তদন্তে এই পরিস্থিতিকে ‘কার্গোর মতো করে শিশুদের ব্যাপক পরিবহন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, এই দীর্ঘ ফ্লাইটগুলোতে শিশুদের প্রতি সামান্যই যত্ন নেওয়া হয়। ১৯৭৪ সালের একটি ঘটনা—একটি ল্যাকটোজ-অসহিষ্ণু শিশুকে ট্রানজিটে দুধ খাওয়ানো হয়েছিল। ডেনমার্কে পৌঁছানোর পরই শিশুটি মারা যায়।
এই কর্মসূচির সমালোচকেরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন করে আসছেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছিল, তখন এত বেশি শিশুকে কেন বিদেশে পাঠাতে হয়েছিল। ১৯৭৬ সালের বিবিসি প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘পশ্চিমে শিশুর রপ্তানিতে’ এশিয়ার কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তুলে ধরা হয়।
সত্য ও পুনর্মিলন প্রতিবেদন অনুসারে, বিদেশি দত্তক সংস্থাগুলো শিশুদের জন্য কোটা নির্ধারণ করেছিল। কোরিয়ার সংস্থাগুলো এই কোট সহজেই পূরণ করতে পারত। এটি বেশ লাভজনক ব্যবসা। সরকারি নিয়মনীতি শিথিল হওয়ার কারণে কোরিয়ার সংস্থাগুলো ইচ্ছে মতো ফি নিতে পারত।
এই শিশুদের অনেককে অসৎ উপায়ে বিদেশে দত্তক দেওয়া হয়েছে। হানের মতো বহু বাবা-মা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সন্তানদের অপহরণ করা হয়েছে। ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে, হাজার হাজার গৃহহীন বা ছিন্নমূল শিশুকে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘রাস্তা পরিষ্কার করার’ একটি জাতীয় অভিযানের অংশ হিসেবে একত্রিত করা হয়। তাদের রাখা হয় এতিমখানা বা কল্যাণ কেন্দ্রে।
অনেক বাবা-মাকে বলা হয়েছিল, তাঁদের সন্তান অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। কিন্তু আসলে তারা জীবিত ছিল। এই শিশুদের দত্তক সংস্থায় পাঠানো হয়। সত্য ও পুনর্মিলন প্রতিবেদন অনুসারে, সংস্থাগুলো জন্মদাতা মায়েদের কাছ থেকে সন্তানদের দত্তক দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতিও নেয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দত্তক সংস্থাগুলো তথ্য জাল করেছিল। পরিচয়পত্রবিহীন হারিয়ে যাওয়া শিশুদের কাগজপত্র এমনভাবে তৈরি করা তো যেন, তারা পরিত্যক্ত। দত্তকের জন্য নির্ধারিত কোনো শিশু মারা গেলে নথিপত্রে তার জন্মদাতা বাবা-মাকে কোনো জীবিত শিশুর বাবা-মা বানানো হতো। এতে সংস্থাগুলো দত্তক ফি ফেরত দেওয়া এড়াতে পারত এবং দত্তক প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পারত।
এই ধরনের জাল-জালিয়াতির কারণে অনেকে বাবা-মা দীর্ঘদিন তাদের দত্তক দেওয়া সন্তানকে খুঁজে পাননি। অনেক শিশুই বড় হয়ে আবিষ্কার করেছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায়িত্ব কেবল বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপরই নয়, রাষ্ট্রের ওপরও বর্তায়। কারণ দত্তক সংস্থাগুলো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছিল। সরকার চোখ বন্ধ করে রেখেছিল। সরকারের নাকের ডগায় এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চলছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এই কর্মসূচিকে একটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবে প্রচার করলেও, পর্যবেক্ষকেরা বলেন, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করেছে। বিবিসি ১৯৮৪ সালের একটি সরকারি নথিতে দেখেছে, দত্তক নীতির সরকারি লক্ষ্যগুলোর মধ্যে কেবল শিশুদের কল্যাণই নয়, ভবিষ্যতের জাতীয় শক্তি এবং জনগণের মধ্যে কূটনীতির প্রচারও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অবশ্য সম্ভাব্য দত্তক বাবা-মার পরিচয় শনাক্ত প্রক্রিয়া কঠোর করতে এবং জন্মদাতা বাবা-মার ডেটা ও জন্ম তথ্যের আরও ভালোভাবে ট্র্যাকিং করতে সরকার ২০১২ সালে দত্তক আইন সংশোধন করে। এখন বিদেশি দত্তক নিরুৎসাহিত করা হয়। এই পরিবর্তনগুলো আগামী জুলাই মাসে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

হান তাই-সুন-এর কাছে মেয়ের শৈশবের শেষ স্মৃতিটা ১৯৭৫ সালের মে মাসের। সিউলের বাড়ি থেকে সেদিন বাজারে যাচ্ছিলেন। মেয়ে কিয়ং-হাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি আমার সঙ্গে যাবে না?’ কিয়ং-হা উত্তর দিয়েছিল, ‘না, আমি বন্ধুদের সঙ্গে খেলব।’ হান বাজার থেকে ফিরে এসে দেখেন, মেয়ে নেই!
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে হান তাই-সুন মেয়ের মুখ দেখেননি। যখন তাঁদের পুনর্মিলন হলো, কিয়ং-হা তখন এক মধ্যবয়সী আমেরিকান নারী, নাম লরি বেন্ডার। প্রায় অচেনা। হান অভিযোগ করেন, কিয়ং-হাকে বাড়ির কাছ থেকেই অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর একটি এতিমখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে একটি পরিবারকে দত্তক দেওয়া হয়। মেয়ের এই অবৈধ দত্তক ঠেকাতে হান এখন কোরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত ‘বিদেশি দত্তক’ কর্মসূচিতে জালিয়াতি, অবৈধ দত্তক, অপহরণ এবং মানব পাচারের অভিযোগ এনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত মানুষ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এত বেশি শিশু, এত দীর্ঘ সময় ধরে অন্য কোনো দেশ বিদেশে দত্তক পাঠায়নি। ১৯৫০-এর দশকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ শিশু বিদেশে দত্তক দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগই শিশুই গেছে পশ্চিমা দেশগুলোতে।
গত মার্চে, একটি নজিরবিহীন তদন্তে দেখা গেছে, সরকারের তদারকির অভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সরকারের উদাসীনতা বেসরকারি সংস্থাগুলোকে ‘মুনাফার জন্য’ ব্যাপকভাবে ‘শিশু রপ্তানি’ করার সুযোগ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অনুসন্ধান সরকারের বিরুদ্ধে আরও মামলার পথ খুলে দিতে পারে। হানের মামলা আগামী মাসে আদালতে গড়াবে।
হানের মামলাটি দুটি যুগান্তকারী মামলার মধ্যে একটি। হান হলেন প্রথম জৈবিক মা যিনি বিদেশি দত্তক-এর ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে কোরীয় শিশু দত্তক নেওয়া এক আমেরিকান প্রথম সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সরকারের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে না পাওয়া ব্যক্তি ও পরিবারের মানসিক যন্ত্রণার প্রতি গভীরভাবে সহানুভূতিশীল। তিনি আরও যোগ করেন, হানের মামলা ‘গভীর দুঃখের’ সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার। মামলার রায়ের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৭১ বছর বয়সী হান বিবিসিকে বলেন, তিনি চান সরকার তাঁর দায়িত্ব নিক। হান বলেন, ‘আমি ৪৪ বছর ধরে মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে আমার শরীর ও মন ধ্বংস করেছি। কিন্তু এত বছরে কেউ কি আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে? না, একবারও না।’
কয়েক দশক ধরে, হান ও তাঁর স্বামী থানা ও এতিমখানায় ঘুরেছেন, লিফলেট লাগিয়েছেন এবং টেলিভিশনে আবেদন করেছেন। হান বলেন, তিনি মেয়েকে খুঁজতে সারা দিন রাস্তায় হেঁটেছেন।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে তিনি বারবার শুধু ভেবেছেন, মেয়েকে পাওয়া কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। ১৯৯০ সালে, টেলিভিশনে আবেদনের পর, হান এক নারী সঙ্গে দেখা করেন। তিনি নারীকেই তাঁর হারিয়ে যাওয়া মেয়ে ভেবেছিলেন। এমনকি ওই নারীকে কিছু সময়ের জন্য বাড়িতে রেখেছিলেন। কিন্তু সেই নারী অবশেষে স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর মেয়ে নন।
২০১৯ সালে অবশেষে একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে! হান ৩২৫ কামরা-প্ল্যাটফর্মে সাইন-আপ। এই প্ল্যাটফর্মটি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিদেশে দত্তক নেওয়া কোরীয়দের তাঁদের জন্মদাতা পিতামাতার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। তারা দ্রুতই একজনকে খুঁজে পায়। তিনি ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার একজন নার্স—লরি বেন্ডার। বেশ কয়েকটি ফোন কলের পর, লরি বেন্ডার সিউলে আসেন। হানের সঙ্গে দেখা করেন। বিমানবন্দরে তাঁদের অশ্রুসিক্ত পুনর্মিলন হয়।

যখন তাঁরা আলিঙ্গন করেন, হান যেন সেই ছোট্ট কিয়ং-হার চুলে বিলি কাটতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৩০ বছর ধরে হেয়ারড্রেসার। আমি ওর চুল ছুঁয়েই বলতে পারি সে আমার মেয়ে কিনা। আমি আগে ভুল করে ভেবেছিলাম, তাকে খুঁজে পেয়েছি, তাই ওর চুল ছুঁয়ে নিশ্চিত হতে হয়েছিল।’
হান তাঁর মেয়েকে প্রথম যে কথাটি বলেছিলেন সেটি হলো, ‘আমি খুবই দুঃখিত।’
হান বলেন, ‘আমার নিজেকে দোষী মনে হয়েছিল। কারণ ওতো ছোটবেলায় বাড়ি খুঁজে পায়নি। আমি বারবার ভাবছিলাম, ও মাকে কতই খুঁজেছে...এত বছর পর ওর সঙ্গে দেখা হওয়ায় আমি বুঝতে পারছিলাম, মাকে কতটা দেখতে চেয়েছিল!’
এই মা-মেয়ে অবশেষে ১৯৭৫ সালের মে মাসের সেই দিনে কী ঘটেছিল তা স্মরণ করেন এবং মিলিয়ে দেখেন।
ছয় বছর বয়সী কিয়ং-হা সেদিন বাড়ির কাছে খেলছিল। হঠাৎ অচেনা এক নারী কাছে এসে বলেন, তার মাকে তিনি চেনেন। কিয়ং-হাকে বলা হয়েছিল যে তার মায়ের আর তাকে ‘প্রয়োজন নেই’। তাকে একটি ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই নারীর সঙ্গে ট্রেন যাত্রার পর, কিয়ং-হাকে শেষ স্টেশনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সেই নারী উধাও হয়ে যায়। পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে একটি এতিমখানায় দেয়। কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। ভার্জিনিয়ার এক দম্পতি তাকে দত্তক নেয়।
কয়েক বছর পর ওই দম্পতি পরীক্ষা করে দেখেন, ভুয়া কাগজপত্রসহ মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছিল, শিশুটি পরিত্যক্ত অনাথ। বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিয়ং-হা বলেন, ‘এটা এমন যেন আপনি একটি মিথ্যা জীবনযাপন করছেন এবং আপনার জানা সবকিছুই মিথ্যা।’
কিয়ং-হা-এর এই পরিণতি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশি দত্তক কর্মসূচি ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে শুরু হয়েছিল। কোরিয়া তখন অত্যন্ত দরিদ্র দেশ। ১ লাখ অনাথ এবং বাস্তুচ্যুত শিশু ছিল তখন। সেই সময়, খুব কম পরিবারই জৈবিক নয় এমন শিশুদের দত্তক নিতে আগ্রহী ছিল। সরকার একটি বিদেশি দত্তক কর্মসূচি শুরু করে। এটি এটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবেই প্রচার করা হয়।
এই কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসরকারি দত্তক সংস্থাগুলো দ্বারা পরিচালিত হতো। যদিও তারা সরকারের তত্ত্বাবধানে ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংস্থাগুলো আইনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য স্বায়ত্তশাসন লাভ করে। তাদের ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে পাঠানো শিশুদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ১৯৭০-এর দশকে এই সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পায় এবং ১৯৮০-এর দশকে শীর্ষে পৌঁছায়। ১৯৮৫ সালে, ৮ হাজার ৮০০-এরও বেশি শিশু বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।
পশ্চিমে দত্তক শিশুর ব্যাপক চাহিদা ছিল তখন। জন্মহার হ্রাস এবং দেশে দত্তক নেওয়ার মতো শিশুর অভাবের কারণে পরিবারগুলো অন্য দেশে শিশু খুঁজতে শুরু করে। সেই সময়ের ছবিগুলোতে দেখা যায়, পশ্চিমা দেশগুলোতে যাওয়ার বিমানগুলো কোরিয়ান শিশু দিয়ে ভরা! ওই সময় সত্য ও পুনর্মিলন কমিশনের (ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন) তদন্তে এই পরিস্থিতিকে ‘কার্গোর মতো করে শিশুদের ব্যাপক পরিবহন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, এই দীর্ঘ ফ্লাইটগুলোতে শিশুদের প্রতি সামান্যই যত্ন নেওয়া হয়। ১৯৭৪ সালের একটি ঘটনা—একটি ল্যাকটোজ-অসহিষ্ণু শিশুকে ট্রানজিটে দুধ খাওয়ানো হয়েছিল। ডেনমার্কে পৌঁছানোর পরই শিশুটি মারা যায়।
এই কর্মসূচির সমালোচকেরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন করে আসছেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছিল, তখন এত বেশি শিশুকে কেন বিদেশে পাঠাতে হয়েছিল। ১৯৭৬ সালের বিবিসি প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘পশ্চিমে শিশুর রপ্তানিতে’ এশিয়ার কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তুলে ধরা হয়।
সত্য ও পুনর্মিলন প্রতিবেদন অনুসারে, বিদেশি দত্তক সংস্থাগুলো শিশুদের জন্য কোটা নির্ধারণ করেছিল। কোরিয়ার সংস্থাগুলো এই কোট সহজেই পূরণ করতে পারত। এটি বেশ লাভজনক ব্যবসা। সরকারি নিয়মনীতি শিথিল হওয়ার কারণে কোরিয়ার সংস্থাগুলো ইচ্ছে মতো ফি নিতে পারত।
এই শিশুদের অনেককে অসৎ উপায়ে বিদেশে দত্তক দেওয়া হয়েছে। হানের মতো বহু বাবা-মা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সন্তানদের অপহরণ করা হয়েছে। ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে, হাজার হাজার গৃহহীন বা ছিন্নমূল শিশুকে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘রাস্তা পরিষ্কার করার’ একটি জাতীয় অভিযানের অংশ হিসেবে একত্রিত করা হয়। তাদের রাখা হয় এতিমখানা বা কল্যাণ কেন্দ্রে।
অনেক বাবা-মাকে বলা হয়েছিল, তাঁদের সন্তান অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। কিন্তু আসলে তারা জীবিত ছিল। এই শিশুদের দত্তক সংস্থায় পাঠানো হয়। সত্য ও পুনর্মিলন প্রতিবেদন অনুসারে, সংস্থাগুলো জন্মদাতা মায়েদের কাছ থেকে সন্তানদের দত্তক দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতিও নেয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দত্তক সংস্থাগুলো তথ্য জাল করেছিল। পরিচয়পত্রবিহীন হারিয়ে যাওয়া শিশুদের কাগজপত্র এমনভাবে তৈরি করা তো যেন, তারা পরিত্যক্ত। দত্তকের জন্য নির্ধারিত কোনো শিশু মারা গেলে নথিপত্রে তার জন্মদাতা বাবা-মাকে কোনো জীবিত শিশুর বাবা-মা বানানো হতো। এতে সংস্থাগুলো দত্তক ফি ফেরত দেওয়া এড়াতে পারত এবং দত্তক প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পারত।
এই ধরনের জাল-জালিয়াতির কারণে অনেকে বাবা-মা দীর্ঘদিন তাদের দত্তক দেওয়া সন্তানকে খুঁজে পাননি। অনেক শিশুই বড় হয়ে আবিষ্কার করেছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায়িত্ব কেবল বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপরই নয়, রাষ্ট্রের ওপরও বর্তায়। কারণ দত্তক সংস্থাগুলো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছিল। সরকার চোখ বন্ধ করে রেখেছিল। সরকারের নাকের ডগায় এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চলছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এই কর্মসূচিকে একটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবে প্রচার করলেও, পর্যবেক্ষকেরা বলেন, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করেছে। বিবিসি ১৯৮৪ সালের একটি সরকারি নথিতে দেখেছে, দত্তক নীতির সরকারি লক্ষ্যগুলোর মধ্যে কেবল শিশুদের কল্যাণই নয়, ভবিষ্যতের জাতীয় শক্তি এবং জনগণের মধ্যে কূটনীতির প্রচারও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অবশ্য সম্ভাব্য দত্তক বাবা-মার পরিচয় শনাক্ত প্রক্রিয়া কঠোর করতে এবং জন্মদাতা বাবা-মার ডেটা ও জন্ম তথ্যের আরও ভালোভাবে ট্র্যাকিং করতে সরকার ২০১২ সালে দত্তক আইন সংশোধন করে। এখন বিদেশি দত্তক নিরুৎসাহিত করা হয়। এই পরিবর্তনগুলো আগামী জুলাই মাসে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এই কর্মসূচিকে একটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবে প্রচার করলেও, পর্যবেক্ষকেরা বলেন, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করেছে। বিবিসি ১৯৮৪ সালের একটি সরকারি নথিতে দেখেছে, দত্তক নীতির সরকারি লক্ষ্যগুলোর মধ্যে কেবল শিশুদের কল্যাণই নয়, ভবিষ্যতের জাতীয় শক্তি এবং...
২৫ মে ২০২৫
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এই কর্মসূচিকে একটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবে প্রচার করলেও, পর্যবেক্ষকেরা বলেন, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করেছে। বিবিসি ১৯৮৪ সালের একটি সরকারি নথিতে দেখেছে, দত্তক নীতির সরকারি লক্ষ্যগুলোর মধ্যে কেবল শিশুদের কল্যাণই নয়, ভবিষ্যতের জাতীয় শক্তি এবং...
২৫ মে ২০২৫
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এই কর্মসূচিকে একটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবে প্রচার করলেও, পর্যবেক্ষকেরা বলেন, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করেছে। বিবিসি ১৯৮৪ সালের একটি সরকারি নথিতে দেখেছে, দত্তক নীতির সরকারি লক্ষ্যগুলোর মধ্যে কেবল শিশুদের কল্যাণই নয়, ভবিষ্যতের জাতীয় শক্তি এবং...
২৫ মে ২০২৫
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এই কর্মসূচিকে একটি মানবিক প্রচেষ্টা হিসেবে প্রচার করলেও, পর্যবেক্ষকেরা বলেন, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করেছে। বিবিসি ১৯৮৪ সালের একটি সরকারি নথিতে দেখেছে, দত্তক নীতির সরকারি লক্ষ্যগুলোর মধ্যে কেবল শিশুদের কল্যাণই নয়, ভবিষ্যতের জাতীয় শক্তি এবং...
২৫ মে ২০২৫
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে