Ajker Patrika

ফিলিপাইনে সাবেক স্বৈরশাসক মার্কোসের ছেলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা ঘোষণা

আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১০: ৩৮
ফিলিপাইনে সাবেক স্বৈরশাসক মার্কোসের ছেলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা ঘোষণা

আগামী বছর ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক ফার্ডিনান্ড মার্কোসের ছেলে ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র। বংবং নামে পরিচিত মার্কোস জুনিয়র ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৪ বছর বয়সী ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র বর্তমান রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতার্তের মিত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ২০১৬ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে হেরে যান। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ২০২২ সালের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় 'একীভূত নেতৃত্ব' আনার প্রতিশ্রুতিতে লড়বেন জুনিয়র। 

এরই মধ্যে এই পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন বক্সিং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যানি প্যাকুইয়াও এবং ম্যানিলার মেয়র ফ্রান্সিসকো ডোমাগোসো। কিছু বিশ্লেষক পূর্বাভাস দিয়েছেন—মার্কোস, বর্তমান প্রেসিডেন্ট দুতার্তের মেয়ে এবং দাভাও সিটির মেয়র সারা দুতার্তের মধ্যে জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

মার্কোস জুনিয়র ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোসের একমাত্র ছেলে। ১৯৮৬ সালে উৎখাত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর বাবা ২০ বছর ফিলিপাইন শাসন করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগে ১৯৭২ সালে তিনি ফিলিপাইনকে সামরিক আইনের অধীনে রেখে স্বৈরতন্ত্র শুরু করেন। কংগ্রেসকে তালা, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে শাসন করতে থাকেন। 

মার্কোসের শাসনামলে ব্যাপক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বিরোধীপক্ষ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে সেনাসমর্থিত 'জনশক্তি' বিদ্রোহের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ১৯৮৯ সালে হাওয়াইতে নির্বাসনে তাঁর মৃত্যু হয়। 

১৯৮৬ সালে নির্বাচনে জয়ের পর ফার্ডিনান্ড মার্কোসকে স্ত্রী ইমেলদার চুমু

তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বাবার শাসনকে হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা করেছেন জুনিয়র। সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন কমে এসেছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ সালে ২০ বছর বয়সী মার্কোস জুনিয়র দেশের গভর্নর পদে ছিলেন। এর পরেও তিনি পিতার শাসনামলে সংঘটিত অপরাধের দায় নিতে রাজি নন। 

এত কিছুর পরেও মার্কোস তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং তাঁর পরিবার ঐতিহ্যবাহী দুর্গ ইলোকোস নর্টে সমর্থন ধরে রেখেছে। বাবার মৃত্যুর পর নির্বাসন থেকে ফিরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক পদে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর মা ইমেলদা ছিলেন চার মেয়াদের কংগ্রেস সদস্য এবং বোন একজন সিনেটর ও সাবেক গভর্নর। 
 
এই নির্বাচনে মার্কোস জিততে পারলে তা হবে একটি পরিবারের জন্য উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত