Ajker Patrika

হাতির সঙ্গে ধাক্কায় ট্রেন লাইনচ্যুত, শ্রীলঙ্কায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা

অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকায় ট্রেন লাইন পার হচ্ছিল হাতির একটি পাল। এ সময় দ্রুতগামী একটি ট্রেন হাতির ওই পালকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ছয়টি হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত দুটি হাতি। এই ঘটনায় ট্রেনটিও লাইনচ্যুত হয়েছে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বাট্টিকালোয়া-কলম্বো এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হাবানার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় রেল লাইন পার হতে থাকা হাতির পালের সঙ্গে ধাক্কা খায় এটি।

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ছয়টি হাতি গুরুতর আঘাত পেয়ে মারা গেছে এবং আরও অন্তত দুটি হাতিকে আহত অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দুর্ঘটনার ছবি থেকে দেখা গেছে—ট্রেনটির সামনের অংশ লাইনচ্যুত হয়েছে এবং একটি হাতি আহত একটি শাবকের পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। তবে এই ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীদের কেউ গুরুতরভাবে আহত হননি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

রেলওয়ে অপারেশন এবং কন্ট্রোল সেন্টারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রেনটিকে পুনরায় লাইনে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।

শ্রীলঙ্কায় হাতি হত্যা বা হাতিকে আঘাত করা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশটিতে আনুমানিক ৭ হাজার বুনো হাতির বসবাস রয়েছে। বৌদ্ধ সংস্কৃতিতে হাতির বিশেষ গুরুত্ব থাকায় তাদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জানা গেছে, শ্রীলঙ্কায় হাতির সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা খাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে দেশটির ন্যাচার পার্ক এবং বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত মিনেরিয়া শহরে জ্বালানি বহন করা একটি ট্রেন বন্য হাতির পালের সঙ্গে সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয়েছিল। ওই ঘটনায়ও দুটি হাতির মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও একটি।

শ্রীলঙ্কায় হাতিদের সম্মানের চোখে দেখা হলেও দেশটিতে তারা বিপন্ন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। ১৯ শতকে দেশটিতে প্রায় ১৪ হাজার হাতি ছিল। কিন্তু ২০১১ সালের প্রথম হাতি শুমারিতে মাত্র ৬ হাজার হাতি গণনা করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলঙ্কায় হাতি-ট্রেন সংঘর্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্য হাতিরা খাদ্য ও পানির সন্ধানে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করায় তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। প্রাকৃতিক বাসস্থান সংকুচিত হওয়ায় অনেক হাতি মানুষের বসতিতে প্রবেশ করছে। ফলে ফসলের ক্ষতি করার জন্য তারা সাধারণ কৃষকদেরও লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত