একদিকে আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশি সৈন্যরা, অন্যদিকে দেশটির একের পর এক অঞ্চল নিজেদের দখলে নিচ্ছে তালেবানরা। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বারগাম ঘাঁটি ছেড়ে যেতে না–যেতেই যেন দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী। পরাজিত হওয়ার আগেই পরাজয় বরণ করে নিচ্ছে তারা।
সম্প্রতি তালেবানরা আসছে এই খবর শুনেই আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বদকশান প্রদেশের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে যায় সহস্রাধিক আফগান সেনা। এ অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে তালেবানদের বিজয় প্রায় সুনিশ্চিত। ফাঁকা মাঠে এবার তারা শুধু জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাইছে। বোঝাতে চাইছে দেশে তালেবান শাসনই ভালো। এ ধরনের বেশ কিছু দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে তারা।
গত জুনে আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা ইমাম শাহিব–এর নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান বাহিনী। পরে সেখানকার তালেবান কমান্ডার নিজস্ব লোকজনের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের কাছেও বার্তা পাঠান–‘কাজকর্ম চালিয়ে যান। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলুন। আর শহরকে পরিষ্কার রাখুন।’
নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরই ইমাম শাহিব শহরের ময়লা পানি পরিষ্কার, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–সংযোগ মেরামতসহ অসংখ্য কাজ এখন তালেবান বাহিনীর নির্দেশেই করা হচ্ছে। তাদের মনোভাব দেখে মনে হয়, এখনো সরকারের পতন না ঘটলেও দেশে তালেবান শাসন ফিরে এসেছে। সরকার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
শুধু ইমাম শাহিব জেলাই নয়, আফগানিস্তানের ৪২১টি জেলার অর্ধেকেই এখন তালেবানদের ছায়া শাসন শুরু হয়ে গেছে। গত মে মাসে বিদেশি সেনারা দেশ ছেড়ে যেতে শুরু করলে তালেবানরা একে একে জেলাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছিল। এখন জনগণকে তারা বোঝাতে চাইছে, সরকার পরিচালনায় অন্য যেকোনো শক্তির চেয়ে তালেবানরাই উপযুক্ত। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনারা যখন আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে তখন তারা আফগান সরকার নয়, বরং তালেবানদের কাছ থেকেই বিদায় নেবে।
তাই সম্ভাব্য বিজয়কে সামনে রেখে সম্প্রতি তালেবান বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও এই বাহিনীর সবচেয়ে বিধ্বংসী অংশের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এক বেতারবার্তায় তালেবান যোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।’
তবে অতীত ইতিহাস বলছে, সরকার পরিচালনায় খুব বেশি দক্ষ নয় তালেবান বাহিনী। নাগরিকসেবার দিক দিয়ে তারা অনেক পিছিয়ে। সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ এবং তাদের সঙ্গে নির্মম ব্যবহার তালেবানের পুরোনো অভ্যাস।
বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এলাকাগুলোর সরকারি কর্মী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হত্যা করছে তালেবান বাহিনী। আমেরিকার সঙ্গে চুক্তিতে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কিছু মানছে না তালেবানরা। দখল নেওয়া এলাকাগুলোতে আবারও নারীদের ওপর পুরোনো বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের স্কুলে যেতে বারণ করা হচ্ছে। এলাকাগুলো ধীরে ধীরে ফিরে যাচ্ছে ২০ বছর আগের কঠোর ইসলামি শাসনব্যবস্থায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব এলাকার যেসব নারী বাড়ির বাইরে নানাবিধ কাজে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা এখন বাড়ির ভেতরে আত্মগোপন করে আছেন। ২০ বছর ধরে সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাঁরা ভালো ছিলেন, তালেবানরা ফিরে এলে তাঁরা ভালো থাকবেন না–এটাই এখন ধরে নেওয়া হচ্ছে।
একদিকে আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশি সৈন্যরা, অন্যদিকে দেশটির একের পর এক অঞ্চল নিজেদের দখলে নিচ্ছে তালেবানরা। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বারগাম ঘাঁটি ছেড়ে যেতে না–যেতেই যেন দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী। পরাজিত হওয়ার আগেই পরাজয় বরণ করে নিচ্ছে তারা।
সম্প্রতি তালেবানরা আসছে এই খবর শুনেই আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বদকশান প্রদেশের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে যায় সহস্রাধিক আফগান সেনা। এ অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে তালেবানদের বিজয় প্রায় সুনিশ্চিত। ফাঁকা মাঠে এবার তারা শুধু জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাইছে। বোঝাতে চাইছে দেশে তালেবান শাসনই ভালো। এ ধরনের বেশ কিছু দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে তারা।
গত জুনে আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা ইমাম শাহিব–এর নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান বাহিনী। পরে সেখানকার তালেবান কমান্ডার নিজস্ব লোকজনের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের কাছেও বার্তা পাঠান–‘কাজকর্ম চালিয়ে যান। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলুন। আর শহরকে পরিষ্কার রাখুন।’
নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরই ইমাম শাহিব শহরের ময়লা পানি পরিষ্কার, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–সংযোগ মেরামতসহ অসংখ্য কাজ এখন তালেবান বাহিনীর নির্দেশেই করা হচ্ছে। তাদের মনোভাব দেখে মনে হয়, এখনো সরকারের পতন না ঘটলেও দেশে তালেবান শাসন ফিরে এসেছে। সরকার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
শুধু ইমাম শাহিব জেলাই নয়, আফগানিস্তানের ৪২১টি জেলার অর্ধেকেই এখন তালেবানদের ছায়া শাসন শুরু হয়ে গেছে। গত মে মাসে বিদেশি সেনারা দেশ ছেড়ে যেতে শুরু করলে তালেবানরা একে একে জেলাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছিল। এখন জনগণকে তারা বোঝাতে চাইছে, সরকার পরিচালনায় অন্য যেকোনো শক্তির চেয়ে তালেবানরাই উপযুক্ত। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনারা যখন আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে তখন তারা আফগান সরকার নয়, বরং তালেবানদের কাছ থেকেই বিদায় নেবে।
তাই সম্ভাব্য বিজয়কে সামনে রেখে সম্প্রতি তালেবান বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও এই বাহিনীর সবচেয়ে বিধ্বংসী অংশের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এক বেতারবার্তায় তালেবান যোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।’
তবে অতীত ইতিহাস বলছে, সরকার পরিচালনায় খুব বেশি দক্ষ নয় তালেবান বাহিনী। নাগরিকসেবার দিক দিয়ে তারা অনেক পিছিয়ে। সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ এবং তাদের সঙ্গে নির্মম ব্যবহার তালেবানের পুরোনো অভ্যাস।
বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এলাকাগুলোর সরকারি কর্মী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হত্যা করছে তালেবান বাহিনী। আমেরিকার সঙ্গে চুক্তিতে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কিছু মানছে না তালেবানরা। দখল নেওয়া এলাকাগুলোতে আবারও নারীদের ওপর পুরোনো বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের স্কুলে যেতে বারণ করা হচ্ছে। এলাকাগুলো ধীরে ধীরে ফিরে যাচ্ছে ২০ বছর আগের কঠোর ইসলামি শাসনব্যবস্থায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব এলাকার যেসব নারী বাড়ির বাইরে নানাবিধ কাজে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা এখন বাড়ির ভেতরে আত্মগোপন করে আছেন। ২০ বছর ধরে সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাঁরা ভালো ছিলেন, তালেবানরা ফিরে এলে তাঁরা ভালো থাকবেন না–এটাই এখন ধরে নেওয়া হচ্ছে।
উত্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি ও ভারী বন্যা-ভূমিধসের কারণে অন্তত ২৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বুনের এলাকায় নিহতের সংখ্যা ২১৩ এর বেশি। এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে বহু আহতের খবর পাওয়া গেছে।
১৬ মিনিট আগেফিলিস্তিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহল গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় প্রায় ৬২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে অন্তত ৬১ হাজার ৮২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, যুদ্ধ শেষ হবে ইউক্রেনের ভূখণ্ড অদলবদল আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার মাধ্যমে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপরই এখন যুদ্ধবিরতি আলোচনার দায়িত্ব বর্তেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার রাতে তিনি জানান, শিগগিরই জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক আয়োজন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে