বিশ্বে ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ ও আন্তরিকতা কতখানি ভঙ্গুর তার প্রমাণ মিলেছে এক মহামারিতেই। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গতকাল সোমবার ‘দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন’ শীর্ষ বার্ষিক প্রতিবেদনে যে চিত্র তুলে ধরে তা ভয়াবহ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের ক্ষুধা ও অপুষ্টি সমস্যা অবসানের পথে নয়– বাস্তবে ভুল পথে এগিয়ে চলেছি আমরা। বিশেষ করে এশিয়ার ক্ষেত্রে এটি সর্বৈব সত্য। যেখানে এ অঞ্চলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের বাস।
২০২০ সালে এশিয়ায় ২০১৯ সালের তুলনায় ৫ কোটি ৭০ লাখ বেশি মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগেছে। তুলনায় আফ্রিকা অনাহারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহাদেশ। সেখানে ২০২০ সালে ২১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগেছে। এটি ২০১৯ সালের চেয়ে ৪ কোটি ৬০ লাখ বেশি। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, সহসাই এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, দুটি মহাদেশে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ২০৩০ সালে সমান হবে। অর্থাৎ উভয় মহাদেশে ৩০ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগবে। এটি এশিয়ার উন্নতিকেই নির্দেশ করে। কিন্তু সারা বিশ্বের চিত্র এমন আশাব্যঞ্জক নয়।
২০০৫ সালে, এশিয়াতে ৫৫ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছিল। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এ সংখ্যা কমে ৩৫ কোটি ২০ লাখে নেমে আসে। কিন্তু এর পর থেকেই ক্রমে পরিস্থিতি অবনতি হতে শুরু করে। বিশেষ করে কোভিড মহামারিতে অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেছে।
এফএওর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, চরম আবহাওয়া (গরম, খরা, বন্যা), অর্থনৈতিক মন্দা এবং জিডিপির অবনতির মতো বড় অভিঘাতগুলোর কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের খাদ্য ব্যবস্থায় যে দুর্বলতা তৈরি হয়েছে, কোভিড মহামারি তা স্পষ্ট করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এসব কারণ সমন্বিতভাবে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এতে বিগত দশকগুলোতে অর্জিত ধারাবাহিক অগ্রগতি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি সব অঞ্চলে এক রকম নয়। জাতীয় সম্পদ বা জিডিপির স্তর অনুযায়ী পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়। স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্য ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে মধ্যম আয়ের দেশে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে অপুষ্টি বেড়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল এশিয়ায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ হিসেবে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। এফএওর প্রতিবেদন অনুসারে, জলবায়ুর নানা চরম অবস্থার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া এশীয় দেশগুলোর সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৫-২০২০ সালের মধ্যে ৫৭ শতাংশ দেশ এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছে। যেখানে ২০০০-২০০৪ সালে এ হার ছিল ১১ শতাংশ।
সর্বশেষ মহামারির কারণে অর্থনৈতিক সংকট খাদ্য পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে।
অবশ্য এশিয়া জুড়ে অপুষ্টির মাত্রা এক নয়। অপুষ্টির হার পূর্ব এশিয়ায় ২ দশমিক ৫ শতাংশেরও কম, যেখানে দক্ষিণ অঞ্চলে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। দক্ষিণে সবচেয়ে বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এখানে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৬০ লাখ।
বিশ্বে ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ ও আন্তরিকতা কতখানি ভঙ্গুর তার প্রমাণ মিলেছে এক মহামারিতেই। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গতকাল সোমবার ‘দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন’ শীর্ষ বার্ষিক প্রতিবেদনে যে চিত্র তুলে ধরে তা ভয়াবহ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের ক্ষুধা ও অপুষ্টি সমস্যা অবসানের পথে নয়– বাস্তবে ভুল পথে এগিয়ে চলেছি আমরা। বিশেষ করে এশিয়ার ক্ষেত্রে এটি সর্বৈব সত্য। যেখানে এ অঞ্চলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের বাস।
২০২০ সালে এশিয়ায় ২০১৯ সালের তুলনায় ৫ কোটি ৭০ লাখ বেশি মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগেছে। তুলনায় আফ্রিকা অনাহারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহাদেশ। সেখানে ২০২০ সালে ২১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগেছে। এটি ২০১৯ সালের চেয়ে ৪ কোটি ৬০ লাখ বেশি। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, সহসাই এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, দুটি মহাদেশে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ২০৩০ সালে সমান হবে। অর্থাৎ উভয় মহাদেশে ৩০ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগবে। এটি এশিয়ার উন্নতিকেই নির্দেশ করে। কিন্তু সারা বিশ্বের চিত্র এমন আশাব্যঞ্জক নয়।
২০০৫ সালে, এশিয়াতে ৫৫ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছিল। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এ সংখ্যা কমে ৩৫ কোটি ২০ লাখে নেমে আসে। কিন্তু এর পর থেকেই ক্রমে পরিস্থিতি অবনতি হতে শুরু করে। বিশেষ করে কোভিড মহামারিতে অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেছে।
এফএওর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, চরম আবহাওয়া (গরম, খরা, বন্যা), অর্থনৈতিক মন্দা এবং জিডিপির অবনতির মতো বড় অভিঘাতগুলোর কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের খাদ্য ব্যবস্থায় যে দুর্বলতা তৈরি হয়েছে, কোভিড মহামারি তা স্পষ্ট করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এসব কারণ সমন্বিতভাবে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এতে বিগত দশকগুলোতে অর্জিত ধারাবাহিক অগ্রগতি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি সব অঞ্চলে এক রকম নয়। জাতীয় সম্পদ বা জিডিপির স্তর অনুযায়ী পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়। স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্য ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে মধ্যম আয়ের দেশে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে অপুষ্টি বেড়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল এশিয়ায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ হিসেবে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। এফএওর প্রতিবেদন অনুসারে, জলবায়ুর নানা চরম অবস্থার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া এশীয় দেশগুলোর সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৫-২০২০ সালের মধ্যে ৫৭ শতাংশ দেশ এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছে। যেখানে ২০০০-২০০৪ সালে এ হার ছিল ১১ শতাংশ।
সর্বশেষ মহামারির কারণে অর্থনৈতিক সংকট খাদ্য পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে।
অবশ্য এশিয়া জুড়ে অপুষ্টির মাত্রা এক নয়। অপুষ্টির হার পূর্ব এশিয়ায় ২ দশমিক ৫ শতাংশেরও কম, যেখানে দক্ষিণ অঞ্চলে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। দক্ষিণে সবচেয়ে বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এখানে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৬০ লাখ।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে