
জাপানের বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুর্ঘটনায় আগুন ধরে যাওয়ার পর জ্বলন্ত উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীসহ ৩৭৯ আরোহীর মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিটে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হওয়া হয়। প্রায় বিদ্যুতের গতিতে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটিকে অলৌকিক দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ওই উড়োজাহাজের জরুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কতটা কার্যকর, তা-ও এই ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জেএএল৫১৬ ফ্লাইট টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়েতেই আগুন ধরে যায়। কোস্টগার্ডের উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওই ঘটনা ঘটে। উড়োজাহাজটিতে গত সোমবারের তীব্র ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল কোস্টগার্ড।
যাত্রীবাহী ও কোস্টগার্ড উড়োজাহাজের সংঘর্ষে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ৩৭৯ আরোহীর সবাই বেঁচে ফিরলেও পাঁচ কোস্টগার্ডের মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞদের বরাতে সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম সিএনএ বলছে, ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা জরুরি প্রটোকল অনুসরণ করেছেন। তাঁরা জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়ার চেষ্টা করেননি। উড়োজাহাজটির ইমার্জেন্সি এক্সিট বা জরুরি বহির্গমনের স্লাইডগুলো একযোগে ব্যবহার করা হলেও কোনো সমস্যা হয়নি।
যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির ৩৬৭ যাত্রী ও ১২ জন ক্রুর সবাই কোনো গুরুতর আঘাত ছাড়াই মাত্র ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে বের হয়ে যেতে পেরেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবিনে ধোঁয়ার পরিমাণ কম হওয়ায় যাত্রীদের শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট বা শ্বাসরোধ হয়নি এবং তাঁরা বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন।
এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অনুমতি নিয়েই উড়োজাহাজটি নিয়ে অবতরণ করেন ক্যাপ্টেন। তবে আকারে ছোট সামুদ্রিক টহল বিমানটি নজর এড়িয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই রানওয়েতে দুটি উড়োজাহাজ কীভাবে এল, তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত। পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সিএনএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক শন প্রুচনিকি বলেন, উড়োজাহাজটির যাত্রী সরিয়ে নেওয়ার গতি ছিল এককথায় দুর্দান্ত।
তিনি বলেন, যাত্রীরা আসলেই ৯০ সেকেন্ডের মধ্য বের হওয়ার অর্থ তাঁরা কেউ লাগেজ নেওয়ার চেষ্টা করেননি। উড়োজাহাজ জরুরিভিত্তিতে খালি করার সময় জিনিসপত্রসহ যাত্রীদের নামার চেষ্টা সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।
আয়ারল্যান্ডের অ্যাভিয়েশন এবং এয়ার ট্রান্সপোর্ট কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান পেগাসাস অ্যাভিয়েশন অ্যাডভাইজর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেসমন্ড রস বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ৯০ সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে উড়োজাহাজ খালি করার সক্ষমতা প্রমাণে বৈশ্বিক সংস্থার কাছ থেকে সনদ নিতে হয়। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ এয়ারবাস এ৩৮০ ও সব ধরনের উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ডেসমন্ড রস সিএনএকে বলেন, ওই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা দরজা খোলার ক্ষেত্রে ও যাত্রীদের দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কাজে দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবে স্লাইডে দৌড়ে নামবে নাকি পিছলে নামবে সে বিষয়ে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়েছিলেন যাত্রীরা।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু, তাঁরা যে বড় আঘাত ছাড়াই নিচে নামতে পারলেন—তা সত্যিই অসাধারণ।’
এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট এয়ারলাইনরেটিংস ডটকমের প্রধান সম্পাদক জফ্রি থমাস বলেন, উড়োজাহাজটির নিরাপত্তাব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি যে যাত্রীরা অর্ধেক জরুরি স্লাইড ব্যবহার করেই ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে বের হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার ক্ষেত্রে আমি শুধু তিনটি স্লাইড ব্যবহার করতে দেখেছি। উড়োজাহাজটির দুই পাশেই ৫টি করে ১০টি স্লাইড আছে। তাই এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা এবং অলৌকিকও বটে।’
এ ছাড়া উড়োজাহাজ তৈরিতে আধুনিক সামগ্রীর ব্যবহারও যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছে বলে উল্লেখ করেন ডেসমন্ড রস। আগেকার্র উড়োজাহাজে দাহ্য পদার্থ বেশি ব্যবহার করা হতো। এমনকি সিটগুলোতেও সহজেই আগুন ধরে যেত।
হানেদা বিমানবন্দরের দুর্ঘটনার ছবি থেকে দেখা যায়, জাপান এয়ারলাইনস উড়োজাহাজটি দাউ দাউ করে জ্বললেও বেশ কিছু অংশ এখনো অক্ষত আছে।
রস বলেন, ‘অনেক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যাত্রীরা বেঁচে ফিরলেও ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে এবং উড়োজাহাজের অন্যান্য বস্তু পোড়ার পরবর্তী প্রভাবে মারা যায়। তাই বিষাক্ত ধোঁয়া সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো উপাদান অপসারণের জন্য কয়েক বছর ধরে অনেক কাজ করা হয়েছে।’
সহকারী অধ্যাপক শন প্রুচনিকি আরও বলেন, ‘কেবিনে তুলনামূলক কম ধোঁয়া প্রবেশ করায় যাত্রীরা সহজে প্রাণে বাঁচতে পেরেছিলেন। অন্যান্য দুর্ঘটনায় আমরা দেখেছি, এমন তীব্র ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় যে মেঝে পর্যন্ত দেখা যায় না। কেউ ঠিকঠাক বুঝেও উঠতে পারে না আর ধোঁয়ার কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।’
হানেদা বিমানবন্দরের ঘটনাটির ক্ষেত্রে প্রথম এমন ইমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এ ঘটনার মাধ্যমেই উড়োজাহাজের জরুরি ব্যবস্থা বাস্তব ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা হয়েছে।

জাপানের বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুর্ঘটনায় আগুন ধরে যাওয়ার পর জ্বলন্ত উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীসহ ৩৭৯ আরোহীর মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিটে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হওয়া হয়। প্রায় বিদ্যুতের গতিতে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটিকে অলৌকিক দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ওই উড়োজাহাজের জরুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কতটা কার্যকর, তা-ও এই ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জেএএল৫১৬ ফ্লাইট টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়েতেই আগুন ধরে যায়। কোস্টগার্ডের উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওই ঘটনা ঘটে। উড়োজাহাজটিতে গত সোমবারের তীব্র ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল কোস্টগার্ড।
যাত্রীবাহী ও কোস্টগার্ড উড়োজাহাজের সংঘর্ষে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ৩৭৯ আরোহীর সবাই বেঁচে ফিরলেও পাঁচ কোস্টগার্ডের মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞদের বরাতে সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম সিএনএ বলছে, ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা জরুরি প্রটোকল অনুসরণ করেছেন। তাঁরা জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়ার চেষ্টা করেননি। উড়োজাহাজটির ইমার্জেন্সি এক্সিট বা জরুরি বহির্গমনের স্লাইডগুলো একযোগে ব্যবহার করা হলেও কোনো সমস্যা হয়নি।
যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির ৩৬৭ যাত্রী ও ১২ জন ক্রুর সবাই কোনো গুরুতর আঘাত ছাড়াই মাত্র ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে বের হয়ে যেতে পেরেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবিনে ধোঁয়ার পরিমাণ কম হওয়ায় যাত্রীদের শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট বা শ্বাসরোধ হয়নি এবং তাঁরা বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন।
এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অনুমতি নিয়েই উড়োজাহাজটি নিয়ে অবতরণ করেন ক্যাপ্টেন। তবে আকারে ছোট সামুদ্রিক টহল বিমানটি নজর এড়িয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই রানওয়েতে দুটি উড়োজাহাজ কীভাবে এল, তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত। পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সিএনএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক শন প্রুচনিকি বলেন, উড়োজাহাজটির যাত্রী সরিয়ে নেওয়ার গতি ছিল এককথায় দুর্দান্ত।
তিনি বলেন, যাত্রীরা আসলেই ৯০ সেকেন্ডের মধ্য বের হওয়ার অর্থ তাঁরা কেউ লাগেজ নেওয়ার চেষ্টা করেননি। উড়োজাহাজ জরুরিভিত্তিতে খালি করার সময় জিনিসপত্রসহ যাত্রীদের নামার চেষ্টা সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।
আয়ারল্যান্ডের অ্যাভিয়েশন এবং এয়ার ট্রান্সপোর্ট কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান পেগাসাস অ্যাভিয়েশন অ্যাডভাইজর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেসমন্ড রস বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ৯০ সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে উড়োজাহাজ খালি করার সক্ষমতা প্রমাণে বৈশ্বিক সংস্থার কাছ থেকে সনদ নিতে হয়। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ এয়ারবাস এ৩৮০ ও সব ধরনের উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ডেসমন্ড রস সিএনএকে বলেন, ওই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা দরজা খোলার ক্ষেত্রে ও যাত্রীদের দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কাজে দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবে স্লাইডে দৌড়ে নামবে নাকি পিছলে নামবে সে বিষয়ে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়েছিলেন যাত্রীরা।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু, তাঁরা যে বড় আঘাত ছাড়াই নিচে নামতে পারলেন—তা সত্যিই অসাধারণ।’
এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট এয়ারলাইনরেটিংস ডটকমের প্রধান সম্পাদক জফ্রি থমাস বলেন, উড়োজাহাজটির নিরাপত্তাব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি যে যাত্রীরা অর্ধেক জরুরি স্লাইড ব্যবহার করেই ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে বের হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার ক্ষেত্রে আমি শুধু তিনটি স্লাইড ব্যবহার করতে দেখেছি। উড়োজাহাজটির দুই পাশেই ৫টি করে ১০টি স্লাইড আছে। তাই এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা এবং অলৌকিকও বটে।’
এ ছাড়া উড়োজাহাজ তৈরিতে আধুনিক সামগ্রীর ব্যবহারও যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছে বলে উল্লেখ করেন ডেসমন্ড রস। আগেকার্র উড়োজাহাজে দাহ্য পদার্থ বেশি ব্যবহার করা হতো। এমনকি সিটগুলোতেও সহজেই আগুন ধরে যেত।
হানেদা বিমানবন্দরের দুর্ঘটনার ছবি থেকে দেখা যায়, জাপান এয়ারলাইনস উড়োজাহাজটি দাউ দাউ করে জ্বললেও বেশ কিছু অংশ এখনো অক্ষত আছে।
রস বলেন, ‘অনেক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যাত্রীরা বেঁচে ফিরলেও ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে এবং উড়োজাহাজের অন্যান্য বস্তু পোড়ার পরবর্তী প্রভাবে মারা যায়। তাই বিষাক্ত ধোঁয়া সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো উপাদান অপসারণের জন্য কয়েক বছর ধরে অনেক কাজ করা হয়েছে।’
সহকারী অধ্যাপক শন প্রুচনিকি আরও বলেন, ‘কেবিনে তুলনামূলক কম ধোঁয়া প্রবেশ করায় যাত্রীরা সহজে প্রাণে বাঁচতে পেরেছিলেন। অন্যান্য দুর্ঘটনায় আমরা দেখেছি, এমন তীব্র ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় যে মেঝে পর্যন্ত দেখা যায় না। কেউ ঠিকঠাক বুঝেও উঠতে পারে না আর ধোঁয়ার কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।’
হানেদা বিমানবন্দরের ঘটনাটির ক্ষেত্রে প্রথম এমন ইমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এ ঘটনার মাধ্যমেই উড়োজাহাজের জরুরি ব্যবস্থা বাস্তব ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
২ ঘণ্টা আগে
১ কোটির বেশি মানুষের এই নগরী আলবুর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। ৫ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে গড়িয়ে আসা নদীগুলোই রাজধানীর পাঁচটি প্রধান জলাধারে পানি সরবরাহ করে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের ওপর শুল্কারোপ করেছিলেন, যার জেরে পাল্টা শুল্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাংপেং ঝাও ২০২৩ সালে অর্থপাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চার মাস কারাভোগও করেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠিত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘বাইন্যান্স’ এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঝাওয়ের কোম্পানিগুলো ট্রাম্প–সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ডোমিনারি হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সে ট্রাম্পের দুই ছেলে রয়েছেন, যা ট্রাম্প টাওয়ারেই অবস্থিত।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক নোরা ও’ডনেল জানতে চান—সরকার যখন ঝাওয়ের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলেছে, তখন কেন ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানিই না উনি কে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনো দেখা করেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ আমাকে বলেছিল, তিনি বাইডেন প্রশাসনের উইচ হান্টের শিকার।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই খাতে নেতৃত্ব না দেয়, তবে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এগিয়ে যাবে।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার মাধ্যমে ঝাওয়ের ওপর আর্থিক ব্যবসা পরিচালনায় থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাইন্যান্সে তাঁর ভূমিকা কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ক্রিপটোকারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ঝাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এটি সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন।’
উল্লেখ্য, বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতেও ক্রিপটো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করেছে। এর মধ্যে বিটমেক্স প্রতিষ্ঠাতারা সহ ‘সিল্ক রোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিক্টও তাঁর ক্ষমা পেয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাংপেং ঝাও ২০২৩ সালে অর্থপাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চার মাস কারাভোগও করেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠিত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘বাইন্যান্স’ এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঝাওয়ের কোম্পানিগুলো ট্রাম্প–সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ডোমিনারি হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সে ট্রাম্পের দুই ছেলে রয়েছেন, যা ট্রাম্প টাওয়ারেই অবস্থিত।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক নোরা ও’ডনেল জানতে চান—সরকার যখন ঝাওয়ের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলেছে, তখন কেন ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানিই না উনি কে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনো দেখা করেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ আমাকে বলেছিল, তিনি বাইডেন প্রশাসনের উইচ হান্টের শিকার।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই খাতে নেতৃত্ব না দেয়, তবে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এগিয়ে যাবে।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার মাধ্যমে ঝাওয়ের ওপর আর্থিক ব্যবসা পরিচালনায় থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাইন্যান্সে তাঁর ভূমিকা কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ক্রিপটোকারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ঝাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এটি সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন।’
উল্লেখ্য, বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতেও ক্রিপটো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করেছে। এর মধ্যে বিটমেক্স প্রতিষ্ঠাতারা সহ ‘সিল্ক রোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিক্টও তাঁর ক্ষমা পেয়েছেন।

জাপানের বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুর্ঘটনায় আগুন ধরে যাওয়ার পর জ্বলন্ত উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীসহ ৩৭৯ আরোহীর মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিটে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হওয়া হয়।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
২ ঘণ্টা আগে
১ কোটির বেশি মানুষের এই নগরী আলবুর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। ৫ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে গড়িয়ে আসা নদীগুলোই রাজধানীর পাঁচটি প্রধান জলাধারে পানি সরবরাহ করে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের ওপর শুল্কারোপ করেছিলেন, যার জেরে পাল্টা শুল্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ৩৬ বছর বয়সী বেহেরা দুজন সশস্ত্র আরএসএফ যোদ্ধার মাঝে বসে আছেন। তাঁদের একজন তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো?’ অন্যজন তাঁকে নির্দেশ দেন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ‘দাগালো গুড’ বলার জন্য। এই শব্দযুগলের মাধ্যমে মূলত মিলিশিয়া নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে ‘হেমেতি’-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়।
সূত্র জানায়, বেহেরাকে উত্তর দারফুরের আল ফাশির শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে। রাজধানী খার্তুম থেকে ওই অঞ্চলটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা আরএসএফের একটি ঘাঁটি।
বেহেরার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ২০২২ সাল থেকে সুকারাতি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুষ্মিতা বেহেরা এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের দুই ছেলে, একজন আট বছর, আরেকজন তিন। আমরা শুধু চাই, ও যেন নিরাপদে ফিরে আসে।’
পরিবারের পাঠানো আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আদর্শ বেহেরা হাত জোড় করে অনুরোধ করছেন, ‘আমি আল ফাশিরে আছি, এখানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমি দুই বছর ধরে অনেক কষ্টে আছি। আমার পরিবার ও বাচ্চারা খুব চিন্তিত। আমি ওডিশা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে সাহায্য করুন।’
গত ১৮ মাসের অবরোধের পর উট ও টয়োটা গাড়িতে চড়ে আরএসএফ যোদ্ধারা সম্প্রতি আল ফাশির শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সতর্ক করেছে—ওই অঞ্চলে আরএসএফের গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
ভারতে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ আবদাল্লা আলি এলতোম এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘আল ফাশির বর্তমানে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমরা আশা করছি, আদর্শ বেহেরাকে যেন কোনো ক্ষতি করা না হয়। পরিস্থিতি অনিশ্চিত হলেও আমরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের আশায় আছি।’
সুদানে ২০২৩ সাল থেকে সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আদর্শ বেহেরার অপহরণ সেই ভয়াবহ সংঘাতেরই নতুন করুণ অধ্যায়।

সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ৩৬ বছর বয়সী বেহেরা দুজন সশস্ত্র আরএসএফ যোদ্ধার মাঝে বসে আছেন। তাঁদের একজন তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো?’ অন্যজন তাঁকে নির্দেশ দেন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ‘দাগালো গুড’ বলার জন্য। এই শব্দযুগলের মাধ্যমে মূলত মিলিশিয়া নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে ‘হেমেতি’-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়।
সূত্র জানায়, বেহেরাকে উত্তর দারফুরের আল ফাশির শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে। রাজধানী খার্তুম থেকে ওই অঞ্চলটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা আরএসএফের একটি ঘাঁটি।
বেহেরার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ২০২২ সাল থেকে সুকারাতি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুষ্মিতা বেহেরা এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের দুই ছেলে, একজন আট বছর, আরেকজন তিন। আমরা শুধু চাই, ও যেন নিরাপদে ফিরে আসে।’
পরিবারের পাঠানো আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আদর্শ বেহেরা হাত জোড় করে অনুরোধ করছেন, ‘আমি আল ফাশিরে আছি, এখানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমি দুই বছর ধরে অনেক কষ্টে আছি। আমার পরিবার ও বাচ্চারা খুব চিন্তিত। আমি ওডিশা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে সাহায্য করুন।’
গত ১৮ মাসের অবরোধের পর উট ও টয়োটা গাড়িতে চড়ে আরএসএফ যোদ্ধারা সম্প্রতি আল ফাশির শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সতর্ক করেছে—ওই অঞ্চলে আরএসএফের গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
ভারতে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ আবদাল্লা আলি এলতোম এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘আল ফাশির বর্তমানে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমরা আশা করছি, আদর্শ বেহেরাকে যেন কোনো ক্ষতি করা না হয়। পরিস্থিতি অনিশ্চিত হলেও আমরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের আশায় আছি।’
সুদানে ২০২৩ সাল থেকে সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আদর্শ বেহেরার অপহরণ সেই ভয়াবহ সংঘাতেরই নতুন করুণ অধ্যায়।

জাপানের বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুর্ঘটনায় আগুন ধরে যাওয়ার পর জ্বলন্ত উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীসহ ৩৭৯ আরোহীর মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিটে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হওয়া হয়।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
১ কোটির বেশি মানুষের এই নগরী আলবুর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। ৫ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে গড়িয়ে আসা নদীগুলোই রাজধানীর পাঁচটি প্রধান জলাধারে পানি সরবরাহ করে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের ওপর শুল্কারোপ করেছিলেন, যার জেরে পাল্টা শুল্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের রাজধানী তেহরানে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সুপেয় পানির উৎস শুকিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। টানা খরার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
গতকাল রোববার দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানায়, রাজধানীর অন্যতম প্রধান পাঁচটি পানির উৎসের মধ্যে আমির কবির বাঁধ একটি। বর্তমানে আমির কবির বাঁধে মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি রয়েছে, যা বাঁধটির ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ। তেহরান পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বেহজাদ পারসা জানান, এই পরিমাণ পানি রাজধানীতে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সরবরাহ করা যাবে। এরপর আর কোনো পানির উৎস থাকবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি এখন তেহরান ও এর আশপাশের অঞ্চল। গত মাসে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ বছর প্রদেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ‘গত এক শতাব্দীর মধ্যে নজিরবিহীনভাবে’ কম।
১ কোটির বেশি মানুষের এই নগরী আলবুর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। ৫ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে গড়িয়ে আসা নদীগুলোই রাজধানীর পাঁচটি প্রধান জলাধারে পানি সরবরাহ করে।
এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল বলে জানান পারসা। কিন্তু এ বছর তেহরানে কোনো বৃষ্টিপাত নেই, ফলে পানির মজুত কমে গেছে। তবে তিনি অন্যান্য জলাধারের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ইরানি গণমাধ্যমগুলো জানায়, তেহরানের মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে। পানি সাশ্রয়ের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকার সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও কিছু শহরে সাময়িকভাবে পানির সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গত জুলাই ও আগস্ট মাসে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল। ওই সময় তীব্র দাবদাহে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছায় এবং কিছু এলাকায় ৫০ ডিগ্রির বেশি হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সে সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের পানির সংকট আসলে যতটা বলা হচ্ছে তারচেয়ে বেশি গুরুতর।’
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে পানির সংকট আরও প্রকট। খরা ছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এ সংকট বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এর সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে ইরানের প্রতিবেশী ইরাকও ১৯৯৩ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। দেশটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর পানির স্তর ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এর কারণ কম বৃষ্টিপাত ও উজানে পানির প্রবাহে বাধা। এতে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে গুরুতর মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

ইরানের রাজধানী তেহরানে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সুপেয় পানির উৎস শুকিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। টানা খরার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
গতকাল রোববার দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানায়, রাজধানীর অন্যতম প্রধান পাঁচটি পানির উৎসের মধ্যে আমির কবির বাঁধ একটি। বর্তমানে আমির কবির বাঁধে মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি রয়েছে, যা বাঁধটির ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ। তেহরান পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বেহজাদ পারসা জানান, এই পরিমাণ পানি রাজধানীতে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সরবরাহ করা যাবে। এরপর আর কোনো পানির উৎস থাকবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি এখন তেহরান ও এর আশপাশের অঞ্চল। গত মাসে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ বছর প্রদেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ‘গত এক শতাব্দীর মধ্যে নজিরবিহীনভাবে’ কম।
১ কোটির বেশি মানুষের এই নগরী আলবুর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। ৫ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে গড়িয়ে আসা নদীগুলোই রাজধানীর পাঁচটি প্রধান জলাধারে পানি সরবরাহ করে।
এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল বলে জানান পারসা। কিন্তু এ বছর তেহরানে কোনো বৃষ্টিপাত নেই, ফলে পানির মজুত কমে গেছে। তবে তিনি অন্যান্য জলাধারের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ইরানি গণমাধ্যমগুলো জানায়, তেহরানের মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে। পানি সাশ্রয়ের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকার সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও কিছু শহরে সাময়িকভাবে পানির সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গত জুলাই ও আগস্ট মাসে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল। ওই সময় তীব্র দাবদাহে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছায় এবং কিছু এলাকায় ৫০ ডিগ্রির বেশি হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সে সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের পানির সংকট আসলে যতটা বলা হচ্ছে তারচেয়ে বেশি গুরুতর।’
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে পানির সংকট আরও প্রকট। খরা ছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এ সংকট বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এর সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে ইরানের প্রতিবেশী ইরাকও ১৯৯৩ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। দেশটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর পানির স্তর ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এর কারণ কম বৃষ্টিপাত ও উজানে পানির প্রবাহে বাধা। এতে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে গুরুতর মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

জাপানের বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুর্ঘটনায় আগুন ধরে যাওয়ার পর জ্বলন্ত উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীসহ ৩৭৯ আরোহীর মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিটে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হওয়া হয়।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের ওপর শুল্কারোপ করেছিলেন, যার জেরে পাল্টা শুল্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাড়ি তৈরিতে অপরিহার্য কম্পিউটার চিপ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা চীন ধীরে ধীরে শিথিল করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে হওয়া বাণিজ্য চুক্তির অংশ বলে জানানো হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস এই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করে।
চুক্তিতে গাড়ির চিপ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন রপ্তানি, বিরল খনিজ পদার্থের সরবরাহ ও ফেন্টানিল নামের মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের বাণিজ্য নিয়েও সমঝোতা হয়।
বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের ওপর শুল্কারোপ করেছিলেন, যার জেরে পাল্টা শুল্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেসবের বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মূলত পারস্পরিকভাবে লাভজনক। প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং যেমন বলেছেন—দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক হওয়া উচিত তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের নোঙর ও চালিকাশক্তি; কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়।
গত শনিবার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্য কর্মকর্তারা মূল চুক্তির বিষয়গুলো ঘোষণা করেন।
ওই বৈঠককে ‘অসাধারণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বেইজিং বলছে, এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ইস্যু সমাধানে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

গাড়ি তৈরিতে অপরিহার্য কম্পিউটার চিপ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা চীন ধীরে ধীরে শিথিল করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে হওয়া বাণিজ্য চুক্তির অংশ বলে জানানো হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস এই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করে।
চুক্তিতে গাড়ির চিপ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন রপ্তানি, বিরল খনিজ পদার্থের সরবরাহ ও ফেন্টানিল নামের মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের বাণিজ্য নিয়েও সমঝোতা হয়।
বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের ওপর শুল্কারোপ করেছিলেন, যার জেরে পাল্টা শুল্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেসবের বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মূলত পারস্পরিকভাবে লাভজনক। প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং যেমন বলেছেন—দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক হওয়া উচিত তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের নোঙর ও চালিকাশক্তি; কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়।
গত শনিবার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্য কর্মকর্তারা মূল চুক্তির বিষয়গুলো ঘোষণা করেন।
ওই বৈঠককে ‘অসাধারণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বেইজিং বলছে, এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ইস্যু সমাধানে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

জাপানের বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুর্ঘটনায় আগুন ধরে যাওয়ার পর জ্বলন্ত উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীসহ ৩৭৯ আরোহীর মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিটে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হওয়া হয়।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
২ ঘণ্টা আগে
১ কোটির বেশি মানুষের এই নগরী আলবুর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। ৫ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে গড়িয়ে আসা নদীগুলোই রাজধানীর পাঁচটি প্রধান জলাধারে পানি সরবরাহ করে।
৪ ঘণ্টা আগে