Ajker Patrika

‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কাছাকাছি তালেবান’

আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৬
‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কাছাকাছি তালেবান’

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কাছাকাছি চলে এসেছে আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তালেবান। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মানবাধিকার ইস্যুতে সেই সব বিষয়ে ছাড় দেবে, যেগুলো তাদের শর্তের মধ্যে পড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এমনটি জানিয়েছেন।

অসলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে মুত্তাকি মানবিক সংকট কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের জব্দ করা সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এখনো কোনো দেশ তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মুত্তাকি এএফপির কাছে দাবি করেছেন,  আফগানিস্তানের নতুন শাসকেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করছেন। তিনি বলেন, ‘স্বীকৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আমরা লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে এসেছি। এটা আমাদের অধিকার, এটা আফগানদের অধিকার। আমাদের ন্যায্য অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’

গত মাসে তালেবান পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নরওয়েতে বৈঠকে বসে। যদিও নরওয়ে বলছে, তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই বৈঠক ছিল না।

মুত্তাকি জানান, তাঁর সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে তালেবানের ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।

তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে চায়। এটি আমাদের ভাল অর্জন।’

মুত্তাকি জানান, বিদেশি অনেক দেশের দূতাবাস রয়েছে কাবুলে। শিগ্‌গিরই আরও বেশ কয়েকটি দেশ তাদের দূতাবাস খুলবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে কিছু ইউরোপীয় ও আরব দেশের দূতাবাসও খুলবে।’

তবে মুত্তাকি জানিয়েছেন, মানবাধিকার ইস্যুতে তালেবান সেই সব বিষয়ে ছাড় দেবে, যেগুলো তাদের শর্তের মধ্যে পড়ে। আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে তালেবান কিছু করবে না।

তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শর্ত পূরণ করতে হবে বলে আমরা করছি বিষয়টি এমন। আমরা কারও চাপে করছি না, যা করছি আমাদের পরিকল্পনা এবং নীতি অনুযায়ী এটি করছি।’

তালেবান ক্ষমতায় আসার পরই জানিয়েছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তারা আফগানিস্তানে যেমন কট্টরপন্থী শাসন করেছে, এবার তা করবে না। তবে এবারও নারীদের সরকারি চাকরিতে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ মেয়েই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।

এ নিয়ে মুত্তাকি বলেন, আগের সরকারের আমলের কাজ করা ৫ লাখ কর্মীর মধ্যে কাউকেই বরখাস্ত করা হয়নি। তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে।

তালেবান সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত