এক দশক পর থাকসিনের পরিবারে ফিরছে থাইল্যান্ডের শাসন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ১৮
Thumbnail image

পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। আজ শুক্রবার পেতংতার্নের দল ফেউ থাই পার্টির মনোনয়নে এবং দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে প্রায় এক দশক পর থাইল্যান্ডের শাসনক্ষমতায় ফিরছে সিনাওয়াত্রা পরিবার। 

থাই সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেতংতার্ন ‘উং ইং’ সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের ৩১ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ শুক্রবার থাই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নের পক্ষে ভোট পড়ে ৩১৯টি এবং বিপক্ষে পড়ে ১৪৫টি। ২৭ জন আইনপ্রণেতা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। 

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ওয়ান মুহাম্মাদ নূর মাথা অধিবেশন শুরু করেন। এর পর ফেউ থাই পার্টির মহাসচিব সোরাওং থিয়েংথং প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তাঁর দলের নেতা পেতংতার্নের নাম প্রস্তাব করেন। অবশ্য তাঁর বিপরীতে আর কোনো প্রার্থী ছিলেন না। 

থাইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সিনাওয়াত্রা পরিবার। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এরপর ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তাঁর বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০১৪ সালে ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন থাইল্যান্ডের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল প্রায়ুথ থান-ওচা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারকে উৎখাত করে তিনি সামরিক শাসন জারি করেন। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ মে অনুষ্ঠিত থাই পার্লামেন্ট নির্বাচনে থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বে ফেউ থাই পার্টি ১৪১টি আসন পায়। ফেউ থাইয়ের চেয়ে ১০টি বেশি আসন পেয়ে শীর্ষে ছিল পিটা লিমজারোয়েনরাতের নেতৃত্বাধীন মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি। তবে সম্প্রতি দেশটির আদালত মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে বাতিল ঘোষণা করে দলটির নেতাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত