মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাহিনী রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে একের পর এক মার খাচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি বাহিনীর হাতছাড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শহর ও ঘাঁটি। সর্বশেষ তারা বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আরও দুটি ঘাঁটি হারিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যেই নয়, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী শান রাজ্যেও ব্যাপক মার খেয়েছে। সেখানে এখন যুদ্ধবিরতি চললেও বিচ্ছিন্ন সংঘাত থেমে নেই।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর অনলাইন সংস্করণে গতকাল মঙ্গলবার এক খবরে জানানো হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ঐতিহাসিক ম্রউক ইউ শহরে অবস্থিত সামরিক বাহিনীর লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের (এলআইবি) ৩৭৮ সদর দপ্তর গত সোমবার সকালে দখলে নেয় বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। এই ঘাঁটি দখলে নিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই মরিয়া আক্রমণ চালিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। এই শহর কক্সবাজারের টেকনাফের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরের কাছেই।
ইরাবতী জানায়, লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৩৭৮ সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার আগে গত সপ্তাহে ম্রউক ইউ শহরে লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৫৪০ সদর দপ্তরও দখলে নেয় আরাকান আর্মি। পাশের লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৩৭৭ ঘাঁটিতেও আক্রমণ চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
এদিকে গত শুক্রবার কিয়াউক ত শহরে অবস্থিত লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৩৭৬ সদর দপ্তর দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এ ছাড়া তারা মিনবিয়া, কিয়াউক ত ও ম্রউক ইউ শহরের অন্য ঘাঁটিগুলোয়ও আক্রমণ চালাচ্ছে; পাশাপাশি রাচিডং, পন্নাগিউন, রামরি ও আন শহরেও সংঘাত চলছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী মংডু শহরের তং পিও সীমান্তচৌকিতেও বিদ্রোহীদের আক্রমণ চলছে। এসব এলাকায় মর্টার শেল নিক্ষেপ এবং হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
আরাকান আর্মি গত ১৩ নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন ও পাশের চিন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় পালেত্ত শহরে হামলা জোরদার করেছে বলে জানায় দ্য ইরাবতী। আরাকান আর্মির দাবি, তারা পালেত্ত শহর দখল করে নিয়েছে। সিত্তের পকতাও শহরও তারা দখলে নিয়েছে। এর বাইরে জান্তা সরকারের সামরিক বাহিনীর সীমান্তচৌকিসহ ১৭০টি অবস্থান দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
অন্য এলাকায়ও মার খাচ্ছে জান্তা বাহিনী
শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায়ই নয়, মিয়ানমারের অন্য এলাকায়ও বিদ্রোহীদের কাছে মার খাচ্ছে জান্তা সরকারের বাহিনী। চীন, লাওস ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তবর্তী শান রাজ্যে সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছে অন্তত ১০টি শহর, লাশিও-মিউজ সড়ক ও ১০৫তম মাইল সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এর মধ্যে ১০৫তম মাইল সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চলকে চীন-মিয়ানমার বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলে মনে করা হয়।
এই রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত অক্টোবর থেকে লড়ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এই জোটে রয়েছে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), আরাকান আর্মি এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলও)। ধারণা করা হচ্ছে, হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত জান্তা বাহিনীর ৪ হাজারের বেশি সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে।
ইরাবতী জানায়, চীনের মধ্যস্থতায় শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে গত ১১ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে সংঘাত থেমে নেই। কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ নয়।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাহিনী রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে একের পর এক মার খাচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি বাহিনীর হাতছাড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শহর ও ঘাঁটি। সর্বশেষ তারা বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আরও দুটি ঘাঁটি হারিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যেই নয়, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী শান রাজ্যেও ব্যাপক মার খেয়েছে। সেখানে এখন যুদ্ধবিরতি চললেও বিচ্ছিন্ন সংঘাত থেমে নেই।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর অনলাইন সংস্করণে গতকাল মঙ্গলবার এক খবরে জানানো হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ঐতিহাসিক ম্রউক ইউ শহরে অবস্থিত সামরিক বাহিনীর লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের (এলআইবি) ৩৭৮ সদর দপ্তর গত সোমবার সকালে দখলে নেয় বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। এই ঘাঁটি দখলে নিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই মরিয়া আক্রমণ চালিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। এই শহর কক্সবাজারের টেকনাফের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরের কাছেই।
ইরাবতী জানায়, লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৩৭৮ সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার আগে গত সপ্তাহে ম্রউক ইউ শহরে লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৫৪০ সদর দপ্তরও দখলে নেয় আরাকান আর্মি। পাশের লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৩৭৭ ঘাঁটিতেও আক্রমণ চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
এদিকে গত শুক্রবার কিয়াউক ত শহরে অবস্থিত লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ৩৭৬ সদর দপ্তর দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এ ছাড়া তারা মিনবিয়া, কিয়াউক ত ও ম্রউক ইউ শহরের অন্য ঘাঁটিগুলোয়ও আক্রমণ চালাচ্ছে; পাশাপাশি রাচিডং, পন্নাগিউন, রামরি ও আন শহরেও সংঘাত চলছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী মংডু শহরের তং পিও সীমান্তচৌকিতেও বিদ্রোহীদের আক্রমণ চলছে। এসব এলাকায় মর্টার শেল নিক্ষেপ এবং হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
আরাকান আর্মি গত ১৩ নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন ও পাশের চিন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় পালেত্ত শহরে হামলা জোরদার করেছে বলে জানায় দ্য ইরাবতী। আরাকান আর্মির দাবি, তারা পালেত্ত শহর দখল করে নিয়েছে। সিত্তের পকতাও শহরও তারা দখলে নিয়েছে। এর বাইরে জান্তা সরকারের সামরিক বাহিনীর সীমান্তচৌকিসহ ১৭০টি অবস্থান দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
অন্য এলাকায়ও মার খাচ্ছে জান্তা বাহিনী
শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায়ই নয়, মিয়ানমারের অন্য এলাকায়ও বিদ্রোহীদের কাছে মার খাচ্ছে জান্তা সরকারের বাহিনী। চীন, লাওস ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তবর্তী শান রাজ্যে সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছে অন্তত ১০টি শহর, লাশিও-মিউজ সড়ক ও ১০৫তম মাইল সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এর মধ্যে ১০৫তম মাইল সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চলকে চীন-মিয়ানমার বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলে মনে করা হয়।
এই রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত অক্টোবর থেকে লড়ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এই জোটে রয়েছে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), আরাকান আর্মি এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলও)। ধারণা করা হচ্ছে, হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত জান্তা বাহিনীর ৪ হাজারের বেশি সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে।
ইরাবতী জানায়, চীনের মধ্যস্থতায় শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে গত ১১ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে সংঘাত থেমে নেই। কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ নয়।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের মনসা দেবীর মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। মন্দিরে ওঠার সিঁড়িতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪০ মিনিট আগেসব কাগজপত্র ছিল তাঁর কাছে—আধার, ভোটার কার্ড, এমনকি আত্মীয়দের পরিচয়পত্রও। তবু রাজস্থান পুলিশ বিশ্বাস করল না যে সে ভারতীয়। এরপর, এক সকালে চোখ খুলে দেখল, সে আছে অন্য এক দেশে, বাংলাদেশে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমির শেখ নামক ওই তরুণকে দেশে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে‘আমার বাবা ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে প্রায়শই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একবার তো পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছেন। দুধ-ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার ছাড়া তার সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো উপায় নেই। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার তো দূর কোনোমতে পেট ভরার মতো খাবারও নেই। বেশির ভাগ দিনই আমরা না খেয়ে থাকছি। মাঝে মাঝ
১ ঘণ্টা আগেসৌভাগ্য কাকে বলে, তারই যেন প্রমাণ পেলেন বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় লটারি বিগ টিকিটে প্রথমবার অংশ নিয়েই জিতে নিয়েছেন ৫০ হাজার দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ লাখ টাকারও বেশি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে