আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের প্রথম থেকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের স্বীকৃতি দাবি করে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। মধ্য-এপ্রিলে ‘জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)’ গঠনের পর জান্তাবিরোধী প্ল্যাটফর্মটির স্বীকৃতির দাবি আরও জোরদার হয়।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডসহ ইউরোপীয় অনেক দেশ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এনইউজিকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের কোনো দেশ বা সংস্থা। কিন্তু কেন?
এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার উপপরিচালক ফিল বরার্টসন বলেন, ‘১০ বছরের বেসামরিক সরকারের আমলে ইয়াঙ্গুনে অনেক পশ্চিমা দেশ দূতাবাস খুলেছে। এনইউজিকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে এসব দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া।’
তা ছাড়া, স্বীকৃতি দিলে তাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সরেজমিনে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর এর সুযোগ নেবে পার্শ্ববর্তী চীন ও রাশিয়া।
চীন মিয়ানমারে নিজেদের অনুগত স্থিতিশীল একটা সরকার চায়। যেটা দেশটিতে চীনের বিনিয়োগ থেকে শুরু করে সার্বিক তৎপরতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না। তবে নিজের নাকের ডগার ওপর দিয়ে সেখানে পশ্চিমাদের বড় ধরনের কোনো হস্তক্ষেপও মেনে নেবে না বেইজিং।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘তাতমাদাও’-এর সম্পর্ক অনেক পুরোনো। রাশিয়ার বিভিন্ন সামরিক একাডেমিতে তাতমাদাও-এর অনেক ক্যাডেট রয়েছেন। তা ছাড়া, গত মাসে রাশিয়া সফর করেছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সফরে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ঘোষণা এসেছে। মানে মিয়ানমারে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ মস্কোকেও বিরক্ত করবে।
তা ছাড়া, দেশটির স্টেট কাউন্সেলর ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চিকেও আগের মতো আস্থায় নিতে পারছে না পশ্চিমারা। বিশেষত রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ নিয়ে সু চির বিষয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসে তারা। কিন্তু সু চি ছাড়া তাদের কোনো উপায়ও নেই। এদিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন কংগ্রেসম্যান টেড লিউ সম্প্রতি বলেন, এনইউজিতে যদি কোনো রোহিঙ্গা প্রতিনিধি না থাকেন, তাহলে প্ল্যাটফর্মটির স্বীকৃতি রোধে আমি চেষ্টার কোনো ত্রুটি করব না।
পশ্চিমা সরকারগুলোর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং জাতিসংঘও এনইউজির স্বীকৃতি নিয়ে দোলাচলে রয়েছে। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের পরবর্তী সাধারণ অধিবেশনের কথা রয়েছে। এতে এনইউজি নিয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমার বিষয়ে নতুন মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাসে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের হাতে মিয়ানমারে ৭৫ শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও হাজারখানেক আটক রয়েছে। গত শুক্রবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে।
দি অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) শুক্রবারের তথ্যমতে, পাঁচ মাসে জান্তার হাতে দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৯১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আটক হয়েছে ছয় হাজার ৭৭৯ জন। আর হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক হাজার ৯৬৩ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ ও ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশটি চলমান মহামারিতেও ধরাশায়ী। আল জাজিরার তথ্যমতে, সেখানে এ পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে চার হাজারের বেশি।
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের প্রথম থেকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের স্বীকৃতি দাবি করে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। মধ্য-এপ্রিলে ‘জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)’ গঠনের পর জান্তাবিরোধী প্ল্যাটফর্মটির স্বীকৃতির দাবি আরও জোরদার হয়।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডসহ ইউরোপীয় অনেক দেশ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এনইউজিকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের কোনো দেশ বা সংস্থা। কিন্তু কেন?
এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার উপপরিচালক ফিল বরার্টসন বলেন, ‘১০ বছরের বেসামরিক সরকারের আমলে ইয়াঙ্গুনে অনেক পশ্চিমা দেশ দূতাবাস খুলেছে। এনইউজিকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে এসব দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া।’
তা ছাড়া, স্বীকৃতি দিলে তাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সরেজমিনে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর এর সুযোগ নেবে পার্শ্ববর্তী চীন ও রাশিয়া।
চীন মিয়ানমারে নিজেদের অনুগত স্থিতিশীল একটা সরকার চায়। যেটা দেশটিতে চীনের বিনিয়োগ থেকে শুরু করে সার্বিক তৎপরতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না। তবে নিজের নাকের ডগার ওপর দিয়ে সেখানে পশ্চিমাদের বড় ধরনের কোনো হস্তক্ষেপও মেনে নেবে না বেইজিং।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘তাতমাদাও’-এর সম্পর্ক অনেক পুরোনো। রাশিয়ার বিভিন্ন সামরিক একাডেমিতে তাতমাদাও-এর অনেক ক্যাডেট রয়েছেন। তা ছাড়া, গত মাসে রাশিয়া সফর করেছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সফরে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ঘোষণা এসেছে। মানে মিয়ানমারে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ মস্কোকেও বিরক্ত করবে।
তা ছাড়া, দেশটির স্টেট কাউন্সেলর ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চিকেও আগের মতো আস্থায় নিতে পারছে না পশ্চিমারা। বিশেষত রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ নিয়ে সু চির বিষয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসে তারা। কিন্তু সু চি ছাড়া তাদের কোনো উপায়ও নেই। এদিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন কংগ্রেসম্যান টেড লিউ সম্প্রতি বলেন, এনইউজিতে যদি কোনো রোহিঙ্গা প্রতিনিধি না থাকেন, তাহলে প্ল্যাটফর্মটির স্বীকৃতি রোধে আমি চেষ্টার কোনো ত্রুটি করব না।
পশ্চিমা সরকারগুলোর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং জাতিসংঘও এনইউজির স্বীকৃতি নিয়ে দোলাচলে রয়েছে। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের পরবর্তী সাধারণ অধিবেশনের কথা রয়েছে। এতে এনইউজি নিয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমার বিষয়ে নতুন মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাসে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের হাতে মিয়ানমারে ৭৫ শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও হাজারখানেক আটক রয়েছে। গত শুক্রবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে।
দি অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) শুক্রবারের তথ্যমতে, পাঁচ মাসে জান্তার হাতে দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৯১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আটক হয়েছে ছয় হাজার ৭৭৯ জন। আর হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক হাজার ৯৬৩ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ ও ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশটি চলমান মহামারিতেও ধরাশায়ী। আল জাজিরার তথ্যমতে, সেখানে এ পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে চার হাজারের বেশি।
খোঁজ মিলেছে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই নববধূ সোনমের। তবে, নিখোঁজ নয়, তিনিই ছিলেন বর রাজা রঘুবংশী হত্যার মূলহোতা এবং এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। আজ সোমবার, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে এ তথ্য।
২২ মিনিট আগেমালয়েশিয়ায় একটি বাস ও একটি মিনিভ্যানের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। ভয়াবহ এই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও প্রায় ৩৩ জন। গকাল রোববার, দেশটির উত্তরাঞ্চলের ব্যস্ততম একটি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
১ ঘণ্টা আগেঅভিবাসীবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বিক্ষোভ সমাবেশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিক্ষোভকারীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। অগ্নিগর্ভে পরিণত হওয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রতিবাদকারীদের পিছু হটাতে কাঁদানে গ্যাস, ফ্ল্যাশ
২ ঘণ্টা আগেম্যাডলিনে থাকা মানবাধিকার কর্মীরা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আগে জানান, স্থানীয় সময় রোববার রাত ১টার কিছু পর তাদের জাহাজের দিকে চারটি স্পিডবোট এগিয়ে আসে। এরপর দুটো ড্রোন উড়ে এসে জাহাজের ওপর একটি সাদা রাসায়নিক স্প্রে করে, সেটি ঠিক কী তা তারা বুঝতে পারেন নি। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত
৪ ঘণ্টা আগে