রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে নারীদের সিংহাসনে বসার অধিকার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে জাপানের রোষের মুখে পড়েছে জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা ইউএন ওমেন। পুরুষের দখলে থাকা রাজতন্ত্র এতে এতই রুষ্ট হয়েছে যে দেশটি ইউএন ওমেনের জন্য তহবিল বরাদ্দ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বুধবার জাপানের রক্ষণশীল সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়, তারা সিডও (জাতিসংঘের নারী অধিকার কমিটির নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ) কমিটির জন্য সব স্বেচ্ছা অর্থায়ন বন্ধ করবে।
গত অক্টোবরে এই কমিটির এক প্রতিবেদনে শুধু পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত ‘রাজ সিংহাসন আইন’ সংশোধন করে নারীও সম্রাট হওয়ার সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। এর প্রতিবাদেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তোশিহিরো কিতামুরা জানান, জাপানের বার্ষিক স্বেচ্ছা অনুদান থেকে সিডিওকে (নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন) বাদ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাতিসংঘ যেন তাদের অনুদান সিডিওর কর্মকাণ্ডে ব্যবহার না করে। একই সঙ্গে, আগামী মার্চে এই সংস্থার প্রতিনিধিদের পরিকল্পিত জাপান সফরও বাতিল করা হয়েছে।
কিতামুরা নারীদের অধিকারের বিষয়ে জাপানের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘রাজ সিংহাসনের যোগ্যতা মৌলিক অধিকারের অংশ নয় এবং পুরুষশাসিত উত্তরাধিকার নিয়ম নারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না।’
এর আগে গত অক্টোবরে জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইওশিমাসা হায়াশি সিডিওর প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে বলেছিলেন, এটি ‘দুঃখজনক’ ও ‘অনুপযুক্ত’।
জাপানে ১৯৪৭ সালের রাজপরিবার-সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, শুধু পুরুষেরা সিংহাসনে বসার যোগ্য এবং কোনো নারী রাজপরিবারের সদস্য যদি সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করেন তবে তাঁর রাজকীয় মর্যাদা হারান।
বর্তমানে রাজপরিবারে ১৬ জন সদস্য রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে মাত্র চারজন পুরুষ। সবচেয়ে কনিষ্ঠ পুরুষ সদস্য প্রিন্স হিসাহিতো। তিনিই এখন রাজপরিবারের শেষ উত্তরাধিকারী। এর ফলে ভবিষ্যতে রাজপরিবার টিকে থাকার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তবে, নারী সম্রাটের অনুমোদন ছাড়াই উত্তরাধিকার সংকট সমাধানের উপায় খুঁজছে জাপানের রক্ষণশীল সরকার। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজকীয় মর্যাদা হারানো কিছু প্রাক্তন অভিজাত পরিবারের পুরুষ সদস্যকে দত্তক নিয়ে রাজপরিবারে যুক্ত করার কথা ভাবছে।
রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে নারীদের সিংহাসনে বসার অধিকার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে জাপানের রোষের মুখে পড়েছে জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা ইউএন ওমেন। পুরুষের দখলে থাকা রাজতন্ত্র এতে এতই রুষ্ট হয়েছে যে দেশটি ইউএন ওমেনের জন্য তহবিল বরাদ্দ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বুধবার জাপানের রক্ষণশীল সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়, তারা সিডও (জাতিসংঘের নারী অধিকার কমিটির নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ) কমিটির জন্য সব স্বেচ্ছা অর্থায়ন বন্ধ করবে।
গত অক্টোবরে এই কমিটির এক প্রতিবেদনে শুধু পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত ‘রাজ সিংহাসন আইন’ সংশোধন করে নারীও সম্রাট হওয়ার সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। এর প্রতিবাদেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তোশিহিরো কিতামুরা জানান, জাপানের বার্ষিক স্বেচ্ছা অনুদান থেকে সিডিওকে (নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন) বাদ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাতিসংঘ যেন তাদের অনুদান সিডিওর কর্মকাণ্ডে ব্যবহার না করে। একই সঙ্গে, আগামী মার্চে এই সংস্থার প্রতিনিধিদের পরিকল্পিত জাপান সফরও বাতিল করা হয়েছে।
কিতামুরা নারীদের অধিকারের বিষয়ে জাপানের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘রাজ সিংহাসনের যোগ্যতা মৌলিক অধিকারের অংশ নয় এবং পুরুষশাসিত উত্তরাধিকার নিয়ম নারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না।’
এর আগে গত অক্টোবরে জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইওশিমাসা হায়াশি সিডিওর প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে বলেছিলেন, এটি ‘দুঃখজনক’ ও ‘অনুপযুক্ত’।
জাপানে ১৯৪৭ সালের রাজপরিবার-সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, শুধু পুরুষেরা সিংহাসনে বসার যোগ্য এবং কোনো নারী রাজপরিবারের সদস্য যদি সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করেন তবে তাঁর রাজকীয় মর্যাদা হারান।
বর্তমানে রাজপরিবারে ১৬ জন সদস্য রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে মাত্র চারজন পুরুষ। সবচেয়ে কনিষ্ঠ পুরুষ সদস্য প্রিন্স হিসাহিতো। তিনিই এখন রাজপরিবারের শেষ উত্তরাধিকারী। এর ফলে ভবিষ্যতে রাজপরিবার টিকে থাকার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তবে, নারী সম্রাটের অনুমোদন ছাড়াই উত্তরাধিকার সংকট সমাধানের উপায় খুঁজছে জাপানের রক্ষণশীল সরকার। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজকীয় মর্যাদা হারানো কিছু প্রাক্তন অভিজাত পরিবারের পুরুষ সদস্যকে দত্তক নিয়ে রাজপরিবারে যুক্ত করার কথা ভাবছে।
নয় বছর বয়সী মাহমুদ আজ্জুর। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজার পুরোনো শহরের বাসিন্দা। একসময় বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য সবজি কিনে আনত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সঙ্গে হাসত। এখন সে হাত দুটো নেই। গত বছরের মার্চে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মাহমুদের বাড়ি। বিস্ফোরণে মাহমুদ তার দুই হাত হারায়...
২ মিনিট আগেগাজার তরুণ ফটোসাংবাদিক ফাতেমা হাসসুনা জানতেন, মৃত্যু সব সময় তাঁর দরজায় ওঁত পেতে থাকে। গত ১৮ মাস ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা, নিজের বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া, বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং পরিবারের ১১ জন সদস্যের মৃত্যু নিজ হাতে নথিভুক্ত করেছেন তিনি। এই ঘটনাগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে...
৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন ইমিগ্রেশন বিভাগ কয়েক শ বিদেশি শিক্ষার্থী ও সদ্য স্নাতকদের ভিসা বাতিল করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ভিসা বাতিল ও গ্রেপ্তারের শিকারদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত...
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ২৯ বছর সরকারি বাস চালিয়েছেন তিনি। মাত্র ৭ ডলার (প্রায় ৮০০ টাকা) সমপরিমাণ ভাড়া আত্মসাতের দায়ে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, সেই সঙ্গে তাঁর ৮৪ হাজার ডলার (প্রায় ৯২ লাখ টাকা) পেনশনও বাতিল করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে