আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক মূল্যবোধ দ্রুত বদলাচ্ছে। সেই পরিবর্তনেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জন্মহার সংক্রান্ত নতুন পরিসংখ্যানে। নিক্কেই এশিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো অবিবাহিত বাবা-মায়ের সন্তানের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
সরকারি সংস্থা স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়ার সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে প্রায় ১৪ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে বিবাহবন্ধনের বাইরে, যা মোট জন্মের ৫.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৪.৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা ছিল মাত্র ১.৯ শতাংশ। অর্থাৎ আট বছরের ব্যবধানে এই হার তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিয়ের আগে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে ধারণা দ্রুত বদলাচ্ছে। এখন অনেকেই মনে করেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বিয়ে বাধ্যতামূলক নয়। এই মানসিকতার পরিবর্তনই প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দেশটির জনপ্রিয় অভিনেতা জুং উ-সুং ও মডেল মুন গা-বির সম্পর্ক এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। বিয়ে না করেই সন্তান জন্মের খবর প্রকাশের পর কোরীয় সমাজে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ সমালোচনা করলেও প্রগতিশীল অংশের মানুষেরা এটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। তাঁরা বলছেন, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক মানসিকতায় একটি নতুন পরিবর্তনের প্রতিফলন।
কোরিয়ান উইমেন’স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বিয়ের বাইরে সন্তান নেওয়ার ধারণা এখন তরুণদের মধ্যে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। ২০০৮ সালে ২০–৩০ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই ধারণাকে সমর্থন করতেন ৩২.৪ শতাংশ; ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৩.১ শতাংশ। একই বয়সী নারীদের মধ্যে সমর্থনের হার আরও বেড়ে ৪২.৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
কোরিয়ান পেনিনসুলা পপুলেশন ইনস্টিটিউট ফর ফিউচার-এর পরিচালক লি ইন-সিল বলেন, ‘সমাজের আবহ অনেক বদলে গেছে। সিঙ্গেল মায়েদের জন্য সরকারি সহায়তাও এখন অনেক বেশি। ফলে নারীরা মনে করছেন, বিয়ে ছাড়াই সন্তান লালন-পালন সম্ভব।’
জনসংখ্যা হ্রাসে ভুগতে থাকা দেশটি ২০০৮ সালে পুরোনো পারিবারিক নিবন্ধন ব্যবস্থা বাতিল করে যেন অবিবাহিত মায়েরা তাঁদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে পারেন। এই পরিবর্তন একক মাতৃত্বের পথে বড় বাধা দূর করেছে।
অন্যদিকে সামাজিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আসছে। অনেক তরুণী এখন প্রশ্ন তুলছেন, কেন বিয়ের পর নারীদেরই স্বামীর পরিবারে থেকে গৃহস্থালি ও বৃদ্ধ সেবার দায়িত্ব নিতে হবে। দেশটিতে পশ্চিমা জীবনধারার প্রভাব ও অর্থনৈতিক চাপে, বিশেষ করে বাড়ির দামের ঊর্ধ্বগতিতে তরুণেরা এখন আগের মতো বিয়েতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
২০২৪ সালের জনগণনা অনুসারে, দেশটির ৩০-এর কোঠার ৫৩.৪ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত, যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। একই বয়সী শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৬১.৬ শতাংশ।
এমন সামাজিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বর্তমান আইন ও নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করছে, যাতে অবিবাহিত বাবা-মায়েদের সমস্যাগুলো আরও আরও ভালো করে বোঝা যায়।
তারপরও দক্ষিণ কোরিয়ায় অবিবাহিত জন্মের হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। ওইসিডির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ২০২০ সালে ছিল ৪০.৫ শতাংশ, তুরস্কে ২.৮ এবং জাপানে ২.৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়াই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারবিশিষ্ট দেশ, যেখানে প্রত্যেক নারী গড়ে মাত্র ০.৭৫টি সন্তান জন্ম দেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক মূল্যবোধ দ্রুত বদলাচ্ছে। সেই পরিবর্তনেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জন্মহার সংক্রান্ত নতুন পরিসংখ্যানে। নিক্কেই এশিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো অবিবাহিত বাবা-মায়ের সন্তানের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
সরকারি সংস্থা স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়ার সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে প্রায় ১৪ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে বিবাহবন্ধনের বাইরে, যা মোট জন্মের ৫.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৪.৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা ছিল মাত্র ১.৯ শতাংশ। অর্থাৎ আট বছরের ব্যবধানে এই হার তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিয়ের আগে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে ধারণা দ্রুত বদলাচ্ছে। এখন অনেকেই মনে করেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বিয়ে বাধ্যতামূলক নয়। এই মানসিকতার পরিবর্তনই প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দেশটির জনপ্রিয় অভিনেতা জুং উ-সুং ও মডেল মুন গা-বির সম্পর্ক এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। বিয়ে না করেই সন্তান জন্মের খবর প্রকাশের পর কোরীয় সমাজে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ সমালোচনা করলেও প্রগতিশীল অংশের মানুষেরা এটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। তাঁরা বলছেন, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক মানসিকতায় একটি নতুন পরিবর্তনের প্রতিফলন।
কোরিয়ান উইমেন’স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বিয়ের বাইরে সন্তান নেওয়ার ধারণা এখন তরুণদের মধ্যে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। ২০০৮ সালে ২০–৩০ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই ধারণাকে সমর্থন করতেন ৩২.৪ শতাংশ; ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৩.১ শতাংশ। একই বয়সী নারীদের মধ্যে সমর্থনের হার আরও বেড়ে ৪২.৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
কোরিয়ান পেনিনসুলা পপুলেশন ইনস্টিটিউট ফর ফিউচার-এর পরিচালক লি ইন-সিল বলেন, ‘সমাজের আবহ অনেক বদলে গেছে। সিঙ্গেল মায়েদের জন্য সরকারি সহায়তাও এখন অনেক বেশি। ফলে নারীরা মনে করছেন, বিয়ে ছাড়াই সন্তান লালন-পালন সম্ভব।’
জনসংখ্যা হ্রাসে ভুগতে থাকা দেশটি ২০০৮ সালে পুরোনো পারিবারিক নিবন্ধন ব্যবস্থা বাতিল করে যেন অবিবাহিত মায়েরা তাঁদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে পারেন। এই পরিবর্তন একক মাতৃত্বের পথে বড় বাধা দূর করেছে।
অন্যদিকে সামাজিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আসছে। অনেক তরুণী এখন প্রশ্ন তুলছেন, কেন বিয়ের পর নারীদেরই স্বামীর পরিবারে থেকে গৃহস্থালি ও বৃদ্ধ সেবার দায়িত্ব নিতে হবে। দেশটিতে পশ্চিমা জীবনধারার প্রভাব ও অর্থনৈতিক চাপে, বিশেষ করে বাড়ির দামের ঊর্ধ্বগতিতে তরুণেরা এখন আগের মতো বিয়েতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
২০২৪ সালের জনগণনা অনুসারে, দেশটির ৩০-এর কোঠার ৫৩.৪ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত, যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। একই বয়সী শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৬১.৬ শতাংশ।
এমন সামাজিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বর্তমান আইন ও নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করছে, যাতে অবিবাহিত বাবা-মায়েদের সমস্যাগুলো আরও আরও ভালো করে বোঝা যায়।
তারপরও দক্ষিণ কোরিয়ায় অবিবাহিত জন্মের হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। ওইসিডির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ২০২০ সালে ছিল ৪০.৫ শতাংশ, তুরস্কে ২.৮ এবং জাপানে ২.৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়াই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারবিশিষ্ট দেশ, যেখানে প্রত্যেক নারী গড়ে মাত্র ০.৭৫টি সন্তান জন্ম দেন।
২০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগে এই বরখাস্তের ঘটনা ঘটল। এই অধিবেশনে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং নতুন সদস্য নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
৩৬ মিনিট আগেআটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন তিনি, এমন দাবি বহুবারই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সংঘাত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আবারও সেই দাবির পক্ষে জোর দিলেন তিনি। ইঙ্গিত দিলেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আরব সাগরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি অভিযানের সময় পালোয়ানকে তাঁর ‘ইউনুস’ নামের মাছ ধরার নৌকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নৌকাটিতে ইরান-নির্মিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের যন্ত্রাংশ, যুদ্ধজাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান এবং একটি ওয়ারহেড পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাঁর ডিউক অব ইয়র্কসহ সব রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যক্তিগত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন—দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা অভিযোগ রাজপরিবারের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলছে, তাই তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে