ঢাকা: গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের জান্তা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জান্তা সরকারকে হটাতে মিয়ানমারে সেই থেকেই চলছে আন্দোলন, বিক্ষোভ। রক্তক্ষয়ী সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে আট শতাধিক বেসামরিক নাগরিক। ছায়া সরকার গঠন করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এই জান্তাবিরোধীরা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মানুষদের মধ্যে রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা বাড়ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জান্তাবিরোধীরা কালো জামা পরা ছবি শেয়ার করে রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী মানুষ। গতকাল রোববার জান্তাবিরোধী নেতা কর্মী, সাধারণ জনগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘ব্ল্যাক ফর রোহিঙ্গা’ ক্যাপশন লিখে কালো জামা পরে তিন আঙুলে স্যালুট দেওয়ার ছবি পোস্ট করেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত হ্যাশট্যাগ ‘ব্ল্যাক ফর রোহিঙ্গা’ ৩ লাখ ৩২ হাজারবার মেনশন করা হয়েছে। বেশির ভাগ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীই এই হ্যাশট্যাগে সংহতি জানান।
মানবাধিকার কর্মী থিনজার শুনলেই ইয়ি টুইটারে বলেন, আমি আপনিসহ মিয়ানমারের সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
বিশেষ করে মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে গিয়ে বসতি গড়েছে বলে মনে করেন মিয়ানমারের বহু নাগরিক। কয়েক দশক ধরেই তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার। সেই সঙ্গে তাদের মৌলিক মানবিক অধিকার, সরকারি সেবা এবং স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যে রক্তাক্ত সামরিক অভিযানে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। ওই সময় তাঁদের ওপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।
সারা বিশ্ব থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সামরিক বাহিনী বারবার দাবি করে আসছে, ওই এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মূলোৎপাটন করতেই ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। এ নিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসির) সহায়তায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। গাম্বিয়ার অভিযোগে বলা হয়, সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার ওপর নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দিয়ে, হাজারো রোহিঙ্গাকে হত্যা, আহত ও নারীদের ধর্ষণ করেছে মিয়ানমার।
হেগে অবস্থিত সেই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে তৎকালীন সরকারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি হেগে হাজির হয়েছিলেন। শুনানিতে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে যুক্ত উপস্থাপন করেন তিনি।
মামলার বিপক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই মিয়ানমারে সমর্থন আর অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসেন শান্তিতে নোবেল জয়ী রাজনীতিক সু চি। হাজার হাজার মানুষ কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন শহরে সু চির পক্ষে সমাবেশ করে।
ওই সময় স্থানীয় ইরাবতী এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, আইন নিয়ে কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সু চি নিজে আদালতে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত সুপরিকল্পিত। কারণ মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তাঁর পাশে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাট বলা হয়, সু চির এই সিদ্ধান্তের পেছনে ক্ষমতাসীন দল এনএলডির জনসমর্থন বাড়ানোর উদ্দেশ্য থাকা অসম্ভব কিছু নয়। কারণ পরের বছরই মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন।
মিয়ানমারের নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গির এমন পরিবর্তনের বিষয়ে স্বাধীন রোহিঙ্গা জোটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন সান লুইন কাতার ভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, হ্যাশট্যাগ ‘ব্ল্যাক ফর রোহিঙ্গা’ ক্যাম্পেইনে বিপুল সমর্থন পেয়েছি। অনেকেই সংহতি জানিয়েছেন। বিশেষ করে বার্মিজদের কাছ থেকে সংহতি পাওয়া খুবই বড় বিষয়।
ঢাকা: গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের জান্তা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জান্তা সরকারকে হটাতে মিয়ানমারে সেই থেকেই চলছে আন্দোলন, বিক্ষোভ। রক্তক্ষয়ী সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে আট শতাধিক বেসামরিক নাগরিক। ছায়া সরকার গঠন করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এই জান্তাবিরোধীরা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মানুষদের মধ্যে রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা বাড়ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জান্তাবিরোধীরা কালো জামা পরা ছবি শেয়ার করে রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী মানুষ। গতকাল রোববার জান্তাবিরোধী নেতা কর্মী, সাধারণ জনগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘ব্ল্যাক ফর রোহিঙ্গা’ ক্যাপশন লিখে কালো জামা পরে তিন আঙুলে স্যালুট দেওয়ার ছবি পোস্ট করেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত হ্যাশট্যাগ ‘ব্ল্যাক ফর রোহিঙ্গা’ ৩ লাখ ৩২ হাজারবার মেনশন করা হয়েছে। বেশির ভাগ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীই এই হ্যাশট্যাগে সংহতি জানান।
মানবাধিকার কর্মী থিনজার শুনলেই ইয়ি টুইটারে বলেন, আমি আপনিসহ মিয়ানমারের সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
বিশেষ করে মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে গিয়ে বসতি গড়েছে বলে মনে করেন মিয়ানমারের বহু নাগরিক। কয়েক দশক ধরেই তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার। সেই সঙ্গে তাদের মৌলিক মানবিক অধিকার, সরকারি সেবা এবং স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যে রক্তাক্ত সামরিক অভিযানে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। ওই সময় তাঁদের ওপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।
সারা বিশ্ব থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সামরিক বাহিনী বারবার দাবি করে আসছে, ওই এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মূলোৎপাটন করতেই ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। এ নিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসির) সহায়তায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। গাম্বিয়ার অভিযোগে বলা হয়, সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার ওপর নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দিয়ে, হাজারো রোহিঙ্গাকে হত্যা, আহত ও নারীদের ধর্ষণ করেছে মিয়ানমার।
হেগে অবস্থিত সেই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে তৎকালীন সরকারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি হেগে হাজির হয়েছিলেন। শুনানিতে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে যুক্ত উপস্থাপন করেন তিনি।
মামলার বিপক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই মিয়ানমারে সমর্থন আর অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসেন শান্তিতে নোবেল জয়ী রাজনীতিক সু চি। হাজার হাজার মানুষ কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন শহরে সু চির পক্ষে সমাবেশ করে।
ওই সময় স্থানীয় ইরাবতী এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, আইন নিয়ে কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সু চি নিজে আদালতে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত সুপরিকল্পিত। কারণ মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তাঁর পাশে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাট বলা হয়, সু চির এই সিদ্ধান্তের পেছনে ক্ষমতাসীন দল এনএলডির জনসমর্থন বাড়ানোর উদ্দেশ্য থাকা অসম্ভব কিছু নয়। কারণ পরের বছরই মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন।
মিয়ানমারের নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গির এমন পরিবর্তনের বিষয়ে স্বাধীন রোহিঙ্গা জোটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন সান লুইন কাতার ভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, হ্যাশট্যাগ ‘ব্ল্যাক ফর রোহিঙ্গা’ ক্যাম্পেইনে বিপুল সমর্থন পেয়েছি। অনেকেই সংহতি জানিয়েছেন। বিশেষ করে বার্মিজদের কাছ থেকে সংহতি পাওয়া খুবই বড় বিষয়।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের পশ্চিমতীর দখলের মডেল নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী—রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেবে, ঠিক যেভাবে ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিমতীর দখলের পর সেখানে শাসন কায়েম করেছে ইসরায়েল।
৩৮ মিনিট আগেট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো আলোচনা করেছেন। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বাড়ি ফিরে দেখি, কোনো রকেট গিয়ে একটি নার্সিং হোম বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে। আর রাস্তায় লাশ পড়ে আছে।’
১ ঘণ্টা আগেসৌরশক্তিচালিত বিমানে মানব অভিযাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডমজান। দক্ষিণ-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের সিওন শহর থেকে উড্ডয়ন করে তিনি আল্পস পর্বতমালা অতিক্রম করেন এবং ৯ হাজার ৫২১ মিটার (৩১,২৩৪ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছান।
৩ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর দক্ষিণ ফ্রান্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মাখোঁ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা।
৪ ঘণ্টা আগে