চীনের তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, সিয়াং নদীতে একটি বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করছে ভারত। এই বাঁধ তৈরি হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত মাসেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং নদীর কাছে পারং গ্রামে শত শত প্রতিবাদকারী জড়ো হয়েছিলেন। তারা সে সময় স্লোগান দেন, ‘সিয়াং আমার মা, এর ওপর বাঁধ হতে দেব না।’
সেখানকার আদিবাসী নেতা গেগং জিজং বলেন, ‘সিয়াং নদী আমাদের পবিত্র স্থান এবং জীবিকার উৎস। সরকার এটি দখল করে শিল্পে পরিণত করতে চায়, যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। যত দিন আমি জীবিত, এই বাঁধ নির্মাণ হতে দেব না।’
ভারত সরকারের প্রস্তাবিত ১৩.২ বিলিয়ন ডলারের সেই বাঁধ নির্মাণ হলে এটি প্রায় ৯ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি সংরক্ষণ করতে পারবে এবং ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। তবে এটির নির্মাণ সম্পন্ন হলে কমপক্ষে ২০টি গ্রাম পুরোপুরি এবং আরও কয়েক ডজন আংশিকভাবে পানিতে তলিয়ে যাবে। হাজার হাজার মানুষকে তাঁদের বাসস্থান ছাড়তে হবে।
সিয়াং নদীর উৎপত্তি তিব্বতে। সেখানে এই নদীটি ইয়ারলুং জাংবো নামে পরিচিত। চীন সম্প্রতি তিব্বতের মেদোগ কাউন্টিতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতের ভূখণ্ডে নদীর প্রবাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সম্ভাব্য এই ক্ষতির প্রভাব কিছুটা হ্রাস করার জন্যই ভারত সরকার সিয়াং নদীতে পাল্টা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, হিমালয় অঞ্চলের ভঙ্গুর পরিবেশ এবং ভূমিকম্প প্রবণ ভূখণ্ডে দুটি বিশাল বাঁধের উপস্থিতি বিপুল বিপর্যয় এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।
ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে গবেষক বি আর দীপক বলেন, ‘চীন যখনই নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে, তা নিকটবর্তী দেশের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ভারত এই প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করছে।’
গবেষকদের মতে, পানি নিয়ে ভারত ও চীনের এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মাত্র ৮ শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হলেও এই নদীটি দেশের ৬৫ শতাংশেরও বেশি পানির জোগান দেয়।
আল-জাজিরাকে বাংলাদেশের পরিবেশ সংগঠন রিভারাইন পিপল-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ রোকন বলেছেন, ‘ভারত ও চীনের এই বাঁধ প্রতিযোগিতার সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে আমাদের ওপর।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন ও ভারতের মধ্যে পানিবণ্টন নিয়ে উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশকে এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নদী অববাহিকার সব দেশের মধ্যে সমন্বিত আলোচনার প্রয়োজন।
চীনের তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, সিয়াং নদীতে একটি বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করছে ভারত। এই বাঁধ তৈরি হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত মাসেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং নদীর কাছে পারং গ্রামে শত শত প্রতিবাদকারী জড়ো হয়েছিলেন। তারা সে সময় স্লোগান দেন, ‘সিয়াং আমার মা, এর ওপর বাঁধ হতে দেব না।’
সেখানকার আদিবাসী নেতা গেগং জিজং বলেন, ‘সিয়াং নদী আমাদের পবিত্র স্থান এবং জীবিকার উৎস। সরকার এটি দখল করে শিল্পে পরিণত করতে চায়, যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। যত দিন আমি জীবিত, এই বাঁধ নির্মাণ হতে দেব না।’
ভারত সরকারের প্রস্তাবিত ১৩.২ বিলিয়ন ডলারের সেই বাঁধ নির্মাণ হলে এটি প্রায় ৯ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি সংরক্ষণ করতে পারবে এবং ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। তবে এটির নির্মাণ সম্পন্ন হলে কমপক্ষে ২০টি গ্রাম পুরোপুরি এবং আরও কয়েক ডজন আংশিকভাবে পানিতে তলিয়ে যাবে। হাজার হাজার মানুষকে তাঁদের বাসস্থান ছাড়তে হবে।
সিয়াং নদীর উৎপত্তি তিব্বতে। সেখানে এই নদীটি ইয়ারলুং জাংবো নামে পরিচিত। চীন সম্প্রতি তিব্বতের মেদোগ কাউন্টিতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতের ভূখণ্ডে নদীর প্রবাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সম্ভাব্য এই ক্ষতির প্রভাব কিছুটা হ্রাস করার জন্যই ভারত সরকার সিয়াং নদীতে পাল্টা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, হিমালয় অঞ্চলের ভঙ্গুর পরিবেশ এবং ভূমিকম্প প্রবণ ভূখণ্ডে দুটি বিশাল বাঁধের উপস্থিতি বিপুল বিপর্যয় এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।
ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে গবেষক বি আর দীপক বলেন, ‘চীন যখনই নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে, তা নিকটবর্তী দেশের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ভারত এই প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করছে।’
গবেষকদের মতে, পানি নিয়ে ভারত ও চীনের এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মাত্র ৮ শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হলেও এই নদীটি দেশের ৬৫ শতাংশেরও বেশি পানির জোগান দেয়।
আল-জাজিরাকে বাংলাদেশের পরিবেশ সংগঠন রিভারাইন পিপল-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ রোকন বলেছেন, ‘ভারত ও চীনের এই বাঁধ প্রতিযোগিতার সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে আমাদের ওপর।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন ও ভারতের মধ্যে পানিবণ্টন নিয়ে উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশকে এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নদী অববাহিকার সব দেশের মধ্যে সমন্বিত আলোচনার প্রয়োজন।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
২৮ মিনিট আগেরুশ সেনাবাহিনীর সদস্যের খাদ্য-রসদ সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়া একটি মার্কিন কোম্পানিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে মস্কো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে আস এই সংক্রান্ত পরিকল্পনার এক নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেজিম্মিদের ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত গাজায় অবরোধ অব্যাহত থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের জাফরান শিল্পের কেন্দ্র কাশ্মীরের এই অঞ্চলটি। ইরান আর আফগানিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জাফরান উৎপাদনকারী এলাকা এটি। পামপুরে উৎপাদিত জাফরানে ক্রোসিনের (জাফরান ফুলের কেশরের রং ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মান নির্ধারণ করে এই উপাদান। ক্রোসিনের পরিমাণ যত বেশি, গুণমান তত ভালো) পরিমাণ...
৩ ঘণ্টা আগে