এএফপি, জাকার্তা
বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এ খাতে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের একটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করেছে দেশটি। এই প্রকল্পের প্রধান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কনটেম্পোরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি লিমিটেড (সিএটিএল)। সম্প্রতি পশ্চিম জাভার কারাওয়াংয়ে এক অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। বিনিয়োগ ও জ্বালানিমন্ত্রী বাহলিল লাহাদালিয়াসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে দুটি এলাকায়। একটি পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার হালমাহেরা দ্বীপে, অন্যটি পশ্চিম জাভার কারাওয়াংয়ে। হালমাহেরায় গড়ে তোলা হবে গলন কেন্দ্র ও ক্যাথোড উৎপাদন কমপ্লেক্স। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এটিতে অংশীদার হিসেবে রয়েছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান জেজিয়াং হুয়াও কোবাল্ট ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত খনি কোম্পানি আনতাম।
পশ্চিম জাভার কারাওয়াংয়ে নির্মিত হবে ব্যাটারি সেল তৈরির কারখানা। এতে ব্যয় হবে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২২ জুন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বলেন, ‘এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে আমরা জ্বালানি খাতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারব।’
বিনিয়োগ ও জ্বালানিমন্ত্রী বাহলিল লাহাদালিয়া বলেন, ‘আমরা কাঁচামাল রপ্তানিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। আমরা চাই, মূল্য সংযোজনের পুরো প্রক্রিয়াটি দেশেই সম্পন্ন হোক। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে, দেশও লাভবান হবে।’
২০২০ সালে ইন্দোনেশিয়া কাঁচা নিকেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর পর থেকে দেশটি অভ্যন্তরীণভাবে নিকেলভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছে। কেননা বিশ্বজুড়ে ইভিশিল্পে ব্যাটারির চাহিদা বাড়ছে। আর এই ব্যাটারির অন্যতম উপাদান হলো নিকেল। এই ধাতুর সবচেয়ে বড় উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হালমাহেরার সিএটিএল কারখানাটি আগামী বছরের মার্চ নাগাদ চালু হতে পারে। তখন থেকেই ইভি ব্যাটারির পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন শুরু হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মেগা প্রকল্প ইন্দোনেশিয়াকে বৈশ্বিক ইভি সরবরাহ চেইনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসবে। এতে করে চীনের বিকল্প উৎস হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্ব বাড়বে। তবে এত বড় প্রকল্প ঘিরে উদ্বেগের জায়গাও রয়েছে। প্রকল্প এলাকার পরিবেশগত ঝুঁকির কথা বলছেন পরিবেশবাদীরা। তাঁদের মতে, এতে করে স্থানীয় মানুষের জীবিকা ও জীবনধারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ক্লাইমেট রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (সিআরআই) এবং গ্রিনপিস ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি এই প্রকল্প ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দুই সংগঠনই প্রকল্প এলাকায় যথাযথভাবে পরিবেশের সুরক্ষা বজায় রাখার ওপর জোর দেয়।
সিআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, হালমাহেরার ওয়েডা বে এলাকায় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নিকেল খনির অবস্থান। সেখানকার বনভূমি উজাড় হচ্ছে, পানি দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবেশবাদীদের দাবি, উন্নয়নের নামে স্থানীয়দের তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই জনগোষ্ঠী বছরের পর বছর ধরে বনের ওপর নির্ভরশীল। তবে সরকার বলছে, পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্থানীয়দের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এ খাতে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের একটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করেছে দেশটি। এই প্রকল্পের প্রধান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কনটেম্পোরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি লিমিটেড (সিএটিএল)। সম্প্রতি পশ্চিম জাভার কারাওয়াংয়ে এক অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। বিনিয়োগ ও জ্বালানিমন্ত্রী বাহলিল লাহাদালিয়াসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে দুটি এলাকায়। একটি পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার হালমাহেরা দ্বীপে, অন্যটি পশ্চিম জাভার কারাওয়াংয়ে। হালমাহেরায় গড়ে তোলা হবে গলন কেন্দ্র ও ক্যাথোড উৎপাদন কমপ্লেক্স। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এটিতে অংশীদার হিসেবে রয়েছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান জেজিয়াং হুয়াও কোবাল্ট ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত খনি কোম্পানি আনতাম।
পশ্চিম জাভার কারাওয়াংয়ে নির্মিত হবে ব্যাটারি সেল তৈরির কারখানা। এতে ব্যয় হবে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২২ জুন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বলেন, ‘এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে আমরা জ্বালানি খাতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারব।’
বিনিয়োগ ও জ্বালানিমন্ত্রী বাহলিল লাহাদালিয়া বলেন, ‘আমরা কাঁচামাল রপ্তানিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। আমরা চাই, মূল্য সংযোজনের পুরো প্রক্রিয়াটি দেশেই সম্পন্ন হোক। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে, দেশও লাভবান হবে।’
২০২০ সালে ইন্দোনেশিয়া কাঁচা নিকেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর পর থেকে দেশটি অভ্যন্তরীণভাবে নিকেলভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছে। কেননা বিশ্বজুড়ে ইভিশিল্পে ব্যাটারির চাহিদা বাড়ছে। আর এই ব্যাটারির অন্যতম উপাদান হলো নিকেল। এই ধাতুর সবচেয়ে বড় উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হালমাহেরার সিএটিএল কারখানাটি আগামী বছরের মার্চ নাগাদ চালু হতে পারে। তখন থেকেই ইভি ব্যাটারির পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন শুরু হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মেগা প্রকল্প ইন্দোনেশিয়াকে বৈশ্বিক ইভি সরবরাহ চেইনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসবে। এতে করে চীনের বিকল্প উৎস হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্ব বাড়বে। তবে এত বড় প্রকল্প ঘিরে উদ্বেগের জায়গাও রয়েছে। প্রকল্প এলাকার পরিবেশগত ঝুঁকির কথা বলছেন পরিবেশবাদীরা। তাঁদের মতে, এতে করে স্থানীয় মানুষের জীবিকা ও জীবনধারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ক্লাইমেট রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (সিআরআই) এবং গ্রিনপিস ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি এই প্রকল্প ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দুই সংগঠনই প্রকল্প এলাকায় যথাযথভাবে পরিবেশের সুরক্ষা বজায় রাখার ওপর জোর দেয়।
সিআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, হালমাহেরার ওয়েডা বে এলাকায় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নিকেল খনির অবস্থান। সেখানকার বনভূমি উজাড় হচ্ছে, পানি দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবেশবাদীদের দাবি, উন্নয়নের নামে স্থানীয়দের তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই জনগোষ্ঠী বছরের পর বছর ধরে বনের ওপর নির্ভরশীল। তবে সরকার বলছে, পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্থানীয়দের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৯৮০-এর দশকের শেষ দিক থেকে নিয়মিত উড়োজাহাজে যাতায়াত করতেন ব্রুস গ্যাম্বল। গাড়ি বিক্রির একজন পরামর্শদাতা হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্যই আলাবামার বার্মিংহাম থেকে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। সুদীর্ঘ এই ভ্রমণ-জীবনে তাঁর পরিচয় গড়ে ওঠে বার্মিংহাম-শাটলসওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডেলটা...
৮ ঘণ্টা আগেগতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, টরন্টোর রাস্তায় রথযাত্রা চলাকালে ডিম ছুড়ে মারেন কয়েকজন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী সঙ্গনা বাজাজ ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করেন, আশপাশের একটি ভবন থেকে রথযাত্রার ওপর ডিম ছোড়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগেট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ‘যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হয়, তাহলে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়ার ওপর ১০০ শতাংশ সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করা হবে। এই শুল্ক আরোপের জন্য কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ (হাউস) বা উচ্চকক্ষের (সিনেট) অনুমতির প্রয়োজন হবে না।’
৯ ঘণ্টা আগেদেশের এয়ারলাইনসগুলোকে তাদের বোয়িং-৭৮৭ বহরের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের লকিং মেকানিজম পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ)। নির্দেশনায় আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এই পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড
১০ ঘণ্টা আগে