পরাগ মাঝি, ঢাকা
দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই। ময়নাতদন্ত করা প্যাথলজিস্ট জানালেন, মেয়েটির মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল, আর ছেলেটিকে শ্বাসরোধ। আর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময়ও তাঁরা জীবিতই ছিলেন।
১৯৭৬ সালের ৩ মার্চ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই মর্গের স্মৃতি এখনো স্পষ্ট মনে আছে ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের। ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এমন বিভীষিকাময় দৃশ্য তিনি আর কখনোই দেখেননি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বিচারের মুখোমুখি করতে পরবর্তী এক দশকেরও বেশি সময় কেটে যায় তাঁর। কারণ, ছেলে-মেয়ে দুটি তাঁর দেশ নেদারল্যান্ড থেকেই থাইল্যান্ডে ঘুরতে এসেছিলেন। মাসখানেক আগেই নেদারল্যান্ডস থেকে চিঠি লিখে তাঁদের খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এশিয়ায় ভ্রমণরত শ্যালিকা ও তাঁর প্রেমিক প্রতি সপ্তাহেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নিজেদের পরিবারের কাছে অন্তত দুটি করে চিঠি লিখতেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা দুজনই চিঠি লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি ছয় সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁদের লেখা কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি।
ব্যাংকক থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে আয়ুথায়ার কাছাকাছি একটি রাস্তায় ডাচ ব্যাকপেকার হেনরিকাস ও কর্নেলিয়ার পুড়ে যাওয়া লাশ দুটি পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে তাঁদের নিখোঁজ হয়ে থাকা এক অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি ভেবেছিল সবাই। যদিও অস্ট্রেলিয়ান ওই দম্পতিকে পরে জীবিতই পাওয়া গিয়েছিল। এক দন্তচিকিৎসকের সহযোগিতায় দাঁতের চিহ্ন মিলিয়ে লাশ দুটি শেষ পর্যন্ত নিজ দেশের নিখোঁজ দুই ব্যাকপেকারের বলেই নিশ্চিত হয়েছিলেন ডাচ কূটনীতিক নিপেনবার্গ। দীর্ঘদিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তিনি এটাও নিশ্চিত হয়েছিলেন, নৃশংস এই খুনের পেছনে যিনি ছিলেন তাঁর নাম চার্লস শোভরাজ!
১৯৭০-এর দশকে আজকের দিনের মতো গগনচুম্বী অট্টালিকার নগরী ছিল না ব্যাংকক। ছিল না পাতাল রেল, স্কাই-ট্রেনের মতো আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থাও। তবু প্রাচ্যে অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে বেড়ানো পশ্চিমা তারুণ্যের কাছে থাইল্যান্ড ছিল এক স্বপ্নের জগৎ। ব্যাংককের উষ্ণ, আর্দ্র রাস্তাগুলোতে তখনো উপচে পড়ছিল পর্যটক আর ভ্রমণকারীরা। সেই আমলের মন্থর যোগাযোগব্যবস্থায় শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় পৌঁছাতে লেগে যেত কয়েক ঘণ্টা।
কোনো স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়াও না থাকায় সেই সময়টিতে ভ্রমণকারীদের কেউ নিখোঁজ হয়ে গেলে তা অজানা থেকে যেত সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা মাস। এমন একটি শহরের কোলাহলপূর্ণ বাজার আর শান্ত মন্দিরগুলো লুকিয়ে রেখেছিল শোভরাজের মতো এক ধুরন্ধর শিকারিকেও। রঙিন চকমকে জীবনের খোলসে অনায়াসে তিনি মিশে গিয়েছিলেন শহরের প্রাণবন্ত আড্ডা, হাসি, তামাশায়। সুযোগ পেলেই ছোবল মারা ছিল তাঁর স্বভাব। সর্প স্বভাবের এই মানুষটিই পরবর্তীকালে হতে যাচ্ছিলেন বিংশ শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত এবং অধরা সিরিয়াল কিলারদের একজন।
থাইল্যান্ডে শোভরাজ নিজেও ছিলেন বিদেশি। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সূত্রে ফরাসি নাগরিক হলেও তাঁর বাবা ছিলেন ভারতীয়, আর মা ছিলেন ভিয়েতনামি। শোভরাজের জন্মও ভিয়েতনামে, ১৯৪৪ সালে। ভিয়েতনাম ও ভারতের সংমিশ্রণ তাঁর চেহারাকে একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছিল। এই বৈশিষ্ট্যই তাঁকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সমাজের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দেয়। বিশেষ করে, নারীদের সঙ্গে ভাব জমাতে পটু ছিলেন তিনি।
১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে একজন সুচতুর ঠগবাজ হিসেবে আবির্ভূত হন শোভরাজ। চুরি করা অসংখ্য পাসপোর্ট আর ছদ্মনাম ব্যবহার করে তিনি তখন ঘুরে বেড়াতেন আজ এই দেশ তো কাল ওই দেশ। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে তাঁর আনাগোনা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই সময়টিতে পশ্চিম থেকে প্রাচ্য আবিষ্কার করতে আসা ব্যাকপেকার তরুণ-তরুণীরাই ছিলেন তাঁর প্রধান শিকার। ভ্রমণরত মানুষের বিশ্বাস এবং সরলতার সুযোগ নিয়ে সর্বস্ব লুট করে নেওয়াই ছিল তাঁর কাজ। ব্যাকপেকারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ গাইড কিংবা সহযাত্রী হয়ে সহজেই মিশে যেতেন তিনি। একবার তাঁর পাল্লায় পড়ে গেলে পর্যটকদের তিনি মাদকে ডুবিয়ে দিতেন। পরে সুযোগ বুঝে টাকাপয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিতেন। এটা করতে গিয়ে প্রয়োজন হলে তিনি খুনের পথও বেছে নিতেন।
শোভরাজের সবচেয়ে কুখ্যাত ছদ্মনামটি ছিল অ্যালাইন গোতিয়ার। এই নামের আড়ালেই তিনি তাঁর প্রেমিকা মেরি আন্দ্রে ল্যাক্লার্ক ওরফে মনিককে নিয়ে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে একের পর এক অপারেশন চালাতেন। থাইল্যান্ডে থাকা অবস্থায় প্রায় সময়ই ব্যাংককের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে তাঁরা শিকারকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যেতেন, কিংবা কোনো আড্ডায় আমন্ত্রণ জানাতেন। পরে শিকারের পানীয়তে মিশিয়ে দিতেন মাদকের ওভারডোজ। লুণ্ঠনের প্রমাণ মুছে দিতে শিকারকে প্রায়ই তাঁরা খুন করে গুম করে ফেলতেন। এই কাজে সহযোগিতার জন্য অজয় চৌধুরী নামে এক ভারতীয়কেও দলভুক্ত করেছিলেন শোভরাজ।
জীবনীকারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে অন্তত ১২টি খুনের কথা শোভরাজ নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। তাঁর এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তেরেসা নোল্টন ও কনি জো ব্রোঞ্জিচ নামে দুই মার্কিন নারী ব্যাকপেকারও। বিকিনি পরা অবস্থায় তেরেসার মরদেহটি ভাসছিল থাইল্যান্ডের পাতায়া সমুদ্র উপকূলে। প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো সাঁতার কাটতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন তেরেসা। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে শোভরাজই তাঁকে নেশাগ্রস্ত করে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। আরেক আমেরিকান ব্যাকপেকার কনি জো ব্রোঞ্জিচের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে। এই দুটি ছাড়াও শারমাইন ক্যারো নামে আরও এক ফরাসি নারীর হত্যাকাণ্ড ‘বিকিনি কিলার’ হিসেবে পরিচিতি দেয় শোভরাজকে। তিনি শারামাইনের আগে তাঁর তুর্কি প্রেমিককেও খুন করেছিলেন। প্রেমিকের খোঁজে থাইল্যান্ডে এসে শারমাইন নিজেও শোভরাজের শিকারে পরিণত হন। তেরেসার মতো বিকিনি পরা অবস্থায় শারমাইনের লাশটিও সমুদ্রের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
শুধু থাইল্যান্ড আর নেপাল নয়, ভারতেও দুই পর্যটককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন শোভরাজ। তাঁর প্রতারণার জাল বিস্তৃত ছিল মালয়েশিয়া, তুরস্ক, গ্রিস ও আফগানিস্তানেও। তবে তাঁর অহংকার এবং কুখ্যাতির আকাঙ্ক্ষা শেষ পর্যন্ত তাঁকে পতনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে শুরু করা ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের তদন্তই ঠান্ডা মাথার ওই খুনিকে শনাক্ত করে। তবে অকাট্য প্রমাণ হাতে আসার পরও কর্তৃপক্ষের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন শোভরাজ। থাইল্যান্ডে ধরা পড়ার আগেই প্রেমিকা মনিককে নিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং যথারীতি সেখানেও নিজের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৯৭৬ সালের জুলাইয়ে নয়াদিল্লিতে ফরাসি শিক্ষার্থীদের একটি দলকে মাদকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলে বিষপান ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। পরে তিহার জেলে তাঁর ১২ বছরের সাজা হয়।
কারাগারের ভেতরেও নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন কুখ্যাত এই বিকিনি কিলার। তিহার জেলে সেই সময় সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন সুনীল গুপ্ত। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা একটি বইয়ে সুনীল জানিয়েছেন, কারাগারের ভেতর শোভরাজ এমন সব বিশেষ সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতেন, সাধারণ কর্মীদের কাছে যা ছিল অকল্পনীয়। পছন্দ অনুযায়ী খাবার তো বটেই, আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিতেন তিনি। কয়েদি হিসেবে ওয়ার্ডে থাকার কথা থাকলেও জেলের ভেতর তিনি অবাধে ঘুরে বেড়াতেন।
গুপ্তের মতে, কারাগারে থাকা ধনী কয়েদিদের সঙ্গে সখ্য এবং আইনি পরামর্শ দিয়ে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিতেন শোভরাজ। আর এসব অর্থ রক্ষীদের ঘুষ হিসেবে দিয়ে কারাগারকে নিজের বাড়িতে পরিণত করেছিলেন তিনি। সুনীল লিখেছেন সবাই তাঁকে ভয় পেত, সমীহ করত।
১৯৮৬ সালে একবার তিনি জেল থেকেও পালাতে সক্ষম হন। তবে তা কিছু সময়ের জন্য। নিজের ইচ্ছায়ই পরে আবার ধরা পড়েছিলেন। ধুরন্ধর শোভরাজ এভাবে মূলত নিজের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে চাইছিলেন। কারণ, ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গেলে থাইল্যান্ডে প্রত্যর্পণ হওয়ার আশঙ্কা ছিল তাঁর। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল মৃত্যুদণ্ড। পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফলও হয়। জেল পালানোর অপরাধে ভারতে তাঁর সাজার মেয়াদ আরও ১০ বছর বেড়ে যায়। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ভারতের জেলেই ছিলেন। তত দিনে সংবিধান অনুযায়ী থাইল্যান্ডে তাঁর মৃত্যুদণ্ড তামাদি হয়ে গিয়েছিল।
ভারতে মুক্তির পর তাই নিজের দেশ ফ্রান্সে ফিরে যান শোভরাজ। অবাক করা বিষয় হলো, ফ্রান্সে তিনি খোলাখুলিভাবেই থাকতেন এবং অর্থের বিনিময়ে নিজের অপরাধের বর্ণনা দিয়ে নিয়মিত সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়াতেন। তবে তাঁর সেই স্বাধীনতা খুব বেশি দিন টেকেনি। কারণ, ২০০৩ সালে তিনি ভুল করে আবারও নেপালে পা রেখেছিলেন, যেখানে তিনি অন্তত দুজন পর্যটককে খুনের দায়ে ওয়ান্টেড ছিলেন। তাঁর উপস্থিতি নজর এড়ায়নি নেপাল কর্তৃপক্ষের। ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ এবং বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২২ সালে নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে আরও এক নজির গড়েন তিনি। ২০০৮ সালে নেপালের কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ৬৪ বছর বয়সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের আইনজীবীর ২০ বছর বয়সী কন্যা নিহিতা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন তিনি। নেপালের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শোভরাজের অপরাধের দুনিয়ায় বিমোহিত হয়ে যায় পুরো বিশ্ব। তাঁর প্রতারণা ও খুনের গল্প নিয়ে রচিত হতে থাকে বই, তথ্যচিত্র, এমনকি পরবর্তী সময়ে ‘দ্য সার্পেন্ট’ নামে একটি হিট টিভি সিরিয়ালও নির্মিত হয় তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণায়।
ইতিহাসের কুখ্যাত এই খুনি এখনো ফ্রান্সের মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অর্থের বিনিময়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। এমনকি তাঁর জীবনী লিখতে চাওয়া এক লেখককে অনুমতি দিতে সম্প্রতি দেড় মিলিয়ন ডলারও দাবি করেছেন।
দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই। ময়নাতদন্ত করা প্যাথলজিস্ট জানালেন, মেয়েটির মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল, আর ছেলেটিকে শ্বাসরোধ। আর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময়ও তাঁরা জীবিতই ছিলেন।
১৯৭৬ সালের ৩ মার্চ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই মর্গের স্মৃতি এখনো স্পষ্ট মনে আছে ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের। ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এমন বিভীষিকাময় দৃশ্য তিনি আর কখনোই দেখেননি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বিচারের মুখোমুখি করতে পরবর্তী এক দশকেরও বেশি সময় কেটে যায় তাঁর। কারণ, ছেলে-মেয়ে দুটি তাঁর দেশ নেদারল্যান্ড থেকেই থাইল্যান্ডে ঘুরতে এসেছিলেন। মাসখানেক আগেই নেদারল্যান্ডস থেকে চিঠি লিখে তাঁদের খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এশিয়ায় ভ্রমণরত শ্যালিকা ও তাঁর প্রেমিক প্রতি সপ্তাহেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নিজেদের পরিবারের কাছে অন্তত দুটি করে চিঠি লিখতেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা দুজনই চিঠি লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি ছয় সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁদের লেখা কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি।
ব্যাংকক থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে আয়ুথায়ার কাছাকাছি একটি রাস্তায় ডাচ ব্যাকপেকার হেনরিকাস ও কর্নেলিয়ার পুড়ে যাওয়া লাশ দুটি পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে তাঁদের নিখোঁজ হয়ে থাকা এক অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি ভেবেছিল সবাই। যদিও অস্ট্রেলিয়ান ওই দম্পতিকে পরে জীবিতই পাওয়া গিয়েছিল। এক দন্তচিকিৎসকের সহযোগিতায় দাঁতের চিহ্ন মিলিয়ে লাশ দুটি শেষ পর্যন্ত নিজ দেশের নিখোঁজ দুই ব্যাকপেকারের বলেই নিশ্চিত হয়েছিলেন ডাচ কূটনীতিক নিপেনবার্গ। দীর্ঘদিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তিনি এটাও নিশ্চিত হয়েছিলেন, নৃশংস এই খুনের পেছনে যিনি ছিলেন তাঁর নাম চার্লস শোভরাজ!
১৯৭০-এর দশকে আজকের দিনের মতো গগনচুম্বী অট্টালিকার নগরী ছিল না ব্যাংকক। ছিল না পাতাল রেল, স্কাই-ট্রেনের মতো আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থাও। তবু প্রাচ্যে অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে বেড়ানো পশ্চিমা তারুণ্যের কাছে থাইল্যান্ড ছিল এক স্বপ্নের জগৎ। ব্যাংককের উষ্ণ, আর্দ্র রাস্তাগুলোতে তখনো উপচে পড়ছিল পর্যটক আর ভ্রমণকারীরা। সেই আমলের মন্থর যোগাযোগব্যবস্থায় শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় পৌঁছাতে লেগে যেত কয়েক ঘণ্টা।
কোনো স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়াও না থাকায় সেই সময়টিতে ভ্রমণকারীদের কেউ নিখোঁজ হয়ে গেলে তা অজানা থেকে যেত সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা মাস। এমন একটি শহরের কোলাহলপূর্ণ বাজার আর শান্ত মন্দিরগুলো লুকিয়ে রেখেছিল শোভরাজের মতো এক ধুরন্ধর শিকারিকেও। রঙিন চকমকে জীবনের খোলসে অনায়াসে তিনি মিশে গিয়েছিলেন শহরের প্রাণবন্ত আড্ডা, হাসি, তামাশায়। সুযোগ পেলেই ছোবল মারা ছিল তাঁর স্বভাব। সর্প স্বভাবের এই মানুষটিই পরবর্তীকালে হতে যাচ্ছিলেন বিংশ শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত এবং অধরা সিরিয়াল কিলারদের একজন।
থাইল্যান্ডে শোভরাজ নিজেও ছিলেন বিদেশি। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সূত্রে ফরাসি নাগরিক হলেও তাঁর বাবা ছিলেন ভারতীয়, আর মা ছিলেন ভিয়েতনামি। শোভরাজের জন্মও ভিয়েতনামে, ১৯৪৪ সালে। ভিয়েতনাম ও ভারতের সংমিশ্রণ তাঁর চেহারাকে একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছিল। এই বৈশিষ্ট্যই তাঁকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সমাজের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দেয়। বিশেষ করে, নারীদের সঙ্গে ভাব জমাতে পটু ছিলেন তিনি।
১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে একজন সুচতুর ঠগবাজ হিসেবে আবির্ভূত হন শোভরাজ। চুরি করা অসংখ্য পাসপোর্ট আর ছদ্মনাম ব্যবহার করে তিনি তখন ঘুরে বেড়াতেন আজ এই দেশ তো কাল ওই দেশ। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে তাঁর আনাগোনা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই সময়টিতে পশ্চিম থেকে প্রাচ্য আবিষ্কার করতে আসা ব্যাকপেকার তরুণ-তরুণীরাই ছিলেন তাঁর প্রধান শিকার। ভ্রমণরত মানুষের বিশ্বাস এবং সরলতার সুযোগ নিয়ে সর্বস্ব লুট করে নেওয়াই ছিল তাঁর কাজ। ব্যাকপেকারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ গাইড কিংবা সহযাত্রী হয়ে সহজেই মিশে যেতেন তিনি। একবার তাঁর পাল্লায় পড়ে গেলে পর্যটকদের তিনি মাদকে ডুবিয়ে দিতেন। পরে সুযোগ বুঝে টাকাপয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিতেন। এটা করতে গিয়ে প্রয়োজন হলে তিনি খুনের পথও বেছে নিতেন।
শোভরাজের সবচেয়ে কুখ্যাত ছদ্মনামটি ছিল অ্যালাইন গোতিয়ার। এই নামের আড়ালেই তিনি তাঁর প্রেমিকা মেরি আন্দ্রে ল্যাক্লার্ক ওরফে মনিককে নিয়ে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে একের পর এক অপারেশন চালাতেন। থাইল্যান্ডে থাকা অবস্থায় প্রায় সময়ই ব্যাংককের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে তাঁরা শিকারকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যেতেন, কিংবা কোনো আড্ডায় আমন্ত্রণ জানাতেন। পরে শিকারের পানীয়তে মিশিয়ে দিতেন মাদকের ওভারডোজ। লুণ্ঠনের প্রমাণ মুছে দিতে শিকারকে প্রায়ই তাঁরা খুন করে গুম করে ফেলতেন। এই কাজে সহযোগিতার জন্য অজয় চৌধুরী নামে এক ভারতীয়কেও দলভুক্ত করেছিলেন শোভরাজ।
জীবনীকারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে অন্তত ১২টি খুনের কথা শোভরাজ নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। তাঁর এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তেরেসা নোল্টন ও কনি জো ব্রোঞ্জিচ নামে দুই মার্কিন নারী ব্যাকপেকারও। বিকিনি পরা অবস্থায় তেরেসার মরদেহটি ভাসছিল থাইল্যান্ডের পাতায়া সমুদ্র উপকূলে। প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো সাঁতার কাটতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন তেরেসা। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে শোভরাজই তাঁকে নেশাগ্রস্ত করে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। আরেক আমেরিকান ব্যাকপেকার কনি জো ব্রোঞ্জিচের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে। এই দুটি ছাড়াও শারমাইন ক্যারো নামে আরও এক ফরাসি নারীর হত্যাকাণ্ড ‘বিকিনি কিলার’ হিসেবে পরিচিতি দেয় শোভরাজকে। তিনি শারামাইনের আগে তাঁর তুর্কি প্রেমিককেও খুন করেছিলেন। প্রেমিকের খোঁজে থাইল্যান্ডে এসে শারমাইন নিজেও শোভরাজের শিকারে পরিণত হন। তেরেসার মতো বিকিনি পরা অবস্থায় শারমাইনের লাশটিও সমুদ্রের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
শুধু থাইল্যান্ড আর নেপাল নয়, ভারতেও দুই পর্যটককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন শোভরাজ। তাঁর প্রতারণার জাল বিস্তৃত ছিল মালয়েশিয়া, তুরস্ক, গ্রিস ও আফগানিস্তানেও। তবে তাঁর অহংকার এবং কুখ্যাতির আকাঙ্ক্ষা শেষ পর্যন্ত তাঁকে পতনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে শুরু করা ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের তদন্তই ঠান্ডা মাথার ওই খুনিকে শনাক্ত করে। তবে অকাট্য প্রমাণ হাতে আসার পরও কর্তৃপক্ষের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন শোভরাজ। থাইল্যান্ডে ধরা পড়ার আগেই প্রেমিকা মনিককে নিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং যথারীতি সেখানেও নিজের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৯৭৬ সালের জুলাইয়ে নয়াদিল্লিতে ফরাসি শিক্ষার্থীদের একটি দলকে মাদকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলে বিষপান ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। পরে তিহার জেলে তাঁর ১২ বছরের সাজা হয়।
কারাগারের ভেতরেও নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন কুখ্যাত এই বিকিনি কিলার। তিহার জেলে সেই সময় সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন সুনীল গুপ্ত। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা একটি বইয়ে সুনীল জানিয়েছেন, কারাগারের ভেতর শোভরাজ এমন সব বিশেষ সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতেন, সাধারণ কর্মীদের কাছে যা ছিল অকল্পনীয়। পছন্দ অনুযায়ী খাবার তো বটেই, আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিতেন তিনি। কয়েদি হিসেবে ওয়ার্ডে থাকার কথা থাকলেও জেলের ভেতর তিনি অবাধে ঘুরে বেড়াতেন।
গুপ্তের মতে, কারাগারে থাকা ধনী কয়েদিদের সঙ্গে সখ্য এবং আইনি পরামর্শ দিয়ে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিতেন শোভরাজ। আর এসব অর্থ রক্ষীদের ঘুষ হিসেবে দিয়ে কারাগারকে নিজের বাড়িতে পরিণত করেছিলেন তিনি। সুনীল লিখেছেন সবাই তাঁকে ভয় পেত, সমীহ করত।
১৯৮৬ সালে একবার তিনি জেল থেকেও পালাতে সক্ষম হন। তবে তা কিছু সময়ের জন্য। নিজের ইচ্ছায়ই পরে আবার ধরা পড়েছিলেন। ধুরন্ধর শোভরাজ এভাবে মূলত নিজের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে চাইছিলেন। কারণ, ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গেলে থাইল্যান্ডে প্রত্যর্পণ হওয়ার আশঙ্কা ছিল তাঁর। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল মৃত্যুদণ্ড। পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফলও হয়। জেল পালানোর অপরাধে ভারতে তাঁর সাজার মেয়াদ আরও ১০ বছর বেড়ে যায়। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ভারতের জেলেই ছিলেন। তত দিনে সংবিধান অনুযায়ী থাইল্যান্ডে তাঁর মৃত্যুদণ্ড তামাদি হয়ে গিয়েছিল।
ভারতে মুক্তির পর তাই নিজের দেশ ফ্রান্সে ফিরে যান শোভরাজ। অবাক করা বিষয় হলো, ফ্রান্সে তিনি খোলাখুলিভাবেই থাকতেন এবং অর্থের বিনিময়ে নিজের অপরাধের বর্ণনা দিয়ে নিয়মিত সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়াতেন। তবে তাঁর সেই স্বাধীনতা খুব বেশি দিন টেকেনি। কারণ, ২০০৩ সালে তিনি ভুল করে আবারও নেপালে পা রেখেছিলেন, যেখানে তিনি অন্তত দুজন পর্যটককে খুনের দায়ে ওয়ান্টেড ছিলেন। তাঁর উপস্থিতি নজর এড়ায়নি নেপাল কর্তৃপক্ষের। ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ এবং বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২২ সালে নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে আরও এক নজির গড়েন তিনি। ২০০৮ সালে নেপালের কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ৬৪ বছর বয়সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের আইনজীবীর ২০ বছর বয়সী কন্যা নিহিতা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন তিনি। নেপালের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শোভরাজের অপরাধের দুনিয়ায় বিমোহিত হয়ে যায় পুরো বিশ্ব। তাঁর প্রতারণা ও খুনের গল্প নিয়ে রচিত হতে থাকে বই, তথ্যচিত্র, এমনকি পরবর্তী সময়ে ‘দ্য সার্পেন্ট’ নামে একটি হিট টিভি সিরিয়ালও নির্মিত হয় তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণায়।
ইতিহাসের কুখ্যাত এই খুনি এখনো ফ্রান্সের মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অর্থের বিনিময়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। এমনকি তাঁর জীবনী লিখতে চাওয়া এক লেখককে অনুমতি দিতে সম্প্রতি দেড় মিলিয়ন ডলারও দাবি করেছেন।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৩ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
সম্প্রতি অভিশংসিত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিস (কেএইচএস) এর বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতিথিদের জন্য একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই কিম গিউন হি প্রাসাদের মূল ভবন গিনজংজনে থাকা রাজসিংহাসনে বসেন।
১৩৯২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত জোসন রাজবংশের আমলে এই প্রাসাদ ছিল রাজপরিবারের প্রধান আবাস ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। লাল-সোনালি রঙের সিংহাসনটি রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।
কেএইচএস জানিয়েছে, এই সফরটি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর কিম যে সিংহাসনে বসেছিলেন সেটি ছিল পরবর্তীকালে নির্মিত একটি অনুলিপি, আসল নয়।
তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এক সাক্ষ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী চুং ইয়ং সিওক বলেন, ‘তিনি (কিম গিউন হি) দেহরক্ষীদের সহায়তায় মঞ্চের পাশে থাকা সিঁড়ি বেয়ে উঠে সিংহাসনে বসেন।’
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ইউ হং জুন বলেন, ‘এটি ভুল কাজ ছিল—কোরিয়ার সবাই এটিকে ভুল হিসেবেই দেখছে।’
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধী দলের এক সদস্য ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘তিনি হয়তো রানি হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।’
এটি কিম গিউন হির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ নয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানা যায়, তিনি ও তার অতিথিরা জোসন যুগের ঐতিহ্যবাহী জংমিও মন্দিরের একটি নিষিদ্ধ অংশে চা পান করেছিলেন—যা ঐতিহ্যবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
এসব অভিযোগ ওঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ঐতিহ্যের প্রতি তাদের অবহেলা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে গত আগস্টে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সামরিক আইন জারিসহ বিদ্রোহের অভিযোগে। আর তাঁর স্ত্রী কিম গিউন হির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি অভিশংসিত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিস (কেএইচএস) এর বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতিথিদের জন্য একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই কিম গিউন হি প্রাসাদের মূল ভবন গিনজংজনে থাকা রাজসিংহাসনে বসেন।
১৩৯২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত জোসন রাজবংশের আমলে এই প্রাসাদ ছিল রাজপরিবারের প্রধান আবাস ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। লাল-সোনালি রঙের সিংহাসনটি রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।
কেএইচএস জানিয়েছে, এই সফরটি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর কিম যে সিংহাসনে বসেছিলেন সেটি ছিল পরবর্তীকালে নির্মিত একটি অনুলিপি, আসল নয়।
তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এক সাক্ষ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী চুং ইয়ং সিওক বলেন, ‘তিনি (কিম গিউন হি) দেহরক্ষীদের সহায়তায় মঞ্চের পাশে থাকা সিঁড়ি বেয়ে উঠে সিংহাসনে বসেন।’
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ইউ হং জুন বলেন, ‘এটি ভুল কাজ ছিল—কোরিয়ার সবাই এটিকে ভুল হিসেবেই দেখছে।’
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধী দলের এক সদস্য ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘তিনি হয়তো রানি হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।’
এটি কিম গিউন হির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ নয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানা যায়, তিনি ও তার অতিথিরা জোসন যুগের ঐতিহ্যবাহী জংমিও মন্দিরের একটি নিষিদ্ধ অংশে চা পান করেছিলেন—যা ঐতিহ্যবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
এসব অভিযোগ ওঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ঐতিহ্যের প্রতি তাদের অবহেলা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে গত আগস্টে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সামরিক আইন জারিসহ বিদ্রোহের অভিযোগে। আর তাঁর স্ত্রী কিম গিউন হির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।
দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৩ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’
দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৩ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলেও খবর ছড়ায়। তবে থাই কর্তৃপক্ষ এসব দাবি অস্বীকার করেছে।
থাই ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, ভেরা ক্রাভৎসোভা গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন এবং ২০ সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি নিজেই বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করেছেন। অর্থাৎ, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি।
থাই পুলিশ মেজর জেনারেল চেরংগ্রন রিমফাদি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই যাচ্ছিলেন, কোনো জোরজবরদস্তির চিহ্ন নেই। থাইল্যান্ডের বাইরে কী ঘটেছে, সেই বিষয়ে আমাদের এখতিয়ার নেই।’
এদিকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বেলারুশের রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বরোভিকভ গণমাধ্যমে প্রচারিত হত্যার খবরকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ভেরার মৃত্যুর খবর এখনো যাচাই করা হয়নি। যাচাইবিহীন তথ্য ছড়ানো তাঁর পরিবারের জন্য কষ্ট বাড়াচ্ছে। রাষ্ট্রদূত জানান, ভেরা গত ২০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক থেকে ইয়াঙ্গুনে যান এবং পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষ যোগাযোগ হয় ৪ অক্টোবর।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘কমসোমলস্কায়া প্রাভদা’ দাবি করেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের একটি নথিতে বলা হয়েছে, ভেরার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে এবং ১৬ অক্টোবর তাঁর দেহ দাহ করা হয়। তবে এই নথির সত্যতা নিশ্চিত হয়নি। অপর দিকে কয়েকটি ট্যাবলয়েড দাবি করেছে, থাইল্যান্ডে মডেলিংয়ের চাকরির প্রলোভনে গিয়ে অপহৃত হন ভেরা এবং মিয়ানমারের এক প্রতারণা কেন্দ্রে তাঁকে দাসত্বে বাধ্য করা হয়।
থাই সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন থাইল্যান্ড’ জানিয়েছে, ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হওয়ায় থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সংস্থাটির গভর্নর থাপনি কিয়াতফাইবুল জানিয়েছেন, অনলাইনে ছড়ানো গুজব থাইল্যান্ডের নিরাপদ পর্যটন ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে পারে। তিনি বিদেশি পর্যটকদের সতর্ক থাকতে এবং বিপদের আশঙ্কা হলে স্থানীয় পুলিশ বা নিজ দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ভেরার পরিবারের সহায়তায় তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে নিতে কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলে প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, এসব কেন্দ্রে এশিয়া ও আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষকে অপহরণ করে অনলাইন প্রতারণায় বাধ্য করা হয়। প্রায় ৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হলেও এখনো সেখানে এক লাখের বেশি মানুষ অমানবিক অবস্থায় বন্দী রয়েছেন।
বেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলেও খবর ছড়ায়। তবে থাই কর্তৃপক্ষ এসব দাবি অস্বীকার করেছে।
থাই ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, ভেরা ক্রাভৎসোভা গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন এবং ২০ সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি নিজেই বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করেছেন। অর্থাৎ, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি।
থাই পুলিশ মেজর জেনারেল চেরংগ্রন রিমফাদি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই যাচ্ছিলেন, কোনো জোরজবরদস্তির চিহ্ন নেই। থাইল্যান্ডের বাইরে কী ঘটেছে, সেই বিষয়ে আমাদের এখতিয়ার নেই।’
এদিকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বেলারুশের রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বরোভিকভ গণমাধ্যমে প্রচারিত হত্যার খবরকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ভেরার মৃত্যুর খবর এখনো যাচাই করা হয়নি। যাচাইবিহীন তথ্য ছড়ানো তাঁর পরিবারের জন্য কষ্ট বাড়াচ্ছে। রাষ্ট্রদূত জানান, ভেরা গত ২০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক থেকে ইয়াঙ্গুনে যান এবং পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষ যোগাযোগ হয় ৪ অক্টোবর।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘কমসোমলস্কায়া প্রাভদা’ দাবি করেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের একটি নথিতে বলা হয়েছে, ভেরার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে এবং ১৬ অক্টোবর তাঁর দেহ দাহ করা হয়। তবে এই নথির সত্যতা নিশ্চিত হয়নি। অপর দিকে কয়েকটি ট্যাবলয়েড দাবি করেছে, থাইল্যান্ডে মডেলিংয়ের চাকরির প্রলোভনে গিয়ে অপহৃত হন ভেরা এবং মিয়ানমারের এক প্রতারণা কেন্দ্রে তাঁকে দাসত্বে বাধ্য করা হয়।
থাই সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন থাইল্যান্ড’ জানিয়েছে, ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হওয়ায় থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সংস্থাটির গভর্নর থাপনি কিয়াতফাইবুল জানিয়েছেন, অনলাইনে ছড়ানো গুজব থাইল্যান্ডের নিরাপদ পর্যটন ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে পারে। তিনি বিদেশি পর্যটকদের সতর্ক থাকতে এবং বিপদের আশঙ্কা হলে স্থানীয় পুলিশ বা নিজ দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ভেরার পরিবারের সহায়তায় তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে নিতে কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলে প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, এসব কেন্দ্রে এশিয়া ও আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষকে অপহরণ করে অনলাইন প্রতারণায় বাধ্য করা হয়। প্রায় ৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হলেও এখনো সেখানে এক লাখের বেশি মানুষ অমানবিক অবস্থায় বন্দী রয়েছেন।
দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৩ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে