কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এবার সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের নিন্দীয় এক ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। এক মেজরের নেতৃত্বে একদল সেনা দুটি মসজিদে অনুপ্রবেশ করে মুসল্লিদের ‘জয় শ্রীরাম’ মন্ত্র উচ্চারণে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। জাদ্দোরা গ্রামে একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান আলতাফ আহমাদ ভাট এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলে দাবি করেছেন।
দ্য টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, গতকাল রোববার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগের মুখে থাকা মেজরকে এর মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অবহিত করেন।
ইতিমধ্য়ে জম্মু ও কাশ্মীরের তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং গুলাম নবী আজাদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন টুইট করেছেন। তাঁরা ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি করেছেন।
দ্য ওয়্যারের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার মাঝরাতের পর থেকে ঘটনার সূত্রপাত, যা চলে শনিবার ভোর পর্যন্ত। জাদুরা গ্রামের মানুষ একটি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাত দেড়টা নাগাদ কিছু সেনা তাঁদের গ্রামে আসে। তাঁরা ৫০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য; তাঁদের সঙ্গে একজন অফিসার ছিলেন।
আলতাফ ভাট বলেন, ‘অফিসার গাড়ির বনেটের ওপর বসেছিলেন। সেনা জওয়ানরা বলে, ওই এলাকায় নতুন দল পোস্ট করা হয়েছে। তারা মক ড্রিল করছেন।’ ভাট বলেন, গভীর রাতে মক ড্রিল কেন করা হচ্ছে। সকাল হলেই তো করতে পারতেন। এত রাতে গ্রামবাসীদের জাগানো ঠিক নয়।
গ্রামবাসীরা জানান, এরপর সেনারা গ্রামে ঢুকে ১০ যুবককে ধরে নিয়ে পাঁচজনকে বেল্ট দিয়ে মারধর করেন। তাঁদের মধ্যে ভাটের ছেলেও আছে। ভোরবেলায় স্থানীয় একজন মসজিদে যান আজান দিতে। সেনা জওয়ানরাও তাঁর পিছু যান।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, তারা মসজিদে ঢুকে স্থানীদের মাইকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করে। যে পাঁচ যুবককে বেল্ট দিয়ে মারা হয়েছিল, তাঁদেরও জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় মানুষ সেনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
স্থানীয়রা বলছেন, কিছুদিন আগে ওখানে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে লড়াই হয়। তাতে সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই সেনার রোষানলে পড়েছেন তাঁরা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা দ্য ওয়্যারকে বলেন, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। সব তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। এরপর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সেনা বা পুলিশের তরফ থেকে কোনো কথা বলা হচ্ছে না।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এক টুইটে বলেন, ‘ভয়ংকর ঘটনা, কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমি আশা করব, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন তদন্ত করা হয়।’
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘আমি স্তম্ভিত। যখন অমিত শাহ কাশ্মীরে ছিলেন, তখন এ ঘটনা ঘটেছে। অমরনাথ যাত্রার আগে এ ঘটনা তো উসকানি দেওয়ার শামিল। আমি চাই, অবিলম্বে এ ঘটনার তদন্ত হোক।’
অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়ে গুলাম নবী আজাদ বলেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।’
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এবার সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের নিন্দীয় এক ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। এক মেজরের নেতৃত্বে একদল সেনা দুটি মসজিদে অনুপ্রবেশ করে মুসল্লিদের ‘জয় শ্রীরাম’ মন্ত্র উচ্চারণে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। জাদ্দোরা গ্রামে একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান আলতাফ আহমাদ ভাট এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলে দাবি করেছেন।
দ্য টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, গতকাল রোববার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগের মুখে থাকা মেজরকে এর মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অবহিত করেন।
ইতিমধ্য়ে জম্মু ও কাশ্মীরের তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং গুলাম নবী আজাদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন টুইট করেছেন। তাঁরা ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি করেছেন।
দ্য ওয়্যারের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার মাঝরাতের পর থেকে ঘটনার সূত্রপাত, যা চলে শনিবার ভোর পর্যন্ত। জাদুরা গ্রামের মানুষ একটি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাত দেড়টা নাগাদ কিছু সেনা তাঁদের গ্রামে আসে। তাঁরা ৫০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য; তাঁদের সঙ্গে একজন অফিসার ছিলেন।
আলতাফ ভাট বলেন, ‘অফিসার গাড়ির বনেটের ওপর বসেছিলেন। সেনা জওয়ানরা বলে, ওই এলাকায় নতুন দল পোস্ট করা হয়েছে। তারা মক ড্রিল করছেন।’ ভাট বলেন, গভীর রাতে মক ড্রিল কেন করা হচ্ছে। সকাল হলেই তো করতে পারতেন। এত রাতে গ্রামবাসীদের জাগানো ঠিক নয়।
গ্রামবাসীরা জানান, এরপর সেনারা গ্রামে ঢুকে ১০ যুবককে ধরে নিয়ে পাঁচজনকে বেল্ট দিয়ে মারধর করেন। তাঁদের মধ্যে ভাটের ছেলেও আছে। ভোরবেলায় স্থানীয় একজন মসজিদে যান আজান দিতে। সেনা জওয়ানরাও তাঁর পিছু যান।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, তারা মসজিদে ঢুকে স্থানীদের মাইকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করে। যে পাঁচ যুবককে বেল্ট দিয়ে মারা হয়েছিল, তাঁদেরও জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় মানুষ সেনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
স্থানীয়রা বলছেন, কিছুদিন আগে ওখানে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে লড়াই হয়। তাতে সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই সেনার রোষানলে পড়েছেন তাঁরা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা দ্য ওয়্যারকে বলেন, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। সব তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। এরপর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সেনা বা পুলিশের তরফ থেকে কোনো কথা বলা হচ্ছে না।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এক টুইটে বলেন, ‘ভয়ংকর ঘটনা, কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমি আশা করব, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন তদন্ত করা হয়।’
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘আমি স্তম্ভিত। যখন অমিত শাহ কাশ্মীরে ছিলেন, তখন এ ঘটনা ঘটেছে। অমরনাথ যাত্রার আগে এ ঘটনা তো উসকানি দেওয়ার শামিল। আমি চাই, অবিলম্বে এ ঘটনার তদন্ত হোক।’
অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়ে গুলাম নবী আজাদ বলেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।’
উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ মিনিট আগেপূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্ত্রী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ)-এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মেট পুলিশ। এটি শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গুরুতর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে দুটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই দুটি কফিনে কিব্বুত্জ নীর ওজের বাসিন্দা আড়ি জালমান জালমানোভিচ (৮৫) এবং তামির আদারের (৩৮) মরদেহ ছিল।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নতুন এক বিশাল বলরুম নির্মাণ করছেন। এই বলরুম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। তবে এই বিপুল অর্থের বড় অংশ আসছে গোপন দাতা ও কোম্পানির কাছ থেকে, যাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উগান্ডা পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী কাম্পালা-গুলু মহাসড়কে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসার সময় দুটি যান—একটি লরি ও একটি প্রাইভেটকার—ওভারটেক করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তাদের মধ্যে একটি বাস সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্টো সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়, যা পরে একের পর এক গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আরও বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
আহতদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিরিয়ানডোঙ্গো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, তারা স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক তথ্য যাচাই করছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করবে।
আঞ্চলিক পুলিশ মুখপাত্র জুলিয়াস হাকিজা জানান, দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একটি বাসের ওভারটেক করার চেষ্টা থেকে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ওই বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি ধাক্কা খায়।’ তিনি আরও জানান, মোট চারটি গাড়ি এ দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
কাম্পালা (দক্ষিণ) থেকে গুলু (উত্তর) পর্যন্ত মহাসড়কটি উগান্ডার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি। দুর্ঘটনার পর পুলিশ চালকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ‘অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করা বা বেপরোয়া চালানো থেকে বিরত থাকুন।’ তাদের ভাষায়, ‘এ ধরনের বিপজ্জনক ওভারটেক করাই দেশটির সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর একটি।’
উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উগান্ডা পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী কাম্পালা-গুলু মহাসড়কে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসার সময় দুটি যান—একটি লরি ও একটি প্রাইভেটকার—ওভারটেক করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তাদের মধ্যে একটি বাস সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্টো সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়, যা পরে একের পর এক গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আরও বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
আহতদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিরিয়ানডোঙ্গো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, তারা স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক তথ্য যাচাই করছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করবে।
আঞ্চলিক পুলিশ মুখপাত্র জুলিয়াস হাকিজা জানান, দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একটি বাসের ওভারটেক করার চেষ্টা থেকে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ওই বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি ধাক্কা খায়।’ তিনি আরও জানান, মোট চারটি গাড়ি এ দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
কাম্পালা (দক্ষিণ) থেকে গুলু (উত্তর) পর্যন্ত মহাসড়কটি উগান্ডার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি। দুর্ঘটনার পর পুলিশ চালকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ‘অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করা বা বেপরোয়া চালানো থেকে বিরত থাকুন।’ তাদের ভাষায়, ‘এ ধরনের বিপজ্জনক ওভারটেক করাই দেশটির সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর একটি।’
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এবার সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের নিন্দীয় এক ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। এক মেজরের নেতৃত্বে একদল সেনা দুটি মসজিদে অনুপ্রবেশ করে মুসল্লিদের ‘জয় শ্রীরাম’ মন্ত্র উচ্চারণে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৬ জুন ২০২৩পূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্ত্রী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ)-এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মেট পুলিশ। এটি শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গুরুতর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে দুটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই দুটি কফিনে কিব্বুত্জ নীর ওজের বাসিন্দা আড়ি জালমান জালমানোভিচ (৮৫) এবং তামির আদারের (৩৮) মরদেহ ছিল।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নতুন এক বিশাল বলরুম নির্মাণ করছেন। এই বলরুম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। তবে এই বিপুল অর্থের বড় অংশ আসছে গোপন দাতা ও কোম্পানির কাছ থেকে, যাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
পূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্ত্রী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ)-এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মেট পুলিশ। এটি শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গুরুতর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন থেকে মিছিল হিসেবে প্রথমে ঘোষিত এই কর্মসূচিটি পরে একই এলাকায় একটি সমাবেশে রূপ দেওয়া হয়। ‘ম্যাস ডিপোর্টেশনস ট্যুর’ নামে এই বিক্ষোভটি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া একাধিক কর্মসূচির অংশ ছিল। আয়োজকেরা ‘ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে হোয়াইটচ্যাপেল পুনরুদ্ধার করতে’ এই বিক্ষোভ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দাবি করেন।
এই বিক্ষোভের জবাবে স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম এবং স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে একটি পাল্টা বিক্ষোভও আয়োজনের কথা ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, তারা পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট অনুযায়ী এমন শর্ত আরোপ করেছে, যার ফলে ইউকিপ হোয়াইটচ্যাপেল বা টাওয়ার হ্যামলেটস বরোর অন্য কোথাও বিক্ষোভ আয়োজন করতে পারবে না।
এদিকে ইউকিপের দাবি, পুলিশ ‘ইসলামপন্থীদের চাপে নতিস্বীকার করেছে’। হোয়াইটচ্যাপেলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
ইউকিপ সামাজিক যোগাযোগ এক্স-এ জানায়, পুলিশ ‘ইসলামপন্থীদের চাপে নতিস্বীকার করেছে এবং এই শনিবার হোয়াইটচ্যাপেলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।’
কমান্ডার নিক জন বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটসে যুক্তরাজ্যের যেকোনো স্থানের তুলনায় মুসলিম অধিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে এ ধরনের কর্মসূচি স্থানীয়ভাবে বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বিক্ষোভ হলে গুরুতর বিশৃঙ্খলার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইউকিপ চাইলে অন্য কোথাও তাদের প্রতিবাদ আয়োজন করতে পারে, তবে কেউ যদি টাওয়ার হ্যামলেটসে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আটকের মুখোমুখি হতে পারে।
ইউকিপ বর্তমানে লন্ডনের অন্য এলাকায় বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা করছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়।
ইউকিপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ পুলিশ এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চাপে নতিস্বীকার করছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। “মেট পুলিশের এখন ঠিক করতে হবে, পুলিশ কৌশলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন পুলিশ কমান্ডাররা, নাকি তথাকথিত ইসলামপন্থী ‘কমিউনিটি লিডার’রা।”
ইউকিপ আরও জানায়, ‘পুলিশের এই ঘোষণা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য আরও এক ধাক্কা, তবে এটি আমাদের দেশ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা থামাতে পারবে না।’
টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফুর রহমান এক্স-এ বলেন, ‘ইউকিপের বিক্ষোভ আমাদের স্থানীয় সমাজে বড় ধরনের অস্থিরতা ও ভয় তৈরি করত এবং ঘৃণা ও পক্ষপাত ছড়িয়ে দিত। আমরা শনিবার হোয়াইটচ্যাপেলে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজন করব, যাতে আমাদের বৈচিত্র্য ও ঐক্য উদযাপন করা যায়।’
পূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্ত্রী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ)-এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মেট পুলিশ। এটি শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গুরুতর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন থেকে মিছিল হিসেবে প্রথমে ঘোষিত এই কর্মসূচিটি পরে একই এলাকায় একটি সমাবেশে রূপ দেওয়া হয়। ‘ম্যাস ডিপোর্টেশনস ট্যুর’ নামে এই বিক্ষোভটি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া একাধিক কর্মসূচির অংশ ছিল। আয়োজকেরা ‘ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে হোয়াইটচ্যাপেল পুনরুদ্ধার করতে’ এই বিক্ষোভ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দাবি করেন।
এই বিক্ষোভের জবাবে স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম এবং স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে একটি পাল্টা বিক্ষোভও আয়োজনের কথা ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, তারা পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট অনুযায়ী এমন শর্ত আরোপ করেছে, যার ফলে ইউকিপ হোয়াইটচ্যাপেল বা টাওয়ার হ্যামলেটস বরোর অন্য কোথাও বিক্ষোভ আয়োজন করতে পারবে না।
এদিকে ইউকিপের দাবি, পুলিশ ‘ইসলামপন্থীদের চাপে নতিস্বীকার করেছে’। হোয়াইটচ্যাপেলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
ইউকিপ সামাজিক যোগাযোগ এক্স-এ জানায়, পুলিশ ‘ইসলামপন্থীদের চাপে নতিস্বীকার করেছে এবং এই শনিবার হোয়াইটচ্যাপেলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।’
কমান্ডার নিক জন বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটসে যুক্তরাজ্যের যেকোনো স্থানের তুলনায় মুসলিম অধিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে এ ধরনের কর্মসূচি স্থানীয়ভাবে বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বিক্ষোভ হলে গুরুতর বিশৃঙ্খলার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইউকিপ চাইলে অন্য কোথাও তাদের প্রতিবাদ আয়োজন করতে পারে, তবে কেউ যদি টাওয়ার হ্যামলেটসে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আটকের মুখোমুখি হতে পারে।
ইউকিপ বর্তমানে লন্ডনের অন্য এলাকায় বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা করছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়।
ইউকিপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ পুলিশ এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চাপে নতিস্বীকার করছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। “মেট পুলিশের এখন ঠিক করতে হবে, পুলিশ কৌশলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন পুলিশ কমান্ডাররা, নাকি তথাকথিত ইসলামপন্থী ‘কমিউনিটি লিডার’রা।”
ইউকিপ আরও জানায়, ‘পুলিশের এই ঘোষণা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য আরও এক ধাক্কা, তবে এটি আমাদের দেশ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা থামাতে পারবে না।’
টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফুর রহমান এক্স-এ বলেন, ‘ইউকিপের বিক্ষোভ আমাদের স্থানীয় সমাজে বড় ধরনের অস্থিরতা ও ভয় তৈরি করত এবং ঘৃণা ও পক্ষপাত ছড়িয়ে দিত। আমরা শনিবার হোয়াইটচ্যাপেলে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজন করব, যাতে আমাদের বৈচিত্র্য ও ঐক্য উদযাপন করা যায়।’
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এবার সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের নিন্দীয় এক ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। এক মেজরের নেতৃত্বে একদল সেনা দুটি মসজিদে অনুপ্রবেশ করে মুসল্লিদের ‘জয় শ্রীরাম’ মন্ত্র উচ্চারণে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৬ জুন ২০২৩উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ মিনিট আগেফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে দুটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই দুটি কফিনে কিব্বুত্জ নীর ওজের বাসিন্দা আড়ি জালমান জালমানোভিচ (৮৫) এবং তামির আদারের (৩৮) মরদেহ ছিল।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নতুন এক বিশাল বলরুম নির্মাণ করছেন। এই বলরুম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। তবে এই বিপুল অর্থের বড় অংশ আসছে গোপন দাতা ও কোম্পানির কাছ থেকে, যাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে দুটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই দুটি কফিনে কিব্বুত্জ নীর ওজের বাসিন্দা আড়ি জালমান জালমানোভিচ (৮৫) এবং তামির আদারের (৩৮) মরদেহ ছিল। এই মরদেহ দুটি ফেরত দেওয়ার পর হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও। এ নিয়ে মোট ১৫টি মরদেহ ফেরত দেওয়া হলো। এখনো বাকি আরও ১৩ জনের মরদেহ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, এই দুই মরদেহ রেডক্রস দক্ষিণ গাজা অঞ্চলে হামাসের কাছ থেকে গ্রহণ করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। সেনারা কফিনগুলো পরিদর্শন করার পর তা ইসরায়েলের পতাকায় ঢেকে সংক্ষিপ্ত একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়, যার নেতৃত্ব দেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ধর্মযাজক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এয়াল ক্রিম।
এরপর কফিনগুলো গাজা থেকে তেল আবিবের আবু কাবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় শনাক্তকরণ এবং মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য। কয়েক ঘণ্টা পরে দেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সেনা প্রতিনিধি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত মঙ্গলবার হামাসের সামরিক শাখা ঘোষণা করেছিল যে তারা আরও দুই বন্দীর দেহ ফিরিয়ে দেবে। তারা জানিয়েছিল, মরদেহগুলো ‘আজ উপত্যকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে’ এবং তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
এদিকে তুর্কি ও কাতারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল শান্তিচুক্তি মেনে চলছে না এবং রাফাহ সীমান্ত পোর্ট খোলার বিষয়ে এড়িয়ে চলছে। গতকাল মঙ্গলবার হামাসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, ‘রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে, সেখান দিয়ে অসুস্থ ও আহতদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এবং গাজার মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রবেশের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটি শান্তিচুক্তির লঙ্ঘন।’
একই সঙ্গে হামাস আরও জানিয়েছে, এখনো তারা ‘শান্তিচুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। এর আগেও হামাস কারিগরি অক্ষমতা দেখিয়ে মরদেহ যথাসময়ে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে জানায়, তারা মরদেহ ফেরত দিতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। কিন্তু বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে ইসরায়েল ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে।
এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সোমবার গর্ব করে জানিয়েছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী গত রোববার গাজা উপত্যকায় ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছে, যা কার্যত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের স্বীকারোক্তি। ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের শীতকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় আমাদের দুই সৈনিক শহীদ হয়েছে…আমরা তাদের ওপর ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছি এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছি।’
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে দুটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই দুটি কফিনে কিব্বুত্জ নীর ওজের বাসিন্দা আড়ি জালমান জালমানোভিচ (৮৫) এবং তামির আদারের (৩৮) মরদেহ ছিল। এই মরদেহ দুটি ফেরত দেওয়ার পর হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও। এ নিয়ে মোট ১৫টি মরদেহ ফেরত দেওয়া হলো। এখনো বাকি আরও ১৩ জনের মরদেহ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, এই দুই মরদেহ রেডক্রস দক্ষিণ গাজা অঞ্চলে হামাসের কাছ থেকে গ্রহণ করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। সেনারা কফিনগুলো পরিদর্শন করার পর তা ইসরায়েলের পতাকায় ঢেকে সংক্ষিপ্ত একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়, যার নেতৃত্ব দেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ধর্মযাজক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এয়াল ক্রিম।
এরপর কফিনগুলো গাজা থেকে তেল আবিবের আবু কাবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় শনাক্তকরণ এবং মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য। কয়েক ঘণ্টা পরে দেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সেনা প্রতিনিধি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত মঙ্গলবার হামাসের সামরিক শাখা ঘোষণা করেছিল যে তারা আরও দুই বন্দীর দেহ ফিরিয়ে দেবে। তারা জানিয়েছিল, মরদেহগুলো ‘আজ উপত্যকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে’ এবং তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
এদিকে তুর্কি ও কাতারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল শান্তিচুক্তি মেনে চলছে না এবং রাফাহ সীমান্ত পোর্ট খোলার বিষয়ে এড়িয়ে চলছে। গতকাল মঙ্গলবার হামাসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, ‘রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে, সেখান দিয়ে অসুস্থ ও আহতদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এবং গাজার মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রবেশের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটি শান্তিচুক্তির লঙ্ঘন।’
একই সঙ্গে হামাস আরও জানিয়েছে, এখনো তারা ‘শান্তিচুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। এর আগেও হামাস কারিগরি অক্ষমতা দেখিয়ে মরদেহ যথাসময়ে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে জানায়, তারা মরদেহ ফেরত দিতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। কিন্তু বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে ইসরায়েল ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে।
এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সোমবার গর্ব করে জানিয়েছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী গত রোববার গাজা উপত্যকায় ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছে, যা কার্যত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের স্বীকারোক্তি। ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের শীতকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় আমাদের দুই সৈনিক শহীদ হয়েছে…আমরা তাদের ওপর ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছি এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছি।’
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এবার সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের নিন্দীয় এক ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। এক মেজরের নেতৃত্বে একদল সেনা দুটি মসজিদে অনুপ্রবেশ করে মুসল্লিদের ‘জয় শ্রীরাম’ মন্ত্র উচ্চারণে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৬ জুন ২০২৩উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ মিনিট আগেপূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্ত্রী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ)-এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মেট পুলিশ। এটি শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গুরুতর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নতুন এক বিশাল বলরুম নির্মাণ করছেন। এই বলরুম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। তবে এই বিপুল অর্থের বড় অংশ আসছে গোপন দাতা ও কোম্পানির কাছ থেকে, যাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নতুন এক বিশাল বলরুম নির্মাণ করছেন। এই বলরুম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। তবে এই বিপুল অর্থের বড় অংশ আসছে গোপন দাতা ও কোম্পানির কাছ থেকে, যাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
স্থানীয় সময় গত সোমবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ে ৯০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই বিলাসবহুল বলরুমের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নিজে এর একটি বড় অংশের অর্থ দেবেন। তবে বেশ কিছু ‘অজ্ঞাত’ দাতা অনুদান দিতে রাজি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই অনুদানের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও নৈতিকতা বিশেষজ্ঞরা। সাবেক হোয়াইট হাউস নীতিনৈতিকতা আইনজীবী রিচার্ড পেইন্টার বলেছেন, ‘এটা নৈতিকতার দিক থেকে খুব বিপজ্জনক। হোয়াইট হাউসে প্রবেশাধিকার বিক্রি করে অর্থ তোলা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছ থেকে কিছু না কিছু সুবিধা পাওয়ার আশাতেই অনুদান দিচ্ছে।’
১৫ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে সম্ভাব্য দাতাদের জন্য এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বড় বড় মার্কিন কোম্পানির প্রধানেরা—ব্ল্যাকস্টোন, ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, আমাজন, গুগল, প্যালান্টির, লকহিড মার্টিন ও কয়েনবেসের কর্মকর্তারা। ছিলেন নিউইয়র্ক জেটস ফুটবল দলের মালিক উডি জনসন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিক গ্লেজার পরিবারও।
সিবিএস নিউজের হাতে পাওয়া এক নথিতে দেখা গেছে, অনুদানদাতাদের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এমনকি তাদের নাম বলরুমের ভেতরের দেয়ালে খোদাই করে রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত শুধু একটি কোম্পানির নাম প্রকাশ পেয়েছে—ইউটিউব। আদালতের নথি অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে ইউটিউব দিচ্ছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হামলার পর ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল, সেই মামলা নিষ্পত্তির অংশ এটি।
বাকি দাতাদের নাম ও অনুদানের পরিমাণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সব অনুদান পরিচালনা করবে ‘ট্রাস্ট ফর দ্য ন্যাশনাল মল’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থা। তারা হোয়াইট হাউস ও ন্যাশনাল পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ সংগ্রহ করে।
হোয়াইট হাউসের দাবি, এতে কোনো অনিয়ম নেই এবং ভবিষ্যতের প্রশাসনও এই বলরুম ব্যবহার করতে পারবে। ফলে করদাতাদের এক পয়সাও খরচ হবে না। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এটি এক ধরনের ‘পে-টু-প্লে’ ব্যবস্থা; অর্থাৎ অনুদানের বিনিময়ে রাজনৈতিক প্রভাব বা সুবিধা নেওয়ার পথ খুলে দেওয়া।
রিচার্ড পেইন্টার বলেন, ‘আগে জায়গা কম থাকায় সবাইকে আমন্ত্রণ দেওয়া যেত না, সেটা ভালো ছিল। কিন্তু এখন এই বিশাল বলরুম রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহের বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সরাসরি কোনো ঘুষ বা চুক্তির প্রমাণ দেওয়া যাবে না, তবে ট্রাম্প প্রশাসন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।’
অন্যদিকে সাবেক হোয়াইট হাউস শেফ মার্টিন মঞ্জিয়েলো বলছেন, ‘এই বিনিয়োগ শেষ পর্যন্ত খরচ বাঁচাবে। আগে বড় অনুষ্ঠানের জন্য বাইরে তাঁবু বসাতে হতো, যার খরচ এক মিলিয়ন ডলারের বেশি পড়ত।’
নতুন বলরুমটি হবে একসঙ্গে প্রায় এক হাজার মানুষের আসন সংবলিত, যা আগে পরিকল্পনা ছিল ৬৫০ জনের জন্য। ট্রাম্পের মতে, এটি শুধু বিলাসিতা নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও আন্তর্জাতিক আয়োজনে প্রয়োজনীয় একটি সংযোজন। এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে—এই কোটি কোটি ডলারের অনুদান আসছে কার কাছ থেকে, আর এর বিনিময়ে তারা কী পেতে চায়?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নতুন এক বিশাল বলরুম নির্মাণ করছেন। এই বলরুম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। তবে এই বিপুল অর্থের বড় অংশ আসছে গোপন দাতা ও কোম্পানির কাছ থেকে, যাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
স্থানীয় সময় গত সোমবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ে ৯০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই বিলাসবহুল বলরুমের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নিজে এর একটি বড় অংশের অর্থ দেবেন। তবে বেশ কিছু ‘অজ্ঞাত’ দাতা অনুদান দিতে রাজি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই অনুদানের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও নৈতিকতা বিশেষজ্ঞরা। সাবেক হোয়াইট হাউস নীতিনৈতিকতা আইনজীবী রিচার্ড পেইন্টার বলেছেন, ‘এটা নৈতিকতার দিক থেকে খুব বিপজ্জনক। হোয়াইট হাউসে প্রবেশাধিকার বিক্রি করে অর্থ তোলা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছ থেকে কিছু না কিছু সুবিধা পাওয়ার আশাতেই অনুদান দিচ্ছে।’
১৫ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে সম্ভাব্য দাতাদের জন্য এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বড় বড় মার্কিন কোম্পানির প্রধানেরা—ব্ল্যাকস্টোন, ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, আমাজন, গুগল, প্যালান্টির, লকহিড মার্টিন ও কয়েনবেসের কর্মকর্তারা। ছিলেন নিউইয়র্ক জেটস ফুটবল দলের মালিক উডি জনসন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিক গ্লেজার পরিবারও।
সিবিএস নিউজের হাতে পাওয়া এক নথিতে দেখা গেছে, অনুদানদাতাদের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এমনকি তাদের নাম বলরুমের ভেতরের দেয়ালে খোদাই করে রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত শুধু একটি কোম্পানির নাম প্রকাশ পেয়েছে—ইউটিউব। আদালতের নথি অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে ইউটিউব দিচ্ছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হামলার পর ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছিল, সেই মামলা নিষ্পত্তির অংশ এটি।
বাকি দাতাদের নাম ও অনুদানের পরিমাণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সব অনুদান পরিচালনা করবে ‘ট্রাস্ট ফর দ্য ন্যাশনাল মল’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থা। তারা হোয়াইট হাউস ও ন্যাশনাল পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ সংগ্রহ করে।
হোয়াইট হাউসের দাবি, এতে কোনো অনিয়ম নেই এবং ভবিষ্যতের প্রশাসনও এই বলরুম ব্যবহার করতে পারবে। ফলে করদাতাদের এক পয়সাও খরচ হবে না। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এটি এক ধরনের ‘পে-টু-প্লে’ ব্যবস্থা; অর্থাৎ অনুদানের বিনিময়ে রাজনৈতিক প্রভাব বা সুবিধা নেওয়ার পথ খুলে দেওয়া।
রিচার্ড পেইন্টার বলেন, ‘আগে জায়গা কম থাকায় সবাইকে আমন্ত্রণ দেওয়া যেত না, সেটা ভালো ছিল। কিন্তু এখন এই বিশাল বলরুম রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহের বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সরাসরি কোনো ঘুষ বা চুক্তির প্রমাণ দেওয়া যাবে না, তবে ট্রাম্প প্রশাসন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।’
অন্যদিকে সাবেক হোয়াইট হাউস শেফ মার্টিন মঞ্জিয়েলো বলছেন, ‘এই বিনিয়োগ শেষ পর্যন্ত খরচ বাঁচাবে। আগে বড় অনুষ্ঠানের জন্য বাইরে তাঁবু বসাতে হতো, যার খরচ এক মিলিয়ন ডলারের বেশি পড়ত।’
নতুন বলরুমটি হবে একসঙ্গে প্রায় এক হাজার মানুষের আসন সংবলিত, যা আগে পরিকল্পনা ছিল ৬৫০ জনের জন্য। ট্রাম্পের মতে, এটি শুধু বিলাসিতা নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও আন্তর্জাতিক আয়োজনে প্রয়োজনীয় একটি সংযোজন। এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে—এই কোটি কোটি ডলারের অনুদান আসছে কার কাছ থেকে, আর এর বিনিময়ে তারা কী পেতে চায়?
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এবার সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের নিন্দীয় এক ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। এক মেজরের নেতৃত্বে একদল সেনা দুটি মসজিদে অনুপ্রবেশ করে মুসল্লিদের ‘জয় শ্রীরাম’ মন্ত্র উচ্চারণে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৬ জুন ২০২৩উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ মিনিট আগেপূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্ত্রী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ)-এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মেট পুলিশ। এটি শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গুরুতর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে দুটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই দুটি কফিনে কিব্বুত্জ নীর ওজের বাসিন্দা আড়ি জালমান জালমানোভিচ (৮৫) এবং তামির আদারের (৩৮) মরদেহ ছিল।
৩ ঘণ্টা আগে