Ajker Patrika

আফগানিস্তানে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন জাতিসংঘের নারী কর্মীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রোববার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর মে মাসে তাদের নারী কর্মীদের সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ মিশনকে তালেবান জানিয়েছে, এসব হুমকির জন্য তাদের সদস্যরা দায়ী নয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে তারা। তবে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন ক্বানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল’। তাঁর দাবি, তালেবানের একটি স্বাধীন নিরাপত্তা বিভাগ ও কৌশলগত পরিকল্পনা রয়েছে, ফলে ‘আফগানিস্তানের কোথাও কেউ কাউকে হুমকি দিতে পারে না’। তদন্ত বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুমকিগুলো এসেছে এমন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কাছ থেকে, যাদের সঙ্গে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ইন আফগানিস্তান—ইউনামাসহ বিভিন্ন সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচিতে কর্মরত নারীদের কাজের সম্পর্ক রয়েছে। এসব হুমকি আসায় জাতিসংঘকে তাদের নারী কর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেই আফগান নারীদের দেশি-বিদেশি এনজিওতে কাজ নিষিদ্ধ করে তারা। ছয় মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘ কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। এরপরও যারা নারী কর্মী রেখেছিল, তাদের সংস্থা বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নারী কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুর হুমকির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তালেবানের ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শকেরা হিজাবের পরও চাদর পরতে বাধ্য করছে নারীদের। শুধু হিজাব পরায় নারীদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এ ছাড়া, আইন অনুযায়ী বহু জনসমাগমস্থলে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তারা।

২০২৪ সালের আগস্টে জাতিসংঘ জানায়, তালেবান সরকার তাদের তিন বছরের শাসনামলে অন্তত ১৪ লাখ মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে। ইউনেস্কোর এপ্রিল ২০২৩ সালের জরিপ বলছে, ওই বছর নতুন করে আরও তিন লাখ মেয়ে বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়েছে। সংস্থাটির সতর্ক করে বলেছে, ‘পুরো এক প্রজন্মের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে।’

গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের শীর্ষ দুই তালেবান নেতা—হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে নারী ও মেয়েদের ওপর লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আইসিসি বিচারকদের মতে, তালেবান নারীদের শিক্ষা, গোপনীয়তা, পারিবারিক জীবন, চলাফেরা, মতপ্রকাশ, চিন্তা, বিবেক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে ‘গুরুতরভাবে বঞ্চিত’ করেছে।

তালেবান ‘ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা’ আখ্যা দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক: আলী রীয়াজ

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত