অনলাইন ডেস্ক
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রোববার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর মে মাসে তাদের নারী কর্মীদের সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ মিশনকে তালেবান জানিয়েছে, এসব হুমকির জন্য তাদের সদস্যরা দায়ী নয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে তারা। তবে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন ক্বানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল’। তাঁর দাবি, তালেবানের একটি স্বাধীন নিরাপত্তা বিভাগ ও কৌশলগত পরিকল্পনা রয়েছে, ফলে ‘আফগানিস্তানের কোথাও কেউ কাউকে হুমকি দিতে পারে না’। তদন্ত বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হুমকিগুলো এসেছে এমন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কাছ থেকে, যাদের সঙ্গে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ইন আফগানিস্তান—ইউনামাসহ বিভিন্ন সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচিতে কর্মরত নারীদের কাজের সম্পর্ক রয়েছে। এসব হুমকি আসায় জাতিসংঘকে তাদের নারী কর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেই আফগান নারীদের দেশি-বিদেশি এনজিওতে কাজ নিষিদ্ধ করে তারা। ছয় মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘ কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। এরপরও যারা নারী কর্মী রেখেছিল, তাদের সংস্থা বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নারী কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুর হুমকির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তালেবানের ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শকেরা হিজাবের পরও চাদর পরতে বাধ্য করছে নারীদের। শুধু হিজাব পরায় নারীদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এ ছাড়া, আইন অনুযায়ী বহু জনসমাগমস্থলে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তারা।
২০২৪ সালের আগস্টে জাতিসংঘ জানায়, তালেবান সরকার তাদের তিন বছরের শাসনামলে অন্তত ১৪ লাখ মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে। ইউনেস্কোর এপ্রিল ২০২৩ সালের জরিপ বলছে, ওই বছর নতুন করে আরও তিন লাখ মেয়ে বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়েছে। সংস্থাটির সতর্ক করে বলেছে, ‘পুরো এক প্রজন্মের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে।’
গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের শীর্ষ দুই তালেবান নেতা—হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে নারী ও মেয়েদের ওপর লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আইসিসি বিচারকদের মতে, তালেবান নারীদের শিক্ষা, গোপনীয়তা, পারিবারিক জীবন, চলাফেরা, মতপ্রকাশ, চিন্তা, বিবেক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে ‘গুরুতরভাবে বঞ্চিত’ করেছে।
তালেবান ‘ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা’ আখ্যা দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রোববার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর মে মাসে তাদের নারী কর্মীদের সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ মিশনকে তালেবান জানিয়েছে, এসব হুমকির জন্য তাদের সদস্যরা দায়ী নয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে তারা। তবে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন ক্বানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল’। তাঁর দাবি, তালেবানের একটি স্বাধীন নিরাপত্তা বিভাগ ও কৌশলগত পরিকল্পনা রয়েছে, ফলে ‘আফগানিস্তানের কোথাও কেউ কাউকে হুমকি দিতে পারে না’। তদন্ত বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হুমকিগুলো এসেছে এমন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কাছ থেকে, যাদের সঙ্গে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ইন আফগানিস্তান—ইউনামাসহ বিভিন্ন সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচিতে কর্মরত নারীদের কাজের সম্পর্ক রয়েছে। এসব হুমকি আসায় জাতিসংঘকে তাদের নারী কর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেই আফগান নারীদের দেশি-বিদেশি এনজিওতে কাজ নিষিদ্ধ করে তারা। ছয় মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘ কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। এরপরও যারা নারী কর্মী রেখেছিল, তাদের সংস্থা বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নারী কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুর হুমকির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তালেবানের ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শকেরা হিজাবের পরও চাদর পরতে বাধ্য করছে নারীদের। শুধু হিজাব পরায় নারীদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এ ছাড়া, আইন অনুযায়ী বহু জনসমাগমস্থলে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তারা।
২০২৪ সালের আগস্টে জাতিসংঘ জানায়, তালেবান সরকার তাদের তিন বছরের শাসনামলে অন্তত ১৪ লাখ মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে। ইউনেস্কোর এপ্রিল ২০২৩ সালের জরিপ বলছে, ওই বছর নতুন করে আরও তিন লাখ মেয়ে বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়েছে। সংস্থাটির সতর্ক করে বলেছে, ‘পুরো এক প্রজন্মের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে।’
গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের শীর্ষ দুই তালেবান নেতা—হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে নারী ও মেয়েদের ওপর লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আইসিসি বিচারকদের মতে, তালেবান নারীদের শিক্ষা, গোপনীয়তা, পারিবারিক জীবন, চলাফেরা, মতপ্রকাশ, চিন্তা, বিবেক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে ‘গুরুতরভাবে বঞ্চিত’ করেছে।
তালেবান ‘ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা’ আখ্যা দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও দলটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেছিন্নমূল মানুষদের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ছাড়তে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহরের অপরাধ দমন করার অঙ্গীকার পূরণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল রোববার এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের থাকার জায়গা দেব, তবে রাজধানী থেকে অনেক দূরে।’
২ ঘণ্টা আগেভারতে রাখি বন্ধন উদ্যাপনের পর বোনকে হত্যা করেছে অরবিন্দ নামের এক যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোনের প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পেরে তাকে হত্যা করেছে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি জেলার গারউথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের গরিয়াবন্দ জেলার মাদাগাঁও গ্রামের তরুণ মণিশ বিশির জীবনে ঘটে গেছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। পুরো বিষয়টি যেন সিনেমার গল্পের মতো। স্থানীয় মোবাইল ফোন দোকান থেকে এক নতুন সিম কার্ড কেনামাত্রই তাঁর হাতে এসে পড়ল তরুণ ক্রিকেট তারকা রজত পতিদরের ব্যবহার করা ফোন নম্বর।
৩ ঘণ্টা আগে