Ajker Patrika

রাশিয়া থেকে আরও সামরিক হেলিকপ্টার কিনছে মিয়ানমারের জান্তা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭: ০১
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নিশ্চিত করেছেন, তাঁর সরকার রাশিয়া থেকে হেলিকপ্টার সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এসব হেলিকপ্টার থেকে মারাত্মক হামলা অব্যাহত থাকলেও রাশিয়া থেকে এগুলো কেনা অব্যাহত রয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলারুশ সফর থেকে ফেরার পথে গত রোববার রাশিয়ার উলান-উদেতে যাত্রাবিরতির সময় তিনি চলমান এই অস্ত্র সহযোগিতার বিষয়টি প্রকাশ করেন। জান্তাপ্রধান রাশিয়ার বুরিয়াতিয়া অঞ্চলের গভর্নর অ্যালেক্সি সিদেনভের সঙ্গে উলান-উদে অ্যাভিয়েশন প্ল্যান্ট এবং কাছাকাছি একটি লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমকে মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘আমি একটি লোকোমোটিভ ও ওয়াগন মেরামত কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং এর আগে বিমান সংযোজন কারখানা পরিদর্শন করেছি। এই দুটিই দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র।’

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাবিষয়ক নিউজ ওয়েবসাইট মিলিটারি এনওয়াইআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, উলান-উদে অ্যাভিয়েশন প্ল্যান্ট ১৯৯৫ সাল থেকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর জন্য চার ধাপে কেনা এমআই-১৭ হেলিকপ্টারের বহর তৈরি করেছে।

প্ল্যান্টটির পরিচালক উরাল এভিয়া এলএলসির ওপর ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তার কাছে হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও মেরামতের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরিদর্শনকালে গভর্নর সিদেনভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘উলান-উদেতে তৈরি হেলিকপ্টার মিয়ানমারে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা পরিবহন, বিশেষ করে হেলিকপ্টার-সম্পর্কিত বিষয়ে আরও সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছি।’

জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন নিশ্চিত করেছেন যে, পরিবহন হেলিকপ্টার কেনার জন্য বুরিয়াতিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে। সিদেনভ জান্তাপ্রধানের ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচিত এবং গত নভেম্বরে মিয়ানমারের প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য তিনি মিয়ানমার যান এবং তাজাংদাইং উৎসবের উদ্‌যাপনে মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে যোগ দেন। ইউক্রেনে লড়াই করার জন্য নাগরিকদের জোরপূর্বক নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

জান্তা গণমাধ্যম অনুসারে, এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মিন অং হ্লাইং উলান-উদের সর্বশেষ হেলিকপ্টার মডেল নিয়ে সিদেনভ এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বুরিয়াতিয়া সফর করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা স্থলভাগে তাদের দুর্বল নিয়ন্ত্রণ পুষিয়ে নিতে বিমানশক্তির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে। হেলিকপ্টার কেবল সৈন্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরবরাহ পরিবহনের জন্যই নয়, প্রতিরোধ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের সামরিক ও বেসামরিক উভয় লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে।

সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে হেলিকপ্টারের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এগুলো প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোরও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। মে মাসে, কাচিন রাজ্যের ভামো টাউনশিপে সংঘর্ষের সময় জাতিগত কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি দুটি জান্তা হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত