গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘কারি অ্যান্ড সায়ানাইড: দ্য জোলি জোসেফ কেস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। মূলত মিথ্যাকে ধামাচাপা, সম্পদের লোভ এবং বিবাহিত এক ব্যক্তিকে নিজের করে পেতে ঠান্ডা মাথায় একে একে ৬ জনকে খুন করা ভারতীয় নারী জলি জোসেফের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, একটি খুন করে অন্য খুনটি করার আগে বেশ সময় নিতেন জলি জোসেফ; যেন কেউ সন্দেহ করতে না পারে। ২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মোট ১৪ বছরে শ্বশুরবাড়িতে ওই ৬টি খুন করেছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—জলিকে সবাই খুব হাসিখুশি আর বন্ধুসুলভ হিসেবেই জানত। কেরালার ইদুক্কি জেলার এক ধনি কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। নিজের পরিবার থেকে তিনিই প্রথম কলেজে গিয়েছিলেন পড়াশোনা করার জন্য। উচ্চাভিলাষী জোলি খেত-খামারের বাইরে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন শৈশব থেকেই।
১৯৯৭ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল জোলি জোসেফ এবং রয় থমাসের মধ্যে। রয়ের বাবা টম ছিলেন শিক্ষাবোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তা আর মা আন্নাম্মা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। রয়ের ছোট একজন ভাই ও বোনও ছিল। কেরালার কোঝিকোদ জেলার কোদাথাই গ্রামে সম্ভ্রান্ত এই পরিবারটি বসবাস করত।
অল্প সময়ের মধ্যেই জোলি এবং রয়ের মধ্যে ভাব হয়ে গিয়েছিল। সেই বছরের শেষদিকেই তাঁদের রোমান্স বিয়েতে গড়ায়। তবে বিয়ের আগের এবং পরের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। জলি বুঝতে পারেন, হায়দ্রাবাদে চাকরির কথা বললেও রয় ছিলেন আসলে বেকার। সারা দিন বাড়িতে শুয়ে-বসে আলসেমি করে কাটাতেন। মিথ্যা বলেছিলেন জলি নিজেও। কলেজের পড়াশোনা শেষ না করেও এম-কম ডিগ্রি থাকার দাবি করেছিলেন তিনি।
জলির প্রথম শিকার
মিথ্যা ঢাকার জন্যই নিজের শাশুড়ি আন্নাম্মা থমাসকে প্রথম খুন করেছিলেন জলি। এম-কম ডিগ্রির কথা জেনে জলিকে চাকরি কিংবা পড়াশোনা আরও চালিয়ে যাওয়ার তাগাদা দিয়েছিলেন ৫৭ বছর বয়সী আন্নাম্মা। অবসর গ্রহণের পর জলিকে তাগাদা আরও বড়িয়ে দেন তিনি।
এ অবস্থায় আরেকটি মিথ্যার আশ্রয় নেন জলি। দাবি করেন, কোট্টায়াম কলেজে অতিথি লেকচারারের চাকরি পেয়েছেন তিনি। এমনকি কলেজে পড়ানোর কথা বলে তিনি বাড়িও ছেড়ে যান এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ফিরতেন। কিন্তু এই মিথ্যা শাশুড়ির কাছে ধরা পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করতেন তিনি। তাই ২০০২ সালে শাশুড়িকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। সেই মোতাবেক স্থানীয় পশু হাসপাতাল থেকে কুকুর মারার বিষ সংগ্রহ করেন। তারপর ওই বছরেরই ২২ আগস্ট শাশুড়ির স্যুপে এটি মিশিয়ে দেন তিনি। মারা যান আন্নাম্মা।
এবার সম্পদের লোভে
জোলির দ্বিতীয় শিকার ছিলেন তাঁর শ্বশুর ৬৬ বছর বয়সী টম থমাস। বিপুল ভূ-সম্পদ, প্রায় ১৬০০ বর্গমিটার জমির মালিক ছিলেন তিনি।
জলি আশঙ্কা করেছিলেন, আমেরিকা প্রবাসী ছোট সন্তানকে সব উইল করে দিয়ে নিজেও প্রবাসী হয়ে যাবেন টম। তাই বিপুল সম্পদ দখল করতে ২০০৮ সালে আরও একটি হত্যা পরিকল্পনা করেন জলি।
সেই বছর একমাত্র মেয়েকে দেখতে কলম্বো গিয়েছিলেন টম থমাস। কথা ছিল, সেখান থেকে আমেরিকায়ও যাবেন তিনি। কিন্তু নিজের সন্তান গর্ভধারণ এবং স্বামীর মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের খবর দিয়ে টমকে কৌশলে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন জলি। কৌশলে টমের সম্পদের সব চুক্তিনামাও হস্তগত করেন জলি এবং জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সব সম্পদ তাঁর স্বামী রয়ের নামে উইল করে দেন। তারপর কাকতালীয়ভাবে সেদিনও ছিল ২২ আগস্ট। শাশুড়িকে হত্যার ঠিক ৬ বছর পরের সেই দিনটিতে শ্বশুরকেও সায়ানাইড বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলেন জলি।
ওই সায়ানাইড ম্যাথিউ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন জলি। ম্যাথিউয়ের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। ম্যাথিউকে বলেছিলেন—তাঁদের সম্পর্কের কথা জেনে গেছেন শ্বশুর টম থমাস। তাই টমকে হত্যার কথা বলে ম্যাথিউয়ের কাছ থেকে সায়ানাইড নিতে সমর্থ হয়েছিলেন।
স্বামীকেও হত্যা
২০১১ সালে জলির পরবর্তী শিকার ছিলেন তাঁর স্বামী রয় থমাস। রয়ের মৃত্যুকেই প্রথমবারের মতো হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। টম থমাসের মৃত্যুর পর সব সম্পদ নিজের দখলে নিয়েছিলেন রয়। তাই রয়কে মেরে ফেলে সব সম্পদ নিজের করে নিতে চাইছিলেন জলি।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর বাথরুমের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় রয় থমাসকে। তাঁর মুখ দিয়ে বমি এবং লালা ঝরছিল। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ড সন্দেহে মামা এবং ভাই-বোনদের চেষ্টায় রয়ের মরদেহের একটি ময়নাতদন্ত হয় এবং তার শরীরে সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
যদিও পরবর্তীতে জলি পুলিশকে বোঝাতে সক্ষম হন যে—তাঁর স্বামী রয় ছিলেন একজন বিষাদগ্রস্ত মাতাল। তিনি নিজেই নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ এই যুক্তির পর আর জল ঘোলা করেনি। স্বামীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শ্বশুরবাড়ির বিপুল সম্পদে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন জলি।
ধামাচাপার জন্য
তবে বিষয়টির এমন উপসংহারে সন্তুষ্ট ছিলেন না রয়ের মামা ও ভাই-বোন। বিশেষ করে রয়ের মামা রয় ছাড়াও তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। যা হওয়ার তাই হলো—জলির এবারের টার্গেটে পরিণত হন রয়ের মামা। ২০১৪ সালের একদিন মামা শ্বশুরের সান্ধ্যকালীন পানীয়তে সায়ানাইড মিশিয়ে দেওয়া হয়। অচেতন অবস্থায় পরে তাঁকে জলি এবং প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে আরও দুটি হত্যা
এর মধ্যেই জলি আরেকটি বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন জলির স্বামী রয়ের চাচাতো ভাই সাজু। রয়ের মতো অকর্মণ্য ছিলেন না সাজু। শিক্ষকতার পাশাপাশি আয়ের নানা উৎস ছিল তাঁর। জলি আর সাজু একসঙ্গে বসবাসের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও কয়েকটি বাধা দূর করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই বাধাগুলো দূর করতেই ২০১৪ সালের ১ মে সাজুর মেয়ে আলফির শরীরে সায়ানাইড প্রয়োগ করেন জলি। কয়েক দিন পর আলফির মৃত্যু হয়। দেড় বছর পর ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সাজুর স্ত্রী সিলিকে দাঁতের ওষুধের সঙ্গে সায়ানাইড মিশিয়ে হত্যা করেন। সিলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগাগোড়া ছিলেন জলি। সব দায়িত্ব নিজ হাতে সামলেছেন। সাজুর বাড়িতে এ জন্য সকাল-সন্ধ্যা যাতায়াত শুরু হয় তাঁর। ২০১৭ সালেই তাঁরা বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস শুরু করেন।
তবে এই বেশি দিন টিকতে দেননি জলির প্রয়াত স্বামীর আমেরিকা প্রবাসী ভাই রোজো থমাস। তিনি তাঁর বাবা-মা, ভাই ও মামাসহ প্রত্যেকটি মরদেহের ফরেনসিক তদন্তের জন্য পুলিশকে রাজি করান। ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা যায়, মৃত্যুর আগে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু খেয়েছিলেন এবং প্রত্যেকের শরীরেই সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আর প্রতিটা মৃত্যুর সময়ই ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন জলি।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর জলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় সায়ানাইড সরবরাহ করা তাঁর গোপন প্রেমিক ম্যাথিউকেও। দুজনই এখন জেলে।
গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘কারি অ্যান্ড সায়ানাইড: দ্য জোলি জোসেফ কেস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। মূলত মিথ্যাকে ধামাচাপা, সম্পদের লোভ এবং বিবাহিত এক ব্যক্তিকে নিজের করে পেতে ঠান্ডা মাথায় একে একে ৬ জনকে খুন করা ভারতীয় নারী জলি জোসেফের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, একটি খুন করে অন্য খুনটি করার আগে বেশ সময় নিতেন জলি জোসেফ; যেন কেউ সন্দেহ করতে না পারে। ২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মোট ১৪ বছরে শ্বশুরবাড়িতে ওই ৬টি খুন করেছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—জলিকে সবাই খুব হাসিখুশি আর বন্ধুসুলভ হিসেবেই জানত। কেরালার ইদুক্কি জেলার এক ধনি কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। নিজের পরিবার থেকে তিনিই প্রথম কলেজে গিয়েছিলেন পড়াশোনা করার জন্য। উচ্চাভিলাষী জোলি খেত-খামারের বাইরে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন শৈশব থেকেই।
১৯৯৭ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল জোলি জোসেফ এবং রয় থমাসের মধ্যে। রয়ের বাবা টম ছিলেন শিক্ষাবোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তা আর মা আন্নাম্মা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। রয়ের ছোট একজন ভাই ও বোনও ছিল। কেরালার কোঝিকোদ জেলার কোদাথাই গ্রামে সম্ভ্রান্ত এই পরিবারটি বসবাস করত।
অল্প সময়ের মধ্যেই জোলি এবং রয়ের মধ্যে ভাব হয়ে গিয়েছিল। সেই বছরের শেষদিকেই তাঁদের রোমান্স বিয়েতে গড়ায়। তবে বিয়ের আগের এবং পরের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। জলি বুঝতে পারেন, হায়দ্রাবাদে চাকরির কথা বললেও রয় ছিলেন আসলে বেকার। সারা দিন বাড়িতে শুয়ে-বসে আলসেমি করে কাটাতেন। মিথ্যা বলেছিলেন জলি নিজেও। কলেজের পড়াশোনা শেষ না করেও এম-কম ডিগ্রি থাকার দাবি করেছিলেন তিনি।
জলির প্রথম শিকার
মিথ্যা ঢাকার জন্যই নিজের শাশুড়ি আন্নাম্মা থমাসকে প্রথম খুন করেছিলেন জলি। এম-কম ডিগ্রির কথা জেনে জলিকে চাকরি কিংবা পড়াশোনা আরও চালিয়ে যাওয়ার তাগাদা দিয়েছিলেন ৫৭ বছর বয়সী আন্নাম্মা। অবসর গ্রহণের পর জলিকে তাগাদা আরও বড়িয়ে দেন তিনি।
এ অবস্থায় আরেকটি মিথ্যার আশ্রয় নেন জলি। দাবি করেন, কোট্টায়াম কলেজে অতিথি লেকচারারের চাকরি পেয়েছেন তিনি। এমনকি কলেজে পড়ানোর কথা বলে তিনি বাড়িও ছেড়ে যান এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ফিরতেন। কিন্তু এই মিথ্যা শাশুড়ির কাছে ধরা পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করতেন তিনি। তাই ২০০২ সালে শাশুড়িকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। সেই মোতাবেক স্থানীয় পশু হাসপাতাল থেকে কুকুর মারার বিষ সংগ্রহ করেন। তারপর ওই বছরেরই ২২ আগস্ট শাশুড়ির স্যুপে এটি মিশিয়ে দেন তিনি। মারা যান আন্নাম্মা।
এবার সম্পদের লোভে
জোলির দ্বিতীয় শিকার ছিলেন তাঁর শ্বশুর ৬৬ বছর বয়সী টম থমাস। বিপুল ভূ-সম্পদ, প্রায় ১৬০০ বর্গমিটার জমির মালিক ছিলেন তিনি।
জলি আশঙ্কা করেছিলেন, আমেরিকা প্রবাসী ছোট সন্তানকে সব উইল করে দিয়ে নিজেও প্রবাসী হয়ে যাবেন টম। তাই বিপুল সম্পদ দখল করতে ২০০৮ সালে আরও একটি হত্যা পরিকল্পনা করেন জলি।
সেই বছর একমাত্র মেয়েকে দেখতে কলম্বো গিয়েছিলেন টম থমাস। কথা ছিল, সেখান থেকে আমেরিকায়ও যাবেন তিনি। কিন্তু নিজের সন্তান গর্ভধারণ এবং স্বামীর মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের খবর দিয়ে টমকে কৌশলে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন জলি। কৌশলে টমের সম্পদের সব চুক্তিনামাও হস্তগত করেন জলি এবং জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সব সম্পদ তাঁর স্বামী রয়ের নামে উইল করে দেন। তারপর কাকতালীয়ভাবে সেদিনও ছিল ২২ আগস্ট। শাশুড়িকে হত্যার ঠিক ৬ বছর পরের সেই দিনটিতে শ্বশুরকেও সায়ানাইড বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলেন জলি।
ওই সায়ানাইড ম্যাথিউ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন জলি। ম্যাথিউয়ের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। ম্যাথিউকে বলেছিলেন—তাঁদের সম্পর্কের কথা জেনে গেছেন শ্বশুর টম থমাস। তাই টমকে হত্যার কথা বলে ম্যাথিউয়ের কাছ থেকে সায়ানাইড নিতে সমর্থ হয়েছিলেন।
স্বামীকেও হত্যা
২০১১ সালে জলির পরবর্তী শিকার ছিলেন তাঁর স্বামী রয় থমাস। রয়ের মৃত্যুকেই প্রথমবারের মতো হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। টম থমাসের মৃত্যুর পর সব সম্পদ নিজের দখলে নিয়েছিলেন রয়। তাই রয়কে মেরে ফেলে সব সম্পদ নিজের করে নিতে চাইছিলেন জলি।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর বাথরুমের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় রয় থমাসকে। তাঁর মুখ দিয়ে বমি এবং লালা ঝরছিল। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ড সন্দেহে মামা এবং ভাই-বোনদের চেষ্টায় রয়ের মরদেহের একটি ময়নাতদন্ত হয় এবং তার শরীরে সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
যদিও পরবর্তীতে জলি পুলিশকে বোঝাতে সক্ষম হন যে—তাঁর স্বামী রয় ছিলেন একজন বিষাদগ্রস্ত মাতাল। তিনি নিজেই নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ এই যুক্তির পর আর জল ঘোলা করেনি। স্বামীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শ্বশুরবাড়ির বিপুল সম্পদে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন জলি।
ধামাচাপার জন্য
তবে বিষয়টির এমন উপসংহারে সন্তুষ্ট ছিলেন না রয়ের মামা ও ভাই-বোন। বিশেষ করে রয়ের মামা রয় ছাড়াও তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। যা হওয়ার তাই হলো—জলির এবারের টার্গেটে পরিণত হন রয়ের মামা। ২০১৪ সালের একদিন মামা শ্বশুরের সান্ধ্যকালীন পানীয়তে সায়ানাইড মিশিয়ে দেওয়া হয়। অচেতন অবস্থায় পরে তাঁকে জলি এবং প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে আরও দুটি হত্যা
এর মধ্যেই জলি আরেকটি বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন জলির স্বামী রয়ের চাচাতো ভাই সাজু। রয়ের মতো অকর্মণ্য ছিলেন না সাজু। শিক্ষকতার পাশাপাশি আয়ের নানা উৎস ছিল তাঁর। জলি আর সাজু একসঙ্গে বসবাসের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও কয়েকটি বাধা দূর করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই বাধাগুলো দূর করতেই ২০১৪ সালের ১ মে সাজুর মেয়ে আলফির শরীরে সায়ানাইড প্রয়োগ করেন জলি। কয়েক দিন পর আলফির মৃত্যু হয়। দেড় বছর পর ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সাজুর স্ত্রী সিলিকে দাঁতের ওষুধের সঙ্গে সায়ানাইড মিশিয়ে হত্যা করেন। সিলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগাগোড়া ছিলেন জলি। সব দায়িত্ব নিজ হাতে সামলেছেন। সাজুর বাড়িতে এ জন্য সকাল-সন্ধ্যা যাতায়াত শুরু হয় তাঁর। ২০১৭ সালেই তাঁরা বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস শুরু করেন।
তবে এই বেশি দিন টিকতে দেননি জলির প্রয়াত স্বামীর আমেরিকা প্রবাসী ভাই রোজো থমাস। তিনি তাঁর বাবা-মা, ভাই ও মামাসহ প্রত্যেকটি মরদেহের ফরেনসিক তদন্তের জন্য পুলিশকে রাজি করান। ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা যায়, মৃত্যুর আগে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু খেয়েছিলেন এবং প্রত্যেকের শরীরেই সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আর প্রতিটা মৃত্যুর সময়ই ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন জলি।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর জলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় সায়ানাইড সরবরাহ করা তাঁর গোপন প্রেমিক ম্যাথিউকেও। দুজনই এখন জেলে।
ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
২৬ মিনিট আগেধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
৩৪ মিনিট আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অপতৎপরতা সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন সংখ্যালঘুবিরোধী প্রচারণার এক শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনভিত্তিক এই অরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে ‘এআই জেনারেটেড ইমেজারি অ্যান্ড দ্য নিউ ফ্রন্টিয়ার অব ইসলামোফোবিয়া ইন ইন্ডিয়া বা ভারতে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের নতুন সীমানা ও এআই-নির্মিত চিত্র’—শীর্ষক ৬০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মুসলিমদের লক্ষ্য করে তৈরি করা ১ হাজার ৩২৬টি এআই-নির্ভর ঘৃণামূলক পোস্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে সক্রিয় ২৯৭টি পাবলিক অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছে।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রাকিব হামিদ নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ‘এটি কেবল সমুদ্রে ভাসমান বরফের চূড়ার মতোই দৃশ্যমান ক্ষুদ্র এক অংশ। ভারতের ডিজিটাল জগতে এর পরিধি অনেক বিশাল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এ ধরনের কার্যক্রম ছিল তুলনামূলক কম। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ বেড়ে যায়। Stable Diffusion–স্ট্যাবল ডিফিউশন, Midjourney–মিডজার্নি ও DALL·E-ডল–ই—এর মতো এআই টুল সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এআই-নির্মিত ছবিগুলো এখন মুসলিমদের মানবিকতাবোধহীনভাবে উপস্থাপন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো, সহিংসতাকে নান্দনিকভাবে সাজানো এবং নারীবিদ্বেষ ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
এই প্রতিবেদন ভারতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ, এতে উঠে এসেছে কীভাবে এআই সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডার বিস্তারকে আরও দ্রুততর করছে। এতে আরও সতর্ক করা হয়, মুসলিম নারীদের যৌন অবমাননাকর এআই-নির্মিত ছবি ও কনটেন্ট তৈরির প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টাতে ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। সেপ্টেম্বরে উত্তর ভারতের কানপুর শহর থেকে শুরু হয়ে এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ডানপন্থী হিন্দু সংগঠন ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ব্যানারে আপত্তি জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশ হাজার হাজার মুসলিমের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সমাবেশের’ অভিযোগ আনে, যদিও আয়োজকেরা দাবি করেন—এগুলো ছিল শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সমাবেশ।
সিএসওএইচ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘যেকোনো সাধারণ প্রতিবাদ বা স্থানীয় সংঘাতকেও এখন সহজেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘৃণা ছড়াতে চায় তাদের হাতে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এআই-নির্মিত ছবি এসব প্রেক্ষাপটে সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব।’
এই অনুসন্ধান প্রকাশের পর উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, ভারত এখনো এআই-নির্মিত মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত আইনগত ও সাংস্কৃতিক সক্ষমতা অর্জন করেনি।
ডিজিটাল প্রাইভেসি অধিকারবিষয়ক গবেষক শ্রীনিবাস কোদালি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এসব কনটেন্ট সমাজের বিভিন্ন অংশে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘এআই-নির্মিত মিডিয়ার প্রভাব সরলরেখায় চলে না। কে দেখছে, কীভাবে ব্যাখ্যা করছে—তা নির্ভর করছে দর্শকের মানসিক প্রেক্ষাপটে।’
ভারত সরকারের ২০২৫ সালের রোডম্যাপ অনুযায়ী, এআই-কে ‘উন্মুক্ত, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য’ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে উদ্ভাবন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ঘটাবে, নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করবে এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলবে।’
কোদালি আরও বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিকর বক্তব্য রোধের জন্য নিয়মকানুনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে, কিন্তু এআই সেই সীমানাগুলোকে আরও ঘোলা করে ফেলেছে। এটি একদিকে সৃজনশীল, অন্যদিকে প্রতারণার হাতিয়ার।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানহানি, ভুয়া তথ্য বা ঘৃণাবাচক বক্তব্যের মতো প্রচলিত ক্ষতিকর ভাষার ধরন তো ছিলই, এখন এআই সেই জগতে নতুন জটিলতা যোগ করেছে।’
হামিদ বলেন, সমস্যার মূল শিকড় লুকিয়ে আছে এআই মডেল তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে, ‘যেসব কোম্পানি এই মডেল বানাচ্ছে, তারা বিপুল পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত তথ্য, ঘৃণা ছড়ায় এমন কনটেন্ট ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে সেগুলো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ফলে যে কেউ চাইলে কয়েক সেকেন্ডেই এসব মডেল দিয়ে মুসলিমবিদ্বেষী কনটেন্ট বানাতে পারে।’
প্রতিবেদনটির শেষে নয়টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। যার কিছু নীতিনির্ধারকদের জন্য, আর কিছু এআই মডেল নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে। সেখানে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানকে ‘অবিলম্বে ও ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী শনাক্তকরণ, রিপোর্টিং ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে অপব্যবহার তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত ও রোধ করা যায়।’
বুধবার ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য নতুন নিয়মের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে যে—তাদের কনটেন্ট এআই-নির্মিত কি না।
ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অপতৎপরতা সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন সংখ্যালঘুবিরোধী প্রচারণার এক শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনভিত্তিক এই অরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে ‘এআই জেনারেটেড ইমেজারি অ্যান্ড দ্য নিউ ফ্রন্টিয়ার অব ইসলামোফোবিয়া ইন ইন্ডিয়া বা ভারতে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের নতুন সীমানা ও এআই-নির্মিত চিত্র’—শীর্ষক ৬০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মুসলিমদের লক্ষ্য করে তৈরি করা ১ হাজার ৩২৬টি এআই-নির্ভর ঘৃণামূলক পোস্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে সক্রিয় ২৯৭টি পাবলিক অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছে।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রাকিব হামিদ নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ‘এটি কেবল সমুদ্রে ভাসমান বরফের চূড়ার মতোই দৃশ্যমান ক্ষুদ্র এক অংশ। ভারতের ডিজিটাল জগতে এর পরিধি অনেক বিশাল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এ ধরনের কার্যক্রম ছিল তুলনামূলক কম। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ বেড়ে যায়। Stable Diffusion–স্ট্যাবল ডিফিউশন, Midjourney–মিডজার্নি ও DALL·E-ডল–ই—এর মতো এআই টুল সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এআই-নির্মিত ছবিগুলো এখন মুসলিমদের মানবিকতাবোধহীনভাবে উপস্থাপন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো, সহিংসতাকে নান্দনিকভাবে সাজানো এবং নারীবিদ্বেষ ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
এই প্রতিবেদন ভারতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ, এতে উঠে এসেছে কীভাবে এআই সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডার বিস্তারকে আরও দ্রুততর করছে। এতে আরও সতর্ক করা হয়, মুসলিম নারীদের যৌন অবমাননাকর এআই-নির্মিত ছবি ও কনটেন্ট তৈরির প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টাতে ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। সেপ্টেম্বরে উত্তর ভারতের কানপুর শহর থেকে শুরু হয়ে এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ডানপন্থী হিন্দু সংগঠন ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ব্যানারে আপত্তি জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশ হাজার হাজার মুসলিমের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সমাবেশের’ অভিযোগ আনে, যদিও আয়োজকেরা দাবি করেন—এগুলো ছিল শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সমাবেশ।
সিএসওএইচ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘যেকোনো সাধারণ প্রতিবাদ বা স্থানীয় সংঘাতকেও এখন সহজেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘৃণা ছড়াতে চায় তাদের হাতে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এআই-নির্মিত ছবি এসব প্রেক্ষাপটে সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব।’
এই অনুসন্ধান প্রকাশের পর উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, ভারত এখনো এআই-নির্মিত মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত আইনগত ও সাংস্কৃতিক সক্ষমতা অর্জন করেনি।
ডিজিটাল প্রাইভেসি অধিকারবিষয়ক গবেষক শ্রীনিবাস কোদালি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এসব কনটেন্ট সমাজের বিভিন্ন অংশে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘এআই-নির্মিত মিডিয়ার প্রভাব সরলরেখায় চলে না। কে দেখছে, কীভাবে ব্যাখ্যা করছে—তা নির্ভর করছে দর্শকের মানসিক প্রেক্ষাপটে।’
ভারত সরকারের ২০২৫ সালের রোডম্যাপ অনুযায়ী, এআই-কে ‘উন্মুক্ত, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য’ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে উদ্ভাবন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ঘটাবে, নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করবে এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলবে।’
কোদালি আরও বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিকর বক্তব্য রোধের জন্য নিয়মকানুনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে, কিন্তু এআই সেই সীমানাগুলোকে আরও ঘোলা করে ফেলেছে। এটি একদিকে সৃজনশীল, অন্যদিকে প্রতারণার হাতিয়ার।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানহানি, ভুয়া তথ্য বা ঘৃণাবাচক বক্তব্যের মতো প্রচলিত ক্ষতিকর ভাষার ধরন তো ছিলই, এখন এআই সেই জগতে নতুন জটিলতা যোগ করেছে।’
হামিদ বলেন, সমস্যার মূল শিকড় লুকিয়ে আছে এআই মডেল তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে, ‘যেসব কোম্পানি এই মডেল বানাচ্ছে, তারা বিপুল পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত তথ্য, ঘৃণা ছড়ায় এমন কনটেন্ট ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে সেগুলো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ফলে যে কেউ চাইলে কয়েক সেকেন্ডেই এসব মডেল দিয়ে মুসলিমবিদ্বেষী কনটেন্ট বানাতে পারে।’
প্রতিবেদনটির শেষে নয়টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। যার কিছু নীতিনির্ধারকদের জন্য, আর কিছু এআই মডেল নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে। সেখানে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানকে ‘অবিলম্বে ও ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী শনাক্তকরণ, রিপোর্টিং ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে অপব্যবহার তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত ও রোধ করা যায়।’
বুধবার ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য নতুন নিয়মের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে যে—তাদের কনটেন্ট এআই-নির্মিত কি না।
গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘কারি অ্যান্ড সায়ানাইড: দ্য জোলি জোসেফ কেস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। মূলত মিথ্যাকে ধামাচাপা, সম্পদের লোভ এবং বিবাহিত এক ব্যক্তিকে নিজের করে পেতে ঠান্ডা মাথায় একে একে ৬ জনকে খুন করা ভারতীয় নারী জলি জোসেফের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই তথ্যচিত্র নির্মি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
৩৪ মিনিট আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার সমাধিটি আবিষ্কার করেন। এই সমাধি চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত—প্রবেশদ্বার, অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ), সমাধিকক্ষ এবং ভান্ডারঘর।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অগ্রকক্ষ এবং সমাধিকক্ষের ছাদ জুড়ে বড় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় সমাধির কাঠামোটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে দুর্বল ‘এসনা শেল’ শিলা ভিজিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সেখানে নতুন ফাটল ও ফিসার তৈরি হচ্ছে।
গবেষণাপত্রের লেখক ড. সায়েদ হেমেদা জানান, এই সমাধিটি দীর্ঘকাল ধরে আকস্মিক বন্যা এবং বড় ধরনের ফাটলের শিকার হয়েছে। যার ফলে এর অবস্থা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ খারাপের দিকে গেছে।’
গবেষক জিওটেকনিক্যাল মডেলিং এবং হিসাবের সাহায্যে, জয়েন্টেড রক মডেল-সহ উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যাক্সিস থ্রিডি সফটওয়্যার ব্যবহার করে সমাধির বিদ্যমান সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষণাটিতে সংখ্যাগত সিমুলেশনের মাধ্যমে আকস্মিক বন্যা এবং সমাধিটির প্রধান ফাটলের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব বিশদভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ) ও সমাধিকক্ষের ছাদের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করা প্রধান উপাদানগুলো, বিকৃতি ও ধ্বংসের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ দুর্বল অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সমাধির বর্তমান স্থিতিশীলতার স্তরও নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এই গবেষণার লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সমাধির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য কার্যকর পরামর্শ প্রদান করা। সমাধিটি সংরক্ষণের জন্য এর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে আর্দ্রতার তারতম্য কমানো এবং সংরক্ষণের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আর্দ্রতার কারণে হওয়া ক্ষতিই একমাত্র কারণ নয়। কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব অনুষদের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিদ্যার অধ্যাপক মোহামেদ আতিয়া হাওয়াশের বরাতে বলা হয়, ভ্যালি অব দ্য কিংস ঘিরে থাকা পাহাড়গুলোতে বড় বড় ফাটল রয়েছে, যার কারণে পাথরের চাঁই ভেঙে পড়লে সমাধিটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অধ্যাপক হাওয়াশ সতর্ক করে বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে একটি বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিংস ভ্যালিকে রক্ষা করতে হলে খুব দেরি হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এটিকে একটি কঠোর সতর্কতা হিসেবে মানার আহ্বান জানান তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
ধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার সমাধিটি আবিষ্কার করেন। এই সমাধি চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত—প্রবেশদ্বার, অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ), সমাধিকক্ষ এবং ভান্ডারঘর।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অগ্রকক্ষ এবং সমাধিকক্ষের ছাদ জুড়ে বড় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় সমাধির কাঠামোটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে দুর্বল ‘এসনা শেল’ শিলা ভিজিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সেখানে নতুন ফাটল ও ফিসার তৈরি হচ্ছে।
গবেষণাপত্রের লেখক ড. সায়েদ হেমেদা জানান, এই সমাধিটি দীর্ঘকাল ধরে আকস্মিক বন্যা এবং বড় ধরনের ফাটলের শিকার হয়েছে। যার ফলে এর অবস্থা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ খারাপের দিকে গেছে।’
গবেষক জিওটেকনিক্যাল মডেলিং এবং হিসাবের সাহায্যে, জয়েন্টেড রক মডেল-সহ উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যাক্সিস থ্রিডি সফটওয়্যার ব্যবহার করে সমাধির বিদ্যমান সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষণাটিতে সংখ্যাগত সিমুলেশনের মাধ্যমে আকস্মিক বন্যা এবং সমাধিটির প্রধান ফাটলের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব বিশদভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ) ও সমাধিকক্ষের ছাদের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করা প্রধান উপাদানগুলো, বিকৃতি ও ধ্বংসের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ দুর্বল অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সমাধির বর্তমান স্থিতিশীলতার স্তরও নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এই গবেষণার লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সমাধির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য কার্যকর পরামর্শ প্রদান করা। সমাধিটি সংরক্ষণের জন্য এর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে আর্দ্রতার তারতম্য কমানো এবং সংরক্ষণের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আর্দ্রতার কারণে হওয়া ক্ষতিই একমাত্র কারণ নয়। কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব অনুষদের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিদ্যার অধ্যাপক মোহামেদ আতিয়া হাওয়াশের বরাতে বলা হয়, ভ্যালি অব দ্য কিংস ঘিরে থাকা পাহাড়গুলোতে বড় বড় ফাটল রয়েছে, যার কারণে পাথরের চাঁই ভেঙে পড়লে সমাধিটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অধ্যাপক হাওয়াশ সতর্ক করে বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে একটি বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিংস ভ্যালিকে রক্ষা করতে হলে খুব দেরি হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এটিকে একটি কঠোর সতর্কতা হিসেবে মানার আহ্বান জানান তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘কারি অ্যান্ড সায়ানাইড: দ্য জোলি জোসেফ কেস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। মূলত মিথ্যাকে ধামাচাপা, সম্পদের লোভ এবং বিবাহিত এক ব্যক্তিকে নিজের করে পেতে ঠান্ডা মাথায় একে একে ৬ জনকে খুন করা ভারতীয় নারী জলি জোসেফের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই তথ্যচিত্র নির্মি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
২৬ মিনিট আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বড় তিন দেশ—ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি—চায়, ইউক্রেন যে অর্থে অস্ত্র কিনবে, তা যেন ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পেই খরচ হয়। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর হাতে সেই অর্থ না যায়।
তবে রোববার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে এই ইস্যুতে তীব্র আলোচনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনকে ঋণের আইনি প্রস্তাব তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। রাশিয়ার জব্দ সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই ঋণ দেওয়া হবে। এটি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা চাহিদা ও বাজেট ঘাটতি দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও কী পরিমাণ কোথায় ব্যয় হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস এর আগে প্রস্তাব করেছিলেন যে, এই ঋণ ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতেও কাজে লাগানো উচিত। তাঁর ভাষায়, ‘এটি ইউরোপের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ কিন্তু নেদারল্যান্ডস, নর্ডিক ও বাল্টিক দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা থাকা উচিত। তারা মনে করে, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রও কিনতে পারবে।
বার্লিন ও প্যারিসের চাপের কারণে ইইউ সম্মেলনের খসড়া বিবৃতিতে ‘ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা’ উল্লেখ করা হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই শর্ত আসলে ভণ্ডামি। এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, ‘যদি লক্ষ্য হয় ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করা, তাহলে কেনা-বেচার শর্ত খোলা রাখা উচিত।’ তাদের মতে, ‘শুধু ইউরোপীয় অস্ত্র কিনতে হবে’—এমন নিয়ম দিলে ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাবে না।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অরপো বলেন, ‘আমরা চাই ইউক্রেন ইউরোপ থেকে আরও বেশি অস্ত্র কিনুক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপের সব সক্ষমতা এখনো নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কেনার সুযোগ রাখতে হবে।’
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এক বৈঠকেও এই বিভাজন প্রকাশ পায়। লিথুয়ানিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দোভিলে শাকালিয়েনে বলেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা পূরণের জন্য এই ঋণ ব্যবহার করা উচিত—সেই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের হলেও। তিনি ন্যাটোর একটি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র দেবে, কিন্তু এর দাম পরিশোধ করবে ইউরোপীয় দেশগুলো।
আরও খবর পড়ুন:
ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বড় তিন দেশ—ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি—চায়, ইউক্রেন যে অর্থে অস্ত্র কিনবে, তা যেন ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পেই খরচ হয়। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর হাতে সেই অর্থ না যায়।
তবে রোববার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে এই ইস্যুতে তীব্র আলোচনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনকে ঋণের আইনি প্রস্তাব তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। রাশিয়ার জব্দ সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই ঋণ দেওয়া হবে। এটি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা চাহিদা ও বাজেট ঘাটতি দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও কী পরিমাণ কোথায় ব্যয় হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস এর আগে প্রস্তাব করেছিলেন যে, এই ঋণ ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতেও কাজে লাগানো উচিত। তাঁর ভাষায়, ‘এটি ইউরোপের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ কিন্তু নেদারল্যান্ডস, নর্ডিক ও বাল্টিক দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা থাকা উচিত। তারা মনে করে, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রও কিনতে পারবে।
বার্লিন ও প্যারিসের চাপের কারণে ইইউ সম্মেলনের খসড়া বিবৃতিতে ‘ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা’ উল্লেখ করা হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই শর্ত আসলে ভণ্ডামি। এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, ‘যদি লক্ষ্য হয় ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করা, তাহলে কেনা-বেচার শর্ত খোলা রাখা উচিত।’ তাদের মতে, ‘শুধু ইউরোপীয় অস্ত্র কিনতে হবে’—এমন নিয়ম দিলে ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাবে না।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অরপো বলেন, ‘আমরা চাই ইউক্রেন ইউরোপ থেকে আরও বেশি অস্ত্র কিনুক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপের সব সক্ষমতা এখনো নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কেনার সুযোগ রাখতে হবে।’
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এক বৈঠকেও এই বিভাজন প্রকাশ পায়। লিথুয়ানিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দোভিলে শাকালিয়েনে বলেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা পূরণের জন্য এই ঋণ ব্যবহার করা উচিত—সেই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের হলেও। তিনি ন্যাটোর একটি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র দেবে, কিন্তু এর দাম পরিশোধ করবে ইউরোপীয় দেশগুলো।
আরও খবর পড়ুন:
গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘কারি অ্যান্ড সায়ানাইড: দ্য জোলি জোসেফ কেস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। মূলত মিথ্যাকে ধামাচাপা, সম্পদের লোভ এবং বিবাহিত এক ব্যক্তিকে নিজের করে পেতে ঠান্ডা মাথায় একে একে ৬ জনকে খুন করা ভারতীয় নারী জলি জোসেফের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই তথ্যচিত্র নির্মি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
২৬ মিনিট আগেধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
৩৪ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ঋণের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ডলারের সমান। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিংকট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এই ঋণ চীন, ভারত, জাপান, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সম্মিলিত মূল্যের সমান।
মাত্র দুই মাসের কিছু বেশি সময় আগে, চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির ঋণ ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ঋণ ছিল ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, আর ওই বছরের জুলাই মাসে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার। পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল এ পিটারসন বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা তাদের ‘মৌলিক আর্থিক দায়িত্ব’ পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এক ট্রিলিয়নের পর আরেক ট্রিলিয়ন ঋণ যোগ করে সংকটের পর সংকটে বাজেট তৈরি করা, এমন এক মহান জাতির জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এর পরিবর্তে ঋণের ঘড়ির কাঁটা যতই দ্রুত ঘুরছে, ততই সংসদ সদস্যদের উচিত দায়িত্বশীল সংস্কারের সুযোগ নেওয়া, যা দেশকে ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী পথে নিয়ে যেতে পারে।’
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিজ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের মান ‘Aaa’ থেকে নামিয়ে ‘Aa1’ করেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, একের পর এক প্রশাসন বৃহৎ বার্ষিক বাজেট ঘাটতি ও সুদের ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা উল্টে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে ফিচ ও স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস যথাক্রমে ২০১১ ও ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং নামিয়ে দেয়।
যদিও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এখনো বিতর্ক আছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা ঋণ নিতে পারে আর্থিক বিপর্যয় সৃষ্টি না করে, তবু সবাই একমত যে বর্তমান ঋণের ধারা টেকসই নয়। ২০২৩ সালের এক বিশ্লেষণে পেন ওয়ারটন বাজেট মডেলের অর্থনীতিবিদেরা অনুমান করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যদি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে আর্থিক বাজার তা সহ্য করবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশটির ঋণ জিডিপির ২০০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর পেছনে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রণীত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর আওতায় দেওয়া ব্যাপক করছাড়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ঋণের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ডলারের সমান। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিংকট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এই ঋণ চীন, ভারত, জাপান, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সম্মিলিত মূল্যের সমান।
মাত্র দুই মাসের কিছু বেশি সময় আগে, চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির ঋণ ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ঋণ ছিল ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, আর ওই বছরের জুলাই মাসে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার। পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল এ পিটারসন বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা তাদের ‘মৌলিক আর্থিক দায়িত্ব’ পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এক ট্রিলিয়নের পর আরেক ট্রিলিয়ন ঋণ যোগ করে সংকটের পর সংকটে বাজেট তৈরি করা, এমন এক মহান জাতির জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এর পরিবর্তে ঋণের ঘড়ির কাঁটা যতই দ্রুত ঘুরছে, ততই সংসদ সদস্যদের উচিত দায়িত্বশীল সংস্কারের সুযোগ নেওয়া, যা দেশকে ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী পথে নিয়ে যেতে পারে।’
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিজ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের মান ‘Aaa’ থেকে নামিয়ে ‘Aa1’ করেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, একের পর এক প্রশাসন বৃহৎ বার্ষিক বাজেট ঘাটতি ও সুদের ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা উল্টে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে ফিচ ও স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস যথাক্রমে ২০১১ ও ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং নামিয়ে দেয়।
যদিও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এখনো বিতর্ক আছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা ঋণ নিতে পারে আর্থিক বিপর্যয় সৃষ্টি না করে, তবু সবাই একমত যে বর্তমান ঋণের ধারা টেকসই নয়। ২০২৩ সালের এক বিশ্লেষণে পেন ওয়ারটন বাজেট মডেলের অর্থনীতিবিদেরা অনুমান করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যদি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে আর্থিক বাজার তা সহ্য করবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশটির ঋণ জিডিপির ২০০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর পেছনে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রণীত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর আওতায় দেওয়া ব্যাপক করছাড়।
গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘কারি অ্যান্ড সায়ানাইড: দ্য জোলি জোসেফ কেস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। মূলত মিথ্যাকে ধামাচাপা, সম্পদের লোভ এবং বিবাহিত এক ব্যক্তিকে নিজের করে পেতে ঠান্ডা মাথায় একে একে ৬ জনকে খুন করা ভারতীয় নারী জলি জোসেফের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই তথ্যচিত্র নির্মি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
২৬ মিনিট আগেধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
৩৪ মিনিট আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
১ ঘণ্টা আগে