Ajker Patrika

‘আবার হবে পারমাণবিক বোমা হামলা’, ২য় বিশ্বযুদ্ধে বেঁচে যাওয়া হিরোশিমা-নাগাসাকির মানুষদের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেলা পারমাণবিক বোমা। ছবি: সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেলা পারমাণবিক বোমা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আবারও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে উঠেছেন জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলায় জীবিত ভুক্তভোগীরা। সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ১৯৪৫ সালে মার্কিন পারমাণবিক হামলার ৮০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে এই জরিপ করেছে কিওডো নিউজ এজেন্সি।

জরিপে অংশ নিয়েছেন ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তাদের ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশই মনে করছেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি বর্তমানে বেড়েই চলেছে। উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উন্নয়ন এবং ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তারা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

জরিপে আরও উঠে এসেছে, অংশগ্রহণকারীদের ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক হামলার জন্য এখনো যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা করতে পারেননি। অন্যদিকে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের এই বিষয়ে ‘বিশেষ কোনো অনুভূতি নেই’ তাদের। এ ছাড়া, ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নিজের অনুভূতির ব্যাপারে তাঁরা সচেতন নন।

এদিকে, বিশ্লেষকেরাও বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা এই ঝুঁকিকে পুনরায় সামনে এনেছে। এ পরিস্থিতিতে হিরোশিমা ও নাগাসাকির ইতিহাস এবং সেখানকার জীবিত ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা আজও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিকতা বহন করছে বলে মত তাদের।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হন। এর মাত্র তিন দিন পরই, ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় বোমাটি ফেলা হয়, যাতে আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এরপর ১৫ আগস্ট, জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত