
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি করিম খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকাসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো আইসিসির এখতিয়ারের অধীনে পড়ে। এর অর্থ হচ্ছে- গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসের বিরুদ্ধে আইসিসির মামলা করার ক্ষমতা আছে।
এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের হয়ে হামাস বা আল কুদস ব্রিগেড বা হামাসের কোনো সশস্ত্র শাখা কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো সদস্যের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ যদি থাকে তবে সেই অপরাধের বিচারের এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে। ইসরায়েলসহ যেখানেই যুদ্ধাপরাধ ঘটুক না কেন, সেটার বিচারের এখতিয়ার আমাদের আছে।’
গত শনিবার হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৬০০০ বোমা হামলা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন করিম খান। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোকে ‘হৃদয়বিদারক’ আখ্যায়িত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যা হচ্ছে, টেলিভিশনের পর্দায় আমরা যা দেখছি তা ভয়াবহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিসির কৌঁসুলি হওয়ার দরকার নেই। গত কয়েক দিনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন থেকে যেসব ছবি আসছে তা দেখে যে কোনো মানুষের হৃদয় অবশ্যই শীতল হয়ে যাবে, ভেঙে যাবে।’
কথিত অপরাধমূলক আচরণের জন্য কোনো ব্যক্তির বিচার আইসিসি তখনই করে যখন এর ১২৩টি সদস্য রাষ্ট্র নিজেদের বিচার করতে অনিচ্ছুক বা অক্ষম হয়। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভারত এবং মিশর সহ বিশ্বের অনেক বড় শক্তিই আইসিসির সদস্য নয়। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও আইসিসির কোনো পুলিশ বাহিনী নেই এবং গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রেও তারা সদস্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে।
২০২১ সাল থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের বিষয়ে আইসিসির একটি তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনো আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২১ সালে এই তদন্তের ঘোষণা দেওয়ার সময় করিম খানের পূর্বসূরি বলেছিলেন যে, ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগগুলো পরীক্ষা করছে আইসিসি। বর্তমানে চলমান সহিংসতা সেই তদন্তের আওতায় পড়ে বলে জানান করিম খান।
নিজের মুসলিম বিশ্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে সব পক্ষকে ধর্মীয় শিক্ষা অনুসরণ করা, নিরপরাধদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ করার সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান করিম খান। তিনি বলেন, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক ব্যক্তি বা বস্তুকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে না। কেউ ধর্ষণ, হত্যা বা অঙ্গচ্ছেদ করতে পারে না। ইচ্ছাকৃত হত্যা ও জিম্মি করা জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং প্রত্যেককে আইন মেনে চলতে হবে।’
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর জন্য তার কাছে কোনো বার্তা আছে কিনা, এমনটা জানতে চাইলে করিম খান সব পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঠান্ডা মাথার নেতৃত্ব, মানবতা এবং এই উপলব্ধি যে, আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি করিম খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকাসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো আইসিসির এখতিয়ারের অধীনে পড়ে। এর অর্থ হচ্ছে- গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসের বিরুদ্ধে আইসিসির মামলা করার ক্ষমতা আছে।
এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের হয়ে হামাস বা আল কুদস ব্রিগেড বা হামাসের কোনো সশস্ত্র শাখা কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো সদস্যের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ যদি থাকে তবে সেই অপরাধের বিচারের এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে। ইসরায়েলসহ যেখানেই যুদ্ধাপরাধ ঘটুক না কেন, সেটার বিচারের এখতিয়ার আমাদের আছে।’
গত শনিবার হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৬০০০ বোমা হামলা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন করিম খান। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোকে ‘হৃদয়বিদারক’ আখ্যায়িত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যা হচ্ছে, টেলিভিশনের পর্দায় আমরা যা দেখছি তা ভয়াবহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিসির কৌঁসুলি হওয়ার দরকার নেই। গত কয়েক দিনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন থেকে যেসব ছবি আসছে তা দেখে যে কোনো মানুষের হৃদয় অবশ্যই শীতল হয়ে যাবে, ভেঙে যাবে।’
কথিত অপরাধমূলক আচরণের জন্য কোনো ব্যক্তির বিচার আইসিসি তখনই করে যখন এর ১২৩টি সদস্য রাষ্ট্র নিজেদের বিচার করতে অনিচ্ছুক বা অক্ষম হয়। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভারত এবং মিশর সহ বিশ্বের অনেক বড় শক্তিই আইসিসির সদস্য নয়। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও আইসিসির কোনো পুলিশ বাহিনী নেই এবং গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রেও তারা সদস্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে।
২০২১ সাল থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের বিষয়ে আইসিসির একটি তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনো আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২১ সালে এই তদন্তের ঘোষণা দেওয়ার সময় করিম খানের পূর্বসূরি বলেছিলেন যে, ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগগুলো পরীক্ষা করছে আইসিসি। বর্তমানে চলমান সহিংসতা সেই তদন্তের আওতায় পড়ে বলে জানান করিম খান।
নিজের মুসলিম বিশ্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে সব পক্ষকে ধর্মীয় শিক্ষা অনুসরণ করা, নিরপরাধদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ করার সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান করিম খান। তিনি বলেন, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক ব্যক্তি বা বস্তুকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে না। কেউ ধর্ষণ, হত্যা বা অঙ্গচ্ছেদ করতে পারে না। ইচ্ছাকৃত হত্যা ও জিম্মি করা জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং প্রত্যেককে আইন মেনে চলতে হবে।’
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর জন্য তার কাছে কোনো বার্তা আছে কিনা, এমনটা জানতে চাইলে করিম খান সব পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঠান্ডা মাথার নেতৃত্ব, মানবতা এবং এই উপলব্ধি যে, আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই।’

যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। একই সঙ্গে গাজায় কোনো শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এ বিষয়ে দেশটি এর মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব
২ ঘণ্টা আগে
অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জেনারেল সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তিনি একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি।’ তিনি এক নারীর সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার পর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি ওই নারীকে এই...
৩ ঘণ্টা আগে
অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির অভিযোগ—মেক্সিকো ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। একই সঙ্গে গাজায় কোনো শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এ বিষয়ে দেশটি এর মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস মার্কিন প্রশাসনের এক ক্ল্যাসিফায়েড বা গোপন নথির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গতকাল সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রকে গাজায় অন্তত দুই বছরের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে গাজা শাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত ম্যান্ডেট দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছেন, এই খসড়ার ভিত্তিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের আলোচনা চলবে। লক্ষ্য হলো—আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবটি গৃহীত করা এবং জানুয়ারির মধ্যে গাজায় প্রথম সেনা মোতায়েন করা।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী বা আইএসএফ (International Security Force) একটি ‘বলপ্রয়োগকারী বাহিনী’, শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়। এ বাহিনীতে বিভিন্ন দেশের সৈন্য থাকবে এবং তা গঠিত হবে গাজার ‘বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদের’ পরামর্শে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নেবেন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, বোর্ড অব পিস অন্তত ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। খসড়ার তথ্য অনুযায়ী, আইএসএফের দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্ত নিরাপদ রাখা, সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তার করিডর রক্ষা করা এবং নতুন ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। এই নতুন পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে তারা কাজ করবে।
এ ছাড়া আইএসএফের দায়িত্ব থাকবে গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা। অর্থাৎ গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। এর মধ্যে সামরিক, সন্ত্রাসী ও আক্রমণাত্মক অবকাঠামো ধ্বংস ও তা পুনর্গঠন রোধ করা এবং অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা।
এর মানে দাঁড়ায়, হামাস যদি স্বেচ্ছায় নিরস্ত্রীকরণে রাজি না হয়, তাহলে বাহিনী জোরপূর্বক তাদের নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব নেবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে গাজা চুক্তি বাস্তবায়নে আইএসএফ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবে। এ বাহিনী গাজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এমন এক অন্তর্বর্তী সময়ে, যখন ইসরায়েল ধীরে ধীরে গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরে আসবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংস্কার সম্পন্ন করে দীর্ঘ মেয়াদে গাজার প্রশাসন গ্রহণের প্রস্তুতি নেবে।
অ্যাক্সিওসের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া, আজারবাইজান, মিসর ও তুরস্ক এই বাহিনীতে সৈন্য পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইএসএফ বোর্ড অব পিসের কাছে গ্রহণযোগ্য একীভূত কমান্ড কাঠামোর অধীনে গাজায় মোতায়েন হবে। এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বাহিনী গঠন ও এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে ‘মিসর ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ পরামর্শ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে’।
বাহিনীকে ‘আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় তাদের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা’ দেওয়া হবে। খসড়া প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড অব পিসকে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ক্ষমতায়িত করা হবে। এ প্রশাসন গাজার পুনর্গঠনের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে এবং অর্থ সংগ্রহ করবে। এ দায়িত্ব তারা পালন করবে যতক্ষণ না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংস্কার কর্মসূচি সন্তোষজনকভাবে শেষ করে এবং বোর্ড অব পিস তার অনুমোদন দেয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বোর্ড অব পিসকে গাজার স্থানীয় যোগ্য, অরাজনৈতিক ও টেকনোক্র্যাট ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি তদারক করবে ও সহায়তা দেবে। এই কমিটি গাজার বেসামরিক প্রশাসনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই কমিটি গঠনের আগেই বোর্ড অব পিস কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা বিতরণ করবে সেসব সংস্থা, যারা বোর্ড অব পিসের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে—জাতিসংঘ, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট। কোনো সংস্থা যদি সাহায্য অপব্যবহার করে বা অন্যদিকে সরিয়ে নেয়, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। একই সঙ্গে গাজায় কোনো শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এ বিষয়ে দেশটি এর মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস মার্কিন প্রশাসনের এক ক্ল্যাসিফায়েড বা গোপন নথির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গতকাল সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রকে গাজায় অন্তত দুই বছরের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে গাজা শাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত ম্যান্ডেট দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছেন, এই খসড়ার ভিত্তিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের আলোচনা চলবে। লক্ষ্য হলো—আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবটি গৃহীত করা এবং জানুয়ারির মধ্যে গাজায় প্রথম সেনা মোতায়েন করা।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী বা আইএসএফ (International Security Force) একটি ‘বলপ্রয়োগকারী বাহিনী’, শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়। এ বাহিনীতে বিভিন্ন দেশের সৈন্য থাকবে এবং তা গঠিত হবে গাজার ‘বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদের’ পরামর্শে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নেবেন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, বোর্ড অব পিস অন্তত ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। খসড়ার তথ্য অনুযায়ী, আইএসএফের দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্ত নিরাপদ রাখা, সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তার করিডর রক্ষা করা এবং নতুন ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। এই নতুন পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে তারা কাজ করবে।
এ ছাড়া আইএসএফের দায়িত্ব থাকবে গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা। অর্থাৎ গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। এর মধ্যে সামরিক, সন্ত্রাসী ও আক্রমণাত্মক অবকাঠামো ধ্বংস ও তা পুনর্গঠন রোধ করা এবং অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা।
এর মানে দাঁড়ায়, হামাস যদি স্বেচ্ছায় নিরস্ত্রীকরণে রাজি না হয়, তাহলে বাহিনী জোরপূর্বক তাদের নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব নেবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে গাজা চুক্তি বাস্তবায়নে আইএসএফ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবে। এ বাহিনী গাজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এমন এক অন্তর্বর্তী সময়ে, যখন ইসরায়েল ধীরে ধীরে গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরে আসবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংস্কার সম্পন্ন করে দীর্ঘ মেয়াদে গাজার প্রশাসন গ্রহণের প্রস্তুতি নেবে।
অ্যাক্সিওসের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া, আজারবাইজান, মিসর ও তুরস্ক এই বাহিনীতে সৈন্য পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইএসএফ বোর্ড অব পিসের কাছে গ্রহণযোগ্য একীভূত কমান্ড কাঠামোর অধীনে গাজায় মোতায়েন হবে। এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বাহিনী গঠন ও এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে ‘মিসর ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ পরামর্শ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে’।
বাহিনীকে ‘আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় তাদের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা’ দেওয়া হবে। খসড়া প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড অব পিসকে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ক্ষমতায়িত করা হবে। এ প্রশাসন গাজার পুনর্গঠনের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে এবং অর্থ সংগ্রহ করবে। এ দায়িত্ব তারা পালন করবে যতক্ষণ না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংস্কার কর্মসূচি সন্তোষজনকভাবে শেষ করে এবং বোর্ড অব পিস তার অনুমোদন দেয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বোর্ড অব পিসকে গাজার স্থানীয় যোগ্য, অরাজনৈতিক ও টেকনোক্র্যাট ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি তদারক করবে ও সহায়তা দেবে। এই কমিটি গাজার বেসামরিক প্রশাসনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই কমিটি গঠনের আগেই বোর্ড অব পিস কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা বিতরণ করবে সেসব সংস্থা, যারা বোর্ড অব পিসের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে—জাতিসংঘ, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট। কোনো সংস্থা যদি সাহায্য অপব্যবহার করে বা অন্যদিকে সরিয়ে নেয়, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি করিম খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জেনারেল সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তিনি একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি।’ তিনি এক নারীর সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার পর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি ওই নারীকে এই...
৩ ঘণ্টা আগে
অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির অভিযোগ—মেক্সিকো ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর এক সার্জনের বিরুদ্ধে। ছয় মাস আগে ঘটা এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সম্প্রতি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বছরের ২৬ মে বিয়ে করেন সার্জন ডা. মহেন্দ্র রেড্ডি ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৃতিকা রেড্ডি। দুজনেই বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
মহেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কৃতিকা অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে ঘরেই অ্যানেস্থেটিক ওষুধ প্রোপোফল দেন মহেন্দ্র। যার মাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এরপর কৃতিকা আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সম্প্রতি এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার সময় পুলিশ দেখতে পায়, অভিযুক্ত সার্জন এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি।’
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জেনারেল সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি এক নারীর সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার পর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি ওই নারীকে এই বার্তা পাঠান। তাঁর ফোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণের সময় পুলিশ এই বার্তাটি খুঁজে পায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পরে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-এর প্রতিবেদনে কৃতিকার দেহে প্রোপোফলের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর চেয়ে হত্যার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়। ঘটনার তদন্তে তাঁদের বাসা থেকে ক্যানোলা সেট, ইনজেকশন টিউবসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
এই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কৃতিকার বাবা মহেন্দ্রর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহ করে, নিজের চিকিৎসা-জ্ঞান ব্যবহার করে মহেন্দ্র ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।
অবশেষে ১৫ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার সীমান্ত কুমার সিং বলেন, ‘এ পর্যন্ত সংগৃহীত প্রমাণগুলো স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে অপরাধে স্বামীর ভূমিকা ছিল। তিনিই প্রথম স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু তখন এমন কিছু উল্লেখ করেননি যা সন্দেহজনক হতে পারত।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘মহেন্দ্র দাবি করেছিলেন, কৃতিকা অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এখন আমরা জেনেছি, তাঁকে সিডেটিভ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল, যা থেকে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়।’
আরও খবর পড়ুন:

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর এক সার্জনের বিরুদ্ধে। ছয় মাস আগে ঘটা এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সম্প্রতি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বছরের ২৬ মে বিয়ে করেন সার্জন ডা. মহেন্দ্র রেড্ডি ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৃতিকা রেড্ডি। দুজনেই বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
মহেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কৃতিকা অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে ঘরেই অ্যানেস্থেটিক ওষুধ প্রোপোফল দেন মহেন্দ্র। যার মাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এরপর কৃতিকা আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সম্প্রতি এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার সময় পুলিশ দেখতে পায়, অভিযুক্ত সার্জন এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি।’
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জেনারেল সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি এক নারীর সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার পর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি ওই নারীকে এই বার্তা পাঠান। তাঁর ফোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণের সময় পুলিশ এই বার্তাটি খুঁজে পায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পরে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-এর প্রতিবেদনে কৃতিকার দেহে প্রোপোফলের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর চেয়ে হত্যার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়। ঘটনার তদন্তে তাঁদের বাসা থেকে ক্যানোলা সেট, ইনজেকশন টিউবসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
এই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কৃতিকার বাবা মহেন্দ্রর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহ করে, নিজের চিকিৎসা-জ্ঞান ব্যবহার করে মহেন্দ্র ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।
অবশেষে ১৫ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার সীমান্ত কুমার সিং বলেন, ‘এ পর্যন্ত সংগৃহীত প্রমাণগুলো স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে অপরাধে স্বামীর ভূমিকা ছিল। তিনিই প্রথম স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু তখন এমন কিছু উল্লেখ করেননি যা সন্দেহজনক হতে পারত।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘মহেন্দ্র দাবি করেছিলেন, কৃতিকা অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এখন আমরা জেনেছি, তাঁকে সিডেটিভ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল, যা থেকে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়।’
আরও খবর পড়ুন:

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি করিম খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। একই সঙ্গে গাজায় কোনো শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এ বিষয়ে দেশটি এর মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব
২ ঘণ্টা আগে
অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির অভিযোগ—মেক্সিকো ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির অভিযোগ—মেক্সিকো ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার এই ঘোষণা দেয় পেরু সরকার। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্যাভেজ মেক্সিকোর দূতাবাসে পালিয়ে যান।
পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুগো দে সেলা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজ আমরা বিস্ময় ও গভীর দুঃখের সঙ্গে জেনেছি যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর কথিত অভ্যুত্থানচেষ্টার অন্যতম অপরাধী বেৎসি শ্যাভেজকে মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের কারণে এবং অতীতে ও বর্তমানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের বারবার পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পেরু সরকার আজ থেকেই মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ মেক্সিকো সরকার এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
শ্যাভেজের আইনজীবী রাউল নোব্লেসিয়া স্থানীয় রেডিও আরপিপিকে বলেন, তিনি কয়েক দিন ধরে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। শ্যাভেজ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন কি না, সেটিও তিনি জানেন না। শ্যাভেজ প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তখন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল।
কাস্তিয়ো ছিলেন একসময় গ্রামের স্কুলশিক্ষক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। তাঁকে বলা হয় পেরুর ‘প্রথম দরিদ্র প্রেসিডেন্ট।’ কিন্তু তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে অভিশংসন করা হয়। এরপর থেকেই লিমা ও মেক্সিকো সিটির সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
অভিশংসনের পর কাস্তিয়ো মেক্সিকোর লিমা দূতাবাসে আশ্রয়ের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দূতাবাসে পৌঁছানোর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। একই মামলায় বেৎসি শ্যাভেজকেও অভিযুক্ত করা হয়।
এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই পেরু মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কারণ, তখন মেক্সিকো কাস্তিয়োর স্ত্রী ও সন্তানদের আশ্রয় দিয়েছিল। এর পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে পেরুর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেস ওব্রাদরের বিরুদ্ধে কাস্তিয়োর পক্ষে কথা বলে পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন এবং মেক্সিকো সিটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেন।
এই বছরের মার্চে সাবেক প্রেসিডেন্ট কাস্তিয়ো ও শ্যাভেজের বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু হয়। কাস্তিয়ো অভিশংসনের পর থেকেই কারাগারে আছেন। শ্যাভেজ গত সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি পান।
প্রসিকিউটররা শ্যাভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি কাস্তিয়োর সঙ্গে মিলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। শ্যাভেজের বিরুদ্ধে ২৫ বছরের কারাদণ্ড এবং কাস্তিয়োর বিরুদ্ধে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। তবে দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির অভিযোগ—মেক্সিকো ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার এই ঘোষণা দেয় পেরু সরকার। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্যাভেজ মেক্সিকোর দূতাবাসে পালিয়ে যান।
পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুগো দে সেলা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজ আমরা বিস্ময় ও গভীর দুঃখের সঙ্গে জেনেছি যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর কথিত অভ্যুত্থানচেষ্টার অন্যতম অপরাধী বেৎসি শ্যাভেজকে মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের কারণে এবং অতীতে ও বর্তমানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের বারবার পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পেরু সরকার আজ থেকেই মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ মেক্সিকো সরকার এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
শ্যাভেজের আইনজীবী রাউল নোব্লেসিয়া স্থানীয় রেডিও আরপিপিকে বলেন, তিনি কয়েক দিন ধরে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। শ্যাভেজ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন কি না, সেটিও তিনি জানেন না। শ্যাভেজ প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তখন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল।
কাস্তিয়ো ছিলেন একসময় গ্রামের স্কুলশিক্ষক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। তাঁকে বলা হয় পেরুর ‘প্রথম দরিদ্র প্রেসিডেন্ট।’ কিন্তু তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে অভিশংসন করা হয়। এরপর থেকেই লিমা ও মেক্সিকো সিটির সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
অভিশংসনের পর কাস্তিয়ো মেক্সিকোর লিমা দূতাবাসে আশ্রয়ের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দূতাবাসে পৌঁছানোর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। একই মামলায় বেৎসি শ্যাভেজকেও অভিযুক্ত করা হয়।
এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই পেরু মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কারণ, তখন মেক্সিকো কাস্তিয়োর স্ত্রী ও সন্তানদের আশ্রয় দিয়েছিল। এর পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে পেরুর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেস ওব্রাদরের বিরুদ্ধে কাস্তিয়োর পক্ষে কথা বলে পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন এবং মেক্সিকো সিটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেন।
এই বছরের মার্চে সাবেক প্রেসিডেন্ট কাস্তিয়ো ও শ্যাভেজের বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু হয়। কাস্তিয়ো অভিশংসনের পর থেকেই কারাগারে আছেন। শ্যাভেজ গত সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি পান।
প্রসিকিউটররা শ্যাভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি কাস্তিয়োর সঙ্গে মিলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। শ্যাভেজের বিরুদ্ধে ২৫ বছরের কারাদণ্ড এবং কাস্তিয়োর বিরুদ্ধে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। তবে দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি করিম খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। একই সঙ্গে গাজায় কোনো শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এ বিষয়ে দেশটি এর মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব
২ ঘণ্টা আগে
অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জেনারেল সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তিনি একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি।’ তিনি এক নারীর সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার পর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি ওই নারীকে এই...
৩ ঘণ্টা আগে
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহমদ আল–শারাকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যার্ৎজ গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অপরাধীদের সিরিয়ায় ফেরত পাঠাব। এটাই পরিকল্পনা। এখন আমরা সেটি খুব নির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়ন করব।’
এই আমন্ত্রণ জার্মানির সিরিয়া সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত। ম্যার্ৎজ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে স্থিতিশীল করতে আল-শারার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা একসঙ্গে সমাধান করতে চাই।’
ম্যার্ৎজের এই কঠোর অবস্থান একেবারেই ভিন্ন সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের নীতি থেকে। ২০১৫ সালে মেরকেল ‘ওপেন-ডোর’ শরণার্থী নীতি চালু করেন, যাতে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসী—যাদের বেশির ভাগই সিরিয়ার—জার্মানিতে আশ্রয় পান। এরপর থেকে দেশটিতে ডানপন্থী দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। সেই চাপের মুখে ম্যার্ৎজের নেতৃত্বে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দল দ্রুত প্রত্যাবাসন ও কড়াকড়ি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান নেয়। ম্যার্ৎজ বলেন, ‘আমি আবারও বলছি—সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শেষ। এখন জার্মানিতে আশ্রয়ের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
এদিকে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি রোববার নিশ্চিত করেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা নভেম্বরের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস সফর করবেন। আলোচনার মূল বিষয় হবে সিরিয়া পুনর্গঠন। মার্কিন বিশেষ দূত টম বারাক শনিবার প্রথম এ সফরের ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, সফরটি নভেম্বরের ১০ তারিখের কাছাকাছি সময় অনুষ্ঠিত হবে।
আল-শায়বানি বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু করা। আমরা দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চাই।’
সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর এই প্রথম। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এর আগে কোনো সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াশিংটন সফর করেননি। এ সফরটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, গত সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নিউইয়র্কে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট আল-শারা।

জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহমদ আল–শারাকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যার্ৎজ গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অপরাধীদের সিরিয়ায় ফেরত পাঠাব। এটাই পরিকল্পনা। এখন আমরা সেটি খুব নির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়ন করব।’
এই আমন্ত্রণ জার্মানির সিরিয়া সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত। ম্যার্ৎজ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে স্থিতিশীল করতে আল-শারার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা একসঙ্গে সমাধান করতে চাই।’
ম্যার্ৎজের এই কঠোর অবস্থান একেবারেই ভিন্ন সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের নীতি থেকে। ২০১৫ সালে মেরকেল ‘ওপেন-ডোর’ শরণার্থী নীতি চালু করেন, যাতে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসী—যাদের বেশির ভাগই সিরিয়ার—জার্মানিতে আশ্রয় পান। এরপর থেকে দেশটিতে ডানপন্থী দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। সেই চাপের মুখে ম্যার্ৎজের নেতৃত্বে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দল দ্রুত প্রত্যাবাসন ও কড়াকড়ি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান নেয়। ম্যার্ৎজ বলেন, ‘আমি আবারও বলছি—সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শেষ। এখন জার্মানিতে আশ্রয়ের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
এদিকে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি রোববার নিশ্চিত করেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা নভেম্বরের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস সফর করবেন। আলোচনার মূল বিষয় হবে সিরিয়া পুনর্গঠন। মার্কিন বিশেষ দূত টম বারাক শনিবার প্রথম এ সফরের ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, সফরটি নভেম্বরের ১০ তারিখের কাছাকাছি সময় অনুষ্ঠিত হবে।
আল-শায়বানি বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু করা। আমরা দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চাই।’
সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর এই প্রথম। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এর আগে কোনো সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াশিংটন সফর করেননি। এ সফরটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, গত সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নিউইয়র্কে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট আল-শারা।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি করিম খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। একই সঙ্গে গাজায় কোনো শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এ বিষয়ে দেশটি এর মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব
২ ঘণ্টা আগে
অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জেনারেল সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তিনি একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি।’ তিনি এক নারীর সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার পর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি ওই নারীকে এই...
৩ ঘণ্টা আগে
অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির অভিযোগ—মেক্সিকো ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে