অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি জন্য ২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো। আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস (আইসিএএন)। অস্ত্র উৎপাদনে এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলেও অভিমত দিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা নোবেলজয়ী সংগঠনটি।
আইসিএএন জানিয়েছে, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এই ৯টি দেশ অস্ত্র তৈরির জন্য এ বছর যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, তা ২০২৩ সালে চেয়ে ১০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
আইসিএএন বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালে অস্ত্র উৎপাদনের পেছনে ৫৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। সেই সঙ্গে ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে চীন। থেমে থাকেনি যুক্তরাজ্য, তারাও ২০২৪ সালে অস্ত্র তৈরির জন্য ১০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতে জেনেভাভিত্তিক আইসিএএন। ওই চুক্তি ২০২১ সালে কার্যকর হয়। পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৯টি দেশ অনুমোদন দিয়েছে। পরে আরও চারটি দেশ সরাসরি এই চুক্তিতে যোগ দেয়। এ ছাড়া ২৫টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। যদিও পারমাণবিক অস্ত্রধারী কোনো রাষ্ট্র এতে সম্মতি দেয়নি।
এ বছর আইসিএএনের বার্ষিক প্রতিবেদনে পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের অস্ত্র উৎপাদনের খরচের ওপর নজর দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের খরচের বিষয় সাধারণ নাগরিক ও আইনপ্রণেতা—উভয়ের কাছেই অজানা। কেন এমন খরচ করা হচ্ছে, তা তাঁদের বোধগম্য নয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি, তবু বিশেষজ্ঞদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রের ঘাঁটি ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এরই মধ্যে রাশিয়া দাবি করেছে, বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে। কিন্তু অনেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোতে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র রাখার খরচ সম্পর্কে জনসাধারণ খুব কমই জানে। কারণ, ন্যাটোভুক্ত প্রতিটি দেশের মধ্যে পরমাণুসংক্রান্ত লেনদেন গোপন চুক্তির মাধ্যমে হয়।
এই প্রতিবেদনের সহলেখক অ্যালিসিয়া স্যান্ডার্স-জাক্রে বলেন, এটা গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা। কারণ, সাধারণ মানুষ ও আইনপ্রণেতাদের জানতে দেওয়া হয় না যে অন্য দেশের পারমাণবিক অস্ত্র তাঁদের মাটিতে তৈরি। অথবা তাঁদের করের কত অংশ এতে ব্যয় করা হচ্ছে।
আটটি দেশের কাছে প্রকাশ্যে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। এদিকে ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যদিও তারা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্বীকার করেনি।
আইসিএএন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ৯টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যে ব্যয় করেছে, তার মাত্রা জাতিসংঘের বাজেটের প্রায় ২৮ গুণ বেশি হতে পারে। এদিকে আইসিএএনের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী সুসি স্নাইডার বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের যে সমস্যা, তা সমাধান করা যেতে পারে।
আইসিএএন জানিয়েছে, ২০২৪ সালেই বেসরকারি খাত তাদের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে কমপক্ষে ৪২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৪৬৩ বিলিয়ন ডলারের চলমান পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি রয়েছে। যার মধ্যে কিছু চুক্তি কয়েক দশক ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। গত বছর কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন ডলারের নতুন পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি করা হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি জন্য ২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো। আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস (আইসিএএন)। অস্ত্র উৎপাদনে এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলেও অভিমত দিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা নোবেলজয়ী সংগঠনটি।
আইসিএএন জানিয়েছে, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এই ৯টি দেশ অস্ত্র তৈরির জন্য এ বছর যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, তা ২০২৩ সালে চেয়ে ১০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
আইসিএএন বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালে অস্ত্র উৎপাদনের পেছনে ৫৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। সেই সঙ্গে ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে চীন। থেমে থাকেনি যুক্তরাজ্য, তারাও ২০২৪ সালে অস্ত্র তৈরির জন্য ১০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতে জেনেভাভিত্তিক আইসিএএন। ওই চুক্তি ২০২১ সালে কার্যকর হয়। পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৯টি দেশ অনুমোদন দিয়েছে। পরে আরও চারটি দেশ সরাসরি এই চুক্তিতে যোগ দেয়। এ ছাড়া ২৫টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। যদিও পারমাণবিক অস্ত্রধারী কোনো রাষ্ট্র এতে সম্মতি দেয়নি।
এ বছর আইসিএএনের বার্ষিক প্রতিবেদনে পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের অস্ত্র উৎপাদনের খরচের ওপর নজর দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের খরচের বিষয় সাধারণ নাগরিক ও আইনপ্রণেতা—উভয়ের কাছেই অজানা। কেন এমন খরচ করা হচ্ছে, তা তাঁদের বোধগম্য নয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি, তবু বিশেষজ্ঞদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রের ঘাঁটি ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এরই মধ্যে রাশিয়া দাবি করেছে, বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে। কিন্তু অনেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোতে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র রাখার খরচ সম্পর্কে জনসাধারণ খুব কমই জানে। কারণ, ন্যাটোভুক্ত প্রতিটি দেশের মধ্যে পরমাণুসংক্রান্ত লেনদেন গোপন চুক্তির মাধ্যমে হয়।
এই প্রতিবেদনের সহলেখক অ্যালিসিয়া স্যান্ডার্স-জাক্রে বলেন, এটা গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা। কারণ, সাধারণ মানুষ ও আইনপ্রণেতাদের জানতে দেওয়া হয় না যে অন্য দেশের পারমাণবিক অস্ত্র তাঁদের মাটিতে তৈরি। অথবা তাঁদের করের কত অংশ এতে ব্যয় করা হচ্ছে।
আটটি দেশের কাছে প্রকাশ্যে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। এদিকে ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যদিও তারা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্বীকার করেনি।
আইসিএএন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ৯টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যে ব্যয় করেছে, তার মাত্রা জাতিসংঘের বাজেটের প্রায় ২৮ গুণ বেশি হতে পারে। এদিকে আইসিএএনের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী সুসি স্নাইডার বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের যে সমস্যা, তা সমাধান করা যেতে পারে।
আইসিএএন জানিয়েছে, ২০২৪ সালেই বেসরকারি খাত তাদের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে কমপক্ষে ৪২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৪৬৩ বিলিয়ন ডলারের চলমান পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি রয়েছে। যার মধ্যে কিছু চুক্তি কয়েক দশক ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। গত বছর কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন ডলারের নতুন পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি করা হয়েছে।
ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের ধুবড়ি জেলাকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় কেউ কেউ। তবে তিনি এর পক্ষে কোনো স্পষ্ট প্রমাণ দেননি। কেবল বলেছেন, একটি সংগঠন এই বিষয়ে উসকানিমূলক পোস্টার লাগিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪৩ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মুখে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক একটি শীর্ষ-পর্যায়ের জাতিসংঘ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ গতকাল শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাশিয়া ১ হাজার ২০০ জন ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত দিয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এটি সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সৈনিকদের মরদেহ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা। স্থানীয় সময় গতকাল এই মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। ইরানের ওপর ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে