Ajker Patrika

২০২২ সালের শুরুতে আসতে পারে ওমিক্রন প্রতিরোধক টিকা

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ২৫
২০২২ সালের শুরুতে আসতে পারে ওমিক্রন প্রতিরোধক টিকা

দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ও ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। এই নতুন ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে এই ধরনে আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আর নতুন এ ধরন প্রতিহত করতে আশার বার্তা নিয়ে এলো মর্ডানা। 

২০২২ সালের শুরুর দিকে ওমিক্রন প্রতিরোধে টিকা নিয়ে আসতে পারে মডার্না। আজ সোমবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  

মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা পল বার্টন বলেন, বর্তমান টিকা দিয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনকে প্রতিহত করা যেতে পারে। আর যদি তা না হয়, তাহলে নতুন বছরের শুরুর দিকে টিকার নতুন সংস্করণ পাওয়া যাবে। 

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্টন আরও বলেন, ‘পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের জন্য আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে জানা উচিত। যদি আমাদের একটি নতুন ব্র্যান্ডের টিকা তৈরি করতে হয়, তাহলে আমি মনে করি ২০২২ সালের আগেই টিকার একটি বিরাট সংখ্যা পাওয়া যাবে। মডার্নার টিকা সম্পর্কে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যেতে পারি।’ 

বার্টন বলেন, ‘একজন ব্যক্তি কত দিন আগে টিকা নিয়েছিলেন তাঁর ওপর নির্ভর করে এখনো সুরক্ষিত থাকা উচিত। আপাতত সর্বজনীন পরামর্শ হলো বর্তমান করোনা টিকাগুলোর যেকোনো একটি গ্রহণ করা। যদি মানুষ সুরক্ষিত থাকতে চায় এবং টিকা না নিয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত টিকা নিয়ে নিন। এটি একটি মারাত্মক ভাইরাস। কিন্তু আমি মনে করি এটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের অস্ত্রাগারে এখন অনেক সরঞ্জাম রয়েছে।’ 

২০২১ সালের প্রথম দিক থেকে নতুন ধরনগুলো নিয়ে মডার্নার উদ্বেগ ছিল এবং এ নিয়ে ব্যাপক কৌশলে অগ্রসর হয়েছে তারা। কোম্পানিটি বলছে, কোম্পানি বারবার ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন রোগীদের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অগ্রসর করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে যাচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

তারেকের প্রত্যাবর্তন: ফেরার ঘোষণায় ব্যাপক উৎসাহ, লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের টিকিট শেষ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে ফের ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে শুভেচ্ছা মোদির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৫
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।

নরেন্দ্র মোদি ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’

অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে, আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’

ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথবাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমপর্ণের দলিলেও পাকিস্তান বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথবাহিনীর’ কাছেই আত্মসমপর্ণ করেছে। অথচ, এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টররের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া, পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশিই প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে অল্প কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

তারেকের প্রত্যাবর্তন: ফেরার ঘোষণায় ব্যাপক উৎসাহ, লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের টিকিট শেষ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি যেকোনো সময়ের চেয়ে কাছাকাছি: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন। তবে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য রয়ে গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন—তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে ‘খুব দীর্ঘ এবং খুব ভালো আলোচনা’ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাচ্ছি। তারাও এটি (যুদ্ধ) শেষ করতে চান।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি এবং আমার মনে হয়—আমরা এখন আগের চেয়ে, যেকোনো সময়ের চেয়ে, কাছাকাছি আছি এবং আমরা কী করতে পারি তা দেখব।’ এর আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন—মার্কিন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও ফলপ্রসূ ছিল।

বার্লিনে দুই দিন ধরে চলা এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন স্টিভ উইটকফ। এতে অংশ নেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতারা অংশ নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম এই ভয়াবহ সংঘাতের অবসানের জন্য কিয়েভের ওপর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মস্কোর কাছে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ার মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার পর এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, তারা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইউরোপ-নেতৃত্বাধীন একটি ‘বহুজাতিক বাহিনী’ও অন্তর্ভুক্ত।

তারা বলেন, এই বাহিনীর কাজের মধ্যে ‘ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কাজ করা’ এবং ইউক্রেনের বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা, এর আকাশ সুরক্ষিত করা এবং নিরাপদ সমুদ্রকে সমর্থন করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর শান্তিকালীন সদস্য সংখ্যা ৮ লাখে থাকা উচিত। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা এই প্রস্তাবিত সুরক্ষাগুলোকে ‘আর্টিকেল ৫-এর মতো’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা ন্যাটোর আর্টিকেল ৫-এর পারস্পরিক প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির একটি ইঙ্গিত।

ইউক্রেন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, দৃঢ় পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে তারা ন্যাটো জোটে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে প্রস্তুত। বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অধীনে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিয়েভের জন্য দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তাগুলোর একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। তিনি যোগ করেন, যেকোনো নিশ্চয়তার মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এমন নিশ্চয়তাগুলোর কী রূপ হতে পারে সে সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন। ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সমর্থনযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেয়েছিল, কিন্তু সেগুলি ২০১৪ এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণ থামাতে পারেনি।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস বলেছেন, বার্লিন আলোচনায় ওয়াশিংটন ‘উল্লেখযোগ্য’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়েছে। জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আইনি ও বস্তুগত নিশ্চয়তার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে বার্লিনে যা টেবিলে রেখেছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একটি সত্যিকারের শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে।’ তবে যোগ করেন, আঞ্চলিক ব্যবস্থা এখনো একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর মতে, ‘আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনো কিন্তু বা যদি নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

তারেকের প্রত্যাবর্তন: ফেরার ঘোষণায় ব্যাপক উৎসাহ, লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের টিকিট শেষ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে ঘন কুয়াশায় ১০টি বাস–গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ৪

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের মথুরায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মথুরায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মূলত ঘন কুয়াশার কারণে, দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক গাড়ির এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়, যার ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মথুরার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) শ্লোক কুমার দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষের দিকে এবং অবরুদ্ধ হাইওয়ে পরিষ্কার করা ও আটকে পড়া যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকালে মথুরায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যেমন দেখতে পাচ্ছেন, এখানে এখনো কুয়াশা রয়েছে। এই দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ার কারণে ৭টি বাস এবং ৩টি ছোট গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার ফলে গাড়িগুলোতে আগুনও ধরে যায়।’

উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এসএসপি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দলগুলোকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষ। আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারছি যে, চারজন মারা গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের কেউই গুরুতরভাবে আহত নন। তারা বর্তমানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া, আমরা এখানে উপস্থিত বাকি মানুষদের সরকারি গাড়ির মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’

যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের এই সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মথুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) চন্দ্র প্রকাশ সিং ঘটনাটিকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং উদ্ধার তৎপরতার বিষয়ে আপডেট দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এই সংঘর্ষের কারণ পরে তদন্ত করা হবে। তবে বর্তমান অগ্রাধিকার উদ্ধারকাজ এবং আহতরা যাতে সম্ভাব্য সেরা চিকিৎসা পান তা নিশ্চিত করা।

চন্দ্র প্রকাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন এবং ১৪ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছিল। আহতদের সিএইচসি বলদেব এবং জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করছি, তাদের কেউই গুরুতরভাবে আহত নন এবং তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জীবিত যাত্রীদের বাসযোগে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। উদ্ধারকাজ মসৃণভাবে চলছে এবং পুরো সরকারি প্রক্রিয়া অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে তারা সেরা চিকিৎসা পান। আবারও বলছি, ত্রাণ কাজ চলছে। এই ঘটনাটি মর্মান্তিক।’

মথুরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের এই সংঘর্ষের ঠিক একদিন আগেই সোমবার ভোরে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার ফলে প্রায় ২০টি গাড়ির মধ্যে এক মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টার দিকে ঘটা এই দুর্ঘটনায় দুই পুলিশ অফিসারসহ চারজনের মৃত্যু হয় এবং আরও আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ জন গুরুতর আহত হন। ব্যাপক কুয়াশার কারণে সৃষ্ট অত্যন্ত কম দৃষ্টিসীমাকেই মূলত এই ব্যাপক সংঘর্ষের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

তারেকের প্রত্যাবর্তন: ফেরার ঘোষণায় ব্যাপক উৎসাহ, লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের টিকিট শেষ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ডাই বিচের ঘটনায় বদলে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার অস্ত্র-আইন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিহতদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: রয়টার্স
নিহতদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: রয়টার্স

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।

বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।

রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।

সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্‌বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

তারেকের প্রত্যাবর্তন: ফেরার ঘোষণায় ব্যাপক উৎসাহ, লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের টিকিট শেষ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত