আব্দুর রহমান
বিশ্বের নিরাপত্তা, বিজ্ঞান ও অন্যান্য ইস্যুতে কাজ করা বিজ্ঞানীদের অলাভজনক সংগঠন বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্ট প্রতিবছর ‘ডুমসডে ক্লক’ নামে একটি ঘড়ি চালু করে। এই ঘড়ি প্রতীকী, যা নির্দেশ করে, পৃথিবী আসলে পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞসহ অন্যান্য বিপর্যয়ের কতটা কাছে চলে এসেছে। তবে এই ঘড়ি চূড়ান্ত কোনো দিনক্ষণ নির্দেশ করে না। মূলত, নানা ধরনের হিসাব-কিতাবের আলোকেই বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টের স্থাপন করা ডুমসডে ক্লকের হিসাব অনুসারে মধ্যরাত হতে আর মাত্র দেড় মিনিট অর্থাৎ ৯০ সেকেন্ড বাকি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর অর্থ হলো—প্রতীকীভাবে পৃথিবী পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের খুব কাছে অবস্থান করছে। তবে বাস্তবিক অর্থে কতটা কাছে তা তারা জানাননি।
বিশ্বজুড়ে নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণেই তাঁরা ‘ডুমসডে ক্লকের’ কাঁটা মধ্যরাতের যথেষ্ট কাছে এগিয়ে এনেছেন। তবে তাঁরা বিষয়টি বন্ধ করে দেননি। অর্থাৎ, আগামী দিনে বিভিন্ন শর্তের ওপর ভিত্তি করে এই কাঁটার আগুপিছু হতে পারে। উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেও বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বিজ্ঞানীরা প্রথমবার ডুমসডে ক্লক চালু করেন ১৯৪৭ সালে। সে বছর ‘মধ্যরাত তথা ধ্বংসযজ্ঞ ঘনিয়ে আসার সময়’ নির্ধারণ করা হয়েছিল সাত মিনিটে। কিন্তু মাত্র দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে রাশিয়া প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার পর সেটি নামিয়ে আনা হয় তিন মিনিটে। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানোর পর তা আরও এক মিনিট কমিয়ে নামিয়ে আনা হয় দুই মিনিটে।
এরপর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান স্নায়ুযুদ্ধের শেষ বছরে, অর্থাৎ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর মধ্যরাত ঘনিয়ে আসার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয় ১৭ মিনিটে। ১৯৯৮ সালে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার পর তা ৯ মিনিট কমিয়ে নামিয়ে আনা হয় ৮ মিনিটে। ২০০৭ সালে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর ডুমসডে ক্লকে মধ্যরাত হতে বাকি থাকে আর মাত্র পাঁচ মিনিট।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতার বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৫ সালে ডুমসডে ক্লকে মধ্যরাতের সময় আরও ঘনিয়ে আসে। বাকি থাকে মাত্র তিন মিনিট। কিন্তু এরপর ২০২৩ সালে এসে পারমাণবিক অস্ত্র, ইউক্রেন যুদ্ধ, জৈব-রাসায়নিক এবং জলবায়ুসংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখে ডুমসডে ক্লকে মধ্যরাতের সময় আরও ঘনিয়ে আসে। মধ্যরাত, অর্থাৎ ডুমসডে বা রোজ কেয়ামত ঘনিয়ে আসার সময় বাকি থাকে মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিট। একই কারণে ২০২৪ সালে এসেও একই সময় বজায় রেখেছে বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্ট।
বিশ্বের নিরাপত্তা, বিজ্ঞান ও অন্যান্য ইস্যুতে কাজ করা বিজ্ঞানীদের অলাভজনক সংগঠন বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্ট প্রতিবছর ‘ডুমসডে ক্লক’ নামে একটি ঘড়ি চালু করে। এই ঘড়ি প্রতীকী, যা নির্দেশ করে, পৃথিবী আসলে পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞসহ অন্যান্য বিপর্যয়ের কতটা কাছে চলে এসেছে। তবে এই ঘড়ি চূড়ান্ত কোনো দিনক্ষণ নির্দেশ করে না। মূলত, নানা ধরনের হিসাব-কিতাবের আলোকেই বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টের স্থাপন করা ডুমসডে ক্লকের হিসাব অনুসারে মধ্যরাত হতে আর মাত্র দেড় মিনিট অর্থাৎ ৯০ সেকেন্ড বাকি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর অর্থ হলো—প্রতীকীভাবে পৃথিবী পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের খুব কাছে অবস্থান করছে। তবে বাস্তবিক অর্থে কতটা কাছে তা তারা জানাননি।
বিশ্বজুড়ে নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণেই তাঁরা ‘ডুমসডে ক্লকের’ কাঁটা মধ্যরাতের যথেষ্ট কাছে এগিয়ে এনেছেন। তবে তাঁরা বিষয়টি বন্ধ করে দেননি। অর্থাৎ, আগামী দিনে বিভিন্ন শর্তের ওপর ভিত্তি করে এই কাঁটার আগুপিছু হতে পারে। উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেও বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বিজ্ঞানীরা প্রথমবার ডুমসডে ক্লক চালু করেন ১৯৪৭ সালে। সে বছর ‘মধ্যরাত তথা ধ্বংসযজ্ঞ ঘনিয়ে আসার সময়’ নির্ধারণ করা হয়েছিল সাত মিনিটে। কিন্তু মাত্র দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে রাশিয়া প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার পর সেটি নামিয়ে আনা হয় তিন মিনিটে। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানোর পর তা আরও এক মিনিট কমিয়ে নামিয়ে আনা হয় দুই মিনিটে।
এরপর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান স্নায়ুযুদ্ধের শেষ বছরে, অর্থাৎ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর মধ্যরাত ঘনিয়ে আসার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয় ১৭ মিনিটে। ১৯৯৮ সালে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার পর তা ৯ মিনিট কমিয়ে নামিয়ে আনা হয় ৮ মিনিটে। ২০০৭ সালে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর ডুমসডে ক্লকে মধ্যরাত হতে বাকি থাকে আর মাত্র পাঁচ মিনিট।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতার বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৫ সালে ডুমসডে ক্লকে মধ্যরাতের সময় আরও ঘনিয়ে আসে। বাকি থাকে মাত্র তিন মিনিট। কিন্তু এরপর ২০২৩ সালে এসে পারমাণবিক অস্ত্র, ইউক্রেন যুদ্ধ, জৈব-রাসায়নিক এবং জলবায়ুসংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখে ডুমসডে ক্লকে মধ্যরাতের সময় আরও ঘনিয়ে আসে। মধ্যরাত, অর্থাৎ ডুমসডে বা রোজ কেয়ামত ঘনিয়ে আসার সময় বাকি থাকে মাত্র ৯০ সেকেন্ড বা দেড় মিনিট। একই কারণে ২০২৪ সালে এসেও একই সময় বজায় রেখেছে বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্ট।
রিপাবলিক বাংলার জনপ্রিয় উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, যিনি তাঁর উত্তেজনাপূর্ণ, বিদ্বেষপূর্ণ এবং কখনো কখনো হাস্যকর উপস্থাপনার জন্য পরিচিত। গত ২৪ এপ্রিল তিনি সন্ধ্যার একটি অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয়দের দেশ ছাড়তে বলেন। উত্তেজিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ভারতের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি মুছে ফেলতে হবে।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধীদের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত আলকাতরাজ কারাগার ১৯৬৩ সালেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্যই উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ৬২ বছর পর এটি আবারও...
১০ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যে আজ সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় দেশকে ‘সর্বোচ্চ সংযমী’ এবং ‘যুদ্ধের পথ থেকে সরে আসার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার এ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সর্বোচ্চ...
১০ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু মাইকে কথা বলার সময় অসাবধানতাবশত বলে ফেলেছেন, গাজায় ‘২৪ জনের কম’ জিম্মি এখনো জীবিত রয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য জিম্মি পরিবারগুলোকে ক্ষুব্ধ করেছে। তারা বলছে, প্রিয়জনদের ভাগ্য সরকারের হাতে; অথচ তারা এমনভাবে সে তথ্য প্রকাশ করছ
১১ ঘণ্টা আগে