
কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার।
কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, ফাইজারের ক্যাপসুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও করোনায় মৃত্যু ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজারের নতুন এই ক্যাপসুলের নাম প্যাক্সলোভিড। ফাইজারের দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুল মোলনুপিরাভি যেখানে ৫০ ভাগ কার্যকর সেখানে ফাইজারের ক্যাপসুলের কার্যকারিতা ৮৯ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কের ক্যাপসুল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
তবে রয়টার্স বলছে, মার্ক এবং ফাইজার দুটি কোম্পানির কোনোটিরই পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এরই মধ্যে ফাইজারের শেয়ার ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪৯ দশমিক ৪৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৬৯ ডলারে।
ফাইজার বলছে, প্যাক্সলোভিড ক্যাপসুল দিয়ে ২৮ দিন পর্যন্ত এ চিকিৎসা চালানো হয়। উচ্চ ঝুঁকির ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁদের এই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। দেখা গেছে, যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিলেন এবং এই চিকিৎসা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
আর যাদের প্লাসিবো (ফেক ক্যাপসুল) দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্লাসিবো গ্রুপে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপসর্গ দেখার দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রেও হার একই ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ১ শতাংশ রোগীকে। আর প্লাসিবো নেওয়া রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশকে। প্লাসিবো গ্রুপে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ফাইজার বলছে, প্রাথমিক ফলাফল এতো ভালো ছিল যে ট্রায়াল শেষই করা হয়নি।
তবে এমন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফাইজার। যদিও ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁরা অনুভব করেছেন।
ফাইজার প্রোগ্রামের প্রধান অ্যানালিসা অ্যান্ডারসন রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের উচ্চ কার্যকারিতা রয়েছে। এমনকি যদি উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ার পাঁচ দিন পরও চিকিৎসা শুরু হয় তারপরও এটি কার্যকর। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই এটি বেশ সুবিধাজনক।
এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলা বলেছেন, এটি রোগীদের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই কার্যকরী হবে। এটি করোনার সংক্রমণ কমাবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
চলতি বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার কোর্স ওষুধ উৎপাদন করার আশা করছে ফাইজার। ২০২২ সালের শেষদিকে কমপক্ষে পাঁচ কোটি কোর্স ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দুই কোটির বেশি কোর্স ওষুধ উৎপাদন হবে ২০২২ সালের শুরুর দিকেই।
ঝুঁকি ছাড়াই কীভাবে গুরুতর কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে ফাইজারের ক্যাপসুল কার্যকরী করা যায় এবং কীভাবে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধ করা যায় এ বিষয়ে গবেষণা এখনো চলমান বলে জানিয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুলের অনুমোদন দেয়। তবে কবে থেকে এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলেনি ব্রিটেন সরকার। শুধু ১৮ বা এর বেশি বয়সীদের জন্য কোভিড চিকিৎসায় এই বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মোলনুপিরাভির নামে এই ওষুধ সেবনে স্থূলতা বা হৃদ্রোগের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। কোভিডের সামান্য উপসর্গ যুক্ত রোগীর জন্য চারটি বড়িই যথেষ্ট। তবে গুরুতর হলে দিনে দুটি করে পাঁচ দিন সেবন করতে হবে।

কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার।
কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, ফাইজারের ক্যাপসুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও করোনায় মৃত্যু ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজারের নতুন এই ক্যাপসুলের নাম প্যাক্সলোভিড। ফাইজারের দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুল মোলনুপিরাভি যেখানে ৫০ ভাগ কার্যকর সেখানে ফাইজারের ক্যাপসুলের কার্যকারিতা ৮৯ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কের ক্যাপসুল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
তবে রয়টার্স বলছে, মার্ক এবং ফাইজার দুটি কোম্পানির কোনোটিরই পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এরই মধ্যে ফাইজারের শেয়ার ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪৯ দশমিক ৪৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৬৯ ডলারে।
ফাইজার বলছে, প্যাক্সলোভিড ক্যাপসুল দিয়ে ২৮ দিন পর্যন্ত এ চিকিৎসা চালানো হয়। উচ্চ ঝুঁকির ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁদের এই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। দেখা গেছে, যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিলেন এবং এই চিকিৎসা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
আর যাদের প্লাসিবো (ফেক ক্যাপসুল) দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্লাসিবো গ্রুপে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপসর্গ দেখার দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রেও হার একই ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ১ শতাংশ রোগীকে। আর প্লাসিবো নেওয়া রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশকে। প্লাসিবো গ্রুপে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ফাইজার বলছে, প্রাথমিক ফলাফল এতো ভালো ছিল যে ট্রায়াল শেষই করা হয়নি।
তবে এমন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফাইজার। যদিও ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁরা অনুভব করেছেন।
ফাইজার প্রোগ্রামের প্রধান অ্যানালিসা অ্যান্ডারসন রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের উচ্চ কার্যকারিতা রয়েছে। এমনকি যদি উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ার পাঁচ দিন পরও চিকিৎসা শুরু হয় তারপরও এটি কার্যকর। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই এটি বেশ সুবিধাজনক।
এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলা বলেছেন, এটি রোগীদের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই কার্যকরী হবে। এটি করোনার সংক্রমণ কমাবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
চলতি বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার কোর্স ওষুধ উৎপাদন করার আশা করছে ফাইজার। ২০২২ সালের শেষদিকে কমপক্ষে পাঁচ কোটি কোর্স ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দুই কোটির বেশি কোর্স ওষুধ উৎপাদন হবে ২০২২ সালের শুরুর দিকেই।
ঝুঁকি ছাড়াই কীভাবে গুরুতর কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে ফাইজারের ক্যাপসুল কার্যকরী করা যায় এবং কীভাবে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধ করা যায় এ বিষয়ে গবেষণা এখনো চলমান বলে জানিয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুলের অনুমোদন দেয়। তবে কবে থেকে এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলেনি ব্রিটেন সরকার। শুধু ১৮ বা এর বেশি বয়সীদের জন্য কোভিড চিকিৎসায় এই বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মোলনুপিরাভির নামে এই ওষুধ সেবনে স্থূলতা বা হৃদ্রোগের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। কোভিডের সামান্য উপসর্গ যুক্ত রোগীর জন্য চারটি বড়িই যথেষ্ট। তবে গুরুতর হলে দিনে দুটি করে পাঁচ দিন সেবন করতে হবে।

কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার।
কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, ফাইজারের ক্যাপসুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও করোনায় মৃত্যু ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজারের নতুন এই ক্যাপসুলের নাম প্যাক্সলোভিড। ফাইজারের দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুল মোলনুপিরাভি যেখানে ৫০ ভাগ কার্যকর সেখানে ফাইজারের ক্যাপসুলের কার্যকারিতা ৮৯ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কের ক্যাপসুল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
তবে রয়টার্স বলছে, মার্ক এবং ফাইজার দুটি কোম্পানির কোনোটিরই পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এরই মধ্যে ফাইজারের শেয়ার ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪৯ দশমিক ৪৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৬৯ ডলারে।
ফাইজার বলছে, প্যাক্সলোভিড ক্যাপসুল দিয়ে ২৮ দিন পর্যন্ত এ চিকিৎসা চালানো হয়। উচ্চ ঝুঁকির ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁদের এই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। দেখা গেছে, যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিলেন এবং এই চিকিৎসা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
আর যাদের প্লাসিবো (ফেক ক্যাপসুল) দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্লাসিবো গ্রুপে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপসর্গ দেখার দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রেও হার একই ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ১ শতাংশ রোগীকে। আর প্লাসিবো নেওয়া রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশকে। প্লাসিবো গ্রুপে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ফাইজার বলছে, প্রাথমিক ফলাফল এতো ভালো ছিল যে ট্রায়াল শেষই করা হয়নি।
তবে এমন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফাইজার। যদিও ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁরা অনুভব করেছেন।
ফাইজার প্রোগ্রামের প্রধান অ্যানালিসা অ্যান্ডারসন রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের উচ্চ কার্যকারিতা রয়েছে। এমনকি যদি উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ার পাঁচ দিন পরও চিকিৎসা শুরু হয় তারপরও এটি কার্যকর। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই এটি বেশ সুবিধাজনক।
এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলা বলেছেন, এটি রোগীদের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই কার্যকরী হবে। এটি করোনার সংক্রমণ কমাবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
চলতি বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার কোর্স ওষুধ উৎপাদন করার আশা করছে ফাইজার। ২০২২ সালের শেষদিকে কমপক্ষে পাঁচ কোটি কোর্স ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দুই কোটির বেশি কোর্স ওষুধ উৎপাদন হবে ২০২২ সালের শুরুর দিকেই।
ঝুঁকি ছাড়াই কীভাবে গুরুতর কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে ফাইজারের ক্যাপসুল কার্যকরী করা যায় এবং কীভাবে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধ করা যায় এ বিষয়ে গবেষণা এখনো চলমান বলে জানিয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুলের অনুমোদন দেয়। তবে কবে থেকে এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলেনি ব্রিটেন সরকার। শুধু ১৮ বা এর বেশি বয়সীদের জন্য কোভিড চিকিৎসায় এই বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মোলনুপিরাভির নামে এই ওষুধ সেবনে স্থূলতা বা হৃদ্রোগের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। কোভিডের সামান্য উপসর্গ যুক্ত রোগীর জন্য চারটি বড়িই যথেষ্ট। তবে গুরুতর হলে দিনে দুটি করে পাঁচ দিন সেবন করতে হবে।

কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার।
কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, ফাইজারের ক্যাপসুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও করোনায় মৃত্যু ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজারের নতুন এই ক্যাপসুলের নাম প্যাক্সলোভিড। ফাইজারের দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুল মোলনুপিরাভি যেখানে ৫০ ভাগ কার্যকর সেখানে ফাইজারের ক্যাপসুলের কার্যকারিতা ৮৯ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কের ক্যাপসুল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
তবে রয়টার্স বলছে, মার্ক এবং ফাইজার দুটি কোম্পানির কোনোটিরই পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এরই মধ্যে ফাইজারের শেয়ার ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪৯ দশমিক ৪৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৬৯ ডলারে।
ফাইজার বলছে, প্যাক্সলোভিড ক্যাপসুল দিয়ে ২৮ দিন পর্যন্ত এ চিকিৎসা চালানো হয়। উচ্চ ঝুঁকির ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁদের এই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। দেখা গেছে, যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিলেন এবং এই চিকিৎসা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
আর যাদের প্লাসিবো (ফেক ক্যাপসুল) দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্লাসিবো গ্রুপে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপসর্গ দেখার দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রেও হার একই ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ১ শতাংশ রোগীকে। আর প্লাসিবো নেওয়া রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশকে। প্লাসিবো গ্রুপে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ফাইজার বলছে, প্রাথমিক ফলাফল এতো ভালো ছিল যে ট্রায়াল শেষই করা হয়নি।
তবে এমন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফাইজার। যদিও ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁরা অনুভব করেছেন।
ফাইজার প্রোগ্রামের প্রধান অ্যানালিসা অ্যান্ডারসন রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের উচ্চ কার্যকারিতা রয়েছে। এমনকি যদি উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ার পাঁচ দিন পরও চিকিৎসা শুরু হয় তারপরও এটি কার্যকর। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই এটি বেশ সুবিধাজনক।
এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলা বলেছেন, এটি রোগীদের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই কার্যকরী হবে। এটি করোনার সংক্রমণ কমাবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
চলতি বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার কোর্স ওষুধ উৎপাদন করার আশা করছে ফাইজার। ২০২২ সালের শেষদিকে কমপক্ষে পাঁচ কোটি কোর্স ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দুই কোটির বেশি কোর্স ওষুধ উৎপাদন হবে ২০২২ সালের শুরুর দিকেই।
ঝুঁকি ছাড়াই কীভাবে গুরুতর কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে ফাইজারের ক্যাপসুল কার্যকরী করা যায় এবং কীভাবে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধ করা যায় এ বিষয়ে গবেষণা এখনো চলমান বলে জানিয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুলের অনুমোদন দেয়। তবে কবে থেকে এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলেনি ব্রিটেন সরকার। শুধু ১৮ বা এর বেশি বয়সীদের জন্য কোভিড চিকিৎসায় এই বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মোলনুপিরাভির নামে এই ওষুধ সেবনে স্থূলতা বা হৃদ্রোগের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। কোভিডের সামান্য উপসর্গ যুক্ত রোগীর জন্য চারটি বড়িই যথেষ্ট। তবে গুরুতর হলে দিনে দুটি করে পাঁচ দিন সেবন করতে হবে।

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। আর তা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবে না। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, ঠিক সে সময় মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮ হাজার ৭০০ মাইল) উড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে ছিল। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এবং এর উড্ডয়নের দূরত্ব কার্যত সীমাহীন।
রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯ এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
আজ রোববার সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।
পুতিন ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
পুতিন বলেন, রুশ বিশেষজ্ঞরা একসময় বলেছিলেন, এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু এখন এটার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি গেরাসিমভকে দ্রুত অস্ত্রটির শ্রেণিবিন্যাস ও মোতায়েনের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
পুতিনের এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপটও তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক পোশাক পরে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মস্কো ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পুতিনের আজকের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখনো বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী। একই সঙ্গে আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আলোচনায় বসা উচিত।
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ গেরাসিমভ জানান, বুরেভেস্তনিকের এ পরীক্ষা বিশেষ ছিল। কারণ, এটি পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমেই এত দীর্ঘ সময় আকাশে ছিল। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো অ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। আর তা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবে না। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, ঠিক সে সময় মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮ হাজার ৭০০ মাইল) উড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে ছিল। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এবং এর উড্ডয়নের দূরত্ব কার্যত সীমাহীন।
রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯ এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
আজ রোববার সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।
পুতিন ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
পুতিন বলেন, রুশ বিশেষজ্ঞরা একসময় বলেছিলেন, এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু এখন এটার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি গেরাসিমভকে দ্রুত অস্ত্রটির শ্রেণিবিন্যাস ও মোতায়েনের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
পুতিনের এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপটও তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক পোশাক পরে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মস্কো ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পুতিনের আজকের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখনো বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী। একই সঙ্গে আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আলোচনায় বসা উচিত।
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ গেরাসিমভ জানান, বুরেভেস্তনিকের এ পরীক্ষা বিশেষ ছিল। কারণ, এটি পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমেই এত দীর্ঘ সময় আকাশে ছিল। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো অ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।

কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার। কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে
০৫ নভেম্বর ২০২১
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরও এক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এআই দিয়ে বানানো এমন ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ ও প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কবার্তা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও একজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরও এক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এআই দিয়ে বানানো এমন ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ ও প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কবার্তা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও একজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার। কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে
০৫ নভেম্বর ২০২১
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার। কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে
০৫ নভেম্বর ২০২১
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার। কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে
০৫ নভেম্বর ২০২১
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৫ ঘণ্টা আগে