দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের স্টিলফন্টেইন শহরের বাফেলসফন্টেইন সোনার খনিতে আর কোনো অবৈধ খনিশ্রমিক আটকা নেই বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার খনিতে আটকা পড়া শ্রমিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির আদালত সরকারকে একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর গত সোমবার থেকে কমপক্ষে ৭৮টি মৃতদেহ এবং ২০০ জনেরও বেশি জীবিত খনিশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, খনি শিল্পে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সর্বশেষ উদ্ধারাভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময় একটি উদ্ধারকারী খাঁচা খনিতে নামানো হবে। এরপরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে ভেতরে আর কোনো শ্রমিক আটকা আছেন কি না।
গত নভেম্বরে দেশটির সরকার অবৈধ খনি বন্ধ করার ঘোষণা দিলে এই অচলাবস্থা শুরু হয়। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ‘কোনো খনি শ্রমিক ওপরে উঠে এলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
তবে মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিজ ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন গ্রুপ (এমএসিইউএ) নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র সাবেলো মুঙ্গুনি বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, স্টিলফন্টেইন শহরের কাছে এই খনিতে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে দুই মাস ধরে উত্তেজনা চলছে। পুলিশের দাবি, শ্রমিকেরা গ্রেপ্তারের ভয়ে খনি থেকে বের হতে চাইছেন না। কিন্তু মুঙ্গুনি বলেন, ‘পুলিশ তাঁদের ওঠানামার জন্য ব্যবহৃত দড়ি সরিয়ে নেওয়ায় তাঁরা ভেতরে আটকা পড়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খনিশ্রমিকেরা অপরাধী নন। তাঁরা আগের খনিশ্রমিক, যাঁরা খনি বন্ধ হওয়ার পর দারিদ্র্যের কারণে পুনরায় খনিতে প্রবেশ করেছেন। জীবিকা নির্বাহের কোনো উপায় না থাকায় তাঁদের খনির কাজে ফিরে আসতে হয়।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার উদ্ধার অভিযান শুরুর আগে ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি খনিশ্রমিক ওপরে উঠে আসেন। তবে অনেকেই গ্রেপ্তারের ভয়ে অথবা খনি নিয়ন্ত্রণকারী গ্যাংদের দ্বারা বাধ্য হয়ে ভেতরেই ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আর কেউ ভেতরে নেই। তবে মাইন রেসকিউ সার্ভিস তাদের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে নিশ্চিত করবে ভেতরে কী ঘটছে বা আরও কোনো শ্রমিক ভেতরে আছেন কি না।’
উল্লেখ্য, গত তিন দশকে লোকসানের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের খনিগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময় এই খনিগুলো স্থানীয় গ্যাংদের দখলে চলে যায়। যাঁদের মধ্যে অনেক সাবেক খনিশ্রমিকও আছেন।
এর মধ্যে রয়েছে জোহানেসবার্গ থেকে ১৪৫ কিমি (৯০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে স্টিলফন্টেইনের বাফেলসফন্টেইন সোনার খনি। যেখানে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধেও অবৈধ খনিশ্রমিকদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্তমানে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশের বেশি। সাবেক অনেক খনিশ্রমিক জানান, খনিতে কাজ করা ছাড়া তাঁদের আয়ের অন্য কোনো উৎস নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের স্টিলফন্টেইন শহরের বাফেলসফন্টেইন সোনার খনিতে আর কোনো অবৈধ খনিশ্রমিক আটকা নেই বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার খনিতে আটকা পড়া শ্রমিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির আদালত সরকারকে একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর গত সোমবার থেকে কমপক্ষে ৭৮টি মৃতদেহ এবং ২০০ জনেরও বেশি জীবিত খনিশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, খনি শিল্পে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সর্বশেষ উদ্ধারাভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময় একটি উদ্ধারকারী খাঁচা খনিতে নামানো হবে। এরপরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে ভেতরে আর কোনো শ্রমিক আটকা আছেন কি না।
গত নভেম্বরে দেশটির সরকার অবৈধ খনি বন্ধ করার ঘোষণা দিলে এই অচলাবস্থা শুরু হয়। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ‘কোনো খনি শ্রমিক ওপরে উঠে এলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
তবে মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিজ ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন গ্রুপ (এমএসিইউএ) নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র সাবেলো মুঙ্গুনি বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, স্টিলফন্টেইন শহরের কাছে এই খনিতে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে দুই মাস ধরে উত্তেজনা চলছে। পুলিশের দাবি, শ্রমিকেরা গ্রেপ্তারের ভয়ে খনি থেকে বের হতে চাইছেন না। কিন্তু মুঙ্গুনি বলেন, ‘পুলিশ তাঁদের ওঠানামার জন্য ব্যবহৃত দড়ি সরিয়ে নেওয়ায় তাঁরা ভেতরে আটকা পড়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খনিশ্রমিকেরা অপরাধী নন। তাঁরা আগের খনিশ্রমিক, যাঁরা খনি বন্ধ হওয়ার পর দারিদ্র্যের কারণে পুনরায় খনিতে প্রবেশ করেছেন। জীবিকা নির্বাহের কোনো উপায় না থাকায় তাঁদের খনির কাজে ফিরে আসতে হয়।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার উদ্ধার অভিযান শুরুর আগে ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি খনিশ্রমিক ওপরে উঠে আসেন। তবে অনেকেই গ্রেপ্তারের ভয়ে অথবা খনি নিয়ন্ত্রণকারী গ্যাংদের দ্বারা বাধ্য হয়ে ভেতরেই ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আর কেউ ভেতরে নেই। তবে মাইন রেসকিউ সার্ভিস তাদের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে নিশ্চিত করবে ভেতরে কী ঘটছে বা আরও কোনো শ্রমিক ভেতরে আছেন কি না।’
উল্লেখ্য, গত তিন দশকে লোকসানের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের খনিগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময় এই খনিগুলো স্থানীয় গ্যাংদের দখলে চলে যায়। যাঁদের মধ্যে অনেক সাবেক খনিশ্রমিকও আছেন।
এর মধ্যে রয়েছে জোহানেসবার্গ থেকে ১৪৫ কিমি (৯০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে স্টিলফন্টেইনের বাফেলসফন্টেইন সোনার খনি। যেখানে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধেও অবৈধ খনিশ্রমিকদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্তমানে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশের বেশি। সাবেক অনেক খনিশ্রমিক জানান, খনিতে কাজ করা ছাড়া তাঁদের আয়ের অন্য কোনো উৎস নেই।
থাইল্যান্ড থেকে ৪৭টি বিষধর সাপ ও আরও বিরল প্রজাতির কিছু সরীসৃপ প্রাণী ব্যাগে ভরে দেশ ফিরছিলেন এক ভারতীয়। পাচারের উদ্দেশ্যে ওই প্রাণীগুলোকে ভারতে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করে ভারত। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২ হাজারের বেশি লোককে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করেছে ভারত। ভারত সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। অবশ্য, ভারত এই লোকদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী’ বলে আখ্যা...
৩ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ তিন দিনে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভ চলাকালে এক ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের দিকে ঘরে তৈরি মলোটভ ককটেল–সদৃশ বস্তু ছুড়ে মারেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় কয়েকজন দগ্ধ হন। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে