Ajker Patrika

মানসিক স্বাস্থ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ডা. ফাহিমা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ২০
কানাডাপ্রবাসী চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা ডা. ফাহিমা মুস্তানযিদ। তিনি ক্রিয়েটিভ থিংকিং স্কুল ইনকরপোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা। ছবি: সংগৃহীত
কানাডাপ্রবাসী চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা ডা. ফাহিমা মুস্তানযিদ। তিনি ক্রিয়েটিভ থিংকিং স্কুল ইনকরপোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর ও সহজলভ্য করতে কানাডার টরন্টোতে ১৯ নভেম্বর শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ই-মেন্টাল হেলথ ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস ২০২৫’। এ উপলক্ষে ওয়েস্টিন হারবার ক্যাসল কনফারেন্স সেন্টারের হলে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বের খ্যাতনামা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও প্রযুক্তি উদ্ভাবকেরা।

এবারের মূল আলোচনায় রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের আরও কাছে পৌঁছে যেতে পারে। ইএমএইচআইসি-এর প্রধান নির্বাহী আনিল থাপালিয়াল বলেন, ‘প্রযুক্তি এখন শুধু সরঞ্জাম নয়, এটা মানুষের মনের সঙ্গী হয়ে উঠছে।’

এই বৈশ্বিক আয়োজনে অংশ নিয়েছেন কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি বংশদ্ভুত চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা ডা. ফাহিমা মুস্তানযিদ। তিনি ক্রিয়েটিভ থিংকিং স্কুল ইনকরপোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা। এ কংগ্রেসে তিনি উপস্থাপন করবেন তাঁর তৈরি ‘সিঙ্গেল প্যারেন্টিং অ্যাপ’-এর ধারণা। অ্যাপটি একক অভিভাবকদের সন্তানদের কগনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ও আবেগীয় স্থিতিশীলতা বাড়াতে এআই-চালিত কোচিং আর গেমিফাইড বন্ধন মজবুতকরণ কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে।

ডা. ফাহিমা বলেন, ‘বিশ্বে ৩২ কোটির বেশি শিশু একজন অভিভাবকের কাছে বড় হচ্ছে। তাদের মধ্যে বিষণ্নতা, উদ্বেগ আর আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি অনেক বেশি। আমি চাই, আমার অ্যাপটা তাদের পাশে দাঁড়াক। যেন কেউ একা না থাকে।’

চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা ডা. ফাহিমা মুস্তানযিদ। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা ডা. ফাহিমা মুস্তানযিদ। ছবি: সংগৃহীত

সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. স্টিভেন পার্কার, অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক এমা লারসন, নিউজিল্যান্ডের ড. পিটার হ্যামিলটন এবং যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল মেন্টাল হেলথ গবেষক প্রফেসর অ্যান্ড্রু গ্রিনশ’। তাঁরা আলোচনা করছেন এআই থেরাপি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাউন্সেলিং, চ্যাটবটভিত্তিক সহায়তা এবং নিম্ন আয়ের দেশে সাশ্রয়ী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর উপায় নিয়ে।

আয়োজকদের প্রত্যাশা, এই সম্মেলন থেকে গড়ে উঠবে একটি বিশ্বব্যাপী মেন্টাল হেলথ অ্যালায়েন্স। যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্তত অর্ধেক মানুষের কাছে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া।

বৈশ্বিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের উদ্ভাবন তুলে ধরতে পেরে ডা. ফাহিমার অনুভূতি, ‘বাংলাদেশের মেয়ে হয়ে আজ বিশ্বের এত বড় মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের কাজ উপস্থাপন করছি। এর চেয়ে গর্বের আর কিছু হতে পারে না। আমি চাই, আমাদের দেশের তরুণেরাও বিশ্বাস করুক—স্বপ্ন দেখলে তা সত্যি হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ