অনলাইন ডেস্ক
খুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
হৃদ্রোগ বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ। হৃদ্রোগগুলোর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। যারা একবার এই রোগের শিকার হন, তাদের মধ্যে প্রথম বছরই আরেকটি অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ, রক্তনালি তখন বেশি সংবেদনশীল থাকে। ফলে সহজে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।
ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা একটি গবেষণায় দেখেছেন, হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের দুটি ওষুধ—স্ট্যাটিন এবং ইজেটিমিব (কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ)—একসঙ্গে দিলে তাদের আরেকটি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়।
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক কৌশিক রয় বলেন, ‘এই গবেষণা দেখায় যে দুটি কম দামি ওষুধ একসঙ্গে দিয়ে আমরা জীবন বাঁচাতে এবং আরও হার্ট অ্যাটাক কমাতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু বর্তমানে বিশ্বজুড়ে রোগীরা একসঙ্গে এই ওষুধগুলো পাচ্ছেন না। ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় ও এড়ানো যায় এমন হার্ট অ্যাটাক এবং মৃত্যু ঘটছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতেও এর জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।’
অধ্যাপক রয় মনে করেন, তাদের গবেষণা একটি নতুন পথ দেখাচ্ছে। এই ধরনের হৃদ্রোগের ঘটনার পরে রোগীদের চিকিৎসার পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত। গবেষকেরা রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দুটি ওষুধের মিশ্রণের সম্ভাব্য প্রভাব পরিমাপ করেছেন।
তারা এমন সব রোগীদের মধ্যে তুলনা করেছেন যারা হার্ট অ্যাটাকের ১২ সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটিন এবং ইজেটিমিব গ্রহণ করেছিলেন। আবার এমন রোগীদেরও তুলনা করেছেন যারা হার্ট অ্যাটাকের পর ১৩ সপ্তাহ থেকে ১৬ মাসের মধ্যে স্ট্যাটিনের সঙ্গে ইজেটিমিব যোগ করেছিলেন। এ ছাড়া যারা শুধু স্ট্যাটিন গ্রহণ করেছিলেন এবং ইজেটিমিব একেবারেই নেননি, তাদেরও তুলনা করা হয়েছে এই গবেষণায়।
২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৩৬ হাজার সুইডিশ রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়। এ ক্ষেত্রে উন্নত পরিসংখ্যান মডেল ব্যবহার করে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হার্ট অ্যাটাকের ১২ সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটিন ও ইজেটিমিব গ্রহণ করেছিলেন এবং দ্রুত কোলেস্টেরলকে লক্ষ্যমাত্রায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন, তাদের পরবর্তী সময়ে হৃদ্রোগের ঘটনা ও মৃত্যুর ঝুঁকি কম ছিল। যারা দেরিতে এই চিকিৎসা শুরু করেছিলেন বা একেবারেই করেননি, তাদের তুলনায় এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক রয় বলেন, ‘আমাদের প্রাপ্ত ফলাফল থেকে মনে হচ্ছে, চিকিৎসার নির্দেশিকায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই রোগীদের জীবনে বিশাল প্রভাব পড়তে পারে।’ তিনি আরও জানান, ইজেটিমিব ওষুধটি সহজলভ্য এবং তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়। এই অতিরিক্ত চিকিৎসা প্রতি রোগীর জন্য বছরে প্রায় ৩৫০ পাউন্ড খরচ হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং রোগীদের জীবনের ওপর এর প্রভাবের তুলনায় এটি অনেক সাশ্রয়ী।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক এবং মালমোর স্ক্যানি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজি কনসালট্যান্ট মার্গারেট লিওসডট্টির আশা প্রকাশ করেছেন, এই গবেষণা বিশ্বব্যাপী চিকিৎসার নির্দেশিকা পরিবর্তনে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ‘অপ্রয়োজনীয় কষ্ট প্রতিরোধ করা এবং জীবন বাঁচানো’ সম্ভব হবে।
লিওসডট্টির জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের সাধারণত এই দুটি ওষুধের মিশ্রণ দেওয়া হয় না। এর কারণ হিসেবে তিনি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগ এড়াতে ‘সতর্কতামূলক নীতি’ অনুসরণ করার কথা বলেছেন।
তবে তিনি বলেন, ‘ইনফার্কশন (হার্ট অ্যাটাক) হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুটি ওষুধ সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করলে ইতিবাচক প্রভাব পাওয়া যায়। এটি না করলে ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া, আমরা যে ওষুধটি নিয়ে গবেষণা করেছি, সেটি খুব কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং অনেক দেশে সহজেই পাওয়া যায় ও সস্তা।’
খুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
হৃদ্রোগ বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ। হৃদ্রোগগুলোর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। যারা একবার এই রোগের শিকার হন, তাদের মধ্যে প্রথম বছরই আরেকটি অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ, রক্তনালি তখন বেশি সংবেদনশীল থাকে। ফলে সহজে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।
ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা একটি গবেষণায় দেখেছেন, হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের দুটি ওষুধ—স্ট্যাটিন এবং ইজেটিমিব (কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ)—একসঙ্গে দিলে তাদের আরেকটি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়।
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক কৌশিক রয় বলেন, ‘এই গবেষণা দেখায় যে দুটি কম দামি ওষুধ একসঙ্গে দিয়ে আমরা জীবন বাঁচাতে এবং আরও হার্ট অ্যাটাক কমাতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু বর্তমানে বিশ্বজুড়ে রোগীরা একসঙ্গে এই ওষুধগুলো পাচ্ছেন না। ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় ও এড়ানো যায় এমন হার্ট অ্যাটাক এবং মৃত্যু ঘটছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতেও এর জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।’
অধ্যাপক রয় মনে করেন, তাদের গবেষণা একটি নতুন পথ দেখাচ্ছে। এই ধরনের হৃদ্রোগের ঘটনার পরে রোগীদের চিকিৎসার পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত। গবেষকেরা রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দুটি ওষুধের মিশ্রণের সম্ভাব্য প্রভাব পরিমাপ করেছেন।
তারা এমন সব রোগীদের মধ্যে তুলনা করেছেন যারা হার্ট অ্যাটাকের ১২ সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটিন এবং ইজেটিমিব গ্রহণ করেছিলেন। আবার এমন রোগীদেরও তুলনা করেছেন যারা হার্ট অ্যাটাকের পর ১৩ সপ্তাহ থেকে ১৬ মাসের মধ্যে স্ট্যাটিনের সঙ্গে ইজেটিমিব যোগ করেছিলেন। এ ছাড়া যারা শুধু স্ট্যাটিন গ্রহণ করেছিলেন এবং ইজেটিমিব একেবারেই নেননি, তাদেরও তুলনা করা হয়েছে এই গবেষণায়।
২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৩৬ হাজার সুইডিশ রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়। এ ক্ষেত্রে উন্নত পরিসংখ্যান মডেল ব্যবহার করে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হার্ট অ্যাটাকের ১২ সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটিন ও ইজেটিমিব গ্রহণ করেছিলেন এবং দ্রুত কোলেস্টেরলকে লক্ষ্যমাত্রায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন, তাদের পরবর্তী সময়ে হৃদ্রোগের ঘটনা ও মৃত্যুর ঝুঁকি কম ছিল। যারা দেরিতে এই চিকিৎসা শুরু করেছিলেন বা একেবারেই করেননি, তাদের তুলনায় এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক রয় বলেন, ‘আমাদের প্রাপ্ত ফলাফল থেকে মনে হচ্ছে, চিকিৎসার নির্দেশিকায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই রোগীদের জীবনে বিশাল প্রভাব পড়তে পারে।’ তিনি আরও জানান, ইজেটিমিব ওষুধটি সহজলভ্য এবং তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়। এই অতিরিক্ত চিকিৎসা প্রতি রোগীর জন্য বছরে প্রায় ৩৫০ পাউন্ড খরচ হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং রোগীদের জীবনের ওপর এর প্রভাবের তুলনায় এটি অনেক সাশ্রয়ী।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক এবং মালমোর স্ক্যানি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজি কনসালট্যান্ট মার্গারেট লিওসডট্টির আশা প্রকাশ করেছেন, এই গবেষণা বিশ্বব্যাপী চিকিৎসার নির্দেশিকা পরিবর্তনে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ‘অপ্রয়োজনীয় কষ্ট প্রতিরোধ করা এবং জীবন বাঁচানো’ সম্ভব হবে।
লিওসডট্টির জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের সাধারণত এই দুটি ওষুধের মিশ্রণ দেওয়া হয় না। এর কারণ হিসেবে তিনি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগ এড়াতে ‘সতর্কতামূলক নীতি’ অনুসরণ করার কথা বলেছেন।
তবে তিনি বলেন, ‘ইনফার্কশন (হার্ট অ্যাটাক) হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুটি ওষুধ সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করলে ইতিবাচক প্রভাব পাওয়া যায়। এটি না করলে ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া, আমরা যে ওষুধটি নিয়ে গবেষণা করেছি, সেটি খুব কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং অনেক দেশে সহজেই পাওয়া যায় ও সস্তা।’
দীর্ঘ কয়েক দশক গবেষণা ও বিতর্কের পর এবার একটি নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। ‘টাইপ ৫ ডায়াবেটিস’ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ মূলত অপুষ্টিজনিত এবং সাধারণত কমবয়সী, হালকা-গড়নের ও অপুষ্টিতে ভোগা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায়।
১ দিন আগেদুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
২ দিন আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
৪ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
৪ দিন আগে